Translate

রবিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১২

দুনিয়ার যতো বাজে নামের ওয়েবসাইট

দুনিয়ার যতো বাজে নামের ওয়েবসাইট

নতুন ওয়েবসাইটের জন্য ভালো একটি অ্যাড্রেস নির্ধারণ খুবই কঠিন কাজ। ওয়েবসাইট অ্যাড্রেস নির্ধারণের প্রথম সমস্যা হচ্ছে, ভালো অ্যাড্রেসগুলো দখল হয়ে গেছে আগেই। তার ওপর ওয়েবসাইট অ্যাড্রেসে ব্যবহার করা যায় না স্পেস। ফলে অনেকসময়ই শখের ওয়েবসাইটের নাম পাল্টে এমন উদ্ভট হয়ে দাঁড়ায় যে, না হেসে উপায় থাকে না।

এমন উদ্ভট নামের ওয়েবসাইটের একটি তালিকা তৈরি করেছে টেকলগঅন ডটকম। তাদের তৈরি সবচেয়ে বাজে নামের ওয়েবসাইটের তালিকার কয়েকটি হচ্ছে-

হু রিপ্রেসেন্টস (Who Represents) – সেলিব্রিটিদের যোগাযোগের তথ্য দেয় ওয়েবসাইটটি। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.whorepresents.com। একটু খোয়াল না করলেই মনে হবে সাইটটির নাম হোরপ্রেজেন্টস ডট কম!

থেরাপিস্ট ফাইন্ডার (Therapist Finder) – ফ্যামিলি এবং ম্যারেজ থেরাপিস্টদের ঠিকানা যোগান দেয় ওয়েবসাইটটি। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.therapistfinder.com। খেয়াল করে দেখুন, নামটি যেনো দি রেপিস্ট ফাইন্ডার ডট কম!

পাওয়ারজেন ইটালিয়া (Powergen Italia) – ইটালির একটি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানির ওয়েবসাইট এটি। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.powergenitalia.com। মনে হয় যেনো পাওয়ার জেনিটালিয়া ডট কম!

মোল স্টেশন নেটিভ প্ল্যান্ট নার্সারি (Mole Station Native Plant Nursery) – অস্ট্রেলিয়ার এক নার্সারির ওয়েবসাইট এটি। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.molestationnursery.com। নামটি দাঁড়িয়ে গেছে, মোলেস্টেশন নার্সারি ডট কম!

এক্সপার্টস এক্সচেঞ্জ (Experts Exchange) – বইয়ের পোকাদের জন্য এই ওয়েবসাইটটি। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.expertsexchange.com। যৌনতার সঙ্গে কোনো সম্পর্কই নেই সাইটটির। অথচ নামটি মনে হয় এক্সপার্ট সেক্স চেঞ্জ ডট কম!

স্পিড অফ আর্ট (Speed Of Art) – আদতে আর্ট ডিজাইন বিষয়ক ওয়েবসাইট এটি। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.speedofart.com। একটানে পড়ে গেলে মনে হতে পারে স্পিডোফার্ট ডট কম!

লেক টাহোই ট্যুরিজম (Lake Tahoe tourism) – লেক টাহোই এর ট্যুরিজম বিষয়ক ওয়েবসাইট এটি। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.gotahoe.com। নামটি যেনো গো-টা হো ডট কম!

চিলড্রেনস লাফটার ফাউন্ডেশন (The Children’s Laughter Foundation) – শিশু নির্যাতন ঠেকানোর জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্য তৈরি ওয়েবসাইটের নাম হিসেবে এরচেয়ে বাজে নাম যে আর হতে পারে না, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সাইটটির ওয়েব ঠিকানা www.childrenslaughter.com। ভয়াবহ রূপ নিয়েছে নামটি। হয়ে গেছে চিলড্রেন স্লটার ডট কম!


২০০০ বছরের প্রাচীন যোদ্ধার দেহাবশেষ মিলল ইউরোপে

২০০০ বছরের প্রাচীন যোদ্ধার দেহাবশেষ মিলল ইউরোপে

ডেনমার্কের এক জলাভূমিতে খোঁজ মিলেছে ২০০০ বছরের পুরনো যোদ্ধাদের দেহাবশেষের। জলাটিতে খনন করে দুই হাজার বছরের পুরনো যোদ্ধাদের মাথার খুলি, কেটে দু’ভাগ করা উরুর হাড় ছাড়াও যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত কুড়াল, বর্শা, মুগুর ও ঢাল খুঁজে পেয়েছেন প্রত্নত্তাত্ত্বিকরা। খবর লাইভ সায়েন্স-এর।

ডেনমার্কের ইস্ট জুটল্যান্ডের একটি জলাভূমিতে মানুষের শরীরের হাজার বছরের পুরনো হাড়ের খোঁজ মিলছিলো গত কয়েক দশক ধরেই। পরে ২০০৮ থেকে ২০০৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে ওই এলাকায় খননকাজ চালান প্রত্নত্তাত্ত্বিকরা। এতে জলাভূমির কাঁদার ৬ দশমিক ৬ ফিট নিচে মানব হাড়ের সন্ধান পেয়েছেন তারা।

খননকারীরা আশা করছেন, জলাভূমির কাঁদার নিচ থেকে খুড়ে বের করা দেহাবশেষ এবং যুদ্ধাস্ত্রগুলো থেকে ওই যোদ্ধারা আদাতে কারা ছিলো এবং কোথা থেকে তারা এসেছিলো তা নির্ণয় করা যাবে।

খননকাজ চালানো হচ্ছে প্রায় ৪০ হেক্টর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠা জলাভূমিতে। খননকাজের পরিচালক স্ক্যান্ডেনবোর্গ মিউজিয়ামের ফিল্ড ডিরেক্টর এজভিন্ডজ হার্টজ জানিয়েছেন, প্রতিদিনই নতুন নতুন প্রত্নত্তাত্ত্বিক নিদর্শনের খোঁজ পাচ্ছেন তারা।

ভূতাত্ত্বিকরা মনে করছেন, দুই হাজার বছর আগে ওই জায়গাটিতে একটি লেক ছিলো। লেকটির ছোট্ট একটি বেসিনে জমা করা হয়েছিলো যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ হারানো যোদ্ধাদের মৃতদেহ।

তথ্য চুরি করতে এবার মানব ব্রেইন হ্যাকিং!

তথ্য চুরি করতে এবার মানব ব্রেইন হ্যাকিং!

হ্যাক করা সম্ভব মানব মস্তিষ্ক! শুধু তাই নয়, যে কোনো ব্যক্তির ব্রেইন হ্যাক করে চুরি করা সম্ভব তার ব্যক্তিগত গোপন সব তথ্য। খবর ই সায়েন্স নিউজ-এর।

মানুষের মস্তিষ্ক হ্যাক করে গোপন তথ্য চুরি করা যে সম্ভব, সম্প্রতি তার প্রমাণ দিয়েছে ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ড এবং ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার বিজ্ঞানীরা। আর এ কাজে বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করেছেন, স্বল্পমূল্যের ইমোটিভ ব্রেইন কম্পিউটার ইন্টারফেস বা ইমোটিভ বিসিআই।

বিজ্ঞানীদের গবেষণায় সহযোগিতা করেন একাধিক স্বেচ্ছাসেবক। ওই স্বেচ্ছাসেবকদের কয়েকজনকে ইমোটিভ বিসিআই হেডসেট পরিয়ে কম্পিউটারের সামনে বসিয়ে দেন বিজ্ঞানীরা। এরপর মস্তিষ্কের পি৩০০ সিগন্যাল অনুসরণ করে সংগ্রহ করেন স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন ব্যক্তিগত গোপন তথ্য।

ইমোটিভ বিসিআই ব্যবহার করে স্বেচ্ছাসেবকদের মস্তিষ্ক থেকে সংগ্রহ করা ডেটা থেকে খুব সহজেই তাদের ঠিকানা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং কার্ড পিন নম্বর খুঁজে বের করে ফেলেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীরা আশংকা করছেন, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আগামীতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ওপর হ্যাকিং চালাতে পারে নানা অশুভ শক্তি।

৬৯০০ কিলোমিটার গতিতে উড়বে ওয়েভরাইডার

৬৯০০ কিলোমিটার গতিতে উড়বে ওয়েভরাইডার

ম্যাক ৬ বা ঘণ্টায় ৬৯০০ কিলোমিটার গতিতে আকাশে উড়বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন হাইপারসনিক জেট ওয়েভরাইডার। এই গতিতে এক ঘণ্টারও কম সময়ে নিউ ইয়র্ক থেকে লন্ডনে পৌঁছানো সম্ভব। বুধবার প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর টেস্ট ফ্লাইটে ম্যাক ৬ গতি অর্জন করার কথা রয়েছে ওয়েভরাইডারের। খবর বিবিসির।

২০১১ সালের জুন মাসের এক টেস্ট ফ্লাইটে ম্যাক ৬ গতিতে উড়ার লক্ষমাত্রা স্পর্শ করতে না পারলেও ম্যাক ৫ গতিতে উড়েছিলো ওয়েভরাইডার। এবার সে অপ্রাপ্তি ঘোঁচানো সম্ভব হবে বলেই আশা হাইপারসনিক জেটটির নির্মাতার।

প্রথমে একটি মিলিটারি বি-৫২ বোম্বার প্লেনের ডানায় চড়ে মাটি থেকে ৫০ হাজার ফিট উচ্চতায় পৌঁছাবে এক্স-৫১ ওয়েভরাইডার। বি-৫২ থেকে ৪ সেকেন্ডের ফ্রি-ফলের পর চালু হয়ে যাবে ওয়েভরাইডারের ইঞ্জিন। এরপর নিজের ইঞ্জিনের ওপর নির্ভর করে ৭০ হাজার ফিট উঁচুতে পৌঁছাবে ওয়েভরাইডার এবং ম্যাক ৬ গতিতে ছুটা শুরু করবে।

মূলত মার্কিন সামরিক বাহিনীর ব্যবহারের জন্যই ওয়েভরাইডার নিয়ে কাজ করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। ওয়েভরাইডারের প্রযুক্তি ভবিষ্যতের মিসাইলে ব্যবহার করার লক্ষ্য রয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী ও নাসার।

তবে ইউরোপিয়ান অ্যারোস্পেস এবং ডিফেন্স জায়ান্ট ইএডিএস বলছে, অদূর ভবিষ্যতেই অভিষেক হবে হাইপারসনিক প্যাসেঞ্জার ফ্লাইটের। ২০১১ সালে দেখানো ইএডিএস-এর কনসেপ্ট অনুযায়ী ম্যাক ৪ গতিতে উড়বে বানিজ্যিক ধারার হাইপারসনিক অ্যারোপ্লেনগুলো।

বৃটিশ সরকারি ওয়েবসাইট আক্রমণ করছে অ্যানোনিমাস

বৃটিশ সরকারি ওয়েবসাইট আক্রমণ করছে অ্যানোনিমাস

বৃটিশ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইটের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে হ্যাকিং গ্রুপ অ্যানোনিমাস। উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে লন্ডনের ইকুয়েডোরিয়ান এম্বাসি থেকে গ্রেপ্তার করে সুইডিশ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেবার চেষ্টা করায় বৃটিশ সরকারের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে হ্যাকিং গ্রুপটি। খবর দি গার্ডিয়ান-এর।

বৃটিশ সরকারি ওয়েবসাইটগুলোর বিরুদ্ধে অ্যানোনিমাস তাদের অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন ফ্রি অ্যাসাঞ্জ’। ইতোমধ্যেই বৃটিশ সরকারের হোম অফিস, জাজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট এবং ডিমার্টমেন্ট অফ ওয়ার্ক অ্যান্ড পেনশনের ওয়েবসাইট হ্যাক করার দাবিও করেছে অ্যানোনিমাস।

তবে বৃটিশ হোম অফিসের একজন মুখপাত্র দাবি করেছেন, হ্যাক হয়নি হোম অফিসের ওয়েবসাইট। হ্যাকাররা ওয়েবসাইটটি হ্যাক করবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে বলেই জানিয়েছে হোম অফিস কর্তৃপক্ষ।

এদিকে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে নিয়ে বৃটিশ এবং ইকুয়েডর সরকারের মধ্যে চলছে টান টান উত্তেজনা। লন্ডনের ইকুয়েডর অ্যাম্বাসিতে আশ্রয় নিয়েছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। কূটনৈতিক রীতি ভেঙ্গে বৃটিশ সরকার ইকুয়েডর এম্বাসি থেকে অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করায় হুমকির মুখে পড়েছে বৃটিশ সরকারের সঙ্গে ইকুয়েডরের কূটনৈতিক সম্পর্ক।

ফিনল্যান্ডে মোবাইল ফোন ছোড়ার প্রতিযোগিতা!

ফিনল্যান্ডে মোবাইল ফোন ছোড়ার প্রতিযোগিতা!

সম্প্রতি ফিনল্যান্ডে হলো মোবাইল ফোন ছোড়ার অভিনব এক প্রতিযোগিতা। আর এতে পুরনো একটি নোকিয়া মোবাইল ফোন সবচেয়ে দূরে ছুড়ে দিয়ে পুরস্কার জিতে নিয়েছেন ফিনিশ কিশোর ইরে কারজালাইনেন। খবর রয়টার্স-এর।

গ্রীস্মে ওয়াইফ ক্যারিয়িং বা স্ত্রীকে কাঁধে নিয়ে দৌড়াবার মতো নানা মজার প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন ফিনিশরা। সেরকমই একটি প্রতিযোগিতা ছিলো মোবাইল ফোন থ্রোয়িং কনটেস্ট।

৫০ জন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে এই প্রতিযোগিতার শিরোপা জেতেন ইরে কারজালাইনেন। আর এ কাজটি তিনি করেন নিজের পুরনো নোকিয়া মোবাইল ফোনটি ১০১ দশমিক ৪৬ মিটার দূরে ছুড়ে পাঠিয়ে।

প্রতিযোগিতাটিতে ইরা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন ইংল্যান্ড আর ইন্ডিয়ার মতো দূর দূরান্ত থেকে আসা ৫০ জন প্রতিযোগীর সঙ্গে।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, লন্ডন অলিম্পিকে বর্শা ছোড়ার প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ পদক জিতেছিলো যে বর্শাটি, তা মোটে ১৭ মিটার দূরত্ব পেরিয়েছিলো। আর ইরার ছোঁড়া পুরনো নোকিয়া মোবাইল ফোনটি পেরোয় ১০১.৪৬ মিটার। অলিম্পিকে যদি মোবাইল ফোন ছোড়ার কোনো ইভেন্ট থাকতো, তবে স্বর্ণপদকটি হয়তো ইরার দখলেই চলো যেতো!

