Translate

বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১২

সোমবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১২

এবার মাইক্রোসফটের সোশ্যাল নেটওয়ার্ক

এবার মাইক্রোসফটের সোশ্যাল নেটওয়ার্ক

দীর্ঘদিন পরীক্ষামূলক ব্যবহার শেষে মাইক্রোসফট এসও.সিএল নামের নিজস্ব সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটটি মঙ্গলবার সবার জন্য উন্মুক্ত করলো। এতে যে কেউ অন্যান্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মতো ছবি, ভিডিও এবং প্রয়োজনীয় লিংক শেয়ার করতে পারবে। খবর সিএনএন-এর।

মে মাসে মাইক্রোসফট জনপ্রিয় সাইট ফেইসবুকের মতো নিজস্ব ওয়েবসাইট বানানোর কথা মিডিয়ায় প্রকাশ করে। মঙ্গলবার মাইক্রোসফট সাইটটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছে। আপাতত মাইক্রোসফটের কর্মী ও শিক্ষার্থীদের সাইটটিতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়। সাইটটি এখন সবার জন্য উন্মুক্ত বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।

মাইক্রোসফট বা ফেইসবুকে যাদের অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তারা সরাসরি সাইটটিতে প্রবেশ করতে পারবেন। ব্যবহারকারী সাইন আপ করেই ফেইসবুকের মতো ছবি, ভিডিও এবং লিংক শেয়ার করতে পারবেন। মন্তব্য করা যাবে অন্যান্য পোস্টের ওপরও।

সাইটটিতে ঢুকলেই প্রথম পাতায় সাম্প্রতিক সব পোস্ট দেখা যাবে। তবে ব্যবহারকারী বাড়ার আগ পর্যন্ত সাইটটিকে এখনো ‘সময় নষ্টকারী’ সাইট বলে মন্তব্য করেছে সিএনএন।

মেসেজ পাঠানো যাবে ৯১১ নাম্বারে

মেসেজ পাঠানো যাবে ৯১১ নাম্বারে

যুক্তরাষ্ট্রের জরুরি ফোন নাম্বার ৯১১ সিস্টেমে এসএমএস বা টেক্সট মেসেজিং চালু হচ্ছে। মোবাইলে টেক্সট মেসেজিংয়ের ২০ বছর পূর্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন (এফসিসি) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর সিএনএন-এর।

২০১৪ সালের মে মাসে সার্ভিসটি চালু করা হবে বলে জানিয়েছে এফসিসি। জুনের ৩০ তারিখ থেকে মেসেজে অটো রিপ্লাই সিস্টেম চালু করবে বলে জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ চারটি মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এ সেবা চালু করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।

এফসিসি আশা করছে, এ সেবার আওতায় ৯০ ভাগ জনগোষ্ঠী এসএমএসের মাধ্যমে জরুরি যোগাযোগ করতে পারবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ৯১১-এ করা ২৪ কোটি ফোনের এক তৃতীয়াংশই আসে তারহীন লাইন থেকে।



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

নেটওয়ার্ক ভাগাভাগি করবে রবি ও সামিট

নেটওয়ার্ক ভাগাভাগি করবে রবি ও সামিট

মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড ও এনটিটিএন অপারেটর সামিট কমিউনিকেশন্স ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক ভাগাভাগিতে একমত হয়েছে। সম্প্রতি রবির গুলশানের প্রধান কার্যালয়ের এ বিষয়ে দ্বিপক্ষীয়  চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ক্যুনার এবং সামিট কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আল ইসলাম।

রবির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নেটওয়ার্ক অবকাঠামো ভাগাভাগির মাধ্যমে রবি ও সামিট পরষ্পরের সহযোগী হিসেবে কাজ করবে। দু’পক্ষই নিজেদের ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাবে। এত করে গ্রাহক পর্যায়ে কম খরচে উন্নতর সেবা দেয়া সম্ভব হবে।

সাশ্রয়ী মূল্যে সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে এ চুক্তি বিশেষভাবে কার্যকর হবে। এতে করে অল্প খরচে গ্রাহকদের দোরগোড়ায় টেলিযোগাযোগ সেবা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে। গ্রাহকের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে দাবী করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে ।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে  ছিলেন রবির  চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার মাহতাব উদ্দিন আহমেদ ও কর্পোরেট স্ট্র্যাটিজি বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আরমান সিদ্দিক। সামিট কমিউনিকিশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক ফাদিয়া খান।

খাওয়া যাবে আইফোনের কেসিং!

খাওয়া যাবে আইফোনের কেসিং!

ফোনে কথা বলতে বলতে বেশি ক্ষুধা লেগে গেলে আইফোনটির কেসিং খেয়ে ফেললেও শরীরের কোনো ক্ষতি হবে না। জাপানি এক নির্মাতা আইফোন ফাইভের জন্য খাদ্য উপকরণ দিয়ে তৈরি ৮১ ডলারের এ কেসটি তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।

‘সারভাইভাল সেনবিই রাইস ক্র্যাকার আইফোন ফাইভ কেইস’ নামের কেসিংটি বাজারে ছেড়েছে টোকিওর গ্যাজেট বিক্রেতা সাইট জাপান ট্রেন্ড শপ। তারা জানিয়েছে, এটি তৈরিতে বাদামী চাল ও লবণ ব্যবহার করা হয়েছে। বাস্তবে এটি খাদ্য ও ফোন হিসেবে কাজ করবে। জরুরি প্রয়োজনে খাবারের অভাবে বিপদে পড়লে আপনি এটি কাজে লাগাতে পারবেন। শুকনো খাবারের মতোই মচমচ করে কেসিংটি খাওয়া যাবে।

জাপানি ভোক্তাবান্ধব খাবারের প্রতীক হিসেবে মোবাইলের কভারটিকে তুলে ধরেছে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি। অনলাইনে অর্ডার দেয়ার পর হাতে তৈরি পণ্যটি ভোক্তার হাতে পৌঁছাতে মাসখানেকও লাগতে পারে বলে জানিয়েছে বিক্রেতা।

শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১২

সফটওয়্যার গুরু ম্যাকাফি গুয়াতেমালায়

সফটওয়্যার গুরু ম্যাকাফি গুয়াতেমালায়

মধ্য আমেরিকার দেশ বেলিজ-এর পুলিশের তালিকায় খুনের সন্দেহভাজন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার গুরু জন ম্যাকাফি পালিয়ে গুয়াতেমালায় পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, গুয়াতেমালায় আশ্রয় প্রার্থনা করবেন। খবর রয়টার্স-এর।

গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে বেলিজ-এর পুলিশের হাত থেকে ম্যাকাফি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ একটি খুনের দায়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। আর ম্যাকাফি বলছেন, তাকে হাতে পেলে বেলিজ পুলিশ তাকে মেরে ফেলবে।

গুয়াতেমালার রাজধানী ‘গুয়াতেমালা সিটি’র পথে সোমবার তিনি ন্যাশনাল পার্কের কাছাকাছি একটি হোটেলে ছিলেন বলে সর্বশেষ খবরে রয়টার্স জানিয়েছে।

গুয়াতেমালার সুপ্রিম কোর্ট থেকে রয়টার্সকে টেলিফোনে ম্যাকাফি বলেন, ‘ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। দু’টি কারণে আমি গুয়াতেমালায় এসেছি। এই দেশটির বেলিজের সঙ্গে সীমান্ত আছে এবং বেলিজের দুর্নীতি বিষয়ে এরা বুঝবে।’

ম্যাকাফি খুনের অভিযোগ অস্বীকার করে রয়টার্সকে বলেছেন, তিনি সেখানে আর ফিরে যাবেন না। তার ব্লগ www.whoismcafee.com -এ তিনি তার পলাতক অবস্থার নিয়মিত বর্ণনা দিচ্ছেন। ম্যাকাফি আশা করছেন, গুয়াতেমালায় তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় পাবেন এবং সেখান থেকে মুক্ত ও নিরাপদভাবে কথা বলতে পারবেন।

নমনীয় স্ক্রিনযুক্ত স্মার্টফোন আনছে স্যামসাং

নমনীয় স্ক্রিনযুক্ত স্মার্টফোন আনছে স্যামসাং

আয়ের দিক দিয়ে পৃথিবীর প্রধান টেকনোলজি কোম্পানি স্যামসাং, তাদের নতুন গ্যালাক্সি স্মার্টফোনের উৎপাদন প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে আনছে। নতুন গ্যালাক্সি এস ফোর স্মার্টফোনে নমনীয় অভঙ্গুর স্ক্রিন যুক্ত করার জন্য জন্য স্যামসাং পুরোদমে কাজ করছে। খবর রয়টার্স-এর।

