Translate

শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২০

প্রশান্ত মহাসাগরের সেই অতল অন্ধকারেও মিলল প্রাণের হদিস!

প্রশান্ত মহাসাগরের সেই অতল অন্ধকারেও মিলল প্রাণের হদিস!


প্রশান্ত মহাসাগরের সেই অতল অন্ধকারেও মিলল প্রাণের হদিস!



যা কল্পনাও করা যায়নি কোনও দিন, তা-ই ঘটল। গভীরতম প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণে সেই অতল অন্ধকারের জায়গা ‘পয়েন্ট নেমো’-তেও মিলল প্রাণের হদিস। খুব সামান্য পরিমাণে হলেও।
ভূমি থেকে এত দূরে আর কোনও জায়গা নেই প্রশান্ত মহাসাগরে। দূরত্বটা ২ হাজার ৬৮৮ কিলোমিটার (১ হাজার ৬৭০ মাইল)। জার্মানির ‘ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর মেরিন বায়োলজি’র তত্ত্বাবধানে পাঠানো জাহাজ ‘এফএস-সোনে’ দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর ঢুঁড়ে সেই অতল অন্ধকারে সেঁধিয়ে থাকা অজানা প্রাণীদের সন্ধান পেয়েছে। 
বুধবার এ খবর দিয়েছেন ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর পোলার অ্যান্ড ওশ্‌ন রিসার্চ (এনসিপিওআর)’-এর কর্মকর্তা এম রবিচন্দ্রন।
তিনি জানিয়েছেন, সেই অভিযান চালানো হয়েছিল প্রশান্ত মহাসাগরের ৩ কোটি ৭০ লাখ বর্গ কিলোমিটার (১ কোটি ৪০ লাখ বর্গ মাইল) এলাকাজুড়ে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত টানা ৬ মাস ধরে। চিলি থেকে নিউজিল্যান্ড পর্যন্ত।
গভীরতম প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাংশে সেই গভীরতম এলাকার অতল অন্ধকারে কোনও প্রাণীর বেঁচে থাকার প্রমাণ মেলেনি এর আগে। সে জন্যই জায়গাটির অন্য নাম- ‘ওশ্‌নিক পোল অব ইনঅ্যাকসেসিবিলিটি’ বা লাতিন শব্দে ‘পয়েন্ট নেমো’। যার অর্থ ‘কেউ নেই যেখানে’। কোনও প্রাণ নেই ভেবে এত দিন প্রশান্ত মহাসাগরের ওই এলাকাটিকে বলা হত, ‘মরুভূমি’।
সে জন্যই অকেজো, অচল হয়ে পড়া বা আয়ু ফুরিয়ে যাওয়া মহাকাশযানগুলোকে যেখানে বিসর্জনের ভাবনাটা কিছু দিন ধরে ভাবতে শুরু করেছে নাসা।
সৌরমণ্ডল ছাড়িয়ে আরও দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ার স্বপ্নটা আমাদের অনেক পুরনো। কিন্তু এই পৃথিবীতেই যেখানে পৌঁছনোর কথা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি এখনও পর্যন্ত, গভীরতম প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণে সেই অতল অন্ধকারের জায়গা ‘পয়েন্ট নেমো’তেও প্রাণীরা রয়েছে বলে এবার জানা গেল এই প্রথমবারের মতো।
রবিচন্দ্রন জানিয়েছেন, গবেষকদল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ওই গভীরতম এলাকার ২০ থেকে ৫ হাজার ফুট গভীরতা (৬৫ ফুট থেকে ১৬ হাজার ৪০০ ফুট) পর্যন্ত ওই প্রাণীগুলোর দেখা পেয়েছেন। তবে খুবই সামান্য পরিমাণে। আর হাতেগোনা কয়েকটি সামুদ্রিক প্রজাতির। ওই গভীরতায় আলো ও অক্সিজেন পৌঁছনো সম্ভব নয় বলে এত দিন সেখানে প্রাণ থাকতে পারে বলে তেমন জোরালো বিশ্বাস ছিল না বিজ্ঞানীদের।
কোন কোন প্রাণীর হদিস মিলেছে?
রবিচন্দ্রন এও জানিয়েছেন, ২০টি প্রজাতির ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পাওয়া গেছে। হদিস মিলেছে ‘এসএআর১১’, এসএআর১১৬’ এবং ‘প্রোক্লোরোকক্কাস’ প্রজাতির ব্যাকটেরিয়াও। পাওয়া গেছে ‘এইজিইএএন-১৬৯’ প্রজাতির একটি ব্যাকটেরিয়ারও। এর আগের গবেষণায় মহাসাগরের ৫০০ মিটারের বেশি গভীরতায় যাদের সন্ধান মেলেনি।

কোন মন্তব্য নেই:

FSS blog

FSS TSTL Photo Gallery

FSS TSTL Photo Gallery
Pictures

I like it

  • Bangla Song
  • Love
  • Move

what is love?

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

লেবেল

লেবেল

ভূমি (1) sex (6)

Wikipedia

সার্চ ফলাফল