Translate

শনিবার, ২১ জুলাই, ২০১২

৫৩ কোটিরও বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী চীনের

৫৩ কোটিরও বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী চীনের

চীনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫৩ কোটি ৮০ লাখ।  আর এ সংখ্যা বিশ্বের যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি। ওয়্যারলেস ওয়েব সার্ফিয়ের ফলে বর্তমানে চীনে বিশ্বের সর্বাধিক মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে বলে দেশটির ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টার (আইএনআইসি) জানায়। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

আইএনআইসি জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে শতকরা ১১ ভাগ। বর্তমানে চীনের প্রায় ৪০ ভাগ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ওয়্যারলেস ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা থাকায় মোবাইলেও ইন্টারনেট ব্যবহার গোটা বিশ্বের মতো চীনেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, চীনের কমিউনিস্ট সরকার দেশটিতে শিক্ষা ও বাণিজ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করায় শিক্ষা ও শিল্প-বাণিজ্যে এর প্রভাব পড়েছে।

আইএনআইসি জানিয়েছে, বর্হিঃবাণিজ্যে চীন ইতোমধ্যে নিজেদের অবস্থান গড়তে সক্ষম হয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে। ব্যবসায়ীক যোগাযোগে ইন্টারনেট নির্ভরশীলতা বাড়ায় দেশটির অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।


২৬ অক্টোবর আসছে উইন্ডোজ ৮

২৬ অক্টোবর আসছে উইন্ডোজ ৮

অক্টোবরের ২৬ তারিখে বাজারে আসছে মাইক্রোসফটের নতুন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৮। সব ধরনের কম্পিউটারের উপযোগী হলেও মূলত টাচ স্ত্রিন এবং ট্যাবলেট কম্পিউটারের ব্যবহারের জন্যই উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের নতুন ভার্সনটি বানিয়েছে মাইক্রোসফট। খবর ইয়াহু নিউজের।

উইন্ডোজ ৮ অক্টোবর মাসে বাজারে আসবে তা বেশ আগে থেকেই বলছিলো মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ। বুধবার স্যান ফ্রান্সিসকোতে অ্যানুয়াল সেলস মিটিং এবং ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে উইন্ডোজ ৮ বাজারে আসার তারিখটি নিশ্চিত করে জানিয়ে দেয় মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ।

উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেট থেকে সফটওয়্যার আপডেট হিসেবে ডাউনলোড করতে পারবেন অপারেটিং সিস্টেমটির নতুন ভার্সন। একই দিনে বিক্রি শুরু হবে উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমে চালিত পিসি এবং ল্যাপটপ।

উইন্ডোজ এক্সপি, ভিসতা এবং ৭-কে উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমে আপগ্রেড করতে খরচ হবে ৪০ ডলার। তবে যারা এ বছরের ২ জুন তারিখের পরে উইন্ডোজ ৭ অপারেটিং সিস্টেমের কম্পিউটার কিনেছেন, উইন্ডোজ ৮-এর জন্য তাদের খরচ করতে হবে ১৫ ডলার।



অ্যাপল ওয়েবসাইটে ঝুলবে স্যামসাং প্রচারণা!

অ্যাপল ওয়েবসাইটে ঝুলবে স্যামসাং প্রচারণা!

স্যামসাংয়ের পক্ষে প্রচারণা চালাবে অ্যাপল! অ্যাপল বনাম স্যামসাংয়ের পেটেন্ট লড়াই নতুন দিকে মোড় নেয়ায় এমন ঘটনাই এবার ঘটতে পারে। আইপ্যাডের ডিজাইন নকল করে স্যামসাং তাদের গ্যালাক্সি ট্যাবলেট ডিভাইস বানিয়েছে দাবি করে বৃটেনের আদালতে মামলা করেছিলো অ্যাপল। কিন্তু আদালতে সে দাবি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় স্যামসাং আইপ্যাডের ডিজাইন নকল করেনি-এমন প্রচারণা চালানোর নির্দেশই অ্যাপলকে দিয়েছে আদালত। খবর বিবিসির।

মামলার রায় অনুযায়ী ‘স্যামসাং আইপ্যাডের ডিজাইন নকল করেনি’-এমন একটি নোটিশ আগামী ছয় মাস থাকতে হবে অ্যাপলের নিজস্ব ওয়েবসাইটে। শুধু তাই নয়, খবরের কাগজ ও ম্যাগাজিনের মতো অন্যান্য প্রচারমাধ্যমেও এ সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য অ্যাপলকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অ্যাপলের মামলায় স্যামসাংয়ের সুনাম যে ক্ষতির মুখে পড়েছে সেটি পুরণ করতেই বৃটিশ আদালত ওই আদেশ দিয়েছে।

তবে এ বিষয়ে এখনও মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ।

অবশ্য এ রায়ের পর ডিজাইন নকল করার দাবি অ্যাপল যেন আর করতে না পারে, সেজন্য নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানায় স্যামসাং। স্যামসাংয়ের এ দাবি নাকচ করে আদালত জানায়, আদালত ‘ভুল’ রায় দিয়েছে এমন মতামত অ্যাপল কর্তৃপক্ষের থাকতেই পারে।



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/

শনিবার, ১৪ জুলাই, ২০১২

বছরে ৩২০ টন স্বর্ণ যাচ্ছে ইলেক্ট্রনিক পণ্যে!

বছরে ৩২০ টন স্বর্ণ যাচ্ছে ইলেক্ট্রনিক পণ্যে!