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কোডাক

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কোডাক

ফটোগ্রাফি শিল্পের প্রথমদিককার প্রতিষ্ঠান কোডাক স্টিল ক্যামেরায় ব্যবহৃত ফিল্ম ও ফটোপেপার বিক্রি বন্ধ করে দেবে। প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যেই ডিজিটাল ক্যামেরা উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে এবং জানিয়েছে স্টিল ফিল্মের চাহিদা কমে যাওয়ায় তারা এখন ঋণের দায়ে জর্জরিত। খবর বিবিসির।

আর্থিক মন্দাবস্থা কাটাতে ফান্ড গড়ার উদ্দেশ্যে ১১০০ ডিজিটাল ইমেজিং পেটেন্ট বিক্রি করার জন্য আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে কোডাক। গুগল এবং অ্যাপল প্রাথমিকভাবে পেটেন্টগুলো ক্রয়ের উদ্যোগ নিলেও সামসাং, এলজি এবং এইচটিসি কনসোর্টিয়াম তৈরির মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সূত্রে জানা গেছে, কোডাকের বর্তমান আর্থিক মূল্য প্রায় ৫০ কোটি মার্কিন ডলার হলেও কোডাকের নিজস্ব হিসাবে তা ২৬০ কোটি মার্কিন ডলার ছিল।

সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে কোডাক জানিয়েছে, এ বছরের প্রথম ছয় মাসে তাদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৬৬ দশমিক ৫ কোটি মার্কিন ডলার। এ ছাড়াও ক্ষতির মুখে তারা সিনেমার ফিল্ম তৈরির সরঞ্জাম ও ব্যবহৃত কেমিক্যালের ব্যবসা বন্ধ করে দিতে পারে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

বৃটিশ জার্নাল অফ ফটোগ্রাফি এ খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জার্নালটির নিউজ এডিটর অলিভিয়ার লারেন্ট জানিয়েছেন, প্রফেশনাল ফটোগ্রাফিতে এখনো অনেক ফটোগ্রাফার স্টিল ক্যামেরার সাহায্যে ছবি তোলেন। ভালো স্ক্যানার ব্যবহার করে ফিল্মে তোলা ছবি থেকে অধিকাংশ ডিজিটাল ক্যামেরার তুলনায় হাজারগুণ ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায় বলে দাবি করেছেন তিনি।

ব্রিস্টলে চলছে রোবট অলিম্পিক

ব্রিস্টলে চলছে রোবট অলিম্পিক

লন্ডন অলিম্পিক জ্বর ছাড়তে না ছাড়তেই ইংল্যান্ডের ব্রিস্টলে শুরু হয়েছে রোবটদের অলিম্পিক গেইমস হিসেবে খ্যাত ‘ফিরা রোবো ওয়ার্ল্ড কাপ’। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ২৬টি দল অংশ নিচ্ছে এই রোবট অলিম্পিকে। এবার প্রথমবারের মতো রোবো ওয়ার্ল্ড কাপের আয়োজক হয়েছে ইংল্যান্ড। খবর টেলিগ্রাফ-এর।

ফিরা ওয়ার্ল্ড কাপে ফুটবল, বাস্কেটবল এবং ওয়েটলিফটিংয়ের মতো নানা ইভেন্টে অংশ নিচ্ছে রোবটগুলো। এর মধ্যেই রোবট দুনিয়ার বেশ কয়েকটি রেকর্ডও ভেঙ্গে গেছে রোবো ওয়ার্ল্ড কাপে।

রোবো ওয়ার্ল্ড কাপেও আছেন এবারের রেকর্ড করা উসাইন বোল্টের মতো অ্যাথলিট। তবে রোবো ওয়ার্ল্ড কাপের উসাইন বোল্টের জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নয়, সিঙ্গাপুরে। ইভেন্টটির আয়োজক ড. গুইডো হারমান জানিয়েছেন, রোবট স্প্রিন্টে ৪২ সেকেন্ডের রেকর্ডটি ভেঙ্গে দিয়েছে টিম সিঙ্গাপুরের রোবটটি। মাত্র ৩১ সেকেন্ড দৌড়ে রোবটটি তৈরি করেছে নতুন রেকর্ড।

তবে রোবো অলিম্পিকে পুরো ১০০ মিটার দৌড়াতে হয়না রোবটদের। কেবল ৩ মিটার ট্র্যাকে যাওয়া এবং ফেরত আসার মাধ্যমেই শেষ হয়ে যায় রোবট স্প্রিন্ট ইভেন্ট।

ড. হারমান আরো জানিয়েছেন, এবারের রোবো ওয়ার্ল্ড কাপের ওয়েট লিফটিং ইভেন্টেও যে নতুন রেকর্ড হবে তা নিশ্চিত। ওয়েট লিফটিং ইভেন্টের জন্য ব্যবহার করা হয় ডিভিডি ডিস্ক। রোবট দুনিয়ায় একসঙ্গে ৮৯টি ডিভিডি উত্তোলনের রেকর্ড রয়েছে। তবে ড. হারমান জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই ট্রেইনিংয়ের সময় ১০০টিরও বেশি ডিভিডি উত্তোলন করেছে বেশ কয়েকটি রোবট।

রেসকোর্স আর ওয়েট লিফটিং-এ রেকর্ড ভাঙ্গা-গড়া চললেও রোবো ওয়ার্ল্ড কাপের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইভেন্ট হচ্ছে ফুটবল। তবে প্রতিটি ইভেন্টেই প্রতিযোগী রোবটগুলোর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে বলেই জানিয়েছেন আয়োজক ড. হারমান।


এবার মঙ্গলে অ্যাংরি বার্ডস

এবার মঙ্গলে অ্যাংরি বার্ডস

মঙ্গল অভিযানে নামছে অ্যাংরি বার্ডস। অ্যাংরি বার্ডস নির্মাতা রোভিও জানিয়েছে, জনপ্রিয় গেইম ‘অ্যাংরি বার্ডস স্পেস’-এর নতুন আপডেটটি গেইমারদের খেলতে হবে রেড প্ল্যানেট হিসেবে খ্যাত মঙ্গলের বুকে। খবর এবিসি নিউজ-এর।

অ্যাংরি বার্ডস স্পেসের নতুন আপডেটটির ট্রেইলার তৈরিতে রোভিও পেয়েছে নাসার সহযোগিতা। ট্রেইলারটিতে ব্যবহার করা হয়েছে নাসার মার্স রোভার কিউরিওসিটির করা ভিডিওর কিছু অংশ। বিভিন্ন লেভেলেও গেইমাররা পাবেন নাসার স্পেসক্র্যাফট ব্যবহারের সুযোগ।

এ ব্যাপারে নাসার অ্যাসোসিয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ফর কমিউনিকেশন ডেভিড উইভার বলেন, ‘নাসার মার্স মিশন সম্পর্কে জানেন না এমন অনেকের কাছেই ব্যাপারটি সহজবোধ্য করে তুলে ধরছে রোভিও।’

নাসার সঙ্গে রোভিওর সম্পর্ক এবারই প্রথম নয়। মার্চ মাসে অ্যাংরি বার্ডস স্পেস বাজারে আসলে, গেইমটিতে ব্যবহার করা পদার্থবিজ্ঞানের বিষয়গুলো বুঝিয়ে দিয়েছিলেন নাসার ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার ডন পেটিট।

২৫ বছর পর লোগো বদলালো মাইক্রোসফট

২৫ বছর পর লোগো বদলালো মাইক্রোসফট

দুই দশকেরও বেশি পুরনো লোগোতে পরিবর্তন এনে নতুন সাজে সাজছে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ সফটওয়্যার নির্মাতা মাইক্রোসফট। ১৯৭৫ সালের পর এটা মাইক্রোসফটের লোগোর পঞ্চম সংস্করণ। মাইক্রোসফটের অফিসিয়াল ব্লগে তথ্যটি ঘোষণা করেন কোম্পানির ব্র্যান্ড স্ট্যাটিজির জেনারেল ম্যানেজার জেফ হ্যানসেন। খবর টেকট্রির।

উইন্ডোজ ৮, উইন্ডোজ ফোন ৮, অফিস সুইট এবং এক্সবক্স ৩৬০-এর মতো সবগুলো মাইক্রোসফট পণ্যেই ব্যবহার করা হবে নতুন লোগোটি।

ইতোমধ্যেই মাইক্রোসফটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে চলে এসেছে নতুন লোগোটি। তবে পৃথিবীব্যাপী মাইক্রোসফট পণ্য বিক্রেতাদের কাছে নতুন লোগোসহ পণ্যগুলো পৌঁছুতে সময় লাগবে আরো কয়েক মাস।

ধারণা করা হচ্ছে, উইন্ডোজ ৮ এবং মাইক্রোসফটের নতুন লোগোসমৃদ্ধ পণ্যগুলো বাজারে আসবে একই সময়ে। মাইক্রোসফটের নতুন লোগোটির মিল রয়েছে উইন্ডোজ ৯৫-এ ব্যবহার করা লোগোটির সঙ্গে।




চলে গেলেন নেইল আর্মস্ট্রং

চলে গেলেন নেইল আর্মস্ট্রং

মারা গেলেন চাঁদে পা দেয়া প্রথম মানব সন্তান নেইল আর্মস্ট্রং। প্রয়াত এই মহাকাশযাত্রীর পরিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হৃৎপিণ্ডে অস্ত্রোপচারজনিত সমস্যায় ২৫ অগাস্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৮২ বছর বয়সি আর্মস্ট্রং। খবর বিবিসির।

‘অ্যাপোলো ১১’ মিশনের কমান্ডার হিসেবে আর্মস্ট্রং চাঁদের বুকে পা রাখেন ১৯৬৯ সালের ২০ জুন। ঐতিহাসিক ওই ঘটনাকে বলা হয় আর্মস্ট্রংয়ের একটি উক্তি দিয়েই, যা তিনি বলেছিলেন চাঁদে পা দিয়ে- ‘ওয়ান স্মল স্টেপ ফর ম্যান, ওয়ান জায়ান্ট লিপ ফর ম্যানকাইন্ড।’ বাংলায়- একজন ব্যক্তির জন্য (এটি) ছোট্ট এক পদক্ষেপ, (কিন্তু) মানবজাতির জন্য বড় একটি অগ্রগতি।’ সে সময় নেইল আর্মস্ট্রং এবং এডউইন অলড্রিন ৩ ঘণ্টা সময় কাটান চাঁদের বুকে।

অ্যাপলো ১১-ই ছিলো আর্মস্ট্রংয়ের শেষ স্পেস মিশন। ১৯৭১ সালে নাসা থেকে অবসর নেন এই কিংবদন্তী মহাকাশচারী। এরপর অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষক হিসেবেই কাটিয়ে দেন নিজের পেশাগত জীবন।

আর্মস্ট্রংয়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ওবামা বলেন, ‘আর্মস্ট্রং কেবল তার সময়ের নয় বরং সর্বকালের শ্রেষ্ঠ আমেরিকান নায়কদের একজন।’

হৃৎপিণ্ডে ব্লক থাকার কারণে ৭ অগাস্ট অস্ত্রোপচারের টেবিলে যেতে হয়েছিলো কিংবদন্তী মহাকাশযাত্রীকে। আর্মস্ট্রংয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অস্ত্রোপচারের পরবর্তী  জটিলতার কারণে মারা যান তিনি।

বুধবার, ৮ আগস্ট, ২০১২

চল্লিশের আগেই সাকসেস আইকন

চল্লিশের আগেই সাকসেস আইকন

প্রভাবশালী বাণিজ্য সাময়িকী ফরচুন সম্প্রতি প্রকাশ করেছে ৪০জন ব্যবসা ব্যক্তিত্বের তালিকা, যাদের বিবেচনা করা হচ্ছে আগামী দিনের তারকা হিসেবেই। এই তালিকায় প্রথম তিন জনের তিন জনই আইটি বা তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে জড়িত। গোটা তালিকাতেই প্রাধান্য রয়েছে প্রযুক্তির, আরো নির্দিষ্ট করে বললে, অনলাইন প্রযুক্তির তরুণ কুশলীদের। ফরচুনের সেই তালিকা থেকে প্রযুক্তি সেক্টরের ১১ জনকে নিয়ে এই আয়োজন।




Sergey Brin Larry Page

সার্গেই ব্রিন ও ল্যারি পেজ

গুগলের প্রতিষ্ঠাতা


বয়স: দুজনেরই বর্তমান বয়স ৩৬ বছর
বৈবাহিক অবস্থা: দুজনেই বিবাহিত
শিক্ষাগত যোগ্যতা: দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন।

হ্যাঁ, তাদের দুজনের বয়স এখন চল্লিশের নিচে অবস্থান করছে, কিন্তু দুজনের কাছেই রয়েছে সমান সম্পদ। ১৪ বিলিয়ন ডলারের মালিক এই দুজনেই।