টেকনোলজি ব্লগ ও বিশ্লেষক সূত্রে জানা গেছে ‘প্রজেক্ট জে’ কোড নামের নতুন গ্যালাক্সি স্মার্টফোনের জন্য জেকে শিন-এর নেতৃত্বে কাজ চলছে। আগামী এপ্রিলেই বাজারে আনার জন্য পুরোদমে কাজ চলছে গ্যালাক্সি এস ফোর-এর।

অভঙ্গুর স্ক্রিন ছাড়াও নতুন স্মার্টফোনটিতে থাকছে বড় ও উন্নতমানের ডিসপ্লে, শক্তিশালী কোয়াড কোর প্রসেসর ও ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। এতে প্রতি ইঞ্চিতে ৪৪১ পিক্সেল থাকবে। গ্যালাক্সি এস থ্রি-র ৩০৬ পিক্সেল ও আইফোন ফাইভ-এর ৩২৬ পিক্সেলের তুলনায় এটি ভোক্তাদের নজর কাড়বে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

স্মার্টফোনের জন্য অর্গানিক লাইট-এমিটিং ডায়োড (ওএলইডি) ডিসপ্লেযুক্ত নমনীয় ও অভঙ্গুর স্ক্রিন উন্নয়নে বহুদিন ধরেই সহায়তা করছে স্যামসাং। এতে মোবাইলের স্ক্রিনগুলো গ্লাসের বদলে প্লাস্টিকে তৈরি হবে, যা স্মার্টফোনের ২০ হাজার কোটি ডলারের বাজার দখলে স্যামসাংকে সাহায্য করবে বলে জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা।



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/ওএস/এইচবি

শিশু পর্নোগ্রাফির বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ ৪৮ দেশ

শিশু পর্নোগ্রাফির বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ ৪৮ দেশ

শিশু পর্নোগ্রাফির বিরুদ্ধে যৌথভাবে অভিযান চালানোর জন্য ‘গ্লোবাল অ্যালায়েন্স’ ব্যানারে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস থেকে জোটবদ্ধ হবার ঘোষণা দিলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)-সহ ৪৮টি দেশ। খবর বিবিসির।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৭টি সদস্য রাষ্ট্র ছাড়াও ওই জোটে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপিন্স, জাপান, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, নাইজেরিয়া, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক ও ইউক্রেইন।

এ বিষয়ে ইউরোপিয়ান কমিশনের তথ্য থেকে জানা যায়, কমপক্ষে ১০ লাখ শিশু পর্নোগ্রাফির ছবি ইন্টারনেটে আছে এবং এর সঙ্গে ৫০ হাজার প্রতি বছর যোগ হচ্ছে।

শিশু পর্নোগ্রাফি প্রতিরোধে বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন দেশ অভিযান চালিয়ে ডজনখানেক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করলেও এখনো এ বিষয়ে অনেক কিছু করতে হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

এ নেটওয়ার্কের কাজের মধ্যে রয়েছে শিশু পর্নোগ্রাফির শিকারদের নির্ধারণ ও রক্ষা করা, এ বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান ও আইনী পদক্ষেপের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা, শিশুদের অনলাইনের বিপদ সম্পর্কে জানানো ও শিশু পর্নোগ্রাফি অনলাইন থেকে কমানো।

আগামী বছরের জানুয়ারিতে নেদারল্যান্ডসের রাজধানী দি হেগ-এ কার্যক্রম শুরু করছে ‘দি ইউরোপিয়ান সাইবার ক্রাইম সেন্টার’। সেখান থেকেও শুরু হবে শিশু পর্নোগ্রাফিবিরোধী অভিযান।

সোমবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১২

রবিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১২

প্রথম ছবি তোলা হলো ডিএনএর

প্রথম ছবি তোলা হলো ডিএনএর

জেমস ওয়াটসন ও ফ্রান্সিস ক্রিক ৫৯ বছর আগে ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিয়িক অ্যাসিড (ডিএনএ) বিষয়ে ধারণা দেয়ার পর একজন ইটালিয়ান বিজ্ঞানী প্রথমবারের মতো ছবি তুলতে সমর্থ হলেন ডিএনএর। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

ইটালির ম্যাগনা গ্রাইসিয়া ইউনিভার্সিটি ইন ক্যাটানজারো ইউনিভার্সিটির ফিজিক্স প্রফেসর এনজো ডি ফ্যাব্রিজিও সম্প্রতি ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে ডিএনএর ছবি তুললেন। এর আগ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা ডিএনএ স্ট্রাকচারের ধারণা পেলেও ছবি তোলা সম্ভব হয়নি। এর আগে ডাবল-কর্কস্ক্রু আকৃতির ডিএনএর ধারণা পাওয়া যায় এক্স-রে ক্রিস্টালোগ্রাফি পদ্ধতি ব্যবহার করে।

ডি ফ্যাব্রিজিও ও তার সহকর্মীরা সম্পূর্ণ পানিরোধী সিলিকন পিলারের তৈরি ন্যানোস্কোপিক ল্যান্ডস্কেপ তৈরি করেন। তারা সেখানে ডিএনএযুক্ত সলিউশন যোগ করলে পানি দ্রুত বাষ্প হয়ে যায় এবং সেখানে দড়ির মতো আকৃতির ডিএনএ পাওয়া যায়।

আরো সূক্ষ্মযন্ত্রপাতি ও কম এনার্জিযুক্ত ইলেক্ট্রন ব্যবহার করে স্বাধীন ডাবল হেলিক্স-এর ছবি তোলাও সম্ভব হবে বলে আশা করছেন ফ্যাব্রিজিও।

ডিএনএর ভেতরে প্রাণীদেহের বৃদ্ধি ও কার্যকলাপের যাবতীয় বংশগত বৈশিষ্ট্য সংরক্ষিত থাকে।

সিরিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধ ঘোষণা অ্যানোনিমাসের

সিরিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধ ঘোষণা অ্যানোনিমাসের

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ দেশটির নাগরিকদের ইন্টারনেট সার্ভিস ব্যবহার বন্ধ করার একদিন পর সিরিয়ার বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধ ঘোষণা করলো অ্যানোনিমাস। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

নেটওয়ার্ক ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, অ্যানোনিমাস সিরিয়ার বাইরে রাখা আসাদ সরকারের সব ওয়েব সম্পদের ওপর আক্রমণ চালানোর প্রতিজ্ঞা করেছে। সিরিয়ার সাধারণ নাগরিকদের ডিজিটাল যোগাযোগের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে ইন্টারনেট হ্যাকার গ্রুপটি।

অ্যানোনিমাস জানিয়েছে, সিরিয়ার সরকার যে কার্যক্রম গ্রহণ করছেন তা দায়িত্বজ্ঞানহীন। কারণ দেশটিতে আসা ফাইবার অপটিক সংযোগ নষ্ট হয়নি। এটি দ্রুত চালু করা সম্ভব ছিলো।

হ্যাকারদের প্রথম টার্গেট হচ্ছে চীনের সিরিয়ার অ্যাম্বাসির ওয়েবাসইট নিয়ন্ত্রণে আনা।

রিবুট হলো প্রাচীনতম ডিজিটাল কম্পিউটার

রিবুট হলো প্রাচীনতম ডিজিটাল কম্পিউটার

বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ডিজিটাল সুপারকম্পিউটার ‘হারওয়েল ডিকাটরন’ সংস্কারের পর সাংবাদিকদের সামনে রিবুট করলো ইংল্যান্ডের মিউজিয়াম অফ কম্পিউটিং কর্তৃপক্ষ। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

১৯৫১ সালে ব্রিটিশদের তৈরি সুপারকম্পিউটারটি গত তিন বছর ধরে সংস্কার করলো ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ কম্পিউটিং। সম্প্রতি কর্তৃপক্ষ সুপার কম্পিউটারটি সাংবাদিকদের সামনে রিবুট করেন।

অনেকটা গ্যারেজের দরজার মতো আকারের কম্পিউটারটির ওজন আড়াই টন। দেখতে অনেকটা সায়েন্স ফিকশনের কম্পিউটারের মতো। সাইজটাও বিশাল। গাণিতিক কাজের জন্যে কম্পিউটারটি তৈরি করা হয়েছিলো। ১০ সেকেন্ডেরও কম সময়ে এটি দু’টি সংখ্যা গুণ করতে পারে।

কম্পিউটারটির রিস্টোরেশন এক্সপার্ট কেভিন মোরিল জানান, এটি যুক্তরাজ্যের পারমাণবিক গবেষণার জন্য নির্মাণ করা হয়েছিলো। কম্পিউটারটির গতি কম হলেও এটি হিসাব-নিকাশে নির্ভুল বলে জানিয়েছেন মোরিল।

যদি রোবট দখল করে নেয় পৃথিবী!

