বুধবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২০

অস্ট্রেলিয়ার গবেষণাগারে তৈরি হলো করোনাভাইরাস

অস্ট্রেলিয়ার গবেষণাগারে তৈরি হলো করোনাভাইরাস


অস্ট্রেলিয়ার গবেষণাগারে তৈরি হলো করোনাভাইরাস
ফাইল ছবি

চীনে মহামারী রূপ নিয়েছে করোনোভাইরাস। মরণঘাতী এই ভাইরাসে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৩২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে পড়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও। ফলে বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তবে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে প্রথমবারের মত গবেষণাগারে করোনাভাইরাস তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন দেশটির বিজ্ঞানীরা। চীনের বাইরে প্রথম কোনো দেশ এ ভাইরাস আবিষ্কার করল। যা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন আবিষ্কারে এক ‘যুগান্তকারী পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের পথে এটি একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। এ গবেষণা থেকে পাওয়া ফল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণাগারে পাঠানো হবে।
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বিশেষজ্ঞ ল্যাবের গবেষকরা বলেছেন, সংক্রামিত রোগীর কাছ থেকে ভাইরাসটির অনুলিপি নিয়ে ভাইরাসটি আবিষ্কার করতে পেরেছেন। গত শুক্রবার তাদের কাছে এ নমুনা পাঠানো হয়েছিল।
ডা. মাইক ক্যাটন বলেছেন, ‘আমরা বহু বছর ধরে এ জাতীয় একটি ঘটনার জন্য পরিকল্পনা করে আসছি এবং সে কারণেই আমরা এতো দ্রুত উত্তর পেতে সক্ষম হয়েছি।’


করোনাভাইরাস নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য, শক্তিশালী জীবাণু অস্ত্র বানাতে গিয়ে ছড়িয়ে পড়ে এটি

করোনাভাইরাস নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য, শক্তিশালী জীবাণু অস্ত্র বানাতে গিয়ে ছড়িয়ে পড়ে এটি

করোনাভাইরাস নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য, শক্তিশালী জীবাণু অস্ত্র বানাতে গিয়ে ছড়িয়ে পড়ে এটি!

মরণঘাতী করোনাভাইরাস নিয়ে এবার সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। শক্তিশালী জীবাণু অস্ত্র তৈরি করতে গিয়ে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলের জীবাণু অস্ত্রের বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলেছেন, এই ভাইরাসের জন্মদাতা উহানের জৈব রাসায়নিক মারণাস্ত্র তৈরির কারখানা বায়ো-সেফটি লেভেল ৪ ল্যাবোরেটরি।
শোনা যাচ্ছে, অসাবধানতাবশত এই গবেষণাগার থেকেই ছড়িয়েছে ভাইরাসের সংক্রমণ। আসলে জৈব রাসায়নিক অস্ত্রের উপর গবেষণা করতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। 
ইসরায়েলের সেনা গোয়েন্দাদের উদ্ধৃত করে মার্কিন সিসিএন-সহ ইসরায়েলের একাধিক ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর ব‌্যাপক আধুনিকীকরণ, ছাঁটাই প্রক্রিয়া ও প্রযুক্তিগত মানোন্নয়ন করছে চীন। চলছে জীবাণু অস্ত্র ও রাসায়নিক অস্ত্র নিয়েও গবেষণা। এরই অংশ হিসেবে সার্স জাতীয় ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছে চীনের সামরিক বাহিনীর গবেষণাগার।
ইসরায়েলের দাবি, বিশ্বের সব দেশকে জব্দ করতে, চাপে রাখতে সবচেয়ে শক্তিশালী জীবাণু অস্ত্র বানাচ্ছে চীন। এজন‌্যই জিনগত অভিযোজন ঘটিয়ে করোনাভাইরাসের মতো অনেক ভাইরাস তৈরি করছেন চীনের সামরিক বাহিনীর গবেষকরা।
ইসরায়েলি সেনা গোয়েন্দা দফতরের প্রাক্তন প্রধান লেফটেন্যান্ট ড্যানি শোহাম জানিয়েছেন, ‘বায়ো-ওয়ারফেয়ার বা জীবাণু যুদ্ধের জন্য তৈরি হচ্ছে চীন। জিনের কারসাজিতে এমন ভাইরাস তৈরি করা হচ্ছে, যা মিসাইল, ড্রোন, বোমা বা সামান‌্য একটি পেন অথবা ঘড়ির মধ্যে দিয়েই ছড়িয়ে দেওয়া যায় শত্রুর ভূখণ্ডে। সেই ভাইরাসের দাপটে ২৫ দিনের মধ্যেই মৃত্যুমিছিলে উজাড় হয়ে যেতে পারে একটি বড় শহর বা একটি জেলা।’
তবে মার্কিন সংবাদমাধ‌্যম ও ইসরায়েলের গোয়েন্দাদের দাবি ভিত্তিহীন জল্পনা বলে উড়িয়ে দিয়েছে চীন। কিন্তু ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে কোনও টিকা, ওষুধ বা ইঞ্জেকশন কাজ না করায় সন্দেহ তীর রয়েছে চীনা গবেষণাগারের উপরেই। 
উল্লেখ্য, এরই মধ্যে চীনের উহান প্রদেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে প্রাণ গেছে অন্তত ১৩২ জনের। আক্রান্ত হয়েছেন ছয় হাজারের বেশি মানুষ। ভাইরাসটি ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট, থাইল্যান্ড, নেপাল, সিঙ্গাপুরসহ ১৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সূত্র: সিসিএন

এবার করোনাভাইরাসের হানা আরব আমিরাতে

এবার করোনাভাইরাসের হানা আরব আমিরাতে

এবার করোনাভাইরাসের হানা আরব আমিরাতে

বিশ্বজুড়ে এখন আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনাভাইরাস। চীন থেকে দ্রুতগতিতে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
এরই মধ্যে অন্তত ১৮টি দেশে মরণঘাতী এই ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। ১৯তম দেশ হিসেবে এবার সেই তালিকায় নাম লেখাল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। 
দেশটিতে চীনের উহান থেকে ফেরা একটি পরিবারের সদস্যদের শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া গেছে।
বুধবার আমিরাতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
মরণঘাতী এই ভাইরাসে চীনে এখন পর্যন্ত ১৩২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ছয় হাজারের বেশি মানুষ।