প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেট তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে ৩২০ টন সোনা, যার বাজার মূল্য ১ হাজার কোটি বৃটিশ পাউন্ডেরও বেশি। আর এই সোনার সামান্যই আবার আহরণ করা সম্ভব হচ্ছে ইলেকট্রনিক বর্জ্য থেকে। বিস্ময়কর এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ঘানার আক্রায় ই-ওয়েস্ট একাডেমির মিটিংয়ে। খবর অরেঞ্জ নিউজের।

ই-ওয়েস্ট একাডেমির মিটিংয়ে বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রতি বছর ইলেকট্রনিক গ্যাজেট তৈরিতে যে পরিমাণ সোনা ব্যবহার করা হচ্ছে, তার শতকরা ৮৫ শতাংশই হারিয়ে যাচ্ছে ইলেকট্রনিক বর্জ্য পদার্থের সঙ্গে। এর মধ্যে মাত্র ১৫ শতাংশ পুনরায় আহরণ করা সম্ভব হচ্ছে। টেকনোলজি কোম্পানিগুলো সোনার পাশাপাশি প্রতিবছর ব্যবহার করছে ৭ হাজার ৫০০ টন রুপা।

বিশেষজ্ঞরা আরো জানান, বর্তমানে পৃথিবীর মাটির নিচের খনিগুলোতে যে পরিমাণ মূল্যবান আকরিক ধাতু রয়েছে, তার চেয়ে ৪০ থেকে ৫০ গুণ বেশি ধাতু রয়েছে ইলেকট্রিক গ্যাজেট ওয়েস্টে। গত বছরে ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৩২০ টন সোনা যা পুরো পৃথিবীর সোনার যোগানের ৭ দশমিক ৭ শতাংশ।

এ ব্যাপারে গ্লোবাল ই-সাসটেইনেবিলিটি ইনিসিয়েটিভ-এর চেয়ারম্যান লুইস নেভস বলেন, ‘ভোক্তারা স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট কম্পিউটারের মতো হাইটেক ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের সুবিধা বহাল রাখতে চাইলে ইলেকট্রনিক বর্জ্য পদার্থ রিসাইকেল করে মূল্যবান ধাতুগুলো সংগ্রহ করার একটি পদ্ধতি দাঁড় করানো জরুরি হয়ে পড়েছে।’

অক্টোবরে আসছে উইন্ডোজ ৮

অক্টোবরে আসছে উইন্ডোজ ৮

মাইক্রোসফটের নতুন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৮-এর ঘোষণা বেশ কিছুদিন আগে দেয়া হলেও, কবে নাগাদ উইন্ডোজ ৮ চালিত ডিভাইসগুলো বাজারে পাওয়া যাবে, তা নিয়ে এতোদিন নিরব ছিলো মাইক্রোসফট। সম্প্রতি এক ঘোষণায়, অক্টোবর মাসের শেষের দিকে উইন্ডোজ ৮ পিসি বাজারে ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ। খবর এবিসিনিউজ-এর।

মাইক্রোসফটের ওয়ার্ল্ড ওয়াইড পার্টনার কনফারেন্সে অক্টোবর মাসে উইন্ডোজ ৮ ডিভাইস বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও টামি রেলার। তিনি জানান, অগাস্টের প্রথম সপ্তাহেই কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো হাতে পাবেন উইন্ডোজ ৮ সফটওয়্যার। আর অক্টোবর মাসের শেষ দিকে বাজারে পাওয়া যাবে উইন্ডোজ ৮ ডিভাইসগুলো।

লেনোভো, আসুস এবং এসারের মতো মাইক্রোসফটের পার্টনার কোম্পানিগুলো এ বছরেই একাধিক উইন্ডোজ ৮ পিসি বাজারে আনবে।

তবে নিজেদের ট্যাবলেট পিসি ‘সার্ফেস’ কবে বাজারে আসবে, তা এখনও জানায়নি মাইক্রোসফট।


পৃথিবীর তুলনায় মহাকাশে বেশি বাঁচে কেঁচো!

পৃথিবীর তুলনায় মহাকাশে বেশি বাঁচে কেঁচো!

পৃথিবীর তুলনায় মহাকাশেই বেশি সময় বাঁচে কেঁচো। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমন চমকপ্রদক তথ্যই আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। মহাকাশে কেঁচোর দীর্ঘায়ু হবার মূল কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা চিহ্নিত করেছেন প্রাণীটির দেহের ৫টি জিনের পরিবর্তনকে। খবর বিবিসির।

বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণাটি চালিয়েছেন বিশেষ এক প্রজাতির কেঁচোর ওপর। বিজ্ঞানীরা ওই প্রজাতির কেঁচোগুলোকে ১১ দিনের মহাকাশযাত্রায় পাঠান এবং পৃথিবীতে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড ঠান্ডায় জমিয়ে ফেলেন।

এরপর বিজ্ঞানীরা কেঁচোগুলো নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন যে, এদের ৫টির শরীরে পলিগ্লুটামিন এগ্রিগেটর কমে গেছে, যা প্রাণীর বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে।

এ ব্যাপারে ইউনিভার্সিটি অফ নটিংহ্যামের বিজ্ঞানী ড. নাথানিয়েল জিউকজাইক বলেন, ‘ওই ৫টি জিন ব্যবহার করেই কেঁচোগুলো পরিবেশের পরিবর্তন বুঝতে পারে এবং তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়। আমরা এতোদিন জানতাম, মহাকাশে শরীরের মাংশপেশী ছোট হয়ে আসে; কিন্তু নতুন তথ্যগুলো এর বিপরীত ইঙ্গিত দিচ্ছে।

বিদ্যুৎ জমা করবে টি-শার্ট

বিদ্যুৎ জমা করবে টি-শার্ট

সাধারণ একটি টি-শার্টে বিদ্যুৎশক্তি জমা করে রাখার অভিনব এক উপায় আবিষ্কার করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলিনার বিজ্ঞানীরা। নতুন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ফোনের মতো ডিভাইসগুলো চার্জ করা যাবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। খবর বিবিসির।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, খুব শীঘ্রই বাজারে আসবে গুটিয়ে রাখার উপযোগী স্মার্টফোন এবং ল্যাপটপ। এই গ্যাজেটগুলোর বৈদ্যুতিক চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন পড়বে নমনীয় এনার্জি স্টোরেজ বা ব্যাটারির। আর এ সমস্যা সমাধান করতেই টি-শার্টে বিদ্যুৎশক্তি জমা করার প্রযুক্তিটি আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী প্রফেসর জিয়াওডং লি এবং লিহং বাও।

বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত এ প্রক্রিয়ায় সাধারণ একটি টি-শার্টকে ফ্লুওরাইড সল্যুশন-এ ভিজানো হয়। তারপর টি-শার্টটি অক্সিজেন শূন্য পরিবেশে উচ্চ তাপমাত্রায় শুকানো হয়। এর ফলে টি-শার্টটির তন্তুগুলো সেলুলোজ থেকে অ্যাকটিভেটেড কার্বন-এ পরিণত হলেও আগের মতোই নমনীয় থেকে যায়। এরপর টি-শার্টটির কয়েকটি সুতো ইলেকট্রোড হিসেবে ব্যবহার করে এটিকে ক্যাপাসিটরে পরিণত করেন বিজ্ঞানীরা। এরপর টি-শার্টটির সুতোগুলোয় ম্যাংগানিজ অক্সাইডের প্রলেপ দেন বিজ্ঞানীরা। এর ফলে টি-শার্টটি একটি স্থিতিশীল সুপারক্যাপাসিটরে পরিণত হয় বলে জানান প্রফেসর লি।

প্রফেসর লি বলেন, ‘হাইব্রিড সুপারক্যাপাসিটরটি এর কার্যক্ষমতাও প্রমাণ করেছে। হাজারেরও বেশিবার ইলেকট্রিসিটি চার্জ এবং ডিসচার্জ করা হলেও এটির কার্যক্ষমতা মাত্র ৫ শতাংশ কমেছে। আর এই সুপারক্যাপাসিটরগুলোকে একত্রিত করে মোবাইল ফোনের মতো পোর্টেবল ইলেকট্রিক ডিভাইস চার্জ করা সম্ভব হবে।’



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/জায়েদ/ওএস

প্লুটোর পঞ্চম চাঁদের সন্ধান পেলো হাবল

প্লুটোর পঞ্চম চাঁদের সন্ধান পেলো হাবল

বামন গ্রহ প্লুটোর পঞ্চম উপগ্রহ ‘পি-ফাইভ’-এর সন্ধান পেলো নাসার হাবল টেলিস্কোপ। ছোট্ট একটি গ্রহের চারপাশে ৫টি উপগ্রহের এমন জটিল সন্নিবেশ বেশ অবাক করেছে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের। খবর বিবিসির।

প্লুটোর উপগ্রহগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ‘চারোন’ আবিষ্কার হয় ১৯৭৮ সালে। এরপর ২০০৬ সালে চারোনের তুলনায় ছোট আরো দুটি উপগ্রহ খুঁজে পায় নাসার হাবল টেলিস্কোপ। এ দু’টির নাম দেয়া হয় নিক্স এবং হাইড্রা। ২০১১ সালে প্লুটোর চতুর্থ উপগ্রহ পি-ফোরও হাবল টেলিস্কোপেরই আবিষ্কার।

প্লুটো এতোটাই ছোট এবং দূরে যে, হাবল টেলিস্কোপ ব্যবহার করেও বামন গ্রহটির পরিষ্কার ছবি তোলা খুবই কঠিন। পি-ফাইভ উপগ্রহটি হাবল টেলিস্কোপের তোলা ছবিতে ধরা পড়লেও এটির আকার আকৃতি নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দিতে পারেননি নাসার বিজ্ঞানীরা। তবে তারা বলছেন, পি-ফাইভের গঠন অন্যান্য উপগ্রহ থেকে ভিন্ন এবং এটির আকার হতে পারে ১০ কিলোমিটার থেকে ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে।

আর প্লুটোর পঞ্চম উপগ্রহ পি-ফাইভ-এর সন্ধান মেলে জুন থেকে জুলাই মাসের মধ্যে হাবল টেলিস্কোপের ওয়াইড ফিল্ড ক্যামেরায় তোলা ছবিতে। নাসার স্পেসক্র্যাফট ‘নিউ হরাইজন’ এখন রয়েছে প্লুটোর পথে। ২০১৫ সালে প্লুটোর পাশ দিয়ে উড়ে যাবে মহাকাশযানটি। নিউ হরাইজন প্লুটোর কাছে পৌঁছালে এর মাধ্যমেই প্রথমবারের মতো বামন গ্রহটি নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করার সুযোগ পাবেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।


আর্সেনিক নির্ভর ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কারের দাবি ভুল

আর্সেনিক নির্ভর ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কারের দাবি ভুল

২০১০ সালে মাইক্রো অ্যাস্ট্রোবায়োলজিস্ট ফেলিশা উলফসিমন গবেষণা প্রতিবেদনে জানিয়েছিলেন, ক্যালিফোর্নিয়ার মোনো লেকে তারা এমন এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করেছেন, যা আর্সেনিকের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে। কিন্তু সম্প্রতি উলফসিমনের ওই দাবি ভুল প্রমাণ করেছেন বিজ্ঞানীদের দু’টি দল। মোনো লেকের ওই ব্যাকটেরিয়া বিষাক্ত আর্সেনিক নয়, বরং ফসফরাসের ওপর নির্ভর করেই বাঁচে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। খবর এবিসি নিউজের।

বিষাক্ত আর্সেনিকের ওপর নির্ভর করে জিএফএজে-১ ব্যাকটেরিয়া বেঁচে থাকতে পারে দাবি করে বিজ্ঞান জগতকে একরকম চমকে দিয়েছিলেন উলফসিমন। তার ওই দাবি সঠিক প্রমাণিত হলে প্রাণীজগতের জীবনধারণের অনেক দিক নিয়েই বিজ্ঞানীদের নতুন করে ভাবতে হতো। কিন্তু সম্প্রতি বিজ্ঞানীদের দু’টি দল মোনো লেকের ব্যাকটেরিয়ার ওপর বিষদ গবেষণায় আবিষ্কার করেছেন, আর্সেনিক নয় বরং ব্যাকটেরিয়াগুলো নির্ভর করছিলো ফসফরাসের ওপর।

এ ব্যাপারে জুরিখের মাইক্রোবায়োলজিস্ট টোবিয়াজ আরব জানান, ‘আমরা এটা নিশ্চিত করেছি যে, মোনো লেকের জিএফএজে-১ ব্যাকটেরিয়া আর্সেনিক নয় বরং ফসফরাসের ওপর নির্ভর করেই বাঁচে।’