যদি রোবট দখল করে নেয় পৃথিবী!

বুদ্ধিমান যন্ত্র কি কখনো টার্মিনেটর মুভির মতো দখল করে নিতে পারে পৃথিবী, নাকি শুধু সায়েন্স ফিকশনেই এটি সম্ভব? বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি এ বিষয়ে গবেষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

ব্রিটেনের কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির গবেষকরা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মতো অত্যন্ত বুদ্ধিমান প্রযুক্তি থেকে মানুষের ওপর আসা সম্ভাব্য হুমকি নিয়ে গবেষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। আগামী বছর থেকে ইউনিভার্সিটির প্রস্তাবিত সেন্টার ফর দি এক্সিসটেনসিয়াল রিস্ক এধরনের যন্ত্রসৃষ্ট সম্ভাব্য বিপদ নিয়ে গবেষণা করবে।

কেমব্রিজের দর্শন বিষয়ের অধ্যাপক হুউ প্রাইস জানান, ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ক্ষেত্রে একথা নিশ্চিত করেই বলা যায় যে, এই শতাব্দী বা আগামী শতাব্দীতে বুদ্ধিমত্তা বায়োলজির সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠবে। তারপর আমরা আর সবচেয়ে বুদ্ধিমান থাকবো না।’

মানুষের সৃষ্ট মেশিন তাদের নির্ধারিত সীমা লক্সঘন করে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বা মানুষের ক্ষতি করছে, বিষয়টি বহুদিন ধরেই সায়েন্স ফিকশনের অন্যতম একটি বিষয়। ‘২০০১: এ স্পেস ওডিসি’ এ ধরনের একটি উল্লেখযোগ্য মুভি।

প্রাইস আরো জানান, ‘বিষয়টিকে অত্যন্ত হালকা মনে হলেও আমাদের সঠিকভাবে জানা নেই বিষয়টি ঠিক কতোটা বিপজ্জনক।’

পকেট সাইজ ভার্চুয়াল কি-বোর্ড আসছে ডিসেম্বরে

পকেট সাইজ ভার্চুয়াল কি-বোর্ড আসছে ডিসেম্বরে

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাজারে আসছে ব্লুটুথ সংযুক্ত ভার্চুয়াল কিবোর্ড। ল্যাপটপ ও স্মার্টফোনে ব্যবহার উপযোগী এ কি-বোর্ডে লেজার রশ্মি ব্যবহার করা হয়েছে। খবর ম্যাশএবল-এর।

মোবাইল ফোনের কি-বোর্ডের মতো ছোট কি-বোর্ডে টাইপিং জটিলতা দূর করতে পকেট সাইজ লেজার কি-বোর্ড আনছে নির্মাতা ব্রুকস্টোন। ৯৯ ডলারে এ কি-বোর্ড যে কোনো সমতল জায়গায় ব্যবহার করা যাবে। ব্লুটুথ বা ইউএসবির মাধ্যমে ল্যাপটপ বা স্মার্টফোনে এটি ব্যবহার করা যাবে। এতে রিচার্জেবল ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। একবার চার্জ দিলে এর মাধ্যমে ২ ঘণ্টা টাইপ করা যাবে।

শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১২

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অ্যানোনিমাস

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অ্যানোনিমাস

ইসরায়েলি ওয়েবসাইটের ওপর সিরিজ সাইবার আক্রমণ চালাচ্ছে আন্তর্জাতিক হ্যাকার সংগঠন অ্যানোনিমাস। অ্যানোনিমাসের সাইবার আক্রমণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক ইসরায়েলি ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলোর হোম পেইজে শোভা পাচ্ছে ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানিয়ে লেখা মেসেজ। খবর বিবিসির।

গাজায় ইসরায়েলের হামলার উত্তরে দেশটির বিরুদ্ধে লড়াই ঘোষণা করেছে হ্যকারদের সংগঠনটি। অ্যানোনিমাস জানিয়েছে, ইসরায়েল গাজাড টেলিকমিউনিকেশন ব্যবস্থা বন্ধ করে দেবার হুমকি দিলে ‘অপইসরায়েল ক্যাম্পেইন’ অভিযান শুরু করে তারা।

আরোনরিলেশনস ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক বিবৃতি অ্যানোনিমাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা অ্যানোনিমাস এবং আমাদের চোখের সামনে কেউ ইন্টারনেট বন্ধ করে দিতে পারবে না।’

ওই বিবৃতিতে ইসরায়েল গাজার ওপর আক্রমণ বন্ধ না করলে এবং টেলিকমিউনিশেন ব্যবস্থা বন্ধ করে দিলে ফলাফল ভালো হবে না বলে হুশিয়ার করে দেয় অ্যানোনিমাস। অন্যথায় ইসরায়েল অ্যানোনিমাস সদস্যদের রোষের মুখে পড়বে বলে জানিয়েছে তারা।

ওই বিবৃতিটি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অ্যানোনিমাস ৮৭টি ইসরায়েলি ওয়েবসাইটের নাম প্রকাশ করে। এর মধ্যে অনেকগুলো ওয়েবসাইটের হোম পেইজ পাল্টে সেখানে ফিলিস্তিন এবং হামাসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে লেখা মেসেজ পোস্ট করে অ্যানোনিমাস হ্যাকাররা।

একই সময়ে গাজার টেলিকমিউনিকেশন ব্যবস্থা এবং ইন্টারনেট অচল হয়ে পড়লে যোগাযোগের জন্য একাধিক বিকল্প মাধ্যমও বাতলে দিয়েছে অ্যানোনিমাস।

হ্যাকারদের আক্রমণে ইসরায়েলি উপ প্রধানমন্ত্রী

হ্যাকারদের আক্রমণে ইসরায়েলি উপ প্রধানমন্ত্রী

হ্যাক হয়েছে ইসরায়েলি উপ প্রধানমন্ত্রী সিলভান শালোমের ফেইসবুক, টুইটার এবং ইমেইল অ্যাকাউন্ট। ইসরায়েলি উপ প্রধানমন্ত্রীর সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এবং ইমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার দায় স্বীকার করে নিয়েছে হ্যাকারদের সংগঠন ‘জিকোম্পানি হ্যাকিং ক্রু’ (জেডএইচসি)। গাজায় সামরিক হামলার প্রতিবাদ হিসেবে ইসরায়েলি উপ প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছে হ্যাকারদের সংগঠনটি। খবর বিবিসির।

জেডএইচসি জানিয়েছে, খুব শিগগিরই শালোমের ইমেইল অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক ইমেইলগুলো ইন্টারনেটে ফাঁস করে দেবে তারা।

হ্যাক হবার পর টানা কয়েক ঘণ্টা উপ প্রধানমন্ত্রী শালোমের টুইটার এবং ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে হ্যাকারদের ফিলিস্তিন ও গাজাকে সমর্থন জানিয়ে লেখা একাধিক পোস্ট শোভা পায়। শালোমের ফেইসবুক পেইজে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ শ্লোগান লেখা ছবিও পোস্ট করে তারা। পরে পেইজটি বন্ধ করে দেয়া হয়।

গাজায় সামরিক হামলা শুরু করার পর একের পর এক সাইবার আক্রমণের শিকার হচ্ছে ইসরায়েল। গাজায় টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেবার হুমকির পর সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর কাছে অনলাইন বিভীষিকা হয়ে দাঁড়ানো হ্যাকারদের সংগঠন অ্যানোনিমাসের রোষের মুখে পড়ে ইসরায়েল। অ্যানোনিমাস আক্রমণে বন্ধ হয়ে যায় ইসরায়েল সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট। বন্ধ হয়ে যাওয়া ওয়েবসাইটের তালিকায় ছিলো ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটও।

সর্বশেষ দেশটির উপ প্রধানমন্ত্রী সিলভান শালোমের ওপর সাইবার আক্রমণের মাধ্যমে ইসরায়েল বিরোধী সাইবার যুদ্ধে যোগ দিলো জেডএইচসি।