করোনাভাইরাস: উহান থেকে বিদেশিদের সরিয়ে নেওয়া শুরু


করোনাভাইরাস: উহান থেকে বিদেশিদের সরিয়ে নেওয়া শুরু

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু চীনের উহান শহর থেকে শত শত বিদেশি নাগরিকে সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে।
প্রতিনিয়তই চীনে এই ভাইরাসের সংক্রমণে প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ছে এবং আরও সংক্রমণের খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অস্ট্রেলিয়া পরিকল্পনা করেছে যে, চীন থেকে ফেরত আসা তাদের ৬০০ নাগরিককে মূল ভূখণ্ডে নেওয়ার আগে সতর্কতা হিসেবে দুই সপ্তাহের জন্য ক্রিসমাস আইল্যান্ডে রাখবে। যা মূল ভূখণ্ড থেকে ২ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপও তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়া শুরু করেছে।
প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ভাইরাসটিকে “ডেভিল বা খুবই খারাপ প্রকৃতির” বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন যে চীন এটাকে পরাজিত করবে।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের-এনএইচসি এক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, প্রাদুর্ভাবটি শীর্ষে উঠতে আরো ১০ দিনের মতো সময় লাগতে পারে।
বুধবার এনএইচসি বলেছে, চীনে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩২ জনে দাঁড়িয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে যে, হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানের সি ফুড মার্কেটে অবৈধ বন্যপ্রাণী বাণিজ্য থেকে এই ভাইরাসটি ছড়িয়েছে।
এই ভাইরাসের কারণে শ্বাসযন্ত্রের গুরুতর ও তীব্র সংক্রমণ হয় যার কোন নির্দিষ্ট নিরাময় বা প্রতিষেধক নেই।
এরইমধ্যে স্টারবাকস চীনে তাদের অর্ধেকেরও বেশি আউটলেট বন্ধ করেছে, এছাড়া অর্থনৈতিক প্রভাবও মারাত্মক হতে শুরু করেছে।
কাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে?
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, তার দেশের নাগরিকদের দুই সপ্তাহের জন্য ক্রিসমাস আইল্যান্ডে রাখা হবে।
এই ঘোষণার পর সমালোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে কারণ এই দ্বীপটি অভিবাসন প্রত্যাশীদের বন্দী শিবির হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই শিবিরগুলোর বেহাল দশা এবং এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
বর্তমানে সেখানে চার সদস্যের একটি শ্রীলঙ্কান পরিবার রয়েছে। কিন্তু প্রায় এক হাজার মানুষকে ধারণ করার জন্য এটি তৈরি করা হয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের পাশাপাশি নিজেদের ৫৩ জন নাগরিককে ফিরিয়ে আনতে ক্যানবেরার সাথে একযোগে কাজ করবে নিউজিল্যান্ড।
প্রায় ২০০ জন জাপানি নাগরিক উহান থেকে বিমানে করে টোকিওর হানেডা বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।
আরও ৬৫০ জন জাপানি বলেছে যে তারা ফিরে যেতে চান এবং দেশটির সরকার বলেছে যে তারা আরো ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা করছে।
জাপানের গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, ফিরে আসা নাগরিকদের মধ্যে অনেকে জ্বর এবং কাশিতে ভুগছেন। তবে উপসর্গ দেখা না দিলেও ফিরে আসা সবাইকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।
বাড়ি ফিরে যাওয়ার আগে তাদেরকে একটি নিয়ন্ত্রিত ওয়ার্ডে রেখে পরীক্ষা করা হবে এবং এগুলোর ফল না আসা পর্যন্ত তাদের বাড়ি থেকে বের না হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হবে।
বুধবার, যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি কিছু মার্কিন নাগরিকও উহান শহর ছেড়ে গেছে।
সিএনএন’র তথ্য মতে, তাদেরকে কম পক্ষে দুই সপ্তাহ ধরে বিমান বন্দরের হ্যাঙ্গারে তৈরি করা বিশেষ ব্যবস্থায় থাকতে হবে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দফতরও তাদের প্রায় ২০০ নাগরিককে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছে যারা ফিরে আসতে চান। কিন্তু কিছু কিছু ব্রিটিশ নাগরিক কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে অভিযোগ তুলেছেন যে, তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
আলাদাভাবে, দুটি বিমান ইউরোপের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার কথা রয়েছে, এরমধ্যে প্রথম ফ্লাইটে ২৫০ জন ফরাসি নাগরিক চীন ছাড়বেন।
দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে চারটি ফ্লাইটে তাদের ৭০০ নাগরিককে ফিরিয়ে নেয়া হবে।
কিন্তু তাদেরকে আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি, কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, সংক্রমণের শিকার নাগরিকদের সব খরচ সরকার বহন করবে। এ পর্যন্ত, দেশটিতে চার জন আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এরইমধ্যে, হংকং চীনের মূল ভূখণ্ডের সাথে আন্তঃসীমান্ত ভ্রমণ বন্ধের পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে।
উহানের সাথে সাথে পুরো হুবেই প্রদেশই যানবাহন চলাচলের দিক থেকে অচল হয়েছে পড়েছে। সূত্র: বিবিসি

বেপরোয়া করোনাভাইরাস: সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে ব্যাংকক

বেপরোয়া করোনাভাইরাস: সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে ব্যাংকক


বেপরোয়া করোনাভাইরাস: সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে ব্যাংকক

ভয়াবহ রূপ নিয়েছে চীনের করোনাভাইরাস। ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এরই মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে প্রাণ গেছে অন্তত ১৩২ জনের। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ছয় হাজার মানুষ। তবে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক। কারণ দেশটিতে অনেক বেশি চীনা নাগরিক ভ্রমণ করেন। 
বিজ্ঞানীরা বলছেন, লস অ্যাঞ্জেলস, নিউ ইয়র্ক এবং লন্ডনও ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে সবচেয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে ব্যাংকক।
এ ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, চীন থেকে ঘাতক করোনাভাইরাসের ঝুঁকি ব্যাংককে সবচেয়ে বেশি। কারণ চীন থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ ব্যাংককে যাওয়া-আসা করে।
ইউনিভার্সিটি অব সাউথাম্পটনের শিক্ষাবিদরা বুধবার ভ্রমণের বিষয়ে একটি তথ্য প্রকাশ করে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। ওই ভ্রমণ তথ্য অনুযায়ী কোন কোন দেশ করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ঝুঁকিতে রয়েছে সে বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, লস অ্যাঞ্জেলস এবং নিউ ইয়র্ক এ তালিকায় ২০তম স্থানে রয়েছে। গবেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে লন্ডন। তালিকায় প্যারিসের অবস্থান ২৭ এবং ফ্রাঙ্কফুট ৩০। ইতোমধ্যে ফ্রান্স এবং জার্মানিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যে পাঁচজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে কারো এ ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি।
ব্যাংককের ইউনিভার্সিটি ওয়ার্ল্ডপপ টিম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, থাইল্যান্ড সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে। 

উহানের রাসায়নিক অস্ত্রের কারখানা থেকে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস!

উহানের রাসায়নিক অস্ত্রের কারখানা থেকে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস!

উহানের রাসায়নিক অস্ত্রের কারখানা থেকে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস!