২০১০ সালে উলফসিমনের প্রতিবেদনটি বিজ্ঞান জগতে একরকম বিস্ফোরণই ঘটিয়েছিলো। তার মতবাদের বিপক্ষেও কথা বলেছিলেন অনেক বিজ্ঞানী। নিজের মতবাদের পেছনে কোনো শক্ত প্রমাণ উলফসিমন দিতে পারেননি বলেছিলেন, কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ বৃটিশ কলম্বিয়ার বিজ্ঞানী রোজি রেডফিল্ড।

সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া বিজ্ঞানীদের গবেষণা প্রতিবেদন দু’টির একটির সহ-লেখক ছিলেন রোজি রেডফিল্ড। ওই প্রতিবেদনে রেডফিল্ড এবং তার সহকর্মীরা জানান, জিএফএজে-১’-এর ডিএনএতে খুব সামান্য পরিমাণে আর্সেনিকের উপস্থিতি থাকলেও, ব্যাকটেরিয়াগুলো জীবন ধারণের জন্য আর্সেনিকের ওপরই নির্ভরশীল, এমন কোনো প্রমাণ তারা পাননি।

তবে এতো সহজে নিজের গবেষণা যে ভুল, তা মেনে নিতে রাজি নন উলফসিমন। বিজ্ঞানীদের নতুন গবেষণা প্রতিবেদন দু’টিতে তার মতবাদ ভুল প্রমাণ করার মতো কোনো তথ্য নেই বলে এক ইমেইল বার্তায় দাবি করেছেন তিনি।



ম্যালওয়্যার সমস্যা সমাধান করবে ম্যাকাফি

ম্যালওয়্যার সমস্যা সমাধান করবে ম্যাকাফি

ম্যালওয়্যার সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এলো অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা ম্যাকাফি। সোমবার বিশ্বব্যাপী ২ লাখ ৭০ হাজার কম্পিউটার ইন্টারনেট সার্ভিস থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে ম্যালওয়্যারের আক্রমণে। ব্যবহারকারীদের এই দুর্ভোগ থেকে বাঁচাতে ফ্রি ডিএনএস চেকার পেইজ চালু করেছে ম্যাকাফি। খবর টেকট্রির।

ম্যালওয়্যারটির আক্রমণ থেকে ব্যবহারকারীদের রক্ষা করতে ফ্রি সার্ভিস চালু করেছে অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ম্যাকাফি। যেসব ব্যবহারকারী তাদের পিসিতে ম্যালওয়্যারটি আছে কি নেইএ বিষয়ে সন্ধিহান তাদের সহযোগিতা করতে ম্যাকাফি চালু করেছে একটি ফ্রি ডিএনএস চেকার পেইজ।

ম্যাকাফির ডিএনএস চেকার পেইজটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা জানতে পারবেন তাদের পিসিতে ওই ম্যালওয়্যারটি আছে নাকি নেই। আর ম্যালওয়্যারটি থাকলেও এটির কারণে বদলে যাওয়া ইন্টারনেট সেটিংসগুলো ঠিক করে দেবে ম্যাকাফির এই ফ্রি সার্ভিস।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে ম্যালওয়্যারটি ছড়ায় একদল আন্তর্জাতিক হ্যাকার। সারা বিশ্বে ৫ লাখেরও বেশি কম্পিউটার ম্যালওয়্যারটির আক্রমণের শিকার হয়। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর হস্তক্ষেপে অনেক ব্যবহারকারী ম্যালওয়্যারটির শিকার থেকে রক্ষা পেলেও, সোমবার এফবিআই ম্যালওয়্যারটির আক্রমণ থামাতে চালু করা সার্ভার দু’টি বন্ধ করে দিচ্ছে। এর ফলে যাদের কম্পিউটারে এখনও ম্যালওয়্যারটি রয়ে গেছে, এফবিআই সার্ভার বন্ধ হয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গেই ম্যালওয়্যার আক্রমণে ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারেন তারা।

হাত ঠাণ্ডা রাখবে সাইক্লোন মাউস

হাত ঠাণ্ডা রাখবে সাইক্লোন মাউস

প্রফেশনাল গেইমারদের জন্য চাপের মধ্যেও শান্ত থাকা খুবই জরুরি। এ কাজে গেইমারদের সাহায্য করতে থার্মালটেক তৈরি করেছে ব্ল্যাক এলিমেন্ট সাইক্লোন মাউস। মাউসটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফিচার হচ্ছে, এর ডিটাচেবল ফ্যান যা ঠাণ্ডা রাখবে গেইমারদের হাত। খবর গিজম্যাগ-এর।

ব্ল্যাক এলিমেন্ট সাইক্লোন মাউসটির ডিটাচেবল ফ্যানটি নিজেদের প্রয়োজনমতো লাগাতে বা খুলে রাখতে পারবেন গেইমাররা। মাত্র ৩০ মিলিমিটার আকারের ফ্যানটি ঘুরবে ৬০০০ আরপিএম গতিতে। এর পরও ২১.৭ ডিবি মাত্রার সামান্যই শব্দ তৈরি করে সাইক্লোনের ফ্যানটি, জানিয়েছে নির্মাতা থার্মালটেক।

তবে ডিটাচেবল ফ্যানটিই একমাত্র উল্লেখযোগ্য ফিচার নয় সাইক্লোনের। আরগোনমিক ডিজাইন আর ইজি গ্রিপ রাবার কোটিং ছাড়াও রয়েছে এর ওজন কমানো বাড়ানোর সুবিধা। গেইমার তার পছন্দমতো বাড়তি ওজন যোগ করতে পারবেন মাউসটিতে। চাইলে কমিয়েও ফেলতে পারবেন গেইমিং মাউসটির ওজন।

এছাড়াও ব্ল্যাক এলিমেন্ট সাইক্লোন মাউসে রয়েছে ৬,৫০০ ডিপিআই লেসার সেন্সর এবং নয়টি কাস্টোমাইজড ম্যাক্রো কি।

থার্মালটেক ব্ল্যাক এলিমেন্ট সাইক্লোন মাউসটি কবে বাজারে আসবে, বা এর দাম কতো হবে তা নিয়ে এখনও কোনো তথ্য দেয়নি থার্মালটেক।