তবে এ বছর তারা উভয়েই এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। এন্টিট্রাস্ট মামলায় তাদের প্রতিষ্ঠান গুগল এখন তদন্তের সম্মুখীন। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত সব লেখকের বই নিয়ে তারা করতে চেয়েছিলেন একটি অনলাইন লাইব্রেরি। এই লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হলে তা প্রকাশনার জগতে গুগলকে একচ্ছত্র আধিপত্য এনে দেবে, যা আমেরিকার প্রচলিত আইনের পরিপন্থী। পাশাপাশি রয়েছে কপিরাইট বিষয়ক বিভিন্ন ইস্যু, বিজ্ঞাপন থেকে আয় কমে যাওয়ার আশঙ্কা এবং প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার চুক্তিভিক্তিক কর্মচারীকে ছাটাই করার সম্ভাব্য বাস্তবতা।

গুগল নামের কোম্পানিকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এই দুজন- রাশিয়ায় জন্মগ্রহণকারী ব্রিন ও যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে জন্মগ্রহণকারী পেজ। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের থাকার এক ঘর থেকেই তাদের এই কোম্পানি- গুগলের জন্ম হয়। এখন যার বাজার মূল্য ১৭৪ বিলিয়ন ডলার। তারা দুজনে মিলে এখন মোবাইল যন্ত্র ও সফটওয়্যারও বানাচ্ছেন।

বিশেষ তথ্য: দুজনই এখনো একই অফিস ভাগাভাগি করে কাজ করেন।


MarkZuckerberg1027

মার্ক জুকারবার্গ

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা

বয়স ২৫
বৈবাহিক অবস্থা: অবিবাহিত।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকাঠ মাড়িয়েছেন তবে পেরোননি।
হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ না করেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কের কাজ শুরু করেন। এই নেটওয়ার্কে এখন ৩০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী আছেন এবং ফেসবুকের বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। এর মাঝে অনেক সোশ্যাল নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠান এসেছে আবার চলেও গেছে। জুকারবার্গ তার দর্শনে স্থীর রয়েছেন এবং তিনি আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগের এমন এক জগত তৈরি করেছেন যা আসলে আমাদের দৈনন্দিন সামাজিক যোগাযোগেরই প্রতিফলন।

২০০৮ সালে তিনি সিরিল স্যান্ডবার্গ নামের ৪০ বছরের এক মহিলাকে গুগল থেকে নিয়ে আসেন, উদ্দেশ্য আরো টাকা বানানো। এ বছর তাদের আয়ের লক্ষ্য গত বছরের দ্বিগুণ, অর্থাৎ ৫০০ মিলিয়ন ডলার।
বিশেষ তথ্য: ব্যবসায় প্রথম বিজনেস কার্ড ব্যবহার করতেন, তাতে পদমর্যাদা লেখা ছিল- আই অ্যাম সিইও, বিচ।



BizStone_EvanWilliam

বিজ স্টোন ও ইভান উইলিয়ামস

টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা

বয়স: ৩৫ ও ৩৭ বছর
বৈবাহিক অবস্থা: উভয়েই বিবাহিত
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কলেজ পর্যন্ত।

টুইটার হচ্ছে মাইক্রোব্লগিং বা ছোট আকারে নিজের কথা জানানোর একটি মাধ্যম। চার বছরের মাথায় কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই টুইটার সাইট ভিজিটরের সংখ্যা মাসে প্রায় ২১ মিলিয়নে এসে দাঁড়িয়েছে। বিদ্যুৎগতিতে সংবাদ ছড়ানোর জন্য এটি এতো জনপ্রিয় মাধ্যমে পরিণত হয়েছে যে, এ বছর ইরানের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সরকার এর প্রতিষ্ঠাতাদের অনুরোধ করে যেন সাইট দ্রুত আপডেট না করা হয়।

টুইটারে অবশ্য একটি জিনিসের অভাব রয়েছে, তা হলো- এটি এখনো বিজনেস মডেল হিসেবে দাঁড়ায়নি। এর প্রতিষ্ঠাতা, উইলিয়ামস ও স্টোন (এদের সাথে আরেকজন রয়েছেন, যার নাম জ্যাক ডোরসে, যিনি এখনো এর চেয়ারম্যান) খুব দ্রুত বড়লোক হতে চান না। তবে তারপরেও ইতোমধ্যেই তারা ১ বিলিয়ন মুল্যের সমান অর্থ জমা করে ফেলেছেন।
বিশেষ ঘটনা: উইলিয়ামস তার ব্লগ সার্ভিস ব্লগারডটকম ২০০৩ সালে গুগলের কাছে বিক্রি করে দেন।




MarcAndreessen1027

মার্ক অ্যান্ডারসন

নেটস্কেপ, অপসওয়্যার, নিং, অ্যান্ডারসন হরোইটজ এর প্রতিষ্ঠাতা

বয়স ৩৮
বৈবাহিক অবস্থা; বিবাহিত
শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতক ডিগ্রি

উইসকনসিনবাসী এই ব্যক্তিটি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন, কারণ তিনি শুনেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পেরোনোর পর এরাই সবচেয়ে বেশি টাকা কামাই করে। তার এই হিসেব সত্য প্রমাণিত হয়েছে: ইলিনয় ইউনির্ভাসিটি থেকে বের হবার পাঁচ বছর পর, অ্যান্ডারসন তার প্রথম কাজ নেটস্ক্যাপ কমিউনিকেশন বিক্রি করে দেন এওএল-এর কাছে ৪.২ বিলিয়ন ডলারে।

এরপর তিনি দু'টি প্রতিষ্ঠান চালু করেন। সফটওয়ার প্রতিষ্ঠান ওপস ওয়্যার (২০০৭ সালে একে তিনি এইচপির কাছে বিক্রি করে দেন) এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম নিং।

বিশেষ তথ্য : চাপ মুক্ত হওয়ার জন্য তার হাতিয়ার কড়া অ্যালকোহল।



TimArmstrong1027

টিম আর্মস্ট্রং

সিইও, এওএল

বয়স-৩৮
বৈবাহিক অবস্থা-বিবাহিত
শিক্ষাগত যোগ্যতা- ব্যাচেলার ডিগ্রি বা স্নাতক ডিগ্রি
২০০০ সালে গুগলের এক বিক্রয় কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে, সে কোম্পানির সার্চ বা অনুসন্ধান পাতায় বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে। আর্মস্ট্রং-এর মাথায় বিদ্যুৎচমকের মত এক চিন্তা খেলে যায়; যদি গুগলের বিজ্ঞাপন বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের সাইটে দেয়া যায়? এর ফলেই জন্ম নিল অ্যাডসেন্স নামের এক বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের, যার মুল্য এখন ৬ বিলিয়ন ডলার। এর সঙ্গে আর্মস্ট্রং-এর কপালে জুটে যায় আমেরিকায় গুগল সেলসের প্রধানের চাকরিটিও।
এ বছরের এপ্রিল মাসে এওএলের সিইও হওয়ার জন্য তাকে ডাকা হয়।
বিশেষ তথ্য : কম্পিউটার নিয়ে পড়ে থাকা এই ক্ষ্যাপাটের শখ; পাখি পর্যবেক্ষণ করা।




PonyMaHuateng1027

‘পনি’ মা হুয়াটেং

টেনসেন্টের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও

বয়স-৩৮
বৈবাহিক অবস্থা; বিবাহিত
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক ডিগ্রি
কে বলেছে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক থেকে টাকা বানানো যায় না? মা এর ইন্টারনেট সাম্রাজ্যের নাম টেনসেন্ট। এটি চীনের শেনজেনে অবস্থিত। এই সাইটে প্রায় ৪৫ কোটি লোক ইনস্ট্যান্ট মেসেজ - বা তৎক্ষণাৎ বার্তা আদান প্রদান করার জন্য এখানে ঢোকেন। গত বছর এই সাইটের আয় ছিলো- ১ বিলিয়ন ডলার।
ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং যখন বাজারে আসে তখন তার সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে মা এবং তার ছোটবেলার এক বন্ধু তাদের নিজস্ব সেবা কিউকিউ চালু করেন। সময়টা ছিলো ১৯৯৯ সাল। যখন তার সাইট বেশ জনপ্রিয়তা পায় তখন তিনি সেখানে পেইড সার্ভিস বা টাকার বিনিময়ে সেবা দিতে শুরু করেন। এর মধ্যে ছিলো গেমিং এবং ডেটিং সার্ভিসও।

এবছরের প্রথম ভাগে তার বিক্রি বেড়েছে ৭৮ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রায় ৭৮৮ মিলিয়ন ডলার। মা এর মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ৩.৬ বিলিয়ন ডলার।

বিশেষ তথ্য : তার ডাকনাম পনি বা টাট্টু ঘোড়া (চীনা ভাষায় ‘মা’ মানে টাট্টু ঘোড়া)


MarissaMayer1027

মারিসা মায়ার

গুগল সার্চ, প্রডাক্ট ও ইউজার এক্সপেরিয়েন্স বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট

বয়স-৩৪ বছর
বৈবাহিক অবস্থা: এখনো বিয়ে করেননি তবে বাগদান হয়ে গেছে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাস্টার্স ডিগ্রি
মায়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সিম্বলিক সিস্টেম বিষয়ে পড়ার সময় পড়াশোনার ইতি ঘটান। এতে তার বাবা-মা খুব একটা শংকিত হননি। কিন্তু তারা শংকিত হয়ে উঠেন তখনই যখন, মায়ার ম্যাক কিনসের একটি প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। সে প্রস্তাবটি গ্রহণ করলে মায়ার হতেন ওই প্রতিষ্ঠানের নয় নাম্বার কর্মচারী ও প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার- নতুন প্রতিষ্ঠিত ওই প্রতিষ্ঠানের নাম ছিলো গুগল।
এক দশক পর মায়ার সেই গুগলের ইউজার এক্সপেরিয়েন্স বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট। যার মানে তিনি প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার আয় করা এই প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০০ ওয়েব প্রোডাক্ট দেখাশোনা করেন। এর মধ্যে রয়েছে গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকে শুরু করে গুগল নিউজ পর্যন্ত।

বিশেষ তথ্য : ‘সব সময় কাজে দেরি করে ফেলি’।



MaxLevchin1027

ম্যাক্স লেভচিন

পেপালের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, ও স্লাইড ডট কম এর প্রতিষ্ঠাতা

বয়স -৩৪ বছর
বৈবাহিক অবস্থা: বিবাহিত
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক

ইউক্রেনে জন্মগ্রহণকারী লেভিচিন যখন ২৩ বছর তখন সে পালো অ্যালটোর পথে পা বাড়ায়। সেখানে তিনি এক বিনিয়োগকারীকে খুঁজে বের করেন যে লেভিনের নতুন আইডিয়ার পিছনে বিনিয়োগ করতে পারবে। এর মাধ্যমেই জন্ম নেয় অনলাইনে টাকা প্রদান করার প্রথম পদ্ধতি যার নাম পেপাল.কম। যখন ই-বে এটি কিনে নেয় ১.৫ বিলিয়ন ডলারে তখন লেভিচিন তার নিজের ব্যাংকে ভরেন ৩৪ মিলিয়ন ডলার।
তার নতুন অভিযান স্লাইড.কম। এখনও এটি বাজারে ততোটা হৈচৈ ফেলেনি। তবে স্লাইড ও তার অন্য প্রকল্পগুলো, যেমন ইয়েল্প ডট কম এর উপর নজর রাখা হচ্ছে লেভচিনের সৃজনশীলতার জন্যই।
বিশেষ তথ্য : তিনি গসবেক লেভচিন ফ্রড টেস্টের উদ্ভাবক। অনলাইনে কোন আর্থিক লেনদেন বা অ্যাকাউন্ট খোলার সময় স্ক্রিনে ডিসপ্লে করা টেক্সট একটি বিশেষ বক্সে টাইপ করতে হয়, তিনি এই সিস্টেমের উদ্ভাবক।



TonyHsieh1027

টনি হিস

জাপ্পোস ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা

বয়স:৩৫
বৈবাহিক অবস্থা : সিঙ্গল
শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতক ডিগ্রি

হার্ভার্ডে পড়ার সময় হিস পিজা বিক্রি করতেন এবং তার প্রথম কোম্পানি এড নেটওয়ার্ক লিঙ্ক এক্সচেঞ্জ মাইক্রোসফটের কাছে ২৬৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করেছিলেন। সে সময় তার বয়স ছিলো ২৪ বছর। এরপর তিনি অনলাইনে জুতোর বাজার জাপ্পোসে উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৯৯ সালে এই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেন। পরের বছর তিনি তার সিইও বা প্রধান হন।
তিনি এই প্রতিষ্ঠানের বিক্রি ১.৬ মিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ বিলিয়নে নিয়ে আসেন। মূলত গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের মাধ্যমেই এই সফলতা অর্জন করেন তিনি। জুলাই মাসে আমাজন ঘোষণা দেয় তারা ৮৫০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে তার প্রতিষ্ঠানটিকে কিনে নিচ্ছে।

বিশেষ তথ্য : নতুন রিক্রুট করা সব কর্মীকে ট্রেনিংয়ের সময় তিনি প্রস্তাব দেন ওই মুহুর্তে চাকরী ত্যাগ করলে দুই হাজার ডলার দেয়া হবে। এতে, তার ভাষায়, প্রকৃত কর্মী বাছাই করা যায়।



DannyRimer1027

ড্যানি রিমার

ইনডেক্স ভেঞ্চার্সের অন্যতম মালিক

বয়স-৩৯
বৈবাহিক অবস্থা- বিবাহিত
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক ডিগ্রি

বসবাস লন্ডনে কিন্তু তার জন্ম কানাডায়। তিনি সিলিকন ভ্যালির অন্যতম সফল ভাইস চেয়ারম্যান। ইবে ২.৬ বিলিয়ন ডলারে কিনে নেয়ার এক বছর আগে তিনি স্কাইপিতে বিনিয়োগ করেন। ভয়েস পোর্টাল বা ভিওআইপি সাইট টেলমির জন্য তিনি প্রথম বিনিয়োগ করেন। পরে ২০০৭ সালে এটি মাইক্রোসফটের কাছে ৮০০ বিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে দেন।