ইসরায়েলি সেনা-গোয়েন্দা এবং মাইক্রোবায়োলজিস্টদের মতে রহস্যময় নোভেল করোনাভাইরাসের জন্মদাতা উহানের জৈব রাসায়নিক মারণাস্ত্র তৈরির কারখানা বায়ো-সেফটি লেভেল-৪ (বিএসএল-৪) ল্যাবরেটরি।
১০ বছর ধরে নির্মিত এ কারখানাটি ২০১৮ কার্যক্রম শুরু করে চীন। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, অসাবধানতাবশত এই গবেষণাগার থেকেই ছড়িয়েছে ভাইরাসের সংক্রমণ।
এদিকে প্রশ্ন উঠেছে সত্যিই কি ল্যাবরেটরি থেকে অসতর্কতাবশত ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনা। ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে কি নিজেদের শক্তি জাহির করতে চাইছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি? সম্প্রতি এক রিপোর্টে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছে মার্কিন প্রভাবশালী দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট। 
তাদের দাবি, সিঙ্গল-স্ট্র্যান্ডেড এই আরএনএ ভাইরাসকে তৈরি করা হয়েছে মারণাস্ত্র হিসেবেই। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের ছোবলে শত শত প্রাণনাশ করা সম্ভব। উহান ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজির বিএসএল-৪ ল্যাবরেটরিতে অতি গোপনে এই জৈব রাসায়নিক মারণাস্ত্র তৈরির কাজ চলছিল দীর্ঘ সময় ধরেই। হয় সেখান থেকেই ভাইরাস কোনোও ভাবে বাইরে চলে গেছে অথবা ইচ্ছাকৃতভাবেই সংক্রমণ ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) নানাবিধ অপকর্ম বিষয়ক গবেষক মাইলস গুয়ো ভারতীয় দৈনিক জিনিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ভাইরাস যে দুর্ঘটনাক্রমে কারখানা থেকেই ছড়িয়েছে পরিস্থিতি শান্ত হলেই তা স্বীকার করবে সিসিপি। সরকারের সবুজসংকেত পেলেই এ ঘোষণা দেবে দল। দুর্ঘটনার পরপরই গোপনে কারখানা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং কিশান।
২৫ জানুয়ারির ওই সাক্ষাৎকারে গুয়ো আরও বলেন, ‘সংক্রমণ ফেব্রুয়ারিতে চূড়ান্ত আকার ধারণ করবে এবং ফেব্রুয়ারিতেই শেষ হবে- কারখানা ঘুরে এসে নিজের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে সে কথাই বলেছিলেন কিশান।’
জানা গেছে, ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজিতে এই ল্যাবরেটরির জন্যই রয়েছে আলাদা উইং, যার বাইরের পরিবেশের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। তবে সার্স ও ইবোলা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার পরে অভিযোগের আঙুল ওঠে এই গবেষণাগারের দিকেই। বলা হয়, রোগ প্রতিরোধ নয়, বরং প্রাণঘাতী জৈব অস্ত্র বানাতেই মত্ত গবেষকরা। যারই পরিণতি হাজার হাজার মৃত্যু।

করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় রাতারাতি হাসপাতাল বানিয়ে ফেলল চীন (ভিডিও)

করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় রাতারাতি হাসপাতাল বানিয়ে ফেলল চীন (ভিডিও)

করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় রাতারাতি হাসপাতাল বানিয়ে ফেলল চীন (ভিডিও)
চীনে বেড়েই চলেছে মরণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপ। এরই মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে প্রাণ গেছে অন্তত ১৩২ জনের। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ছয় হাজার মানুষ। এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির ন্যাশনাল হেল্থ কমিশন।
এদিকে, করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় আগেই হাসপাতাল নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিল চীন। সে অনুযায়ী রাতারাতি হাসপাতাল তৈরির কাজও শেষ করে ফেলেছে তারা। একটি খালি ভবনে দুই দিন টানা কাজ করে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট একটি মেডিকেল সেন্টারে রূপান্তর করা হয়েছে।
উহান শহরের কাছেই অবস্থিত ওই হাসপাতালটি চালু করা হয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ডেবি মাউন্টেন রিজিওনাল মেডিকেল সেন্টারে স্থানান্তর করা হবে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এই কাজে সহযোগিতা করায় লোকজনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। 
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার দীর্ঘ পরিশ্রমে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। নির্মাণ সংস্থা, ইউটিলিটি কোম্পানি এবং আধাসামরিক পুলিশ কর্মকর্তারা যৌথভাবে এই কাজে সহায়তা করায় তাদের ধন্যবাদ। সূত্র: ডেইলি মেইল
ভিডিও:


মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২০

মরণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্কে বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে ধস

মরণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্কে বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে ধস


মরণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্কে বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে ধস

চীনে মরণঘাতী করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ১০৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৩০০ জন। ফলে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ১৯৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়াও দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। 
এদিকে, করোনাভাইরাস আতঙ্কের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। বিশ্ব বাজারে এরই মধ্যে পড়ে গেছে তেলের দাম, নিম্নমুখী প্রধান প্রধান সব শেয়ারবাজারও। 
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারের প্রধান তিনটি সূচকেই দরপতন হয়েছে ১ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে, লন্ডনের এফটিএসই সূচকের পতন গিয়ে ঠেকেছে প্রায় ২ দশমিক ৩ শতাংশ। এক্ষেত্রে চীনে যেসব প্রতিষ্ঠানের বিক্রি বেশি, তারাই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 
এছাড়াও চীনা নববর্ষের সময় লাখ লাখ মানুষ ভ্রমণে বের হন, স্বাভাবিকভাবেই পর্যটন ও কেনাবেচার সূচকে বড় উন্নতি ঘটে। এ বছর বাণিজ্যিকভাবে এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়েই করোনাভাইরাস আঘাত হেনেছে। সোমবার ছুটির কারণে এশিয়ার অনেক শেয়ারবাজার বন্ধ ছিল। তবে বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে ঠিকই ভাইরাস আতঙ্কের প্রভাব দেখা গেছে, বিশেষ করে ফ্যাশন কোম্পানিগুলোর শেয়ারে।
বিশ্বজুেড়ে করোনাভাইরাস এখনও ততটা প্রাণঘাতী না হয়ে উঠলেও বিশ্ব অর্থনীতিতে এর যথেষ্ট নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। 
মুডি’স অ্যানালিটিক্সের বিশ্লেষক রায়ান সুইট বলেন, ভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক বাজার অবস্থা, আত্মবিশ্বাস, ভোক্তাব্যয় ও রফতানির মাধ্যমে এশিয়ার অর্থনীতিতে ব্যাপক ক্ষতি হবে; তা ছড়িয়ে পড়বে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশেও।
সোমবার ইউরোপের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের অবনমন ঘটেছে। এদিন জার্মানির ডিএএক্স ও ফ্রান্সের সিএসি ৪০ উভয় সূচকই পড়ে গেছে ২ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি। চীনে বহুল জনপ্রিয় এলভিএমএইচ, কেরিং, ল’রিয়্যাল ও হার্মেসের মতো বিলাসবহুল ব্র্যান্ডগুলোর শেয়ারের দাম গতমাসে রেকর্ড পরিমাণ বাড়লেও ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের ধাক্কা এসেছে তাদের ওপরও।
পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বারবেরির ১৬ শতাংশ পণ্য বিক্রি হয় চীনে। সোমবার লন্ডনে তাদের শেয়ারের দাম কমে গেছে ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
চীনের ম্যাকাও শহরে ক্যাসিনো ব্যবসা আছে উইন রিসোর্টসের। দরপতনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি। যুক্তরাষ্ট্রে তাদের শেয়ারের দরপতন হয়েছে প্রায় আট শতাংশ। একই ব্যবসা করা লাস ভেগাস স্যান্ডসের দরপতন হয়েছে প্রায় ৬ দশমিক ৬ শতাংশ।
ভাইরাস প্রদুর্ভাবের পর সাংহাই ও হংকংয়ের পার্ক বন্ধ করে দিয়েছে ডিজনি। তাদের দরপতন হয়েছে তিন শতাংশেরও বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভ্রমণ কোম্পানিগুলোও। তবে, এর মধ্যেই উল্টো পথে হাঁটছে জীবাণুনাশক উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত ক্লোরক্স। সবার শেয়ারে দরপতনের দিন এক শতাংশ দাম বেড়েছে এ প্রতিষ্ঠানটির।
চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা। মূলত চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে গত বছরের ডিসেম্বরে প্রথম এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। উহানে নজিরবিহীন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। স্বাস্থ্যকর্মীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিশ্রাম ছাড়াই কাজ করে যাচ্ছেন।