ক্র্যাশ করলো বিবিসির ওয়েবসাইট

ক্র্যাশ করলো বিবিসির ওয়েবসাইট

বুধবার সন্ধায় ক্র্যাশ করেছিলো বৃটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (বিবিসি)-এর নিজস্ব ওয়েবসাইট। বিবিসি অনলাইনের মেইন পেইজ এবং নিউজ পেইজগুলো চালু হলেও এখনও বন্ধ রয়েছে আইপ্লেয়ার সার্ভিস। খবর অরেঞ্জ নিউজ-এর।

বিবিসির ওয়েবসাইটটি ক্র্যাশ করে গত বুধবার বৃটিশ সময় রাত ৮টার পর। এ সময় পাঠকরা বিবিসির অনলাইন পেইজগুলোতে ঢুকতে ব্যর্থ হন। এক ঘণ্টার মধ্যেই বিবিসির ইঞ্জিনিয়াররা বিবিসি ডট কো ডট ইউকে, বিবিসি নিউজ এবং টেক পেইজগুলো চালু করতে পারলেও ফ্রন্ট পেইজটি চালু করতে বেশ বেগ পেতে হয় ইঞ্জিনিয়ারদের।

এ ব্যাপারে বিবিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বুধবার সন্ধ্যায় ক্র্যাশ করেছিলো বিবিসি অনলাইন। তবে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পাঠকদের জন্য বেশিরভাগ পেইজ চালু করা সম্ভব হয়। আমরা ওয়েবসাইটটি যতো তাড়াতারি সম্ভব পুরোপুরি ঠিক করার চেষ্টা করছি এবং ক্র্যাশ করার কারণ তদন্ত করে দেখছি।’

বিবিসির ওয়েবসাইট ক্র্যাশ করার কথা এক টুইটার বার্তায় নিশ্চিত করেন বিবিসি নিউজ ওয়েবসাইটের সম্পাদক স্টিভ হারমান।

বিবিসি ওয়েবসাইটটি চালু হলেও এখনও চালু হয়নি আইপ্লেয়ার সার্ভিস। সার্ভিসটি যতো দ্রুত সম্ভব চালু করার জন্য ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করছেন বলেই জানিয়েছে বিবিসি কর্তৃপক্ষ।



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/জায়েদ/ওএস/এইচবি

অপরাধী চেনাবে মাইন্ড রিডিং হেলমেট

অপরাধী চেনাবে মাইন্ড রিডিং হেলমেট

মার্কিন টেকনোলজিকাল কোম্পানি ভেরিটাস সায়েন্টিফিক তৈরি করছে মাইন্ড রিডিং হেলমেট। ব্রেইন ওয়েভ মনিটর করে অপরাধ করার আগেই বিপজ্জনক ব্যক্তিকে শনাক্ত করাই মাইন্ড রিডিং হেলমেট তৈরির মূল উদ্দেশ্য। খবর গ্লোবাল ডেইলি ক্রনিকল-এর।

ভেরিটাস সায়েন্টিফিকের তৈরি মাইন্ড রিডিং হেলমেটটি দেখতে মোটরসাইকেল আরোহীর হেলমেটের মতোই হবে। আর হেলমেটটির ভেতরে থাকবে মেটাল ব্রাশ সেন্সর। হেলমেট পরা ব্যক্তির সামনে দেখানো হবে বিভিন্ন ছবি। হেলেমেটের সেন্সরগুলো ইলেকট্রোএনসেফালোগ্রাফ বা ইইজির মাধ্যমে ব্রেইন ওয়েভ মনিটর করে ডেটা সংগ্রহ করবে। আর ওই ডেটা বিশ্লেষণ করেই সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে ব্যক্তিটি বিপজ্জনক বা অপরাধপ্রবণ মানসিকতার কি-না।

আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর কাজ মাইন্ড রিডিং হেলমেট অনেকটাই সহজ করে দেবে বলে জানান, ভেরিটাস সায়েন্টিফিকের সিইও এরিক এলবট। তবে হাত ফসকে অপরাধীদের হাতে এই প্রযুক্তিটি পৌঁছে গেলে অথবা প্রযুক্তিটির ব্যবহার কতিপয় মানুষের হাতে সীমাবদ্ধ হলে হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে সতর্ক করেছেন এলবট।

রবিবার, ৮ জুলাই, ২০১২

৬২০ কোটি ডলারের হোঁচট খেলো মাইক্রোসফট

৬২০ কোটি ডলারের হোঁচট খেলো মাইক্রোসফট

মাইক্রোসফটের অনলাইন অ্যাডভাটাইজিং সার্ভিস, একুয়ানটিভ এ বছর পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণ আয় করতে না পারায় ৬২০ কোটি ডলার গচ্চা দিলো এই সফটওয়্যার জায়ান্ট। মাইক্রোসফট পাঁচ বছর আগে একুয়ানটিভ কিনে নিয়েছিলো ৬৩০ কোটি ডলারে। খবর অরেঞ্জ নিউজ-এর।

আগেই ধারণা করা হয়েছিল, ২০১১-২০১২ অর্থ বছরে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে মাইক্রোসফট। কোম্পানিটি প্রাথমিকভাবে তাদের লসের জন্য একুয়ানটিভ-এর হতাশাজনক পারফরমেন্সকেই দায়ী করছে। পাঁচ বছর আগে একুয়ানটিভ-ই ছিলো মাইক্রোসফটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ক্রয়। তারা গত বছর ৮৫০ কোটি ডলারে স্কাইপ কিনে সেই রেকর্ড ভেঙ্গেছে।

মাইক্রোসফটের অনলাইন ডিভিশনের হিসাবে, একুয়ানটিভ কেনার পর এখন পর্যন্ত মাইক্রোসফট প্রায় ৯০০ কোটি ডলার লস করেছে।

ফেকটসেটের বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, এতো কিছুর পরেও মাইক্রোসফট এই অর্থবছরের শেষ ভাগে, ৫৩০ কোটি ডলার আয় করবে। ১৯ জুলাই মাইক্রোসফটের শেষ তিন মাসের আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করার কথা রয়েছে।