অ্যান্ড্রয়েডের ডিসেম্বর বিভ্রাট দূর হচ্ছে

অ্যান্ড্রয়েডের ডিসেম্বর বিভ্রাট দূর হচ্ছে

গুগলের স্মাটফোন ও ট্যাবলেট ডিভাইসের জন্য অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েডের কনটাক্ট বিষয়ে তথ্য রাখার জন্য তৈরি ‘পিপল অ্যাপ’ ত্রুটির জন্য তাতে ডিসেম্বর মাসের তথ্য রাখা যাচ্ছিলো না। শীঘ্রই এ সমস্যা থাকবে না বলে গুগল জানিয়েছে। খবর বিবিসি ও সিনেট-এর।

অ্যান্ড্রয়েডের এ বাগের ফলে নভেম্বর থেকে সরাসরি ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে চলে যাচ্ছিলো এন্ট্রিগুলো। তবে অন্য ডিভাইসগুলো এ সমস্যার কারণে প্রভাবিত হবে না এবং এ সমস্যা দূর করতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে গুগল। অক্টোবরে অ্যান্ড্রয়েডের ৪.২ ভার্সনের অপারেটিং সিস্টেমটি যাত্রা শুরু করে।

বিবিসি জানিয়েছে, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে কনটাক্ট তথ্য রাখার পিপল অ্যাপস-এ ক্রুটি রয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড সংবাদ মাধ্যম অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ ওয়েব সাইটে ডিভাইসটির কিছু ত্রুটির কথা প্রকাশ করা হয়। পকেট লিন্ট বার্তা মাধ্যমের টেকনোলজি এডিটর স্টুয়ার্ট মাইলস জানান, এ সমস্যা দূর করতে গুগল সিস্টেমটি দ্রুত আপডেট করবে।

বেলুনে বাড়ি বেঁধে আটলান্টিক পার

বেলুনে বাড়ি বেঁধে আটলান্টিক পার

ডিজনি মুভি ‘আপ’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে হিলিয়াম বেলুনের সঙ্গে নিজের বাড়িটি বেঁধে নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেবেন ৩৮ বছর বয়সি অ্যাডভেঞ্চার পাগল মার্কিন নাগরিক জোনাথান ট্র্যাপি। খবর অরেঞ্জ নিউজ-এর।

মেক্সিকোর লিওন ইন্টারন্যাশনাল বেলুন ফেস্টিভালে হিলিয়াম বেলুনের সঙ্গে বাঁধা বাড়িটি নিয়ে প্রথমবারের মতো আকাশে ওড়েন ট্র্যাপি। আগামী বছরের গ্রীষ্মে বেলুনে বাঁধা বাড়ি নিয়ে আটলান্টিক সাগরের ওপর দিয়ে আড়াই হাজার মাইল পাড়ি দেবার লক্ষ্য রয়েছে তার।

২০১০ সাল সালে হিলিয়াম বেলুনে চড়ে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান ট্র্যাপি।

নিজের বেলুন অভিযান নিয়ে ট্র্যাপি বলেন, ‘এর আগে আমি যতোবার আকাশে উড়েছি, তার প্রতিবারই ছিলো এই একটি অভিযানের প্রস্তুতি। পুরো ব্যাপারটার উদ্দেশ্য হচ্ছে এক্সাইটিং জীবন যাপন করা। যাতে একদিন আমরা পেছনে তাকিয়ে বলতে পারি, মানবজাতি অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে।

আইনস্টাইনের বুদ্ধিমত্তার রহস্য সমাধানে নতুন সূত্র!

আইনস্টাইনের বুদ্ধিমত্তার রহস্য সমাধানে নতুন সূত্র!

আলবার্ট আইনস্টাইনের বুদ্ধিমত্তার রহস্য সমাধানে অনেকদিন ধরেই লেগে আছেন বিজ্ঞানীরা। নোবেলজয়ী এই বিজ্ঞানীর মস্তিষ্কের কিছু সাম্প্রতিক ছবি সেই রহস্য সমাধানে বিজ্ঞানীদের দিচ্ছে নতুন সূত্র। ওই ছবিগুলোতে বেরিয়ে এসেছে আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের ভাঁজে অদ্ভুত কিছু ভিন্নতা, যা উত্তর দিতে পারে অনেক প্রশ্নের। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

ছবিগুলোতে আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের গ্রে ম্যাটারে বাড়তি ভাঁজ আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেন, আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের সামনের দিকটায় মস্তিষ্কের ভাঁজগুলো ছিলো অনেক বিস্তারিত এবং সূক্ষ্ম। একজন মানুষের চিন্তা-ভাবনা, পরিকল্পনা এর সবই হয়ে থাকে মস্তিষ্কের গ্রে ম্যাটারে।

বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় দেখেন, আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের সেরিব্রাল করটেক্সের পুরোটা জুড়েই ছিলো অস্বাভাবিক ভাঁজ। মস্তিষ্কের গ্রে ম্যাটারের সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার সম্পর্ক থাকার কথা বিজ্ঞানীরা বলছেন অনেকদিন ধরেই। প্রচলিত তত্ত্বমতে, গ্রে ম্যাটারের ঘনত্ব যতো বেশি হবে, ততোই বেশি হবে একজন মানুষের বুদ্ধিমত্তা।

আইনস্টাইনকে বলা চলে ২০ শতকের সবচেয়ে বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের একজন। ১৯৫৫ সালে ৭৬ বছর বয়সে মারা যান তিনি। ময়নাতদন্তের সময় আইনস্টাইনের মস্তিষ্কটি আলাদা করে সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন প্যালোলজিস্ট থমাস হার্ভে।

আইনস্টাইনের মস্তিষ্কটি কেটে কয়েকশ’ মাইক্রোস্কোপিক স্লাইডে ভাগ করেন হার্ভে। এছাড়াও বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ১৪টি ছবি তুলে রেখেছিলেন তিনি।

মাইক্রোস্কোপিক স্লাইডগুলো গবেষকদের হাতে তুলে দিলেও, আইনস্টাইনকে নিয়ে বই লেখার জন্য ছবিগুলো নিজের কাছ লুকিয়ে রেখেছিলেন হার্ভে। কিন্তু বইটি লেখা শেষ করার আগেই মারা যান হার্ভে। ২০১০ সালে হার্ভের পরিবার ওই ছবিগুলো দান করেন ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ হেলথ অ্যান্ড মেডিসিনে।

'আনহ্যাকেবল টেলিকম নেটওয়ার্ক' তৈরিতে আরেকটি ধাপ

আনহ্যাকেবল টেলিকম নেটওয়ার্ক' তৈরিতে আরেকটি ধাপ

ব্যয়বহুল অপটিকাল ফাইবার লিঙ্ক ব্যবহার না করেই কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করে টেলিকম নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা বাড়ানোর নতুন এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন গবেষকরা। যুক্তরাজ্যে অবস্থিত তোশিবার ইউরোপিয়ান রিসার্চ ল্যাবরেটরি এবং কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীর তৈরি এই প্রযুক্তি ‘আনহ্যাকেবল টেলিকম নেটওয়ার্ক’ তৈরির গবেষণাকে এগিয়ে নিলো আরেকটি ধাপ। খবর রয়টার্স-এর।

কোয়ান্টাম থিওরি ব্যবহার ডেটা আনক্র্যাকেবল কোডে রুপান্তর করে কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি। বিশ্বের প্রযুক্তিগত দিক থেকে অগ্রসর দেশগুলোর গোয়েন্দা সংস্থা এবং সেনাবাহিনী এই প্রযুক্তির ব্যবহার করে বলে ধারণা করা হয়।

তবে এনক্রিপ্টেড কোড ভেঙ্গে ডেটা উদ্ধার করতে ফোটন বা আলোর ক্ষুদ্র কণার মাধ্যমে কোয়ান্টাম কি আদান-প্রদান করতে প্রয়োজন পড়তো সম্পূর্ণ আলাদা একটি অপটিকাল ফাইবার। এর ফলে ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়ায় এই প্রযুক্তি।

সম্প্রতি একই অপটিকাল ফাইবার ব্যবহার করে ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কোয়ান্টাম কি এবং ডেটা আদান প্রদানের প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন বলে জানিয়েছেন তোশিবার বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু শিল্ড।

বিজ্ঞানীদের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে, ১ মাইক্রোসেকেন্ডের ১০ কোটি ভাগের একভাগ সময়ের মধ্যে এনক্রিপ্টেড কি বাহি ফোটনটি শনাক্ত করতে সক্ষম ডিটেক্টর তৈরি করা।