করোনা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করেছিলাম’, স্বীকারোক্তি উহানের মেয়রের

করোনা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করেছিলাম’, স্বীকারোক্তি উহানের মেয়রের


‘করোনা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করেছিলাম’, স্বীকারোক্তি উহানের মেয়রের

ভয়াবহ করোনা ভাইরাসে দিশেহারা চীন। এখনও পর্যন্ত এই রোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৬। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে দাবানলের মতো। এমন পরিস্থিতিতে উঠে এলো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। 
জানা গেছে, প্রথম দিকে করোনা সংক্রান্ত তথ্য লুকনো হয়েছিল। এই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন খোদ উহান শহরের মেয়র।
ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহর থেকে। চীনা সংবাদ মাধ্যমে ওই শহরে মেয়র ঝাউ জিয়াংওয়াং বলেন, আমরা সময় মতো করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করিনি। ফলে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। তবে ভুল স্বীকার করলেও তিনি সাফাই দিয়েছেন, সরকার নিয়ম মতো এমন পরিস্থিতিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে আগাম কোন তথ্য প্রকাশ করতে পারে না তারা। তবে রোগ মোকাবিলায় সব চেষ্টাই করা হচ্ছে। এবার, মানুষ যদি তাকে দোষারোপ করে তিনি পদত্যাগ করবেন।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, করোনা ভাইরাসের আক্রমণ নিয়ে অনেক তথ্যই লুকিয়েছে চীন। সংবাদ মাধ্যমের উপর কড়া সরকারি নিয়ন্ত্রণ থাকায়। সেখানেও সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এই রোগে সরকারি পরিসংখ্যান থেকে অনেক বেশি আক্রান্তের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। 
এই অবস্থায় গৃহবন্দি দশা চীনের মানুষজনের। উহানকে আগেই গোটা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। রাজধানী শহর এবং সাংহাই, জিয়ান, তিয়ানজিন- এই চারটি বড় শহরেও দূরপাল্লার বাস পরিষেবা বন্ধ হয়েছে। 
চীনের প্রাচীর দর্শন আপাতত বন্ধ। এখন একটাই আতঙ্ক কাজ করছে। ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাসের হামলা যে বিপুল সংখ্যক প্রাণ কেড়েছিল চীনে, এবার করোনার থাবায় তারই পুনরাবৃত্তি হবে না তো? চীন ছাড়াও থাইল্যান্ড, নেপাল, হংকং, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জাপানসহ একাধিক দেশে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। ফলে গোটা বিশ্বেই ছড়িয়েছে প্রবল উদ্বেগ।