তার বানানো ইন্টারনেট রেডিও সাইট লাস্ট ডট এফএম সিবিএসের কাছে ২৮০ মিলিয়নে বিক্রি হয়েছে এবং তার ওপেন সোর্স ডাটাবেজ মাইএসকিউএল ১ বিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছে সান মাইক্রোসফটের কাছে।
পরবর্তী চাল: তিনি এখন ক্লাউড কম্পিউটিং বিষয়ে মনোযোগ দিচ্ছেন এবং ই-কমার্সকে উন্নত করার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। বকু নামের মোবাইলে বিল পরিশোধের পদ্ধতি ও অনলাইনে টিকেট বদল করার পদ্ধতি ভায়াগোগো ডেভেলপ করছেন।




GinaBianchini1027

জিনা বিয়াঞ্চিনি

নিং এর প্রধান

বয়স ৩৭
বৈবাহিক অবস্থা: বিবাহিত
শিক্ষাগত যোগ্যতা : মাস্টার্স ডিগ্রি
৯০ এর দশকের শুরুতে তিনি প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর আইপিও (প্রাথমিক শেয়ার) বিষয়ে কাজ করতে শুরু করেন বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাকস-এ। এর পর তিনি তার এক ক্লায়েন্টের সঙ্গে ডিজিটাল কনসালটেন্সি ফার্ম হারমোনিক কমিউনিকেশন্স প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৩ সালে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ডেনসুর কাছে একে বিক্রি করে দেওয়া হয়। তবে এর আগেই তিনি হারমোনিক কমিউনিকেশন্সের আরেক ডিরেক্টর মার্ক এন্ড্রিসনের সঙ্গে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট নিং এর পরিকল্পনা করেন। এটি এমন এক প্ল্যাটফর্ম যা তার ব্যবহারকারীকে নিজস্ব সোশ্যাল নেটওয়ার্ক তৈরি করতে সাহায্য করে।
নিং এর এখন প্রায় ৫২ মিলিয়ন ব্যবহারকারী রয়েছে। গত বছর তার মুল্য ৬০ মিলিয়ন বেড়ে মোট ৫০০ মিলিয়নে এসে দাঁড়িয়েছে। বিয়াঞ্চিনি এখন প্রতিদিনের কাজগুলো দেখাশোনা করেন এবং এন্ড্রিসেন এ প্রতিষ্ঠানে একজন উপদেষ্টা হিসেবে আছেন।




বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/বিজয়/এইচবি/এইচআর/অক্টোবর ২৭/০৯




গুগল'র বর্তমান সভাপতি সারজি ব্রিন

brin.gifগুগল প্রযুক্তির বর্তমান সভাপতি এবং সহ প্রতিষ্ঠাতা সারজি ব্রিন প্রযুক্তি জগতের এক বরেন্য ব্যাক্তিত্ব। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াকালীন সারজি ব্রিন ইন্টারনেট সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এই সময় তিনি ল্যারি পেইজের সঙ্গে মিলে তৈরি করেন বিজ্ঞানভিত্তিক টেক্সট যা ওয়েব সাইটে সহজে পাঠানো যায়। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক করার সময় ল্যারি পেইজের সাথে মিলে একটি খসড়া তৈরি করেন যার নাম দেন 'বৃহৎ আকারের হাইপারটেক্সটচুয়াল ওয়েব সার্স ইঞ্জিন'। বর্তমান গুগল প্রযুক্তির ভিত্তি তখন থেকেই গড়ে উঠে।

প্রযুক্তি জগতের অন্যতম এই কর্ণধার ১৯৭৩ সালে ২১ আগস্ট রাশিয়ার মস্কোতে জন্মগ্রহণ করেন। গণিতবিদ ও অর্থনীতিবিদ বাবা মাইকেল ব্রিন ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের একজন স্বনামধন্য অধ্যাপক ছিলেন। সারজী ব্রিনের যখন ছয় বছর বয়স তখন তারা অভিবাসি হয়ে আমেরিকায় চলে আসেন। ১৯৭৩ সালে ব্রিন ম্যারিল্যান্ডের পেইন্ট মন্টেসুরি স্কুলে পড়াশোনা জীবন শুরু করেন। ছোট কাল থেকে ব্রিনের গণিতের প্রতি প্রচন্ড আগ্রহ ছিল। পরিবার তাকে এই ব্যাপারে যথেষ্ট সহযোগিতা করে। ১৯৯০ সালে ব্রিন ভর্তি হন কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং গণিতে। ১৯৯৩ সালে মে মাসে বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন সায়জি ব্রিন।

ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ডক্টরেট ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা চলিয়ে যাওয়ার সময় তিনি পিএইডডি করার জন্য প্রস'তি নেন। যদিও তিনি পরে পিএইচডি লাভে ব্যর্থ হন। সারজি ব্রিন বিখ্যাত ডি এমপ্রিসা ইনস্টিটিউট থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।

brin1.gif সারজি ব্রিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম ধনী এবং তার স্থান ছাব্বিশতম । তার সম্পদের পরিমাণ আঠারো দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলার। ল্যারি পেইজের সাথে মিলে ব্রিন বোয়িং ৭৬৭ বিমান ক্রয় করেন। এটি তাদের ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক দুই কাজেই ব্যবহার করা হয়। বিশেষভাবে ডিজাইনকৃত এই বিমানটি পঞ্চাশ জন যাত্রী বহনে সক্ষম।

বিখ্যাত চলচিত্র 'ব্রোকেন অ্যারো' এর নির্বাহী প্রযোজক ব্রিন এর মিডিয়াতেও রয়েছে সরব উপসি'তি। ২০০৪ সালে এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ সারজি ব্রিনকে 'পারসন অফ দি উইক' ঘোষণা করে। ২০০৫ সালে ব্রিন অন্যতম 'ইয়াং গ্লোবাল লিডার' হিসাবে মনোনীত হন। টেসলা মটরের অন্যতম কর্ণধার সারজী ব্রিন ইলেকট্রিক চালিত যানের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। ২০০৭ সালের মে মাসে অ্যানি ইউজসিকিকে বিয়ে করেন এই বিখ্যাত প্রযুক্তিবিদ।

কামাল আশরাফ/এমডিকে/এমআইআর/০১০৪ ঘ./০৮.০৩.০৮




'লিনাক্স' অপারেটিং সিস্টেম উদ্ভাবন করেন লিনাস টরভেল্ড

linus-torvalds.jpgইউনিক্স এর মতো গোপনীয় আর জটিল অপারেটিং সিস্টেমকে সহজ আর মুক্তভাবে প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে লিনাস টরভেল্ড 'লিনাক্স' অপারেটিং সিস্টেম উদ্ভাবন করে প্রযুক্তি জগতে বিপ্লবের সূচনা করেন। লিনাস টরভেল্ড এর তত্ত্বের উপর ভিত্তি করেই এগিয়ে চলেছে অপারেটিং সিস্টেম এর উৎকর্ষ বৃদ্ধি।

লিনাস বিশ্বাস করেন, ওপেন সোর্স হচ্ছে সফটওয়্যার ব্যবহারের সবচেয়ে সঠিক পন্থা। যদিও তিনি নন - কারন্যাল ডাটাবেজকে সমর্থন করেন না।

কম্পিউটারের সঙ্গে লিনাস টরভেল্ড এর প্রথম সখ্য গড়ে উঠে কমোডোর ভিক -২০ নামক কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে। এরপর সিনক্লিয়ার কিউএল নামক কম্পিউটার ব্যবহার করতে গিয়ে অপারেটিং সিস্টেম এর ব্যাপক পরিবর্তন আনেন এবং লেখার জন্য প্রোগ্রাম তৈরি করেন। এই সময় তিনি কিছু কম্পিউটার গেইমও তৈরি করেন। ১৯৯০ সালের শেষ দিকে ৮০৩৮৬ ভিত্তিক আইবিএমের ব্যক্তিগত ব্যবহার্য কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি লিনাস অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে কাজ শুরু করেন।

বর্তমানে আমেরিকায় বসবাস করেলেও লিনাস টরভেল্ড ফিনল্যাল্ডের হেলসিংকিং শহরে জন্ম গ্রহণ করেন ঊনিশ ঊনসত্তর সালের আটাশে ডিসেম্বর । পিতা আননা টরভেলস এবং মাতা নীলস টরভেলস দু'জনেই সাংবাদিক ছিলেন। আর দাদা ওলি টরভেলস ছিলেন বিখ্যাত কবি।

আমেরিকার বিখ্যাত রসায়নবিদ এবং নোবেল বিজয়ী লিনাস পাউলিং এর নামানুসারে বাবা-মা তার নাম রাখেন 'লিনাস'। তবে লিনাস মনে করেন তার নাম রাখা হয়েছে বিখ্যাত কমিকস বই 'চীনাবাদাম এর চরিত্র লিনাস অনুসারে ।

১৯৮৮ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত টরভেল্ড হেলসিংকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তাঁর স্নাতকোত্তর থিসিসের শিরোনাম ছিল 'লিনাক্স, একটি গ্রহণযোগ্য অপারেটিং সিস্টেম।' পরের তিন বছর তিনি কাজ করেন লিনাক্স এবং ইউনিক্স এর জন্য একটি আর্দশ বাইনারি ফরম্যাট তৈরি করতে।

কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য টাইম ম্যাগাজিন কর্তৃক নির্বাচিত সেরা একশ' ব্যক্তিত্বের মধ্যে ষোলতম হয়েছিলেন লিনাস। বিজনেস উইক ম্যাগাজিনের জরিপে সেরা ব্যবস্থাপক হিসাবেও স্বীকৃতি পান তিনি।

এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারে ভূষিত হন লিনাক্স টরভেল্ড।

কামাল আশরাফ/এমডিকে/২৩২৫ ঘ./৩১.১০.০৭




অ্যাপল এর প্রধান নির্বাহী স্টিভ জবস

Steve jobs1একবার ভাবুনতো, কম্পিউটার আবিষ্কারের প্রথম দিককার কথা! দৈত্যাকৃতি সেই বিশাল কম্পিউটারগুলো যেগুলো ব্যবহৃত হতো সরকারী কাজে এবং সাধারন মানুষের কাছে ছিল রহস্যময়। বিশাল আকৃতির এই রহস্যময় যন্ত্রটিকে সাধারণ মানুষের কাছে ব্যবহারযোগ্য করে গড়ে তুলতে এর বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটান স্টিভেন পল জবস এবং তার সঙ্গী স্টিভ উইজনিক।

কম্পিউটার প্রযুক্তি এবং বিনোদন শিল্পের উদ্যোক্তা হিসাবে স্টিভ জবস ব্যাপক পরিচিতি নাম। পুরো নাম স্টিভেন পল জবস। তিনি কম্পিউটার ও প্রযুক্তিপন্য তৈরির প্রতিষ্ঠান অ্যাপল'র সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান প্রধান নির্বাহী। এছাড়া বিনোদনভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান ডিজনির পরিচালনা পরিষদের একজন সদস্য।

অ্যাপল উদ্ভাবনের মাধ্যমেই কম্পিউটার সম্পর্কে মানুষের ধারনাতে আমূল পরিবর্তন আসে। মূলত জবস এর ধারনা থেকে বর্তমান হার্ডওয়্যার এবং সফটঅয়্যার প্রযুক্তিতে যুগান-কারী উন্নতি হতে চলেছে।

Stevejobsবানিজ্যিক ভাবে কম্পিউটার এর উৎপাদন করার জন্য ১৯৭৬ সালের এপ্রিল মাসে জবস এবং উইজনিক যৌথ বিনিয়োগে 'অ্যাপল কম্পিউটার কোম্পানি' নামের একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। অ্যাপল কম্পিউটার কোম্পানি প্রথমে বাজারে ছাড়ে অ্যাপল ১ এবং পরবর্তীতে অ্যাপল ২ নামে ব্যক্তিগত ব্যবহারযোগ্য কম্পিউটার। এগুলো খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

১৯৮৫ সালে অ্যাপল কোম্পানির তৎকালীন প্রধান নির্বাহী স্কুলির সঙ্গে সর্ম্পকের অবনতি কারনে জবসকে কাজ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। স্কুলির ছুঁড়ে দেয়া চ্যালেঞ্জের কথা ভুলে যাননি জবস। নতুন উদ্যমে শুরু করেন তিনি। নিজের কাঁধে তুলে নিলেন পৃথিবীকে বদলে দেয়ার কাজ। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন নেক্সট কম্পিউটার নামের একটি প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তিগত অবকাঠামো ছিলো অনেক অগ্রগামী। এছাড়া নেক্সট কম্পিউটার থেকে বহু জনপ্রিয় গেইম বাজারে ছাড়া হয়। ওয়েব এর উন্নয়নের জন্য নেক্সট দরুন ভূমিকা পালন করে। নেক্সট মেইল ছিল প্রথম দৃশ্যমান গ্রাফিক্সস এবং অডিও সমৃদ্ধ ইমেইল।

১৯৯৬ সালে জবস অ্যাপল কোম্পানি চারশো দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে কিনে নিলে ১৯৯৭ সালে অর্ন্তবর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী হিসাবে যোগ দেন। এই সময় জবস কিছু প্রকল্প হাতে নেন এগুলোর মধ্যে ছিল নিউটন, সইবারডগ, ওপেনডক। ২০০০ সালে এসে অর্ন্তবর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী থেকে স্থায়ী প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব নেন এবং এখন পর্যন- দায়িত্ব পালন করছেন।

১৯৫৫ সালের ২৪ শে ফেব্রুয়ারি ক্যালিফোনির্য়ার সানফ্রান্সিকোতে জন্ম নেন জবস। জন্মের পর তার অবিবাহিত মা তাকে দত্তগ্রহীতা পিতামাতা পল এবং ক্লায়ার কাছে অর্পণ করেন। যদিও তার জন্মদাতা পিতামাতা পরবর্তীতে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন' তার বোন উপন্যাসিক মোনা সিমসন এর জন্মের কয়েক বছর পরই আবার বিয়ে ভেঙ্গে যায়। দত্তক গ্রহীতা বাবা-মা তার নতুন নাম রাখেন স্টিভেন পল জবস।