তোশিবা বিজ্ঞানীদের তৈরি নতুন প্রযুক্তিতে ৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে একটি অপটিকাল ফাইবার ব্যবহার করে ডেটা পাঠানো এবং গ্রহণ করা যাবে। বিজ্ঞানী দলের সদস্য ঝিলিয়ান ইউয়ার রয়টার্সকে জানান, নতুন প্রযুক্তিটি মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষা করে দেখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা হবে এই প্রযুক্তি।

পৃথিবীর আরো কাছে আসছে গ্র্যাভিটি ম্যাপার

পৃথিবীর আরো কাছে আসছে গ্র্যাভিটি ম্যাপার

ক্রমান্বয়ে পৃথিবীর আরো কাছে নিয়ে আসা হচ্ছে ইউরোপিয়ান সায়েন্স এজেন্সি (ইএসএ)-এর তৈরি আল্ট্রা-লো-ফ্লাইং গ্র্যাভিটি ম্যাপিং স্যাটেলাইট ‘গোসে’ (Goce)। তীরের মতো দেখতে স্পেসক্রাফটি মিশনের বড় একটা সময় কাটিয়েছে মাটি থেকে ২৫৫ কিলোমিটার উপরের বয়ুমণ্ডলে, যা অন্যান্য স্যাটেলাইটের তুলনায় ৫০০ কিলোমিটার নিচে। খবর বিবিসির।

গোসে গ্র্যাভিটি ম্যাপার স্যাটেলাইটের মূল কাজ হচ্ছে, পৃথিবীকে ঘিরে ঘুরে পৃথিবীর সব জায়গার মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ম্যাপ তৈরি করা এবং সাগরের পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করে পরিবেশ পরিবর্তন সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা।

স্থান বিভেদে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ক্ষুদ্রতম পার্থক্য ধরতে পারে গোসে স্যাটেলাইটের গ্র্যাডিওমিটার। তবে স্যাটেলাইট থেকে আরো বিস্তারিত তথ্য পাবার লক্ষ্যে গোসেকে ২৫৫ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে নামিয়ে ২৩৫ কিলোমিটারে আনছেন বিজ্ঞানীরা।

অগাস্ট মাস থেকে প্রতিদিন গোসের ওড়ার উচ্চতা ৩০০ মিটার কমিয়ে আনছেন বিজ্ঞানীরা। এ হারে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে স্যাটেলাইটটি ২৩৫ কিলোমিটার উচ্চতায় নেমে আসবে বলে আশা করছেন তারা।

তবে এতো কম উচ্চতায় ওড়ার কারণে নানা ঝুঁকির মুখে পড়তে হবে স্যাটেলাইটটিকে। ঝড়োবাতাস বা খারাপ আবহাওয়ার কারনে নিজের কক্ষপথ থেকে সরে আসতে পারে স্যাটেলাইটটি। আর কোনো কারণে গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্যাটেলাইটটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে, দু’দিনের মধ্যেই যদি নিয়ন্ত্রণ ফিরে না পাওয়া গেলে তৃতীয় দিনেই পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়বে স্যাটেলাইটটি।

তবে এখন কক্ষপথে টানা ৫০ সপ্তাহ ওড়ার মতো যথেষ্ট জ্বালানী রয়েছে গোসে স্যাটেলাইটটির। জ্বালানী শেষ হয়ে গেলে বায়ুমণ্ডলে এনে স্যাটেলাইটটি ধ্বংস করে দেবন বিজ্ঞানীরা। তবে তার আগেই হাতে চলে আসবে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নিয়ে অতি প্রয়োজনীয় তথ্য।

ব্রাউজারে চোখ রেখে দেখুন মহাবিশ্ব

ব্রাউজারে চোখ রেখে দেখুন মহাবিশ্ব

গুগল ক্রোম ব্রাউজারে চোখ রেখেই এখন ঘুরে আসা যাবে মহাবিশ্বের অনেকটা। গুগল আর্থের মূল ভাবনা অবলম্বেনে তৈরি গুগল গ্যালাক্সিতে দেখা যাবে মিল্কি ওয়ে আর অগনিত গ্রহ নক্ষত্র। খবর সিনেট-এর।

গুগলের পরীক্ষামূলক ওয়েবপেইজ গুগল গ্যালাক্সি ব্যবহার করে যে কোনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ইন্টারনেট ব্রাউজার থেকেই ঘুরে দেখতে পারবেন অজানা মহাকাশ। আর নক্ষত্রপুঞ্জে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হবার আগেই আপনি উপলব্ধি করবেন আমাদের সৌরজগৎটি আদতে মহাবিশ্বর কাছে কতোটা ক্ষুদ্র।

গুগল জানিয়েছে, মহাকাশ নিয়ে উৎসাহি প্রোগ্রামার আর সফটওয়্যার ডিজাইনাররা মিলে ওয়েবজিএল, সিএএসথ্রিডি এবং ওয়েবঅডিও সফটওয়্যার ব্যবহার করে দাঁড় করিয়েছেন গুগল গ্যালাক্সি।

গুগল গ্যালাক্সিতে সফটওয়্যার ডিজাইনার ব্যবহার করেছেন নাসা, ইএসএ এবং উইকিপিডিয়ার আঁকিয়েদের তৈরি ছবিগুলো। আর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজকের কাজটি করেছেন ভিডিও গেইমসের মিউজিক কম্পোজার স্যাম হিউলিক।


গুলি থামাবে সুপার ম্যাটিরিয়াল

গুলি থামাবে সুপার ম্যাটিরিয়াল

প্রচণ্ড গতিতে ধেয়ে আসা গুলিকে পুরোপুরি থামিয়ে দেবার মতো শক্তিশালী ‘সুপার ম্যাটিরিয়াল’ বানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এই সুপার ম্যাটিরিয়াল যুদ্ধক্ষেত্রে সৈনিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো দৃঢ় করবে বলে আশা করছেন তারা। খবর ইয়াহুর।

সুপার ম্যাটিরিয়াল নিয়ে গবেষণা করছেন রাইস ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী টমাস, জে হং লি এবং একদল এমআইটি শিক্ষার্থী। আইনশৃক্সখলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য এবং সৈনিকদের জন্য প্রথাগত বর্মের তুলনায় হালকা এবং আরো কার্যকর বর্ম তৈরির চেষ্টা করছেন তারা। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সৈনিকদের পাশাপাশি স্যাটেলাইট এবং প্লেনে মতো দুর্বল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসম্পন্ন যানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে এই সুপার ম্যাটিরিয়াল দিয়ে।

বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন পলিইউরিথিন নামের জটিল এক পদার্থ নিয়ে। বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় আবিষ্কার করেন, প্রচণ্ড গতিতে ধেয়ে আসা ৯ মিলিমিটার বুলেটকেও থামিয়ে দিচ্ছে পলিইউরিথিন। শুধু তাই নয়, গুলিটি আঘাত হানার পর বর্মে যে ক্ষতের সৃষ্টি হচ্ছে নিজে থেকেই গলে গিয়ে সেই ক্ষত সাড়িয়ে নিচ্ছে এই আজব পদার্থ।

বিজ্ঞানী টমাস এই পরীক্ষা নিয়ে বলেন, ‘ম্যাটিরিয়ালটিতে কোনো মাইক্রোস্কোপিক ক্ষতি পর্যন্ত হয়নি। এটি ছিড়ে যায় নি, এটি পুরোপুরি সফল।

স্টিফেন হকিংয়ের জন্য ইনটেলের ৬০-কোর প্রসেসর

স্টিফেন হকিংয়ের জন্য ইনটেলের ৬০-কোর প্রসেসর

জিওন সিপিইউতে ব্যবহারের জন্য তৈরি ৬০-কোরের প্রসেসর বিক্রি শুরু করেছে চিপ জায়ান্ট ইনটেল। তবে ৬০ কোরের প্রসেসর ‘ফি’ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন ইনটেলের নির্বাচিত ক্রেতারা। আর ওই নির্বাচিত ক্রেতাদের তালিকার প্রথমেই আছেন প্রফেসর স্টিফেন হকিং। খবর সিনেট-এর।

২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে যাবে ইনটেলের ৬০-কোরের ‘ফি’ প্রসেসর। তবে প্রথাগত সিপিইউ-এর সঙ্গে খুব একটা মিল নেই এর, বরং গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট বা জিপিইউ-এর সঙ্গেই মিল বেশি। জিওন সিপিইউ-এর সঙ্গে যুক্ত করেই ব্যবহার করতে হবে ‘ফি’।