করোনাভাইরাস থেকে বেঁচে থাকতে যে ৯টি কাজ জরুরি

করোনাভাইরাস থেকে বেঁচে থাকতে যে ৯টি কাজ জরুরি

করোনাভাইরাস থেকে বেঁচে থাকতে যে ৯টি কাজ জরুরি
প্রতীকী ছবি

বিশ্বজুড়ে এখন বিরাজ করছে করোনাভাইরাস আতঙ্ক। চীনের উহান অঞ্চল থেকে ছড়িয়ে পড়ছে নতুন এই ভাইরাস। এরই মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত চীনে মারা গেছেন ১০৬ জন। আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪ হাজার ১৯৩ জন।
ভাইরাসের পূর্ববর্তী লক্ষণগুলো:
১. সর্দি
২. গলা ব্যথা
৩. কাশি
৪. মাথা ব্যাথা
৫. জ্বর
৬. হাঁচি
৭. অবসাদ
৮. শ্বাসকষ্ট
করোনাভাইরাস থেকে বেঁচে থাকতে যে ৯টি কাজ জরুরি:
১. ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহার করুন
২. গণপরিবহন এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন
৩. প্রচুর ফলের রস ও পর্যাপ্ত পানি পান করুন
৪. ঘরে ফিরে হ্যান্ডওয়াশ কিংবা সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধুয়ে নিন
৫. কিছু খাওয়া কিংবা রান্না করার আগে ভাল করে ধুয়ে নিন
৬. ডিম কিংবা মাংস রান্নার সময় ভাল করে সেদ্ধ করুন
৭. ময়লা কাপড়  দ্রুত ধুয়ে ফেলুন
৮. নিয়মিত থাকার ঘর এবং কাজের জায়গা পরিষ্কার করুন
৯. অপ্রয়োজনে ঘরের দরজা, জানালা খোলা রাখবেন না
চিকিৎসা: এ রোগের এখন পর্যন্ত খুব ভালো চিকিৎসা বের হয়নি। প্রথমত রোগী থেকে সংক্রমণ যাতে না ছড়াতে পারে সেজন্য তাকে আলাদা রাখতে হবে। এর জন্য সংক্রামক হাসপাতালে (ইনফেকশাস হসপিটাল) তাকে ভর্তি করতে হবে। এই হাসপাতালে ছোঁয়াচে রোগের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও সেবক/ সেবিকার মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যেসব ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে তার মধ্যে প্রোটিএইচ ইনহিবিটর, যথা লোপেনাভির এবং রেটোনাভির এজেন্ট। (নিউমোনিয়া রোগীদের জন্য) এক্সপেরিমেন্টাল জন্তুদের ওপরে ইন্টারফেরন ব্যবহার করা হয়েছে। মানুষের ওপর ব্যবহারের ফলাফল এখনো জানা যায়নি এবং এই রোগের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। তবে চেষ্টা শুরু হয়েছে।
রোগ নিরাময়ের চাইতে রোগ প্রতিরোধ সহজ ও সস্তা: এখন পর্যন্ত রোগ প্রতিরোধের পুরোপুরি ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা জানি না। তবে এটা জানা যায়, মানুষ থেকে মানুষে এ রোগ সংক্রমিত হয়। আমরা এখন এও জানি যার ভিতরে এই জীবাণু প্রবেশ করেছে তার থেকে সুস্থ মানুষের মধ্যে এ জীবাণু প্রবেশ করার পর ১০/১২ দিন পর রোগের উপসর্গ প্রকাশ পায়। কিন্তু উপসর্গ প্রকাশ করার আগে থেকেই জীবাণু তার ভিতরে প্রবেশ করার কারণে তিনি ছোঁয়াচে হয়ে যান। প্রথম পর্যায়ে তাই তিনি একজন সুস্থ মানুষ হিসেবে সমাজে বিচরণ করতে পারেন।
সাধারণত নিঃশ্বাসের মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়। তাদের হাঁচি, কাশিতে অজস্র জীবাণু বের হয়। সুস্থ মানুষ নিঃশ্বাসে অথবা ভেজা চোখের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে। হাতে বা আঙ্গুলে জীবাণু থাকলে তা নাক, চোখ স্পর্শ করার ফলে হাতের মাধ্যমে এ রোগ ছড়াতে পারে দ্রুতগতিতে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ সারা দিনে ২০/২৩ বার তার হাত বা আঙ্গুল মুখে, চোখে, নাকে লাগায় প্রতি ঘণ্টায়। সুতরাং জাগ্রত অবস্থায় ১৮ ঘণ্টায় ৩৬০ বার মুখম লে চোখ বা নাকে হাত দেয়। এক) সেই জন্য বার বার হ্যান্ড লোশন সাবান দিয়ে হাত ধোয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। দুই) মাস্ক বা মুখোশ পরা আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে মাস্কের বড় অসুবিধা এতে চোখ ঢেকে রাখা যায় না। মাস্কের আশপাশে ঢিলা থাকে এবং মাস্ক বারবার বদলানো যায় না। এর জন্য বড় এবং টাইট মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন। 
কোথা থেকে রোগ ছড়ায়
এক) রোগীর বাড়ি থেকে।
দুই) যেখানে অনেক জনসমাগম হয়। যেমন : জনসভা, ধর্মীয় সভা, বাচ্চাদের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতালের আউটডোর, ব্যক্তিগত ও সরকারি সামাজিক আয়োজন। পার্টি সেন্টার পার্ক, সিনেমা হল ইত্যাদি। চীনের অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে ইউনান প্রদেশে এসব স্থান সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। গণপরিবহন, উড়োজাহাজ, রেলগাড়ি ইত্যাদি। এগুলো আমাদের মনে রাখতে হবে। এয়ারপোর্ট, সমুদ্রবন্দর, রেল স্টেশন, হাসপাতাল, আউটডোর ইত্যাদি জনবহুল স্থানে স্ক্যান করতে হবে।
চীনে ব্যবহৃত জ্বর দেখার স্ক্যানার জোগাড় করতে হবে। এটা শুধু কপালের কাছে লাগালেই গাণিতিক অক্ষরে স্পষ্টভাবে দেখা যাবে, যা ভাইরাসের প্রথম উপসর্গ জ্বর। টিভি, রেডিও, সংবাদপত্রকে তাদের যোগ্য ও প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করতে হবে। কেমন করে আত্মরক্ষা করতে হবে তা শিখিয়ে দিতে হবে। কেউ যেন ভয় না পায় সেটাও দেখতে হবে।

সুন্দরী হলেও যে গ্রামের মেয়েদের বিয়ে করতে চায় না কেউ

সুন্দরী হলেও যে গ্রামের মেয়েদের বিয়ে করতে চায় না কেউ


সুন্দরী হলেও যে গ্রামের মেয়েদের বিয়ে করতে চায় না কেউ
প্রতীকী ছবি

সেই গ্রামের মেয়েরা যথেষ্ট সুন্দরী। গ্রামটিও একেবারে গণ্ডগ্রাম নয়, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। গ্রামের মানুষ ভালো-মন্দ মিলিয়ে সমান; এমন সব গ্রামেই দেখা যায়। তারপরও এই গ্রামে ছেলেরা বিয়ে করতে চায় না। 
এর কারণ হল বানরের উৎপাত। কথিত আছে- গ্রামে একটি ডাকাত দল সক্রিয় রয়েছে। তবে তারা কেউ মানুষ  নয়, বানর! শুনে আপনার হাসি পেতে পারে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে- এ কথা সত্য। ভারতের ভোজপুর জেলার রতনপুর গ্রামের কথা প্রায়ই পত্রিকার পাতায় উঠে আসে এই বানর দলের কারণে। 
গ্রামে বাসিন্দাদের তুলনায় বানরের সংখ্যা অনেক বেশি এবং বানরের দল গ্রামবাসীদের সবসময় আতঙ্কের মধ্যে রাখে। যে কোনো অনুষ্ঠান- বিয়ে কিংবা জন্মদিন এমনকি শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানেও বানরের দল হানা দিতে দেরি করে না। খাবার নষ্ট করে। ধাওয়া দিলে দাঁত-মুখ খিচিয়ে উল্টো তেড়ে আসে। তুলকালাম কাণ্ড ঘটায়।
এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে পাত্রপক্ষ ওই গ্রামে যেতে চায় না। বানরের আক্রমণের চেয়ে তারা নিরাপদে থাকতেই বেশি পছন্দ করে। যে কারণে যখন রতনপুর গ্রাম থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসে, বর এবং তার পরিবার সুস্পষ্ট এই কারণ দেখিয়ে ঘটককে বিদায় করে দেয়। স্থানীয় প্রশাসন বিপর্যয় রোধে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। কিন্তু বানরের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার কারণে তারা সফল হয়নি। বিশেষ করে কোনো আয়োজন উপলক্ষ্যে যখন ভালো-মন্দ খাবার তৈরি করা হয় তখন বানরগুলো হামলা চালায়। অতীতেও এই গ্রামে এভাবে অনেক বিয়ের অনুষ্ঠান ভুণ্ডল হয়ে গেছে