স্টিভেন পল জবস কিউপার টিনো মাধ্যমিক স্কুলে লেখাপড়া শুরু করেন। মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে হোমস্টেড উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। স্টিভ উইজনিকের সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন চাকুরীজীবী হিসাবে কাজ করেন এবং ১৯৭২ সালে জবস স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।

ফোর্টল্যান্ডের রিড কলেজে ভর্তি হলেও জবস এক সেমিস্টার করার পর তা স্থগিত করে দেন।
 
কামাল/এমডিকে/২৩৩০ ঘ./১২.০৯.০৭ 




ইন্টেলের চেয়ারম্যান ড. ক্রেইগ আর ব্যারেট

BarrettIcon1বিশ্বের বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম ইন্টেল। এই প্রতিষ্ঠানের চতুর্থ প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমান চেয়ারম্যান ড. ক্রেইগ আর ব্যারেট। তিনি যে কেবল ইন্টেলের চেয়ারম্যান তাই নয় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা উন্নয়নের অন্যতম প্রধান সংগঠকও।

ক্রেইগ ব্যারেটের জন্ম ১৯৩৯ সালে সানফ্রান্সিসকোতে। তিনি স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি লাভ করেন বিখ্যাত স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। স্নাতক সম্পন্ন করার পর তিনি যোগ দেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা ও প্রকৌশল বিভাগের প্রভাষক হিসেবে। তিনি এই বিভাগে যুক্ত ছিলেন ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত। সে সময় তিনি সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা করছিলেন।

ব্যারেট ১৯৭২ সালে ডেনমার্কের ড্যানিশ কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফুলব্রাইট ফেলো লাভ করেন। এর আগে ১৯৬৪-৬৫ সালে ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবোরেটরি থেকে লাভ করেন এনএটিও পোষ্ট-ডক্টোরাল ফেলো। তিনি তার শিক্ষকতা জীবনে ম্যাটেরিয়াল প্রোপার্টিজের উপর মাইক্রোস্ট্রাকচারের প্রভাব নিয়ে প্রায় ৪০ টির মতন গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। ম্যাটেরিয়াল সাইন্সের উপর তার লেখা একটা বই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়।

১৯৭৪ সালে তিনি ইন্টেল কর্পোরেশনে টেকনোলজি ডেভোলপমেন্ট অফিসার হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৪ সালে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদমর্যাদা লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ১৯৯০ সালে হন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে পদন্নতি পান।

BarrettIcon১৯৯২ সালে তিনি ইন্টেলের পরিচালক পর্ষদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৯৩ সালে চিফ অপারেটিং অফিসার পদে অধিষ্ঠিত হন।

১৯৯৭ সালে তিনি ইন্টেলের চতুর্থ প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনিত হন। ১৯৯৮ সালে প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা বা চিফ এক্সিকিউটিভ আফিসার পদ লাভ করেন। ২০০৫ সালের ১৮ই মে তিনি প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত হন।

ড. ব্যারেট ইন্টেল ছাড়াও বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কিছু সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন। জাতিসংঘের গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি অ্যান্ড ডেভোলপমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ট্রেড পলিসি এন্ড নেগোশিয়েশনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা কমিটি এবং আমেরিকান হেলথ ইনফরমেশন কমিউনিটির অন্যতম সদস্য ড. ব্যারেট।

এছাড়াও তিনি বিজনেস কোয়ালিশন ফর স্টুডেন্ট এচিভমেন্ট এবং ন্যাশনাল ইনোভেশন ইনিশিয়েটিভ লিডারশিপ কাউন্সিলের যুগ্ম-চেয়ারম্যান এবং ইউএস কাউন্সিল ফর ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল এর ট্রাষ্টি বোর্ডের একজন মেম্বার।

এখানেই শেষ নয়, 'ইনোভেশন আমেরিকা' নামের ন্যাশনাল গভার্নরস এসোসিয়েশন টাস্ক ফোর্স, ন্যাশেনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার এডভাইজরি কাউন্সিল এবং সাইন্টিফিক কমিউনিকেশন এন্ড ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটির একজন সদস্য এবং ইউএস সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাষ্ট্রি এসোসিয়েশন, ন্যাশেনাল কাউন্সিল ফর মাইনোরিটিস ইন ইঞ্জিনিয়ারিং, দি ন্যাশনাল ফরেষ্ট ফাউন্ডেশন, আর্কাইভ এবং টেকনেকের বোর্ড অফ ডিরেক্টরের একজন সদস্য।

শিক্ষাবিদ এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা হবার কারনে ড. ব্যারেট সবসময় চেষ্টা করেছেন ছাত্রদের জন্য নতুন কিছু করতে। এজন্য তিনি স্কুলগুলোর মান উন্নত করা এবং বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য উচ্চশিক্ষা ও প্রযুক্তি শিক্ষার পথ উম্মুক্ত করতে চেষ্টা করে গেছেন সর্বদা।

মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তিনি সব সময় পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষার বিভিন্ন দিক সর্ম্পকে। বিভিন্ন স্কুলগুলোর মান বাড়ানোর বিষয়ে ওকালতিতে তার জুড়ি ছিল না।

তার ব্যাক্তিগত উদ্যেগে ২০০০ সালে বোষ্টনে চালু হয় কস্পিউটার ক্লাব-হাউস নেটওয়ার্ক। এই ক্লাবের লক্ষ্য সমাজে প্রযুক্তিগত মতপার্থক্য কমিয়ে আনা। এর পরপরই সাড়া বিশ্বের সুবিধাবঞ্চিত দেশগুলোতে চালু হয় ক্লাবহাউস সংস্কৃতির। এসব ক্লাবহাউসগুলো কাজ করে যাচ্ছে মূলত একটা নিরাপদ পরিবেশে তরুন মেধাবীদেরকে উন্নতমানের প্রযুক্তিগত সেবা দেওয়ার মাধ্যমে তাদের মেধাবিকাশে সাহায্য করা। এছাড়া শিক্ষার মান উন্নয়নে তার গৃহিত অন্য উদ্যেগগুলোর মধ্যে আছে -
১. ইন্টেল সাইন্স ট্যালেন্ট সার্চ অ্যাওয়ার্ড স্কলারশিপ। যার অন্য নাম 'জুনিয়র নোবেল প্রাইজ'।
২. ২০০১ সালে চারটি স্থানে ইন্টেলের অলাভজনক ক্লাবহাউস তৈরি করেন।
৩. শিক্ষায় অবদানের জন্য ন্যাশেনাল অ্যালায়েন্স অফ বিজনেস অনার্স ঘোষণা।
৪. ২০০১ সালে ইন্টেলের সকল 'কে-১২' শিক্ষক এবং প্রি-সার্ভিস ফ্যাক্যাল্টির জন্য টিচার ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামের প্রসার বাড়ান।
৫. ২০০১ সালে এডুকেশনাল লিডারশিপের জন্য অনার্স ঘোষণা।

তার আরও অবদান
ক্রেইগ ব্যারেট ছিলেন আমেরিকান সেমিকন্ডাক্টর শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান। তিনি এই শিল্পের উন্নয়নের রোডম্যাপ তৈরি করেন এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার ব্যবস্থা করেন। তার এই গবেষণা ব্যবস্থা অনুসারেআমেরিকার প্রায় ডজনখানেক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যাটেরিয়াল, স্ট্রাকচার, সার্কিট, সিস্টেম, সফটওয়্যার, ইন্টারকানেক্ট, ডিজাইন এবং এগুলো পরীক্ষনে ভবিষ্যতে যে ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে সেই সব বিষয়ে গবেষণা করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের ব্যাবস্থা করেন।

ড. ব্যারেট বিশ্বাস করেন যে 'কম্পিউটার যাদু করতে পারে না, তবে শিক্ষকরা পারেন'। সেই বিশ্বাস থেকেই তিনি একটি প্রকল্প হাতে নেন যেই প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় ২৫ টি দেশের কমপক্ষে দশ লক্ষ শিক্ষককে প্রশিক্ষন দেওয়া হবে যেন তারা শ্রেনীকক্ষে প্রযুক্তি ব্যাবহার করার মাধ্যমে শিক্ষার মান বাড়াতে পারেন।

পরিবেশবান্ধব অলিম্পিক ২০১২

পরিবেশবান্ধব অলিম্পিক ২০১২

দূষণমুক্ত গাড়িসহ পরিবেশবান্ধব নানা উপাদান ব্যবহার করায় এবারের অলিম্পিকই এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত অলিম্পিকগুলোর মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব। খবর লন্ডন২০১২ ডট কম-এর।

অলিম্পিকে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অলিম্পিক কর্তৃপক্ষকে ২০০টি ধোঁয়া বিহীন বিদ্যুতচালিত গাড়ি দিয়েছে বিএমডব্লিউ। এগুলোর মধ্যে আছে ১৬০টি অ্যাক্টিভ-ই ফাস্ট ড্রাইভ এবং ৪০টি মিনি কুপার মিনি ইএস। বিএমডব্লিউয়ের গাড়িগুলো সচল রাখতে অলিম্পিক ভেনুগুলোতে তাদের ১২০টি ডিউরেস্টেশন ইলেকট্রনিক ভেইকেল চার্জার বসিয়েছে জেনারেল ইলেকট্রনিক।

লন্ডন ২০১২ অলিম্পিকের সবগুলো ভেনুই নির্মাণ করা হয়েছে যতোটা সম্ভব পরিবেশবান্ধব করে। কিছু ভেন্যুর নিজস্ব ব্যবহারের জন্য রয়েছে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করার ব্যবস্থা। খেলা দখতে আশা দর্শকদের গরমের হাত থেকে বাঁচাতে ভেনুগুলোতে রয়েছে প্রাকৃতিক ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে ৬ হাজারেরও বেশি দর্শক খেলা উপভোগ করতে পারবেন এয়ারকন্ডিশনার ছাড়াই।

অলিম্পিক পার্কের দু’টি ভবন কোনো সমস্যা ছাড়াই খেলা শেষে সরিয়ে নেয়া যাবে। অলিম্পিক শেষে ওয়াটার পোলো এবং বাস্কেটবল ভেনুগুলোকে ফিরিয়ে নেয়া হবে আগের অবস্থায়। ভেনু দু’টি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে পিভিসি ফেব্রিক যা কিনা সহজেই রিসাইকল করা যায়।

জলের গায়ক বোহেড তিমি

জলের গায়ক বোহেড তিমি

গান গাইবার প্রতিভার কথা হিসেব প্রাণীজগতে একচ্ছত্র আধিপত্য পাখিদের দখলেই ছিলো এতোদিন। কিন্তু পাখিদের আধিপত্য এবার বুঝি হুমকির মুখে! প্রতিদ্ব›দ্বী বোহেড তিমি। বিজ্ঞানীরা বলছেন সমুদ্রের গভীর জলের বোহেড তিমির গানের গলা এতোই ভালো যে পাখিদের সঙ্গে টক্কর দিতে পারবে তারা। শুধু তাই নয়, বোহেড তিমিকে সমুদ্রের জিমি হেনড্রিক্স বলে আখ্যা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। খবর ওয়ার্ল্ডওয়াইল্ড ডট অর্গ-এর।

বোহেড তিমির ওই গানের প্রতিভা আবিষ্কার করেন ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনের ওশানোগ্রাফার কেট স্টাফোর্ড। নরওয়ে থেকে গ্রিনল্যান্ডের মাঝের আর্কটিক সাগরের ফ্রাম স্ট্রেইটে দুটো আন্ডারওয়াটার মাইক্রোফোন বসিয়েছিলেন স্টাফোর্ড এবং তার সহকর্মীরা। লক্ষ ছিলো মাইক্রোফোনে রেকর্ড হওয়া বোহেড তিমির আওয়াজ থেকে আর্কটিক সাগরে বোহেড তিমির সংখ্যা নির্ধারণ।

মাইক্রোফোনগুলোতে খুব বেশি সাউন্ড রেকর্ড হবার আশা করেননি বিজ্ঞানীরা। কারণ, গত কয়েক দশকে ওই অঞ্চলে বোহেড তিমির দেখা পাওয়া গেছে হাতে গোনা কয়েকবার।

টানা এক বছর জলের নিচে ছিলো স্টাফোর্ড এবং তার সহকর্মীদের মাইক্রোফোন দু’টি। এক বছর পর মাইক্রোফোনে রেকর্ড হওয়া ট্র্যাক শুনতে গিয়ে চমকে যান বিজ্ঞানীরা।

এ সম্পর্কে স্টাফোর্ড এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ‘আমরা বড়জোর বোহেড তিমির কিছু গোঙ্গানোর আওয়াজ রেকর্ড হবে বলে ভেবেছিলাম। কিন্তু তার বদলে, বোহেড তিমিগুলো যে টানা পাঁচ মাস ধরে গান গেয়েই যাবে তা আমরা মোটেই আশা করিনি।’

মাইক্রোফোনগুলোতে রেকর্ডকৃত ট্র্যাকে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন, টানা পাঁচ মাসের পুরো শীতকাল জুড়েই দিন-রাত গান গেয়েছে ফ্রাম স্ট্রেইট দিয়ে চলাচল করা তিমিগুলো। শুধু তাই নয়, মাইক্রোফোনের রেকর্ড থেকে বোহেড তিমির আলাদা ৬০টি গান চিহ্নিত করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা।