প্রাথমিক অবস্থায় ‘ফি’ ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন প্রফেসর স্টিফেন হকিং এবং কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির মতো শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো। ইনটেল জানিয়েছে, কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির কসমস ল্যাবের এসজিআই সুপার কম্পিউটারে গবেষণার কাজে ‘ফি’ প্রসেসর ব্যবহার করবেন হকিং।

প্রফেসর হকিং এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এসজিআই ইউভি ২০০০ সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করে নতুন আবিষ্কারে মনোযোগ দিতে পারবো আমরা। যা মহাবিশ্বের রহস্য উদঘাটনে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে আমাদের।’

স্পেশালাইজড কম্পিউটিং টাস্ক-এর ক্ষেত্রে ফি প্রসেসরের সঙ্গে তুলনা করলে কোনোভাবেই ধোপে টিকবে না সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য বানানো ইনটেল প্রসেসরগুলো। প্রফেসর হকিং আর কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি বাদে এখনই ফি প্রসেসর ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে টেক্সাস অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং সেন্টারের মতো হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি বাজারে আসার কথা রয়েছে জিয়োন ফি কোপ্রসেসরের। ৬০ কোরের প্রসেসরটির দাম হতে পারে ২৬৪৯ ডলার।

হৃৎপিণ্ডের কোষে চলছে বায়োলজিকাল রোবট

হৃৎপিণ্ডের কোষে চলছে বায়োলজিকাল রোবট

ছোট ইঁদুরের হৃৎপিণ্ডের কোষ থেকে পাওয়া শক্তিতে চলছে বায়োলজিকাল রোবট বা বায়ো-বট। বায়ো-বটগুলো তৈরি করা হয়েছে থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তিতে এবং প্রতিস্থাপন করা হয়েছে হৃৎপিণ্ডের জীবন্ত কোষ। আর হৃৎপিণ্ডের কোষগুলোর ক্রমাগত সংকোচন আর প্রসারণেই সামনে এগিয়ে যায় বায়ো-বট। খবর বিবিসির।

ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়িসের বিজ্ঞানীদের বানানো ৭ মিলিমিটারের বায়ো-বটগুলোর গঠনের একটি অংশের সঙ্গে মিল রয়েছে সুইমিং পুলের ডাইভিং বোর্ডের সঙ্গে। ডাইভিং বোর্ডের মতো লম্বা অংশটি আদতে বায়ো-বটগুলোর একমাত্র পা।

থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তিতে হাইড্রোজেল ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা তৈরি করেন ডাইভিং বোর্ডের মতো পা-টি। হাইড্রোজেল হচ্ছে এক ধরণের বিশেষ জৈবিক পদার্থ, যা ব্যবহার করা হয় টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাজে।

ডাইভিং বোর্ডের মতো পায়ের নিচের অংশে প্রলেপ দেয়া হয় ইদুঁরদের হৃৎপিণ্ড থেকে সংগ্রহ করা জীবন্ত কোষ দিয়ে। হৃৎপিণ্ডের কোষগুলো যখন বারবার সংকুচিত এবং প্রসারিত হয়, তখন ডাইভিং বোর্ডের মতো অংশটি আবার প্রসারিত হয়ে আগের অবস্থায় ফিরে আসে। এভাবে ডাইভিং বোর্ডের মতো পা-টি লিভার হিসেবে কাজ করায় সামনে দিকে এগোতে থাকে বায়ো-বট। বায়ো-বটগুলোর সর্বোচ্চ গতি প্রতি ৪ সেকেন্ডে ১ মিলিমিটার।

বায়ো-বট প্রজেক্টের দায়িত্বে থাকা ইউনিভার্সিটি অফ ইলনয়িসের বিজ্ঞানী প্রফেসর রাশিদ বশির বলেন, ‘পরিবেশ পুনরুদ্ধারের কাজে সেন্সর হিসেবে কাজ করতে পারবে বায়ো-বটগুলো। আমাদের লক্ষ হচ্ছে রোবটগুলোকে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ চিহ্নিত করতে সক্ষম করে তোলা, যাতে রোবটগুলো নিজে নিজেই ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ চিহ্নিত করে তা নিষ্ক্রিয় করতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং পরিবেশ রক্ষায় কাজে আসতে পারে রোবটগুলো।’

হৃৎকোষ ছাড়াও শরীরের অন্যান্য অংশের জীবন্ত কোষ ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজে দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। এছাড়া বায়ো-বটগুলোর আকার-আকৃতি নিয়ে গবেষণা করে সবচেয়ে কার্যকর আকারটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন তারা।

ব্রেইন ওয়েভ থেকে মিউজিক

ব্রেইন ওয়েভ থেকে মিউজিক

চিন্তা করার সময় মস্তিষ্কে যদি আওয়াজ হতো তবে তা কেমন শোনাতো? এ প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। মানব মস্তিষ্কের তরঙ্গগুলোকে ভাষান্তর করে তৈরি করেছেন ব্রেইন মিউজিক। খবর লাইভ সায়েন্স-এর।

বেইন ওয়েভ থেকে ব্রেইন মিউজক বানাতে গবেষণার কাজটি করেন, চীনের ইউনিভার্সিটি অফ ইলেকট্রনিক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির বিজ্ঞানী জিং হু। জিং হু এবং তার সহকর্মীরা প্রথমে ইলেকট্রোয়েনসেফালোগ্রাফি (ইইজি) ব্যবহার করে মস্তিষ্কের ইলেকট্রিকাল অ্যাকটিভিটি রেকর্ড করেন। তারপর বিশষ সফটওয়্যার ব্যবহার করে ওই ইলেকট্রিকাল সিগনালগুলোকে রূপান্তর করেন মিউজিকাল নোটে।

তবে ইইজি থেকে পাওয়া ব্রেইন মিউজিক এতোটাই কর্কশ শোনাতো যে একরকম শোনার অযোগ্যই ছিলো সেটি। এই সমস্যা সমাধানে এমআরআই ব্যবহারের স্বিদ্ধান্ত নেন বিজ্ঞানীরা। এফএমআরআই এর মাধ্যমে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ নির্ণয় করেন তারা। এরপর ইইজি আর এফএমআরআই থেকে পাওয়া ডেটা এক করে বিজ্ঞানীরা দাঁড় করিয়ে ফেলেন ‘শ্রবনযোগ্য’ ব্রেইন মিউজিক।

বিজ্ঞানীরা জানান, ইইজি আর এফএমআরআইয়ের ডেটা থেকে তৈরি ব্রেইন মিউজক শোনার পর ১০ জন পেশাদার সংগীত শিল্পর মন্তব্য, একজন মানুষের কম্পোজ করা সংগীতের সঙ্গে বেশ মিল রয়েছে ব্রেইন মিউজিকের।

গবেষকরা আশা করছেন, বিজ্ঞান এবং শিল্পের সমন্বয় ঘটানোর মধ্য দিয়ে ব্রেইন মিউজিক ব্যবহার করেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে মস্তিষ্কের তরঙ্গগুলো। এর ফলে মোকাবেলা করা যাবে উদ্বেগ ও বিষন্নতা।

সোমবার, ১২ নভেম্বর, ২০১২

গগলসে জিপিএস-ব্লুটুথ

গগলসে জিপিএস-ব্লুটুথ

ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক স্পোর্টস ইকুইপমেন্ট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওকলির তৈরি নতুন এয়ারওয়েভ স্নো গগলসে থাকবে নিজের অবস্থান নির্ণয় করার জন্য গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) সুবিধা। শুধু তাই নয়, ব্লুটুথ, মিউজিক কন্ট্রোলার আর টেক্সট মেসেজ সুবিধার সবই থাকবে গগলটির হেডস-আপ ডিসপ্লেতে। খবর গিজম্যাগ-এর।

গগলসটির মূল ফিচার হচ্ছে এর ‘হেডস-আপ ডিসপ্লে’। তুষার ঢাকা পর্বতে স্নো বোর্ডিংয়ের সময় চোখের আড়ালেই থাকবে ডিসপ্লেটি। মাঝে থেমে একটি মিনিয়েচার প্রিজম লেন্সে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলেই সামনে চলে আসবে ডিসপ্লেটি এবং জানিয়ে দেবে ব্যবহারকারীর স্ট্যাটাস আপডেট। আর ৩৫ দশমিক ৫ সেন্টিমিটারের ডিসপ্লেটি যখন সামনে চলে আসবে তখন মনে হবে স্ক্রিনটি যেন ১ দশমিক ৫ মিটার দূরে রয়েছে স্নোবোর্ডার বা স্কিয়ারের কাছ থেকে।

গগলসটির জিপিএস ব্যবহার করে ব্যবহারকারী জেনে নিতে পারবেন তার অবস্থানগত তথ্য। এছাড়াও কতো উপর থেকে তুষারে লাফিয়ে পড়েছেন বা কতোটা দূরত্ব পাড়ি দিয়েছেন, এর সব তথ্যের যোগান দেবে গগলসটি।

এছাড়াও তাপমাত্রা, গতি ও উচ্চতার মতো প্রয়োজনীয় তথ্যের যোগান দেবে গগলসটি। আর গগলসটির ব্লুটুথ ব্যবহার করে স্মার্টফোনটি পকেট থেকে বের না করেই দেখা যাবে ইনকামিং কল, পড়া যাবে এসএমএস। আর প্রয়োজনের সময় স্নো গগলসটির লেন্সও পরিবর্তন করা যাবে দ্রুত।

৪২ আলোকবর্ষ দূরে 'সুপার-আর্থ'!