অ্যাপল নিয়ে আসছে আইপ্যাড মিনি

অ্যাপল নিয়ে আসছে আইপ্যাড মিনি

যেখানে অ্যাপলের অরিজিনাল আইপ্যাড ছিল সবচেয়ে দীর্ঘতম গুজবের বিষয়। সেই স্থানটি হয়তো অ্যাপলের ৭ ইঞ্চি মিনি আইপ্যাড দখল করবে। ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী অ্যাপল তাদের ছোট এই ট্যাবলেট পিসিটি অক্টোবরের মধ্যে বাজারে আনবে। খবর এবিসি নিউজ-এর।

ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ছোট সাইজের এই আইপ্যাডটির ডিসপ্লে হবে আড়াআড়িভাবে ৭ ইঞ্চি থেকে ৮ ইঞ্চি। তবে এতে নতুন আইপ্যাডের মতো রেটিনা ডিসপ্লে থাকবে না এবং এর দাম আইপ্যাডের চেয়ে কম হবে।

৭ ইঞ্চি মাপের ট্যাবলেটের সাইজটি অ্যামাজন এবং বার্নস অ্যান্ড নোবেলের মতো অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট নির্মাণকারীর কাছে জনপ্রিয়। গত সপ্তাহে গুগল তাদের ৭ ইঞ্চি নেক্সাস সেভেন ট্যাবলেট রিলিজ করেছে। স্ক্রিন অ্যাগ্রি অ্যান্ড লিঞ্চ-এর গবেষক শ’ উ বলেছেন ‘আইপ্যাড মিনি’ প্রতিদ্ব›দ্বীদের জন্য একটি দুঃস্বপ্ন হতে পারে।

রোববার আংশিক ক্র্যাশ করতে পারে ইন্টারনেট

রোববার আংশিক ক্র্যাশ করতে পারে ইন্টারনেট

সোমবার ম্যালওয়্যার আক্রমণে বিশ্বব্যাপী ক্র্যাশ করতে পারে হাজারো ইন্টারনেট সার্ভিস। ইতোমধ্যেই এই সম্ভাব্য ম্যালওয়্যার আক্রমণের বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে ফেইসবুক এবং গুগলের মাধ্যমে। এমনকি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এই ম্যালওয়্যার আক্রমণ প্রতিরোধে তৈরি করেছে একটি বিশেষ ওয়েবসাইট। খবর ফক্স নিউজ-এর।

যেসব ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে ওই ম্যালওয়্যারটির সংক্রমণ হয়েছে, সোমবার মধ্যরাত থেকে (বাংলাদেশ সময় রোববার সকাল ১০টা) ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না তারা। পুনরায় ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চাইলে তাদের যোগাযোগ করতে হবে তাদের সার্ভিস প্রোভাইডারের সঙ্গে এবং ডিলিট করতে হবে ম্যালওয়্যারটি, তবেই আবার ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন তারা।

ম্যালওয়্যারটির আক্রমণ শুরু হয় প্রায় বছরখানের আগে। একদল আন্তর্জাতিক হ্যাকার এক মিথ্যা অনলাইন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই ম্যালওয়্যারটি ছড়িয়ে দেয়। ফলে বিশ্বব্যাপী ৫ লাখ ৭০ হাজার কম্পিউটার শিকার হয়ছিলো ওই ম্যালওয়্যার আক্রমণের।

২০১১ সালের শেষ দিকে হ্যাকারদের বিরুদ্ধে মাঠে নামে এফবিআই। কিন্তু ম্যালওয়্যার ছড়ানো সার্ভারগুলো বন্ধ করে দিলে ব্যবহারকারীদের কম্পিউটারে ইন্টারনেট সার্ভিস বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। এ জন্য একটি প্রাইভেট কোম্পানির সাহায্য নিয়ে দু’টি সার্ভার চালু করেছিলো এফবিআই, যেন ব্যবহারকারীরা তাদের ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন।

সোমবার ১২টা ১ মিনিটে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে এফবিআই চালিত ওই সার্ভার দুটি। আর সার্ভার দু’টি বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গেই ইন্টারনেট সার্ভিস বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে ম্যালওয়্যার আক্রান্ত পিসিগুলোর। এখনও বিশ্বব্যাপী ২ লাখ ৭৭ হাজার কম্পিউটারে এই ম্যালওয়্যারটির অস্তিত্ত্ব থাকতে পারে। এর মধ্যে ৬৪ হাজার কম্পিউটার রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।

গুগল এবং সোশাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট ফেইসবুক ইতোমধ্যেই ম্যালওয়ারটির বিষয়ে সাবধান করে দিয়েছে। ম্যালওয়ারটি পিসির ইন্টারনেট ব্যবহারের গতি কমিয়ে দেয় এবং পিসির অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি নিষ্ক্রিয় করে দেয়, যার ফলে বিশেষ ওই ম্যালওয়্যারটি ছাড়াও অন্যান্য ভাইরাস আক্রমণের শিকার হতে পারে ব্যবহারকারীর পিসি।

সবুজ সংকেত পেলো গোল-লাইন টেকনোলজি

সবুজ সংকেত পেলো গোল-লাইন টেকনোলজি

ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (ওঋঅই)-এর সমর্থন পেয়েছে ফুটবল খেলার গোলা লাইন প্রযুক্তি। ফিফার কাছ থেকেও সবুজ সংকেত পেয়েছে হক-আই এবং গোলরিফ নামের দু’টি গোল লাইন প্রযুক্তি। ২০১২-১৩ প্রিমিয়ার লিগ দিয়েই ফুটবল মাঠে অভিষেক হতে পারে নতুন এই প্রযুক্তির। খবর বিসিসির।

২০১২-১৩ মৌসুমে বৃটিশ প্রিমিয়ার লিগ ছাড়াও এই ডিসেম্বরেই ফিফার ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপে ব্যবহার করা হবে এই প্রযুক্তি। সফল হলে এর পর ২০১৩ সালের কনফেডারেন্স কাপ এবং ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলেও ব্যবহার করা হবে এই প্রযুক্তি।