এতোদিন বিজ্ঞানীরা বোহেড তিমিকে বিলুপ্তির মুখে পড়া একটা প্রজাতি ভেবে এসেছেন। কিন্তু মাইক্রোফোনের রেকর্ডকৃত গান অনুযায়ী ফ্রাম স্টেইটে কমপক্ষে ৬০টি পুরুষ বোহেড তিমি সনাক্ত করা হয়েছে। আর বিপরীত লিঙ্গের বোহেড তিমির সংখ্যা যদি পুরুষ তিমির সমান ধরে নেয়া হয় তবে পৃথিবীতে এখনও বেঁচে রয়েছে কমপক্ষে ১০০টি বোহেড তিমি। এই আবিষ্কার বোহেড তিমির ভবিষ্যত নিয়ে নতুন আশা যোগাচ্ছে বিজ্ঞানীদের।

অন্যদিকে বোহেড তিমির এই সঙ্গীত প্রতিভাকে অনেক বিজ্ঞানী মজা করে তুলনা করেছেন কিংবদন্তী রকস্টার জিমি হেনড্রিক্সের সঙ্গে। হেনডিক্সের গিটারের টিউন আর বোহেড তিমির গানের মধ্যে বেশ মিল রয়েছে বলেও বলেছেন তারা।




বিডিনিউটোয়েন্টিফোরডটকম/জায়েদ/ওএস/এইচবি

অনিদ্রায় ভোগেন এক তৃতীয়াংশ আমেরিকান

অনিদ্রায় ভোগেন এক তৃতীয়াংশ আমেরিকান

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, এক তৃতীয়াংশ আমেরিকানের রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। রাতে ঘুমানোর আগে সেলফোনে কথা বলতে গিয়ে বা কম্পিউটারের সামনে বসে থাকার কারণে ঘুমের উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হন তারা। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

দেশটির ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন পুল জানিয়েছে, সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারের সামনে বসে থাকায় আমেরিকানদের ঘুমের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। রাতে শোয়ার আগে এসব প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে অধিকাংশের ঘুমই প্রশান্তির হয় না। এতে অবসাদের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয় বলে জানিয়েছেন ড. ডান নাইম।

লস এঞ্জেলসের স্লিপ স্টাডি ইনস্টিটিউট ৪১০০ জনের ওপর বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমানোর আগে গভীর রাত পর্যন্ত কম্পিউটার চালানোর ফলে ঘুমে সমস্যা, স্ট্রেস এবং ডিপ্রেশনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। আর যারা সেলফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকে তাদের ক্ষেত্রেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বলে জানালেন গবেষকদের প্রধান সারা থমিট।

উজ্জ্বল আলো মেলাটোনিন হরমোন প্রতিরোধ করে। দেখা গেছে ভিডিও গেইমস, সেলফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে স্ক্রিনের উজ্জ্বল আলো এ হরমোনের প্রভাবে চোখের ঘুমকে কেড়ে নেয়। তারা আরও জানিয়েছেন, চমত্কার ঘুমের জন্যে চারপাশে অন্ধকার পরিবেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ।

নাইম আরো জানান, রাতে প্রশান্তির ঘুমের জন্য সেলফোন এবং কম্পিউটার যতো কম ব্যবহার করা যায়, ততোই ভালো। রাতে ঘুম ভালো না হলে পরবর্তীতে মানসিক ও দৈহিক কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়।

হাজার ডলার দামের বিড়ালের হেডফোন!

হাজার ডলার দামের বিড়ালের হেডফোন!

ইলেক্ট্রনিক পণ্য নির্মাতা সোল রিপাবলিক বিড়ালের জন্য ইলেক্ট্রো হাউজ মিউজিক মেকার ডেডম্যাও৫ ক্যাট নামের বিশেষ হেডফোনটি তৈরি করেছে। খবর ম্যাশএবল-এর।

নির্মাতাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিড়ালের জন্য তৈরি হেডফোনটি এ সপ্তাহে বাজারে আসছে। পোষা বিড়ালের জন্য এর এক জোড়া কিনতে হলে খরচ করতে হবে প্রায় ১০০০ মার্কিন ডলার। তবে হেডফোনটি বিক্রি থেকে পাওয়া অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যানিম্যাল চ্যারিটির ফান্ডে যোগ হবে।

কোম্পানিটি জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ১০টি হেডফোন তারা বাজারজাত করলেও চাহিদার ওপর ভিত্তি করে আরও হেডফোন তৈরি করা হবে। এ ভিন্নধর্মী প্রচেষ্টা মার্কিন সমাজে জীবজন্তুর ওপর নির্যাতন রোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে ধারণা নির্মাতাদের।

নির্মাতা কোম্পানির সিএমও সেথ কম্বস বলেন, ‘রিমোট চালিত এ হেডফোনটির সঙ্গে মাইক্রোফোনও আছে। তবে অনেক পোষা বিড়াল এ দু’টি ফাংশন দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করবে বলে আমি কল্পনা করি না।’

কম্বস আরো বলেন, আমরা বিড়ালের কানের উপযোগী করে এটি তৈরি করেছি এবং এর আকৃতি মানুষের হেডফোনের চেয়ে

দ্বিতীয় প্রজন্মের জিপিইউ বানাবে এআরএম

দ্বিতীয় প্রজন্মের জিপিইউ বানাবে এআরএম

দ্বিতীয় প্রজন্মের গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (জিপিইউ) বানানোর ঘোষণা দিয়েছে এআরএম। এআরএম জানিয়েছে, টি-৬০০ সিরিজের কার্যক্ষমতা হবে আগের তুলনায় শতকরা ৫০ ভাগ বেশি। বাড়তি গতি স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট পিসিতে ভিডিও গেইমকে করে তুলবে আরো উত্তেজনাপূর্ণ, দ্রুতগতির হবে ফটো এডিটিং প্রোগ্রাম। খবর বিবিসির।

এআরএম জানিয়েছে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাজারে আসবে দ্বিতীয় প্রজন্মের গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিটগুলো। মোবাইলের সিপিইউ-এর বাজারে এআরএমের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকলেও জিপিইউ-এর বাজারে পিছিয়ে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

জিপিইউ তৈরিতে এগিয়ে আছে এআরএমের স্বদেশী প্রতিষ্ঠান ‘ইমাজিনেশন টেকনোলজিস’। তবে এআরএম বা ইমাজিনেশন টেকনোলজিস -দু’টি প্রতিষ্ঠানের একটিও সরাসরি কোনো পণ্য উৎপাদন করে না। প্রতিষ্ঠান দু’টি নিজেদের ডিজাইনগুলো লাইসেন্স করিয়ে নেয়। অন্যান্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ওই ডিজাইন ব্যবহার করে মোবাইল ফোনের জন্য চিপ বানায়।

সিপিইউ এবং জিপিইউ-এর মূল পার্থক্য হচ্ছে, প্রথাগত সিপিইউ সাধারণত খুব অল্প সময়ে দ্রুত একটি অংক কষে। আর জিপিইউ তূলনামূলক বেশি সময় নিয়ে একসঙ্গে কয়েকটি অংক কষে। প্রথম অবস্থায় গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট বা জিপিইউ ডিজাইন করা হয়েছিলো কেবল গ্রাফিক্সের কাজ করার জন্যে। কিন্তু এখন গ্রাফিক্স ছাড়াও স্পিচ রিকগনিশন, ইমেজ প্রসেসিং, প্যাটার্ন ম্যাচিংয়ের কাজে ব্যবহার বাড়ছে জিপিইউ-এর।


ক্লাউড কম্পিউটিং নিয়ে সাবধান করলেন ওজনিয়াক

ক্লাউড কম্পিউটিং নিয়ে সাবধান করলেন ওজনিয়াক

ওয়াশিংটন ডিসিতে এক অনুষ্ঠানে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ ওজনিয়াক ক্লাউড কম্পিউটিং নিয়ে তার আশঙ্কার কথা জানালেন। খবর টেলিগ্রাফ-এর।

ওজনিয়াক বলেন, ‘কম্পিউটিং জগতে ক্লাউডিং নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত। সবকিছুই ক্লাউডে রূপান্তরিত হচ্ছে। আগামী পাঁচ বছরে এজন্য অনেক ভয়াবহ সমস্যা হতে পারে।’

৬১ বছর বয়সি ওজনিয়াক এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ক্লাউডে নিজস্ব বলে কিছু থাকেনা, মুক্ত করে দেয়া হয়।

স্টিভ জবসের সঙ্গে ১৯৭৬ সালে ওজনিয়াক অ্যাপল প্রতিষ্ঠা করেন। আধুনিক পার্সোনাল কম্পিউটিং-এর অগ্রগতিতে স্টিভ জবসের পর বিবেচনা করা হয় স্টিভ ওজনিয়াককে।

অ্যাপল ১ এবং ২ কম্পিউটারের অন্যতম নির্মাতা ওজনিয়াক এখন কাজ করছেন ফিউশন আইও কোম্পানিতে। ১৯৮৭ সালে তিনি অ্যাপলের পূর্ণকালীন পদ থেকে অব্যাহতি নিলেও এখনো তিনি কোম্পানিটির সঙ্গে যুক্ত।

কেবল কাটা পড়ায় স্থবির উইকিপিডিয়া

কেবল কাটা পড়ায় স্থবির উইকিপিডিয়া

সোমবার প্রায় দুই ঘণ্টার জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো অনলাইন এনসাইক্লোপিডিয়া ‘উইকিপিডিয়া’। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় উইকিপিডিয়ার ডেটা সেন্টারের দু’টি কেবল দুর্ঘটনাবশত কাটা পড়লে এ ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির।

ডেটা সেন্টারের কেবল দু’টি কাটা পড়ার পর অনেকেই উইকিপিডিয়ার সাইটে ঢুকতে ব্যর্থ হন। কেউ আবার ঢুকতে পারলেও অত্যন্ত ধীরে কাজ করছিল ওয়েবসাইটটি। ডেটা কেবল দু’টি কাটা পড়ার পেছনে কোনো অশুভ শক্তির হাত থাকার কথা নাকচ করে দিয়েছে উইকিপিডিয়া কর্তৃপক্ষ।

কেবল দু’টি কাটা পড়ার পর মোট ১ ঘণ্টা ৬ মিনিট বন্ধ ছিলো উইকিপিডিয়ার ওয়েবসাইট। কেবল দু’টি জোড়া দেবার পর আরো ১ ঘণ্টা সময় লাগে সাইটটি পুরোপুরি কার্যক্ষম অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে।

উইকপিডিয়ার মেইন সাইটটি বন্ধ হলেও কার্যক্ষম ছিলো মোবাইল সাইটটি। তবে মেইন সাইট ঠিক হবার পরেও নানা জটিলতার মুখোমুখি হন উইকপিডিয়ার অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস(এপিআই) সার্ভিস ব্যবহারকারীরা।

উইকিপিডিয়া ফাউন্ডেশনের যুক্তরাজ্যভিত্তিক মুখপাত্র ডেভিড জেরার্ড এ ব্যাপারে বলেন, ‘ফ্লোরিডার ডেটা সেন্টারের দু’টি কেবল কাটা পড়েছিলো। কেবল দু’টি ইতোমধ্যেই জোড়া দেয়া হয়েছে এবং সবকিছু আগের মতোই ঠিক আছে এখন।’

ফুলে উঠছে অবৈধ ড্রাগের অভিনব গোপন সাইট

ফুলে উঠছে অবৈধ ড্রাগের অভিনব গোপন সাইট

মার্কিন সিনেটরের বন্ধ করার চেষ্টার পরও টিকে আছে কালোবাজারি ড্রাগ সাইট ‘সিল্ক রোড’। শুধু তাই নয়, ব্যবসার দিকে দিয়ে দিয়ে রীতিমতো ফুলে ফেঁপে উঠেছে সাইটটি। অবৈধ নেশাদ্রব্য বিক্রি করা সাইটটির বাৎসরিক আয় এখন ২ কোটি ২০ লাখ ডলার। খবর ফোর্বস-এর।

অবৈধ ড্রাগ সাইটটির দৌরাত্বের কথা গবেষণাপত্রের মাধ্যমে এ মাসেই পাদপ্রদীপের আলোতে আনেন কম্পিউটার সিকিউরিটি প্রফেসর নিকোলাস ক্রিস্টিন। সিল্ক রোডের আন্ডারগ্রাউন্ড অনলাইন মার্কেট প্লেস হ্যাক করতে সমর্থ হন ক্রিস্টিন। সিল্ক রোডের ক্রয় বিক্রয় নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে ক্রিস্টিন এমন একটি প্রোগ্রাম লেখেন যা কালোবাজারি সাইটটিতে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করে। টানা ছয় মাস ধরে সাইটটির গোপন তথ্য সংগ্রহ করেন ক্রিস্টিন।

সিল্ক রোডের উপস্থিতি কেবল টর নেটওয়ার্কে। আর ড্রাগসের ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ই লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ডলারের বদলে ব্যবহার করে বিটকয়েন। মূলত এই দু’টি কারণেই এখনও আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে সাইটটির ক্রেতা এবং বিক্রেতারা।

ক্রিস্টিন আবিষ্কার করেন, ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে সিল্ক রোডের ক্রেতার সংখ্যা। কালোবাজারি সাইটটির মাসিক আয় এখন প্রায় ১৯ লাখ ডলার। ক্রিস্টিনকে যে জিনিসগুলো সবচেয়ে বেশি অবাক করে তার মধ্যে একটি হচ্ছে সাইটটির সার্ভিস নিয়ে ক্রেতাদের ইতিবাচক মনোভাব। শতকরা ৯৭.৮ ভাগ ক্রেতা সাইটটির সার্ভিস নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন।

আরো অবাক ব্যাপার হচ্ছে, কোনরকম মার্কেটিং বা বিজ্ঞাপন প্রচার না করেও টিকে আছে কালোবাজারি ড্রাগ সাইটটি। গুগলে সার্চ করলেও সাইটটি খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। টর নেটওয়ার্কের আইপি অ্যাড্রেস লুকিয়ে ফেলার সুবিধা পুরোপুরি ব্যবহার করা হয়েছে সাইটটি লুকিয়ে রাখতে। অন্যদিকে লেনদেনে বিটকয়েনের ব্যবহার ক্রেতা বিক্রেতার পরিচয় গোপন রাখে সফলভাবে