যেভাবে ছড়ায় করোনা ভাইরাস

যেভাবে ছড়ায় করোনা ভাইরাস

যেভাবে ছড়ায় করোনা ভাইরাস

করোনা ভাইরাসে বিধ্বস্ত চীন। এছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশ থেকেই করোনা ভাইরাস আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই ভাইরাসে চীনে মারা গেছে ১০৬ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ১৯৩ জন।
আসুন জেনে নিই করোনা ভাইরাস কী এবং কীভাবে ছড়ায়:-
কি ধরনের ভাইরাস এটি?
করোনাভাইরাস এক ধরনের ভাইরাস যার কারণে শ্বাসকষ্টসহ, ঠান্ডাজনিত নানা ধরনের শারিরীক সমস্যা দেখা দেয়। মিডল ইস্ট রেসপাইরেটরি সিনড্রম বা মার্স এবং সিভিয়ার একুউট রেসপাইরেটরি সিন্ড্রম বা সার্সও করোনাভাইরাস গোত্রের অন্তর্ভুক্ত।
কখন ধরা পড়ে
প্রথমে চীনে ২০০২ সালে বিড়াল থেকে মানবশরীরে এই ভাইরাস (সার্স) সংক্রমণের কথা জানা যায়। পরে ২০১২ সালে মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবের উটের শরীর থেকে মানবদেহে এ ধরনের ভাইরাসের (মার্স) সংক্রমণের বিষয়টিও ধরা পড়ে। বর্তমানে চীনে এটি নতুন রূপে দেখা দিয়েছে।
লক্ষণ কী?
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে সাধারণত যে লক্ষণগুলো ধরা পড়ে তা হল শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও সর্দিকাশি। পাশাপাশি নিউমোনিয়া, কিডনিতে সমস্যাসহ নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হয়।
মানুষ থেকে মানুষে কি সংক্রমিত হয়?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে এ ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে।
চিকিৎসা কী?
রোগটি একেবারেই নতুন হওয়ায় এখনও এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। তবে এ ভাইরাস সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট শারীরিক সমস্যায় সাধারণ চিকিৎসাই প্রদান করা হয়ে থাকে। সবচেয়ে জরুরি হল রোগীর জন্য নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখা।
কীভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন?
এই ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে কম আসা, হাত পরিষ্কার রাখা, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ও নিরাপদ খাবারের উপর জোর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
কীভাবে নিরাপদ থাকবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা?
রোগীর সেবায় নিয়োজিত থাকা স্বাস্থ্যকর্মীরা একটু বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। আর তাই তাদেরকে যথাযথভাবে সংক্রমণনিরোধী বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে।
সরকারের করণীয় কি?
এ রোগের বিস্তার ঠেকাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিভিন্ন দেশের সরকারকে নজরদারি বাড়ানোর কথা বলছে। এ ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত কোনও রোগীর সন্ধান পাওয়া মাত্র তাদেরকে জানাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য প্রস্তুত থাকতে পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। 

একটি অতি উজ্জ্বল তারা কি বিস্ফোরিত হবে?

একটি অতি উজ্জ্বল তারা কি বিস্ফোরিত হবে?


একটি অতি উজ্জ্বল তারা কি বিস্ফোরিত হবে?

বিশ্বজুড়ে জ্যোতির্বিদরা তা সে অ্যামেচার কিংবা পেশাদার যেই হোন না কেন, আকাশের দিকে নজর রেখেছেন "জীবনে একবার আসে এমন একটি মুহূর্তের" সাক্ষী হওয়ার জন্য।
তারা ধারণা করছেন, বেটেলজাস যেটি কিনা পৃথিবী থেকে দেখা যায় এমন উজ্জ্বলতম নক্ষত্রগুলোর একটি হয়তো সুপারনোভায় পরিণত হতে যাচ্ছে, আর এটা হতে যাচ্ছে ধারণা করা সময়ের চেয়ে অনেক আগেই।
সহজ ভাষায় বলতে গেলে বিস্ফোরিত হতে যাচ্ছে।
যদিও জ্যোতির্বিদরা জানেন যে, বেটেলজাস ধীরে ধীরে "বিস্ফোরিত" হবে, কিন্তু সম্প্রতি হওয়া কিছু পরিবর্তন তাদের মনে প্রশ্নের উদ্রেক করেছে।
বিজ্ঞানীরা কেন মনে করেন যে বেটেলজাস বিস্ফোরিত হবে?
বেটেলজাসকে এরইমধ্যে "ধ্বংসের মুখে থাকা নক্ষত্র" হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে যার বিস্ফোরণ এখন সময়ে ব্যাপার মাত্র।
আমাদের সূর্য যা প্রায় ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন বছর বয়সী-তার তুলনায় এই তারাটির বয়স মাত্র ৮০ লাখ থেকে এক কোটি বছর। কিন্তু এটি এর পারমানবিক জ্বালানি দ্রুত মাত্রায় ব্যয় করে ফেলছে।
এটি হচ্ছে লাল একটি সুপার জায়ান্ট, একটি তারা যার আয়ু প্রায় শেষের পথে, কিন্তু এর আকার যথেষ্ট প্রসারিত হয়েছে।
বেটেলজাস একটি বিশালাকার স্পন্দিত নক্ষত্র অর্থাৎ এটি একইসাথে প্রসারিত এবং সংকুচিত হয়- এই 'প্রতিবেশী'র পরিসীমা সূর্যের চেয়ে ৫৫০ থেকে ৯২০ গুন বেশি হতে পারে।
"এর সম্পর্কে যা জানা যায় তা হচ্ছে এটির সুপারনোভায় পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে," বিবিসিকে একথা বলেন নটিংহাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ড্যানিয়েল ব্রাউন।
"এর বর্তমান অবস্থা থেকে এটা বোঝা যায় যে, জ্যোতির্বিজ্ঞানের সময়ের হিসাবে এটি যেকোনো সময় ঘটতে পারে।"
"কিন্তু এটার অর্থ হচ্ছে এটা আগামী এক লাখ বছরেও হতে পারে," ব্রাউন বলেন।
তার মানে এটি শিগগিরই সুপারনোভায় পরিণত হচ্ছে না?
যাই হোক, গত কয়েক মাসে জ্যোতির্বিদরা লক্ষ্য করেছেন যে, বেটেলজাস ধীরে ধীরে অনুজ্জ্বল তারায় পরিণত হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্রের ভিলানোভা ইউনিভার্সিটির গবেষকরা গত ডিসেম্বরে দাবি করেছেন যে, তারাটি ৫০ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ সময়ের মধ্যে সবচেয়ে অনুজ্জ্বল পর্যায়ে পৌঁছেছে।
উল্লেখযোগ্য হারে উজ্জ্বলতা হারানো থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে, এই রেড জায়ান্টটি "বিস্ফোরিত হতে যাচ্ছে।"
বিজ্ঞানীরা তাত্ত্বিকভাবে বলেছেন যে, এতো বেশি মাত্রায় উজ্জ্বলতা হারানোর মানে হচ্ছে যে একটি তারার সময় ফুরিয়ে এসেছে।
"আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে আসলে বিশালাকার নক্ষত্রও তাদের ব্যাপক হারে ভরশূন্য হয়ে পড়ে," টুইটারে এমনটা লেখেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ এবং বেটেলজাসের গবেষক সারাফিনা ন্যান্স।
"তাত্ত্বিকভাবে বলা যায় যে, সুপারনোভায় পরিণত হওয়ার আগে আগে নক্ষত্রটি থেকে ছড়িয়ে পড়া ধুলা মৃতপ্রায় নক্ষত্রটিকে আবৃত করে এটিকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করে ফেলতে পারে, যার কারণে এটি আমাদের দৃষ্টিসীমা থেকে হারিয়ে যেতে পারে।"
যাই হোক, বিজ্ঞানীরা ভাল করেই জানেন যে, বেটেলজাস একটি পরিবর্তনশীল নক্ষত্র।
ইউনিভার্সিটি অব ইয়র্কের অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট এমিলি ব্রান্ডসেন বিবিসিকে বলেন, এটি এমন একটি তারা যেটি পৃথিবী থেকে যে উজ্জ্বলতা দেখা যায় তা পরিবর্তন করে।
"বেটেলজাসের বিস্ফোরণ আসন্ন এমনটা নির্দেশ করার মতো কিছুই নেই। সুপারনোভার প্রক্রিয়া কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ আমাদের কখনোই হয়নি, তাই বলা যায়, এটি(হঠাৎ বিস্ফোরণ) যেকোনো সময়েই হতে পারে,"ব্রান্ডসেন বলেন।
বিস্ফোরণে কী হবে?
সুপারনোভা একটি শক্তিশালী এবং উজ্জ্বল বিস্ফোরণ যাতে বিপুল পরিমাণ শক্তি নির্গত হয়।
এটা অগোচরে হওয়ার কোন সুযোগ নেই, বিশেষ করে পৃথিবীর এতো "কাছে" হওয়ার পরও।
"কিছু দিনের মধ্যে বেটেলজাস আবার পূর্ণিমার চাঁদের মতো উজ্জ্বল দেখাবে," ব্রাউন বলেন।
"এমনকি এটা দিনের বেলায়ও দেখা যাবে।"
এটা কয়েক মাস ধরে চলতে পারে।
তাহলে…আমরা কি বিপদে আছি?
সুপারনোভা ব্যাপক হারে বিধ্বোংসী।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যদি আমাদের সূর্য বিস্ফোরিত হয়, জ্যোতির্বিদরা বলেন, তাহলে পুরো সৌরজগৎ ধ্বংস হয়ে যাবে।
এর আগের নক্ষত্রের বিস্ফোরণের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েছিল এবং সেটা আমাদের ওজন স্তরে ক্ষতি করেছিল এবং এটাকে ক্ষতিকর সৌর এবং মহাজাগতিক বিকিরণের মুখে ফেলেছিল।
ভাল খবর হচ্ছে, বেটেলজাসের মতো বিস্ফোরণ হওয়ার জন্য আমাদের সূর্য আকারে খুব ছোট- যদিও পূর্বাভাস রয়েছে যে, কয়েক বিলিয়ন বছরের মধ্যে এটি আয়তনে বেড়ে যেতে পারে এবং বুধ, শুক্র এবং পৃথিবীকে ধ্বংস করে ফেলতে পারে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, বিজ্ঞানের মতে, বেটেলজাস থেকে পৃথিবী নিরাপদ দূরত্বে রয়েছে।
"৫০ আলোকবর্ষ থেকে কম দূরত্বে থাকা সব কিছুই সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে," ড্যানিয়েল ব্রাউন বলেন।
"বেটেলজাসের ক্ষেত্রে বিষয়টি এরকম নয়।"
নক্ষত্রটি কালপুরুষ নক্ষত্রমণ্ডলে অবস্থিত এবং পৃথিবী থেকে প্রায় ৭০০ আলোকবর্ষ দূরে।
এছাড়া, ২০১৬ সালে অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয় যে, শকওয়েব এবং ধ্বংস্তুপ সৌর জগতে পৌঁছাতে ৬০ লাখ বছর লাগবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা

শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২০

নারী ও মেয়েদের যৌনতায় নিয়োগের

আমরা প্রভাব নারী ও মেয়েদের যৌনতায় নিয়োগের ক্ষেত্রে আজকের যুব হয়েছে সম্বন্ধে চিন্তিত হন।  
মলের মাধ্যমে, টিভি চালু করুন হাঁটার অথবা সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে উল্টানো এবং আপনার hypersexualized ভূদৃশ্য যে যৌবনে উদ্ভিন্ন হয় দেখতে হবে। যৌনতায় সমাজের সব স্তরের permeates এবং মেয়েদের দ্বারা সম্মুখীন সবচেয়ে সাধারণ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার তিন লিঙ্ক করা হয়েছে নারী: কম আত্মসম্মান, শরীর অসন্তোষ, খাদ্যাবাস। যৌনতায় impairs নারী ও পুরুষের ক্ষমতা সুস্থ সম্পর্ক স্থাপন করতে এবং বৈষম্য, যৌন হয়রানি ও নারী নির্যাতনের জন্য বর্ধিত সামাজিক সহনশীলতা সঙ্গে সম্পর্কিত। পুরুষ ও ছেলেদের সংশ্লিষ্ট hypermasculinization সমানভাবে, অস্বাস্থ্যকর সম্পর্ক অবদান অসুবিধা আবেগ প্রকাশ ও সহিংসতার দিকে প্রবণতার উত্সাহিত ফলে।   

আমরা মেয়েরা যৌনতায় নিয়োগের দ্বারা কি বোঝাতে চেয়েছেন?

আমরা যখন যৌনতায় সম্পর্কে কথা বলতে, আমরা উল্লেখ করা হয়: 
  • যৌনতা অযথাযথভাবে মেয়েদের উপর আরোপিত হচ্ছে, পুশ-আপ ব্রা 12 বছর বয়সীদের কাছেই বিক্রি করা হচ্ছে মত
  • সংকীর্ণ, মহিলা চটক তাদের উত্সাহিত তরুণ মেয়েশিশুদের জন্য ম্যাগাজিন মত, জন্য প্রায়ই অলভ্য মান ', হারান দশ পাউন্ড তাদের চুল সোজা এবং একটি মিনি স্কার্ট পরতে তাদের ক্রাশ আকৃষ্ট করতে'
  • যৌন চটক সব অন্যান্য বৈশিষ্ট্য, ক্রীড়াবিষয়ক বা শিক্ষাগত ক্ষমতার মত উপরে মূল্যবান করা হলে
  • বালিকাবস্থা যৌনতায় নিয়োগের ক্ষেত্রে, প্রাপ্তবয়স্ক নারী মত "সেক্সি" ইয়াং মেয়েরা হিসাবে চিত্রিত করা হচ্ছে
  • মহিলা যৌন আপত্তিকর একটি মহিলার বরং একটি পুরো ব্যক্তি হিসেবে চেয়ে যৌন ইচ্ছা একটি অবজেক্ট হিসেবে প্রাথমিকভাবে দেখা হচ্ছে, জড়িত

YWCA উদ্যোগ যৌনতায় combatting

সমসাময়িক মিডিয়াতে মেয়েশিশু ও নারীদের যৌনতায় নিয়োগের YWCA মেট্রো ভ্যানকুভার থেকে উদ্বেগ বৃদ্ধি এবং আমরা হয় সক্রিয়ভাবে তার প্রভাব combatting করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ।
  • YWCA যুব শিক্ষা প্রোগ্রাম সুস্থ সম্পর্ক ও ইতিবাচক শরীর ইমেজ এবং সাহায্যের তাদের মিডিয়া সমালোচকদের মনে সম্পর্কে তরুণদের শেখান।
  • YWCA সংস্কৃতি শিফট প্রকল্পের ঠিকানাগুলি যৌনতায় ও গবেষণা, কমিউনিটি সংশ্লিষ্টতা এবং এডভোকেসি মাধ্যমে hypermasculinization।
  • YWCA mentorship প্রোগ্রাম ইতিবাচক ভূমিকা মডেল সাথে সংযুক্ত হওয়ার জন্য মেয়েদের এবং তরুণ নারী জন্য সুযোগ অফার।
  • YWCA যুব সম্মেলন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যৌনতায় এবং ক্ষমতায়ন হাই স্কুলের শিক্ষার্থীদের নেতিবাচক প্রভাব লড়াই একটি হাতিয়ার হিসেবে মিডিয়া সাক্ষরতা দক্ষতা শেখায়।

কি বাবা যুদ্ধ যৌনতায় করতে পারি

আপনি প্রভাব যৌনতায় নিয়ে চিন্তিত আছেন আপনার জীবনে কিডস উপর আছে? তুমি একা নও!
কোয়ালিটির দ esearch আমাদের দেখায় যে মেয়েশিশু ও নারীদের যৌনতায় নিয়োগের ক্ষেত্রে, আমাদের শিশুদের জন্য ক্ষতিকর মত বিষয় অবদান:
  • নিম্ন আত্মসম্মান
  • দেহ অসন্তোষ
  • বিষণ্ণতা
  • যৌন সহিংসতার সামাজিক সহনশীলতা 
  • মেয়েশিশু ও নারীদের শোষণ

যৌনতায় কি?