হক-আই:
ফিফার অনুমোদন পাওয়া হক-আই সিস্টেমসটিতে রয়েছে ছয়টি ক্যামেরা যা ফুটবলটিকে মনিটর করবে এবং ট্রায়াঙ্গুলেশন সিস্টেম ব্যবহার করে বলটির অবস্থান নিশ্চিত করবে। ফুটবলটি গোল লাইন অতিক্রম করলেই একটি এনক্রিপ্টেড রেডিও সিগনাল পৌঁছে যাবে রেফারির হাত ঘড়িতে। পুরো ব্যাপারটি ১ সেকেন্ডেরও কম সময়ে হয়।

গোলরিফ:
গোলরিফ প্রযুক্তিতে ফুটবলটিতে একটি মাইক্রোচিপ দেয়া থাকে এবং বলটির চারপাশের চৌম্বক ক্ষেত্রকে মনিটর করা হয়। ফুটবলটি গোল লাইন অতিক্রম করলেই চারপাশের চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তন মনিটর করে এবং এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে রেফারিকে জানিয়ে দেয় গোল হয়েছে কি না।

এদিকে মাঠে গোল লাইন টেকনোলজির অভিষেক হতে পারে প্রিমিয়ার লিগ দিয়েই। এ ব্যাপারে প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অনেকদিন ধরেই প্রিমিয়ার লিগ গোল লাইন টেকনোলজির সমর্থন করে আসছে। যত দ্রুত সম্ভব মাঠে এই প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে।’



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/জায়েদ/ওএস/এইচবি

শুক্রবার, ৬ জুলাই, ২০১২

হতাশা ও উদ্বেগের পেছনে শৈশবের শাস্তি’

শৈশবে ধাক্কা, থাপ্পর বা আঘাত পাওয়া শিশুদের মধ্যে পরবর্তীতে হতাশা, উদ্বেগ ও ব্যক্তিত্বের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সম্প্রতি কানাডার একদল গবেষকের পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। পেডিয়াট্রিকস সাময়িকীতে এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।

২০০৪-২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জরিপের জন্য নেওয়া ৩৫ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির সাক্ষাতকারের তথ্যের ভিত্তিতে নতুন এ গবেষণা করা হয়েছে।

শিশু বয়সে কতবার শারীরিক শাস্তি পেয়েছে, পিতামাতার মাদক বিষয়ক বা কারাগারে যাওয়ার মতো পরিবারের অন্য কোনো সমস্যা ছিলো কিনা এবং বর্তমান বা অতীতের মানসিক সমস্যার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের।

অংশগ্রহণকারীদের ছয় শতাংশ জানায়, তাদের ‘মাঝে মাঝে’, ‘মোটামুটি প্রায়ই’ অথবা ‘প্রায়ই’ শারীরিক শাস্তি দেওয়া হত। আর এদেরই মানসিক সমস্যা অথবা মাদক ও মদ ব্যবহারের সঙ্গে বেশি সংশ্লিষ্টতা লক্ষ করা গেছে।

উদাহরণস্বরূপ, শারীরিক শাস্তি পাওয়ার কথা স্মরণ করতে পেরেছে এমন মানুষের ২০ শতাংশ মনোবল হারিয়েছে এবং ৪৩ শতাংশ মাদক গ্রহণ করেছে। অপরদিকে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে শারীরিক শাস্তি পায় নি অথচ মনোবল হারিয়েছে এমন ব্যক্তির সংখ্যা ১৬ শতাংশ ও অতিরিক্ত মদ্যপানকারীর সংখ্যা ৩০ শতাংশ।

এসব সংযোগ বের করার ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারীদের পারিবারিক সমস্যা, গোত্র, আয় ও শিক্ষাগত যোগ্যতাও বিবেচনা করেছেন গবেষকরা।

প্রধান গবেষক মানিটোবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেসি আফিফি ও তার দল জানায়, শারীরিক শাস্তির কারণে শিশুদের দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপের সৃষ্টি হতে পারে যা থেকে পরবর্তীতে হতাশা বা উদ্বেগের সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

গবেষকদের এ ধরনের ফলাফলে সমর্থন জানিয়েছেন মনস্তত্ববিদ ও টোলেডো কলেজ অব মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়ুথ ভায়োলেন্সের শিক্ষক মিশেল নক্স।

তবে শুধু শাস্তির কারণেই যে শিশুদের মানসিক বৈকল্য ঘটে তা মনে করেন না তিনি।

নক্স বলেন, সাক্ষাতকারদাতারা হয়ত জানেন না তাদের পিতামাতার মানসিক অসুস্থতার কোনো ধরনের চিকিৎসা হয়েছে কিনা। আর হতাশা ও উদ্বেগ অনেকটা বংশানুক্রমিকভাবেই চলে আসে।

উইন্ডোজ ৮-এর বিস্তারিত জানালো মাইক্রোসফট


উইন্ডোজ ৮-এর বিস্তারিত জানালো মাইক্রোসফট



সম্প্রতি মাইক্রোসফট প্রথমবারের মতো তাদের পরবর্তী অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৮ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এই সংস্করণকে ‘উইন্ডোজ ৮’ বলেই ডাকা হবে বলেও জানিয়েছে মাইক্রোসফট। খবর ম্যাশএবল-এর।


সূত্রমতে, উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমটি ৩২ ও ৬৪ বিট দু’ধরনের হার্ডওয়ারেই চলবে। তবে প্রধানত চার ধরনের উইন্ডোজ ৮ বাজারজাত করা হবে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।


‘রেগুলার উইন্ডোজ ৮’ থাকছে একেবারেই সাধারণ কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য। এতে কম্পিউটিংয়ের দৈনন্দিন যাবতীয় কাজ করা যাবে।


‘উইন্ডোজ ৮ প্রো’ থাকছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ডেভেলপার এবং প্রযুক্তিমনস্ক মানুষের জন্য। এতে অ্যাডভান্সড কিছু সুবিধা যেমন ফাইল এনক্রিপ্ট করা, ভার্চুয়াল হার্ড ড্রাইভ থেকে বুট করা ইত্যাদি থাকছে। এছাড়াও মিডিয়া সেন্টার পিসিতে ব্যবহারের জন্য উইন্ডোজ ৮ প্রো এবং মিডিয়া প্যাক অ্যাড-অনের প্রয়োজন পড়বে যা সাধারণ উইন্ডোজ ৮-এ দেয়া থাকবে না বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।