কেমোথেরাপি বাড়াতে পারে ক্যান্সার

কেমোথেরাপি বাড়াতে পারে ক্যান্সার

সম্প্রতি সিয়াটলের ফ্রেড হাচিনসন ক্যান্সার রিচার্স সেন্টারের বিজ্ঞানীদের গবেষণার অপ্রত্যাশিত এক আবিষ্কার বন্ধ করে দিতে পারে ক্যান্সার নিরাময়ে কেমোথেরাপির ব্যবহার। গবেষকরা বলছেন, শরীরের ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলোকে ধ্বংস করলেও সুস্থ কোষে ক্যান্সারের সংক্রমণে সাহায্য করতে পারে কেমোথেরাপি। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

ক্যান্সার চিকিৎসার বড় একটি অংশ কেমোথেরাপি। রোগীর শরীরের ক্যান্সার কোষগুলো ধ্বংস করে দেয়া হয় কেমোথেরাপি ব্যবহার করে। কিন্তু সম্প্রতি বিজ্ঞানী পিটার নেলসনের নেতৃত্বাধীন গবেষক দল আবিষ্কার করেছেন বিপরীত কিছু তথ্য। কেমোথেরাপির কারণে ডব্লিউএনটিসিক্সটিনবি  নামের এক ধরণের প্রোটিন তৈরি করে দেহের সুস্থ কোষগুলো, যা ক্যান্সার আক্রান্ত সেলগুলোর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, কেমোথেরাপি দেবার পরেও অনেক ক্যান্সার রোগীর শরীরে কোনো ইতিবাচক প্রভাব না পড়ার কারণ হতে পারে ওই প্রোটিনটি। সফলভাবে চিকিৎসা শেষ হবার পর আবার রোগীর শরীরে ক্যান্সার ফিরে আসার সম্ভাব্য কারণও হতে পারে এটি।

তবে কেমোথেরাপি নেবার সময় বাড়তি কিছু ওষুধ নিলে কেমোথেরাপির এই অনাকাঙ্ক্ষিত পার্শপ্রতিক্রিয়া এড়ানো সম্ভব বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

LOVE SONG




সোমবার, ৬ আগস্ট, ২০১২

নতুন গ্যালাক্সি নোট আনছে স্যামসাং

নতুন গ্যালাক্সি নোট আনছে স্যামসাং

২৯ অগাস্ট গ্যালাক্সি নোট স্মার্টফোনের একটি নতুন মডেল বাজারে আনছে ইলেকট্রনিক পণ্য নির্মাতা স্যামসাং। খবর গার্ডিয়ান-এর।

অ্যাপলের নতুন আইফোন সেপ্টেম্বরের প্রথমদিকে বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তার প্রায় দুই সপ্তাহ আগেই নতুন গ্যালাক্সি নোটটি বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে স্যামসাং। পেটেন্ট লড়াইয়ের পাশাপাশি বাজার দখলের যুদ্ধেও নামছে কোম্পানি দু’টি। ইউরোপের বৃহত্তম কনজিউমার ট্রেড ফেয়ারের দু’দিন আগে আসছে স্যামসাংয়ের এই নতুন স্মার্টফোনটি।

দক্ষিণ কোরিয়ান মিডিয়ার রিপোর্ট থেকে জানা যায়, এতে ৫.৫ ইঞ্চির একটি শক্ত ডিসপ্লে থাকবে। বর্তমান মডেলের চেয়ে সামান্য বড় আকারের এবং দ্রুতগতির প্রসেসর ও ভালো একটি ক্যামেরা থাকবে এতে।

স্মাটফোন নির্মাণে স্যামসাং আগে পিছিয়ে থাকলেও এখন অ্যাপলকে পেছনে ফেলে পৃথিবীর বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা দক্ষিণ কোরিয়ান এই কোম্পানিটি।

পালাবার পথ নেই টাইমলাইনে যেতে হবেই!

পালাবার পথ নেই টাইমলাইনে যেতে হবেই!

ফেইসবুকে নিজেদের প্রোফাইলটি টাইমলাইনে পরিবর্তন না করে যারা নিজেদের ভাগ্যবান ভাবছেন, তাদের জন্য দুঃসংবাদই বটে! না চাইলেও জোর করেই ব্যবহারকারীর প্রোফাইল লেআউট টাইমলাইনে বদলে দিচ্ছে ফেইসবুক। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

টেকক্রাঞ্চের খবর অনুযায়ী, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সাড়ে ৯ কোটি ব্যবহারকারীর প্রোফাইল টাইমলাইনে বদলে দেবে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ। ব্যবহারকারীর প্রোফাইলটি টাইমলাইনে বদলে দেবার আগে লগইন করার সময় তাকে জানিয়ে দেয় ফেইসবুক।

টাইমলাইন তৈরি করার পর থেকে ধীরে ধীরে অনেক ব্যবহারকারীর প্রোফাইল টাইমলাইনে পাল্টে দিয়েছে ফেইসবুক। আগামী কয়েক মাসে আরও বাড়বে এ কাজের গতি।

এ বছরের জানুয়ারি মাসে ফেইসবুকে চালু হয় টাইমলাইন। না বুঝে নিজের প্রোফাইল লেআউট টাইমলাইনে বদলে নিয়ে এখন আফসোস করছেন অনেকেই। কারণ, ফেইসবুকের টাইমলাইন একবার চালু হয়ে গেলে সাধারণ ব্যবহারকারীরা আর তা বাতিল করতে পারেন না।

স্প্রে করে জোড়া দেয়া যাবে ভগ্ন হৃদয়!

স্প্রে করে জোড়া দেয়া যাবে ভগ্ন হৃদয়!

১০ হাজার ভোল্টের থ্রিডি ইলেকট্রিক স্প্রেয়ার হৃৎপিণ্ডের ক্ষত জোড়া দেবে জীবন্ত হার্ট সেল ছুড়ে দিয়ে। হার্ট অ্যাটাকের ফলে সৃষ্ট হৃৎপিণ্ডের ক্ষত সারাতে চিকিৎসকদের শেষ ভরসা হতে পারে এই ‘স্প্রে-প্যাচ’ প্রযুক্তি। খবর বিবিসির।

হার্ট অ্যাটাক হলে মারা যায় হৃৎপিণ্ডের কিছু সেল। পরে রোগী সুস্থ হয়ে উঠলেও ওই মৃত হার্ট সেলগুলো ঠিক হয় না বরং থেকে যায় ক্ষত। পরে হৃৎপিণ্ডে রক্ত সঞ্চালনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে হৃৎপিণ্ডের ওই মৃত অংশটুকু। এ কারণে হৃৎপিণ্ডের দীর্ঘস্থায়ী  সমস্যায় ভোগেন হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত অনেক ব্যক্তি।

দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতের ওই সমস্যা সমাধানে জীবন্ত হার্ট সেল পেইন্টের মতো হৃৎপিণ্ডে ছুঁড়ে দেবার প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছেন বৃটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞানীরা। হৃৎপিণ্ডের ভেতরের ক্ষত সারিয়ে তোলা সম্ভব হতে পারে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

লন্ডনের এক ল্যাবরেটরিতে ওই বায়ো-ইলেকট্রিক হার্ট সেল স্প্রে মেশিনটি বানিয়েছেন মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার ড. শন জায়াসিংহে। প্রথমে জীবন্ত হার্ট সেল নেয়া হয় স্প্রে মেশিনের সূঁচে। তারপর স্প্রে মেশিন থেকে হার্ট সেলগুলো ছুঁড়ে দেয়া হয় রোগীর হৃৎপিণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে। তবে গ্রাফিটি আর্টিস্টদের স্প্রে ক্যানের মতো নিখুঁত নয় হার্ট সেল স্প্রে মেশিন। হার্ট সেলগুলোকে নিখুঁত লক্ষ্যে পেঁছে দিতে মেশিনটির সূঁচ বিদ্যুতায়িত করা হয় ১০ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ ক্ষেত্র দিয়ে।

এ ব্যাপারে বিজ্ঞানী অ্যানাস্তাসিয়া স্টেফানো বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ক্ষতিগ্রস্ত হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়াতে পারবে এই প্রযুক্তি। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত হৃৎপিণ্ড পুরোপুরি সারিয়ে তোলা, যেন হার্ট অ্যাটাকের শিকার রোগীদের ডোনার হার্টের জন্য অপেক্ষা করতে না হয়।’

বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, ভবিষ্যতে স্প্রে মেশিনের জন্য হৃৎপিণ্ডের কোষগুলো রোগীর হৃৎপিণ্ড থেকে সংগ্রহ করে বায়ো-টেকনোলজিকাল পন্থায় বড় করে ব্যবহার করা সম্ভব হবে। এমনকি অসুস্থ ব্যক্তির স্টেম সেল সংগ্রহ করে তা থেকে হার্ট সেল তৈরি করা যাবে বলেও বিজ্ঞানীরা আশা করছেন।

ল্যান্ড মাইন চিহ্নিত করবে ন্যানো ফাইবার ফিল্ম

ল্যান্ড মাইন চিহ্নিত করবে ন্যানো ফাইবার ফিল্ম

ল্যান্ড মাইন চিহ্নিত করবে এমন একটি ফ্লুরোসেন্ট ন্যানো ফাইবার ফিল্ম বানাচ্ছেন ইউনিভার্সিটি অফ কানেকটিকাটের বিজ্ঞানীরা। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী পৃথিবীর ৬৪টি দেশে আছে ১০ কোটিরও বেশি ল্যান্ড মাইন, যা শান্তিপূর্ণ সময়েও যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশগুলোর জান-মালের ব্যাপক ক্ষতি করছে। এই সমস্যা সমাধানে ন্যানো ফাইবার ফিল্ম প্রযুক্তি ব্যবহারের চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। খবর গিজম্যাগ-এর।

ফিল্মটির বিশেষ কিছু রাসায়নিক পদার্থ মাটিরে গভীরে থাকা বিস্ফোরক পদার্থকে চিহ্নিত করতে পারে। প্রথমে পেপার টাওয়েলের মতোই মাটিতে ছড়িয়ে দেয়া হয় ফিল্মটি। আর ফিল্মটি এতোই পাতলা যে, এর ফলে ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরিত হয় না। ফিল্মটি ৩০ মিনিট মাটিতে থাকার পর অতি বেগুনী রশ্মির সাহায্যে চালু হয় ফিল্মের রাসায়নিক বিক্রিয়া। এই পন্থা ব্যবহার করে টিএনটি এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মাটিতে লুকানো এইচএসএস ল্যান্ড মাইন খুঁজে বের করতে সফল হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

মাটিতে মাইন স্থাপন করা সোজা কাজ হলেও পরে ওই মাইনগুলো খুঁজে বের করা এবং নিস্ক্রিয় করা খুবই জটিল এবং বিপজ্জনক কাজ। যুদ্ধের পরেও রয়ে যাওয়া ল্যান্ড মাইনে বহু বছর ধরে জান-মালের ক্ষতি হয়। মাইলের পর মাইল ভূমি পতিত হয়ে যায়। জীবনের ঝুঁকির কারণে ওই জমিগুলোতে কৃষিকাজ হয় না।

বর্তমানে ল্যান্ড মাইন খুঁজে বের করতে ব্যবহার করা হয় কুকুর অথবা রোবট। কুকুর ব্যবহার করলে ঝুঁকিতে থাকে একটি জীবন্ত প্রাণীটি। অন্যদিকে রোবট অনেক ব্যয়বহুল এবং অনেক সময়ই মাইনফিল্ডে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয় রোবট ব্যবহার করলে। কুকুর বা রোবটের বদলে আরো সহজ এবং কার্যক্ষম পন্থার খোঁজে ন্যানো ফাইবার ফিল্ম ব্যবহার করে মাইন খুঁজে বের করার ওই প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা।

হ্যাকার ধরতে সহযোগিতায় অ্যানোনিমাস

হ্যাকার ধরতে সহযোগিতায় অ্যানোনিমাস

রেডস্কাই ভিডিও প্রোডাকশন কোম্পানি নামের একটি চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট আক্রমণকারীকে খুঁজতে সহযোগিতা করেছে আন্তর্জাতিক হ্যাকার গ্রুপ অ্যানোনিমাস। খবর বিবিসির।

সম্প্রতি একজন ক্র্যাকার দাতব্য প্রতিষ্ঠান রেডস্কাই-এর ওয়েবসাইট আক্রমণ করে তথ্য মুছে ফেলে। প্রতিষ্ঠানটি নিউজিল্যান্ডের শিশু দারিদ্র নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করে। তথ্যচিত্রের লাভের অর্থ ব্যয় করা হয় দরিদ্র শিশুদের খাদ্য সংস্থানে।

যারা কোনো সাইট বা সিকিউরিটি সিস্টেম এড়িয়ে প্রবেশ করতে পারেন তাদেরকে সাধারণ ভাষায় হ্যাকার বলা হয়। আর, কোনো সিস্টেমের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে যারা ক্ষতি করেন, তাদের বলা হয় ক্র্যাকার।

রেডস্কাইয়ের কর্ণধার ব্রায়ান ব্রুস ফেইসবুকের মাধ্যমে সাইটটির তথ্য ফিরিয়ে দেয়ার আকুতি জানান। ব্রুসের আবেদনের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক হ্যাকার গ্রুপ অ্যানোনিমাস এই ওয়েবসাইট আক্রমণকারীকে খুঁজে বের করার কাজে হাত দেয়।

আক্রমণকারী নিজেকে আনন ভোল্ডেমোর্ট নামে পরিচয় দিয়েছিলেন। তিনি জানান, চ্যারিটি সাইটটি বিনষ্ট করার পেছনে তার উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক হ্যাকার গ্রুপ অ্যানোনিমাসের দৃষ্টি আকর্ষণ ও সদস্যপদ লাভ।