মেয়েরা যৌনতায় নিয়োগের ক্ষেত্রে মেয়েরা ফোটানো বা যৌন বস্তু হিসেবে চিকিত্সা করা হচ্ছে উল্লেখ করতে পারেন। Bras এবং আপ ধাক্কা - যেমন এছাড়াও যৌনতা যে অযথাযথভাবে মিডিয়া, বিজ্ঞাপন বা পণ্য মাধ্যমে মেয়েদের উপর চাপিয়ে দেয়া হল বোঝায় চপ্পল শিশুদের বাজারে বা বিজ্ঞাপন কিশোরীর "সেক্সি" ভঙ্গি করুন।

পদক্ষেপ নিতে কিভাবে

এটা তোলে বিস্ময় বোধ করা সহজ। কিন্তু উপায়ে আপনি যৌনতায় বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন।
প্রথমত, জানানো - যৌনতায় আপ করে পড়ুন। তারপর, আপনার বাচ্চাদের সঙ্গে এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে সুযোগ পাবেন। নিশ্চিত যেখানে শুরু করব? নীচে তালিকাভুক্ত কৌশল কিছু করার চেষ্টা করুন।
  1. কো-মতবাদ: আপনার বাচ্চাদের যেখানে তারা থাকবেন দেখা। ওয়াচ টিভি শো এবং YouTube ভিডিও, ম্যাগাজিন পড়া ও বই আলোচনা এবং গান আপনার সন্তানদের আগ্রহী শুনুন। আপনি যৌনতায় বা ক্ষতিকারক ছকের দেখতে পান, তাহলে এই তাদের সম্পর্কে কথা বলতে নিখুঁত সময়।
  2. মডেল ভাল আচরণ: কিডস আপনি পরেন কি দ্বারা প্রভাবিত হয়, আপনি যে ভাষাটি ব্যবহার এবং অগ্রাধিকার তুমি জীবনে ভুলবেন না। ম্যাগাজিন আপনি পড়তে এবং সিনেমা আপনাকে দেখার কথা চিন্তা করুন - তারা পুরুষালী এবং নারীত্বের ক্ষতিকর ছকের এতে অবদান রাখছে?
  3. প্রস্তুত করা: অনুশীলন উত্তর বা কঠিন প্রশ্ন সঙ্গে কথা / বিবৃতি পছন্দ করি, "সেক্সি খুঁজছেন মত আমি" "কি সেক্সি অর্থ কী?" বা।
  4. : সহায়তা পান যিনি অন্য পিতামাতার ধারণাগুলি ভাগ করে দিতে সহায়তা একই বুড়া সন্তান আলাপ।
  5. একটি সচেতন ভোক্তা থাকুন: ইতিবাচক বার্তা এবং বয়কট বেশী যে একধরনের চিত্র এবং মেসেজিং পুনরায় বলবৎ সঙ্গে পণ্য চয়ন।
  6. ইতিবাচক ভূমিকা মডেল বাছুন: সেখানে মিডিয়াতে অনেক আশ্চর্যজনক নারী - অ্যালিসিয়া কীজের, টেলর সুইফট এলেন DeGeneres, জোহান্না Wagstaffe, খ্রীস্টিন সিনক্লেয়ার, ইত্যাদি এই মহিলাদের দিতে নজরে আপনার বাচ্চাদের উত্সাহিত করুন।
  7. প্ররোচক থাকুন: কি সুস্থ সম্পর্ক এবং বন্ধুত্ব মত চেহারা নিয়ে আলোচনা এবং কীভাবে তারা ইতিবাচক আপনার সন্তানের জীবন প্রভাবিত হবে।

Coronavirus outbreak: How did the virus get its name and where has it spread?

China has put millions of people in three cities on lockdown in an effort to contain a coronavirus outbreak that has killed 17 people and infected more than 630.
Health officials fear the number of infected will rise rapidly as hundreds of millions of Chinese people travel within China and abroad during the week-long Lunar New Year holidays, which begin on Saturday.
Airports worldwide have been screening passengers arriving from China. Thailand has confirmed four cases, while the United StatesSingaporeJapanSouth Korea and Taiwan have reported one each.
The previously unknown virus strain is believed to have emerged late last year from illegally traded wildlife at an animal market in the central city of Wuhan.
The coronavirus family includes the common cold as well as viruses behind more serious illnesses, such as the Sars outbreak which killed around 800 people during in 2002-2003.


Here are some of the key features of coronaviruses:

Why are they called coronaviruses?

They get their name from their appearance under a microscope, which reveals them to be spherical and covered with crown-like spikes.
The strain found in China has been dubbed a novel coronavirus, meaning it has not been previously identified. 

What are the symptoms?

Those infected with cornavirus have shown a wide range of symptoms, including fever, coughing, shortness of breath and breathing difficulties.
Severe cases have caused pneumonia, severe acute respiratory syndrome, kidney failure and death.

Volume 90%

Screening in Chinese city of Wuhan at centre of coronavirus

Is it contagious?

Coronaviruses are transmitted between animals and humans, and can evolve into strains not previously identified in humans.
Preliminary research has suggested the Wuhan coronavirus may have made the jump to humans from snakes, but Chinese government medical experts have also suggested badgers and rats as possible sources.
Like other coronaviruses, it is being transmitted from person to person via droplets when an infected person coughs or sneezes.
It can also spread via contaminated surfaces, such as door handles or railings.

How does it act in the body?

Like the viruses that cause Sars and Mers, the current virus is an RNA virus — meaning it has RNA rather than DNA as its genetic material — which allows it to blend with its host’s DNA and also means it can mutate rapidly.

Volume 90%

Trump says US has coronavirus 'completely under control'

How can it be identified?

Testing for the virus involves the use of a real-time polymerase chain reaction (RT-PCR), which identifies the viral RNA in a sample.
These could come from a throat swab, a cough sample, or a blood sample if the patient is very ill.

Is there a vaccine?

There is currently no vaccine for the virus.
The World Health Organisation (WHO) will decide on Thursday whether to declare the outbreak a global health emergency, which would ratchet up the international response.