‘উইন্ডোজ ৮ আরটি’ ট্যাবলেট ডিভাইসে চালানোর উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। আরটি বলতে কী বোঝানো হচ্ছে সে ব্যাপারে মাইক্রোসফট পরিষ্কার কিছু না জানালেও ম্যাশএবল ধারণা করছে ‘রান-টাইম’ বোঝাতেই আরটি যোগ করা হয়েছে। তবে এআরএম চিপের জন্য তৈরি এই উইন্ডোজের সংস্করণ আলাদা কিনতে পাওয়া যাবে না। সংশ্লিষ্ট ট্যাবলেট ডিভাইসেই জুড়ে দেয়া থাকবে উইন্ডোজ ৮ আরটি। সেই সঙ্গে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট এবং ওয়াননোটের বিনামূল্যের একটি সংস্করণও প্রি-ইনস্টলড থাকবে উইন্ডোজ ৮ আরটি-চালিত ট্যাবলেট ডিভাইসে।


এই তিনটি ছাড়াও আরও বড় কাজের জন্য ‘উইন্ডোজ ৮ এন্টারপ্রাইজ’ সংস্করণ রয়েছে বলেও জানিয়েছে মাইক্রোসফট। এতে উইন্ডোজ ৮ প্রো-এর সব সুবিধার পাশাপাশি আইটি প্রফেশনালদের জন্য বাড়তি কিছু সুবিধাও যোগ করা থাকবে; যেন একাধিক কম্পিউটার বা নেটওয়ার্কিং আরও সহজে করা যায়। এছাড়াও চীনসহ বেশ কিছু দেশের জন্য স্থানীয় ভাষাতেও একটি লোকাল-ল্যাঙ্গুয়েজ সমৃদ্ধ উইন্ডোজ ৮ বাজারে ছাড়বে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উইন্ডোজ ৮-এর নতুন এই পরিকল্পনার মাধ্যমে বাজারকে আরও বড় করে তুলছে মাইক্রোসফট। একইসঙ্গে যার যে কাজে কম্পিউটার প্রয়োজন, তাকে অপারেটিং সিস্টেমের ঠিক সেই সংস্করণ (রেগুলার, প্রো, আরটি অথবা এন্টারপ্রাইজ) ব্যবহার করতে বাধ্য করাও মাইক্রোসফটের পরিকল্পনার অংশবিশেষ বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন।

তবে কবে নাগাদ সার্বিকভাবে প্রস্তুত উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেম বাজারে আসবে, সে সম্পর্কে এখনো কিছু জানায়নি মাইক্রোসফট।

অনুমোদন পেল গোল-লাইন প্রযুক্তি

 গোল-লাইন প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নীতি-নির্ধারকরা। এর ফলে বিষয়টি নিয়ে প্রায় এক দশক ধরে চলা বিতর্কের অবসান হলো।

জুরিখে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে বল গোল-লাইন অতিক্রম করেছে কিনা সেটা নির্ধারণের জন্য দুইটি আলাদা প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (আইএফএবি)। যার একটি হচ্ছে হক-আই (যেটা টেনিস ও ক্রিকেটে ব্যবহার করা হয়), অন্যটি গোলরেফ।

ফিফার সেক্রেটারি জেনারেল জেরোম ভালকে জানিয়েছেন, ব্রাজিলে ২০১৪ বিশ্বকাপে গোল-লাইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।

ভালকে বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই প্রযুক্তিটি ডিসেম্বরে টোকিওতে অনুষ্ঠেয় ক্লাব বিশ্বকাপে, ২০১৩ সালের কনফেডারেশন কাপে এবং ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ব্যবহার করা হবে।”

গত কয়েক বছর ধরে গোল-লাইন প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে ফুটবলের নীতি-নির্ধারক কমিটির ওপর চাপ বাড়তে থাকে। বিশেষ করে ২০১০ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে জার্মানির বিপক্ষে ইংল্যান্ডের স্ট্রাইকার ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের গোলটি রেফারি বাতিল করে দিলেও পরে টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা যায় বল গোল-লাইন অতিক্রম করেছিলো।

যদিও ওই সময়ে গোল-লাইন প্রযুক্তির বিপক্ষেই ছিলো ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা। কিন্তু সদ্যসমাপ্ত ইউরো ২০১২ এ গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গোল বঞ্চিত হয় ইউক্রেন।

ওই ম্যাচের পর ফিফা সভাপতি সেপ ব্ল্যাটার এক টুইটার বার্তায় জানিয়েছিলেন, “আজ রাতের পর গোল-লাইন প্রযুক্তি আর প্রয়োজন নয় বরং আবশ্যিক হয়ে গেছে।”

তবে ফিফা গোল-লাইন প্রযুক্তির পক্ষে অবস্থান নিলেও এখনো এর বিপক্ষে উয়েফা। উয়েফা সভাপতি মিশেল প্লাতিনি মনে করেন, এর ফলে ফুটবলে আরো বেশি প্রযুক্তি ব্যবহারের পথ উম্মোচিত হয়ে যাবে।

গোল-লাইন প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি একম্যাচে ৫ জন রেফারি ব্যবহারেরও অনুমতি দিয়েছে আইএফএবি। চ্যাম্পিয়নস লিগে এবং ইউরো ২০১২ এ পরীক্ষামূলকভাবে ৫ রেফারি ব্যবহার করা হয়েছিলো।

এ ছাড়াও এখন থেকে মহিলা ফুটবলাররা চাইলে মাথায় স্কার্ফ বেঁধে খেলতে পারবেন।

FSS blog

FSS TSTL Photo Gallery

FSS TSTL Photo Gallery
Pictures

I like it

  • Bangla Song
  • Love
  • Move

what is love?

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

লেবেল

লেবেল

ভূমি (1) sex (6)

Wikipedia

সার্চ ফলাফল