চ্যারিটি সাইট হ্যাক না করার ব্যাপারে অ্যানোনিমাসের অলিখিত নিয়ম রয়েছে। আবেদনের ২৪ ঘণ্টার ভেতর একটি ইমেইল বার্তায় অ্যানোনিমাস ব্রুসকে জানায়, চ্যারিটি অ্যাটাকার ভোল্ডেমোর্ট স্পেনের মাদ্রিদে রয়েছেন। এক আলোচনায় ব্রুস জানান, তিনি এ নিয়ে ইতোমধ্যে স্পেনের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।

ফেইসবুকে যতো বানোয়াট পোস্ট- তিন

ফেইসবুকে যতো বানোয়াট পোস্ট- তিন

হালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট ফেইসবুকে ব্যবহারকারীরা অনেকটা সময় কাটান পছন্দের ছবি, প্রয়োজনীয় তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট শেয়ার আর লাইক দিয়ে। কিন্তু তাদের অনেকেই হয়তো জানেন না, মানবতার স্বার্থে বা কৌতুহল জাগানো যে ছবি এবং পোস্টগুলো তারা শেয়ার করছেন, তার অধিকাংশই গুজব এবং ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। ওই পোস্টগুলোর অনেকগুলোতেই ব্যবহার করা হয়েছে অসত্য, অর্ধসত্য এবং অতিরঞ্জিত তথ্য। ফেইসবুকের ওই সব বানোয়াট পোস্ট নিয়েই আমাদের এই ধারাবাহিক আয়োজন। আজ থাকছে তৃতীয় পর্ব।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কচ্ছপ ফেইসবুকে?
সম্প্রতি ফেইসবুকে পশুপ্রেমীদের মধ্যে একটি পোস্ট শেয়ারের ধুম পড়ে গেছে। পোস্টটির ছবিতে রয়েছে ট্রাকের পেছনে বেঁধে রাখা বৃহদাকৃতির এক কচ্ছপের ছবি। আর পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়েছে ওই কচ্ছপটি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কচ্ছপ। পোস্টটিতে আরো বলা হয়েছে, কচ্ছপটির বয়স ৫২৯ বছর এবং ওজন ৮০০ পাউন্ড। পশুপ্রেমিদের জন্য দুঃসংবাদই বটে, পোস্টটি একেবারেই বানোয়াট!


ধোঁকার বাকী আছে আরো! পোস্টটিতে যে কচ্ছপের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে আদতে সেটি রক্ত মাংসের কোনো প্রাণীই নয়, বরং মানুষের হাতে তৈরি কস্টিউম মাত্র। ওই ছবিটি নেয়া হয়েছে ২০০৬ সালের জাপানি সাই-ফাই মনস্টার মুভি ‘গামেরা দি ব্রেভ’-থেকে।

সিনেমার পটভ‚মিতে গড়ে উঠেছে কাল্পনিক দানবীয় কচ্ছপ ‘গামেরা’-কে কেন্দ্র করে। সিনেমার শেষ দৃশ্যে এক মিলিটারি ইউনিট আহত গামেরাকে ট্রাকের পেছনে বেঁধে নিয়ে যায়।


সিনেমার ওই শেষ দৃশ্যের একটি স্ন্যাপশট ব্যবহার করা হয়ে হয়েছে ফেইসবুক পোস্টটিতে। সত্য তথ্য হলো ওই পোস্টের পুরো তথ্যই ডাহা মিথ্যা। ছবির ‘গামেরা’র বাস্তব কোনো অস্তিত্ব নেই।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাতের কচ্ছপ হচ্ছে গ্যালাপাগোস কচ্ছপ। এটি লম্বায় সাড়ে ৫ ফিট পর্যন্ত হতে পারে। সর্বোচ্চ ওজন ৫৫০ পাউন্ড আর দেড়শ’ বছরের বেশি সময় বাঁচার রেকর্ড রয়েছে এ জাতের কচ্ছপের।

গ্যালাপাগোস টরটয়েসের তুলনায় ফেইসবুক পোস্টের গামেরা আকারে অনেক বড়। সেক্ষেত্রে ওই কচ্ছপটির ওজন আরো বেশি হবার কথা।


টাইমলাইন সরাতে ক্রোম এক্সটেনশন!
বর্তমানে ফেইসবুক টাইমলাইন প্রোফাইলের জন্য বিরক্ত অনেক ব্যবহারকারীই। ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়েই ক্রোম এক্সটেনশনের মাধ্যমে টাইমলাইন থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় সমৃদ্ধ একটি পোস্ট বেশ কিছুদিন ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছে ব্যবহারকারীদের ওয়ালে। কিন্তু সত্য ঘটনা হচ্ছে, টাইমলাইন প্রোফাইল লেআউট থেকে বাঁচার কোনো উপায় নেই অন্তত ওই লিংকে নেই।

ফেইসবুকের ওই পোস্টটিতে বলা হয়েছে, কেবল গুগল ক্রোম ব্যবহারকারীরাই এক্সটেনশনের মাধ্যমে এড়াতে পারবেন টাইমলাইন বিড়ম্বনা। গুগল ক্রোমের একটি এক্সটেনশন ফাইল ইনস্টল করলেই আবার আগের প্রোফাইলে ফিরে যেতে পারবেন ব্যবহারকারী।

বাস্তবে ‘টাইমলাইন রিমুভার’ এক্সটেনশন ফাইল কোনোভাবেই টাইমলাইন ডিসঅ্যাবল করবে না। এটি কেবল আপনার ব্রাউজারে কিছু পরিবর্তন আনবে, যার ফলে আগের প্রেফাইল লেআউটের মতো করে দেখা যাবে প্রোফাইলটি। কেউ যদি ভিন্ন একটি কম্পিউটার থেকে প্রোফাইলটি দেখেন, তবে টাইমলাইনই দেখতে পাবেন তিনি। এমনকি নিজের কম্পিউটারে টাইমলাইন রিমুভার ইনস্টল করেছেন এমন কেউ যদি টাইমলাইন রিমুভার নেই এমন কোনো কম্পিউটার থেকে নিজের প্রোফাইলে লগইন করেন, তবে নিজের প্রোফাইলটি টাইমলাইন লেআউটেই দেখতে পাবেন তিনি।

পোস্টটিতে আরো দাবি করা হয়েছে, যাদের পিসিতে গুগল ক্রোম রয়েছে কেবল তারাই ব্যবহার করতে পারবেন ওই এক্সটেনশন ফাইলটি। কিন্তু এই দাবিও মিথ্যা। জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজারগুলোর প্রায় সবগুলোর জন্যই রয়েছে এমন এক্সটেনশন ফাইল।

সোজা কথায় বলতে গেলে, এক্সটেনশন ফাইল ব্যবহার করে কেবল নিজের পিসিতেই টাইমলাইন লেআউটের জায়গায় পুরনো লেআউট দেখা সম্ভব হলেও ফেইসবুকের পুরনো প্রেফাইল লেআউট পুরোপুরি ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়।

ফেইসবুকে যতো বানোয়াট পোস্ট- দুই

প্রাচীন অলিম্পিয়ানদের মধ্যেও ছিলো স্টেরয়েড আসক্তি!

প্রাচীন অলিম্পিয়ানদের মধ্যেও ছিলো স্টেরয়েড আসক্তি!

জয়ের নেশায় উন্মত্ত হয়ে অ্যাথলেটদের ড্রাগ নেয়া নতুন কিছু নয়। ড্রাগ নিয়ে ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে অলিম্পিক পদক হারিয়েছেন অনেক অ্যাথলেটই। কিন্তু জয়ের জন্য অ্যাথলেটদের স্টেরয়েড নেয়া একবিংশ শতাব্দীর কোনো ঘটনা নয়। প্রাচীনকাল থেকেই স্টেরয়েড নিচ্ছেন অলিম্পিয়ানরা। খবর রয়টার্সের।

স্টেরয়েডের ক্ষেত্রে বর্তমান আর প্রাচীন সময়ের পার্থক্য হচ্ছে, বর্তমান সময়ের স্টেরয়েডের তালিকায় রয়েছে শক্তিবর্ধক ট্যাবলেট আর হরমোন ইনজেকশন, অন্যদিকে প্রাচীন স্টেরয়েডের তালিকায় রয়েছে কাঁচা ডিম, অ্যালকোহল, প্রাণীর কাঁচা অণ্ডকোষসহ নানা ওষুধ।

অলিম্পিয়ানদের স্টেরয়েড আসক্তি নিয়ে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন ইউনিভার্সিটির অলিম্পিক হিস্টোরিয়ান মার্টিন পলি বলেন, ‘সবসময়ই অলিম্পিকের অংশ ছিলো ডোপিং। কিন্তু বর্তমান সময়ের মতো জটিলতার সৃষ্টি করতো না প্রাচীনকালের স্টেরয়েডগুলো।

১৯ শতকের শুরুর দিকেই নিজের পারফরমেন্স আরও ভালো করতে অ্যাথলেটদের কোকো পাতা, কোকেইন আর অ্যালকোহল নেয়া ছিলো খুবই সাধারণ বিষয়। ১৯০৪ সালে অলিম্পিক ম্যারাথন জিতেছিলেন টমাস হিকস। আর কোচের পরামর্শ অনুযায়ী নিজের পারফরমেন্স ভালো করতে নিয়মিত কাঁচা ডিম, স্ট্রাইকনাইন আর ব্র্যান্ডি খেতেন হিকস।

১৮৯৬ সালে শুরু হয় আধুনিক অলিম্পিক। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির স্পোর্টস মেডিসিন হিস্টোরিয়ান ভেনেসা হেগি আধুনিক অলিম্পিকে স্টেরয়েডের ব্যবহার নিয়ে বলেন, ‘সেই সময়ে পারফরমেন্স ভালো করতে ওষুধ, টনিক আর স্টিমুল্যান্টের ব্যবহার ছিলো খুবই সাধারণ একটি ব্যাপার।’

হ্যাক হয়েছে রয়টার্সের ব্লগ!

হ্যাক হয়েছে রয়টার্সের ব্লগ!

শুক্রবার হ্যাক হয়েছিলো বার্তা সংস্থা রয়টার্সের ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম। রয়টার্সের ব্লগিং প্ল্যাটফর্মটি হ্যাক করার পর সেখানে সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতা রিয়াদ আল-আসাদের একটি তথাকথিত সাক্ষাৎকারের সারমর্ম পোস্ট করে দেয় সাইটটির হ্যাকার। খবর রয়টার্স-এর।

রয়টার্স কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘শুক্রবার হ্যাকারদের আক্রমণের শিকার হয়েছিলো ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম। হ্যাকাররা রয়টার্সের ব্লগিং প্ল্যাটফর্মটি দখল করে নেয় এবং রয়টার্সের সাংবাদিকদের নাম ব্যবহার করে বানোয়াট কিছু তথ্য ব্লগে পোস্ট করে দেয়।’

হ্যাকারদের বানোয়াট পোস্টগুলোর একটি হচ্ছে সিরিয়ান সেনাবাহিনীর বিদ্রোহী নেতা আসাদের একটি তথাকথিত সাক্ষাৎকারের সারমর্ম। সিরিয়ান সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ের পর বিদ্রোহীরা সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ আলেপ্পো থেকে পিছু হটছে বলে আসাদের দাবি প্রকাশ করা হয়েছে ওই পোস্টে।

রয়টার্স আসাদের এমন কোনো সাক্ষাৎকার নেয়নি বলেই জানিয়েছে তাদের বিবৃতিতে। অন্যদিকে ফ্রি সিরিয়ান আর্মিও নিজেদের এক বিবৃতিতে এমন কোনো সাক্ষাৎকারের কথা নাকচ করে দিয়েছে।

শুক্রবার হ্যাক হবার পরই ব্লগিং সাইটটি বন্ধ করে দেয় রয়টার্স। সাইটটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নতুন করে চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাটি।




বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/জায়েদ/ওএস/এইচবি

নতুন প্লেবুক আনছে রিম

নতুন প্লেবুক আনছে রিম

অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে নতুন প্লেবুক ট্যাবলেট ডিভাইস বাজারে আনছে ব্ল্যাকবেরি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রিসার্চ ইন মোশন (রিম)। নতুন প্লেবুক ট্যাবলেটে থাকছে বিল্টইন সেলুলার নেটওয়ার্ক সাপোর্ট। আর প্লেবুকের নতুন মডেলটি প্রথম বাজারে ছাড়ার জন্য কানাডাকেই বেছে নিয়েছে রিম। খবর রয়টার্স-এর।

রিম জানিয়েছে, নতুন ট্যাবলেট পিসিটি কানাডার বাজারে আসবে বৃহস্পতিবার। এরপর পর্যায়ক্রমে তা যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, সাউথ আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের বাজারেও পাওয়া যাবে।

প্রথম থেকেই প্লেবুকের ইমেইলসহ আরো বেশ কিছু ফিচারে ছিলো নানা সমস্যা। এ ছাড়া সফটওয়্যার আপগ্রেডের সময় ব্যবহারকারীদের খরচটাও হতো অনেক বেশি।

ফোর-জি সুবিধাসহ অ্যাপলের আইপ্যাড, আইফোন এবং গুগলের অ্যান্ড্রয়েডের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এই প্লেবুক কতোটা সফল হবে তা বলা সত্যিই কঠিন। গত বছরই রিমের পণ্যে বিশাল ডিসকাউন্ট দিতে বাধ্য হয়েছিলো বাজারে টিকে থাকার জন্য।

এদিকে স্টক মার্কেটেও কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিকে। নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে বৃহস্পতিবার রিম-এর শেয়ারের দাম শতকরা ২ ভাগ নিচে নেমে ৬ দশমিক ৯৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

FSS blog

FSS TSTL Photo Gallery

FSS TSTL Photo Gallery
Pictures

I like it

  • Bangla Song
  • Love
  • Move

what is love?

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

লেবেল

লেবেল

ভূমি (1) sex (6)

Wikipedia

সার্চ ফলাফল