৪২ আলোকবর্ষ দূরে 'সুপার-আর্থ'!

দ্বিতীয় পৃথিবীর খোঁজে চালানো গবেষণায় আরেক ধাপ এগিয়ে গেলেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা। পৃথিবী থেকে ৪২ আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্র ‘এইচডি ৪০৩০৭’ ঘিরে ঘুরতে থাকা গ্রহগুলো নক্ষত্রটির এতোই কাছে যে, জীবনধারণের উপযোগী হতে পারে গ্রহগুলো। খবর বিবিসির।

‘এইচডি ৪০৩০৭’ নক্ষত্রটি ঘিরে ঘুরতে থাকা তিনটি গ্রহ আগেই আবিষ্কার করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি ওই নক্ষত্রটিকে আবর্তনকারী আরো তিনটি গ্রহ আবিষ্কার করেছেন তারা। আর ওই তিন গ্রহেই থাকতে পারে তরল জল। তবে আমাদের সূর্যের তুলনায় আকারে ছোট ‘এইচডি ৪০৩০৭’ নক্ষত্রটি।

চিলিতে অবস্থিত ইউরোপিয়ান সাউদার্ন অবজারভেটরির লা সিলা ফ্যাসিলিট হার্প ইনস্ট্রুমেন্ট ব্যবহার করে ‘এইচডি ৪০৩০৭’ এবং এর চাপাশে ঘুরতে থাকা ছয়টি গ্রহ আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা।

‘এইচডি ৪০৩০৭’ নক্ষত্র ঘিরে ঘুরতে থাকা গ্রহগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দূরের গ্রহের নাম ‘এইচডি ৪০৩০৭জি’। পৃথিবীর হিসেবে মাত্র ২০০ দিনে নক্ষত্রটিতে অতিক্রম করে গ্রহটি। পৃথিবীর তুলনায় সাতগুণ বেশি ভর ‘এইচডি ৪০৩০৭জি’র।

‘এইচডি ৪০৩০৭’ নক্ষত্রটির গ্রহগুলো আবিষ্কারের ফলে আরো বড়ো হলো ‘সুপার-আর্থ’ খ্যাত এক্সোপ্লানেট গ্রহগুলোর তালিকা। এর আবিষ্কারক বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে মহাকাশে স্থাপিত টেলিস্কোপ ব্যবহার করে গ্রহগুলোর গঠন নিয়ে আরো বিস্তারিত গবেষণা করা

বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১২

প্রথম দেখাতেই ভালো লাগার ব্যাখা দিলেন বিজ্ঞানীরা

প্রথম দেখাতেই ভালো লাগার ব্যাখা দিলেন বিজ্ঞানীরা

প্রথম দেখাতেই ভালো লেগে যাবার পুরো ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করলেন বিজ্ঞানীরা। বিপরীত লিঙ্গের কাউকে প্রথম দেখাতেই ভালো লেগে যাওয়ার পেছনের মূল ‘কালপ্রিট’ মস্তিষ্কেরই একটা অংশ। আরো নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, এজন্য দায়ী, মস্তিষ্কের সামনের দিকে অবস্থিত মিডিয়াল প্রিফ্রন্টাল করটেক্স। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

নতুন মুখ দেখার কয়েক মিলিসেকেন্ডের মধ্যে ওই ব্যক্তিটি ‘মিস্টার বা মি রাইট’ কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় মিডিয়াল প্রিফ্রন্টাল করটেক্সের কয়েকটি অংশ। পছন্দের মানুষটির খোঁজে মস্তিষ্কের এই চমকপ্রদ ভূমিকার ব্যাপারটি আবিষ্কার করেছেন আইরিশ বিজ্ঞানীরা।

গবেষণার জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজের ৭৮ জন নারী এবং ৭৩ জন পুরুষ শিক্ষার্থীকে নিয়োগ করেন বিজ্ঞানীরা। তাদের নিয়ে বিজ্ঞানীরা আয়োজন করেন এক স্পিড-ডেটিং ইভেন্ট। ওই ইভেন্টে অংশগ্রহণকারীরা পাঁচ মিনিট করে সময় কাটান বিপরীত লিঙ্গের প্রত্যেক ব্যক্তির সঙ্গে।

আর ইভেন্টটির আগে ৩৯ জন অংশগ্রহনকারীর ব্রেইন স্ক্যান করে ফাংশনাল এমআরআই (এফএমআইরআই) মেশিন দিয়ে মস্তিষ্কের ছবি তোলেন বিজ্ঞানীরা। এফএমআরআই মেশিন দিয়ে ছবি তোলার সময় স্বেচ্ছাসেবকদের বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তিদের ছবি দেখিয়ে কাদের সঙ্গে ডেটে যেতে ইচ্ছুক, তা চিহ্নিত করতে বলেন বিজ্ঞানীরা।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, এফএমআরআইয়ে পরীক্ষায় নেয়া স্বেচ্ছাসেবকরা ছবি দেখে যাদের পছন্দ করেছিলেন, স্পিড ডেটিং ইভেন্টে তাদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ ব্যক্তিকে পছন্দ করেন।

পছন্দের মানুষকে চিহ্নিত করার সঙ্গে মিডিয়াল প্রিফ্রন্টাল করটেক্সের একটি বিশেষ অঞ্চল প্যারাসিঙ্গুলেট করটেক্সের সম্পর্ক খুঁজে পান বিজ্ঞানীরা। ছবির মানুষটিকে দেখে পছন্দ হলেও গাণিতিক হারে বেড়ে যাচ্ছিলো প্যারাসিঙ্গুলেট করটেক্সের কার্যক্রম।

সোমবার, ৫ নভেম্বর, ২০১২

গাড়ি চালানোয় রোবটকে হারিয়ে জিতলো মানুষ

গাড়ি চালানোয় রোবটকে হারিয়ে জিতলো মানুষ

ক্যালিফোর্নিয়ার থান্ডারহিল রেসওয়েতে রোবট আর মানুষের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক রেসে সামান্য ব্যবধানে জিতে গেলো মানুষ । খবর বিবিসির।

প্রতিযোগী রোবট গাড়িটি স্ট্যানফোর্ড  ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর অটোমোটিভ রিসার্চ-এর গবেষকরা তৈরি করেন। শেলি নামের স্বয়ংক্রিয় গাড়িটি রাস্তায় নিজের অবস্থান, টায়ারের অবস্থান, এসব বুঝে ওই রাস্তায় সবচেয়ে ভাল রুটটা খুঁজে নেয়। প্রতিযোগিতায় গাড়িটির প্রতিদ্বন্দ্বী চালক ওই রুটটা খুব ভাল করেই চিনতেন। তবুও চালকবিহীন গাড়িটির সঙ্গে খুব বেশি ব্যবধান তৈরি করতে পারেননি তিনি।

গবেষকরা বলেন, তাদের প্রধান লক্ষ্য গাড়িগুলোকে এভাবেই একজন ভাল ড্রাইভারের মতো দক্ষ করে তোলা, যেন তারা নিজেরাই নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে।


পাসওয়ার্ড ছাড়াই ফেইসবুকে লগ ইন!

পাসওয়ার্ড ছাড়াই ফেইসবুকে লগ ইন!

সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রুটির কারণে পাসওয়ার্ড ছাড়াই লগ ইন করা যাচ্ছিলো বেশকিছু ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে। তবে হ্যাকার নিউজ ওয়েবসাইটে ফেইসবুক সিকিউরিটির ওই ফাঁকের কথা ফাঁস হবার সঙ্গে সঙ্গেই বাগটি ঠিক করে ফেলেছে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসির।

হ্যাকার নিউজ ওয়েবসাইটে একটি সার্চ স্ট্রিং পোস্ট করা হয়েছিলো। গুগলে সার্চ স্ট্রিংটি ব্যবহার করলেই সার্চ রেজাল্টে ১৩ দশমিক ২ লাখ ফেইসবুক অ্যাকাউন্টের লিংক চলে আসে। ওই লিংকগুলোর মধ্যে অনেকগুলোতে ক্লিক করেই সরাসরি অ্যাকাউন্টে ঢোকা যাচ্ছিলো।

ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে স্ট্যাটাস আপডেট এবং নোটিফিকেশন সম্পর্কিত যে মেইলগুলো যেতো, তার অনেগুলোইতেই একটি কুইক অ্যাক্সেস লিংক দেয়া থাকতো, যেখানে ক্লিক করে সরাসরি ফেইসবুকে ঢুকতে পারতেন ব্যবহারকারীরা। বাস্তবে ওই লিংকগুলোই ফাঁস হয়ে গেছে অনলাইনে।

ফেইসবুক সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ার ম্যাট জোনস জানান, ‘একমাত্র ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের কাছেই ওই লিংকগুলো পাঠানো হয়। আর লিংকগুলো ব্যবহার করা যায় একবারই। সার্চ ইঞ্জিনে ওই লিংকগুলো পেতে হলে ইমেইলের কনটেন্ট অনলাইনে পোস্ট করতে হবে।’

জোনস সন্দেহ করছেন, মেইল সাইটগুলো নিজেদের আর্কাইভে থাকা মেইল সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায়ই ফাঁস হয়ে গেছে লিংকগুলো।

ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, লিংকগুলো কেবল ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ইমেইল অ্যাকাউন্টেই পাঠানো হয়েছিলো। অন্য কোথাও কখনোই ফাঁস করা হয়নি লিংকগুলো। ওই বিবৃতিতে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ আরো জানান, ‘আমরা সবসময়ই ওই লিংকগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। ফাঁস হওয়া লিংকগুলোও বন্ধ করে দিয়েছি আমরা।’

ক্যালোরি কমাতে পারে হরর মুভি!

ক্যালোরি কমাতে পারে হরর মুভি!

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, হরর ফিল্ম দেখার সময় দর্শকের শরীর থেকে একটা চকলেট বারের সমান ক্যালোরি পুড়ে যায়। খবর অরেঞ্জ নিউজ-এর।

দর্শক যখন ৯০ মিনিটের মতো এমন ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যান, তখন প্রায় ১১৩ ক্যালোরি পুড়ে যায়, যা আধ ঘণ্টা হাঁটলে যে পরিমাণ ক্যালোরি ক্ষয় হবে, তার প্রায় সমান।

ক্যালোরি পোড়ানো এমন ভয়ংকর মুভিগুলোর তালিকার শীর্ষে রয়েছে সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ‘দি শাইনিং’ (১৯৮০), যেটা দেখে প্রায় ১৮৪ ক্যালোরি ক্ষয় করা সম্ভব। এর পরের স্থান দখল করেছে ‘জস’, যেটা দর্শকদের ১৬১ ক্যালোরি পোড়াতে সক্ষম এবং তৃতীয় স্থানে আছে ‘দি একসরসিস্ট’, ১৫৮ ক্যালোরি পোড়াতে সক্ষম।

গবেষকরা হরর মুভি দেখার সময় দর্শকদের হার্ট বিট, অক্সিজেন নেয়া এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করার হার, এবং ওই সময় ব্যবহৃত ক্যালোরির পরিমাণ বৃদ্ধি রেকর্ড করেন। তারা বলেন, সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় হয়, যখন দর্শকরা মুভি দেখতে দেখতে ভয়ে লাফ দিয়ে ওঠেন।

যারা শরীরের ক্যালোরি কমাতে ইচ্ছুক কিন্তু কোন ডায়েট বা এক্সারসাইজ করার সময় পান না, তাদের জন্য ব্যাপারটা বেশ কার্যকর। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, দর্শককে অবশ্যই ভয় পেতে হবে।

এক অ্যাপ্লিকেশন বানিয়েই শীর্ষে কিশোর প্রোগ্রামার

এক অ্যাপ্লিকেশন বানিয়েই শীর্ষে কিশোর প্রোগ্রামার

পাঠকের কাছে সংবাদ সংস্থার খবরগুলোর সারসংক্ষেপ তুলে ধরার স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন বানিয়ে অ্যাপল অ্যাপস্টোরের শীর্ষ ১০ অ্যাপের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন ব্রিটিশ কিশোর নিক ডিআলোইসিও। অ্যাপস্টোরে মুক্তি পাবার দু’ঘণ্টার মধ্যেই শীর্ষ ১০ বিক্রিত অ্যাপের তালিকার ৯ নাম্বারে জায়গা করে নেয় ডিআলোইনিওর তৈরি অ্যাপ ‘সামলি’। খবর বিবিসির।

‘সামলি’ অ্যাপটি বানাতে বেশ কিছুদিন স্কুলে যাওয়াই বন্ধ রেখেছিলেন ১৭ বছর বয়সি আলোইসিও। ইন্টারনেটে প্রকাশিত খবরগুলো সারসংক্ষেপ আকারে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করে সামলি। এতে হাজার শব্দের লেখা না পড়ে সারসংক্ষেপ থেকেই মূল খবরটি জেনে নিতে পারেন পাঠক। আর সারসংক্ষেপ পড়ার পর পুরো লেখাটিও চাইলেই পড়তে পারবেন পাঠক।

ডিআলোইসিও এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমরা আইফোনের অন্যসব ইন্টারফেস থেকে আলাদা একটি ইন্টারফেস তৈরি করতে অনেক শ্রম দিয়েছি। কঠিন সব অ্যালগরিদমকে আমরা এক করেছি চোখ ধাঁধানো ডিজাইনের সঙ্গে।’

ইতোমধ্যেই বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১০ লাখ ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ পেয়েছে ডিআলোইসিওর সামলি। অ্যাপস্টোর থেকে বিনামূল্যেই ডাউনলোড করা যাচ্ছে সামলি।

বুধবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১২

'মাথাহীন' লেডিবাগের খোঁজ মিললো যুক্তরাষ্ট্রে

'মাথাহীন' লেডিবাগের খোঁজ মিললো যুক্তরাষ্ট্রে

বিরল ‘মাথাহীন’ পোকা লেডিবাগের খোঁজ মিললো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। মাথাহীন বললেও লেডিবাগটির একবারেই যে মাথা নেই, তা কিন্তু নয়। আদতে কচ্ছপের মতো শরীরের ভেতরে নিজের মাথাটি লুকিয়ে রাখে বলে ‘মাথাহীন’ লেডিবাগ নামে খ্যাতি পেয়েছে এলিনিয়াস আইভি প্রজাতির লেডিবাগ। খবর রয়টার্স-এর।

লেডিবাগের এই প্রজাতি প্রাণীবিজ্ঞানীদের কাছে একবারেই নতুন। মনটানা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করার সময় এলিনিয়াস আইভি লেডিবাগটি আবিষ্কার করেন ওয়াল্ডলাইফ টেকনিশিয়ান রস উইন্টন। প্রথমে বড় কোনো পিপড়ের দেহাবশেষ পেয়েছেন ভাবলেও আসলে যে পুরো নতুন প্রজাতির একটি লেডিবাগ আবিষ্কার করেছেন, তা বুঝতে খুব বেশি সময় লাগেনি উইন্টনের।

নতুন আবিষ্কৃত লেডিবাগটির প্রজাতিটির কেবল দু’টি নমুনা সংগ্রহ করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনটানা থেকে একটি পুরুষ লেডিবাগ এবং আইডাহো থেকে একটি নারী লেডিবাগের নমুনা সংগ্রহ করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা।

নতুন প্রজাতির লেডিবাগটির নাম দেয়া হয়েছে মনটানা স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন শিক্ষক প্রফেসর মাইকেল আইভির নামানুসারে।

প্রফেসর আইভি এ ব্যাপারে বলেন, ‘এ প্রজাতির লেডিবাগ আমাদের কাছে একেবারেই নতুন। ১ গ্রাম ওজনের বালির সমান আকৃতির এই লেডিবাগটির আবিষ্কার মোটেই কোনো ছোট অর্জন নয়।’ তবে মাথাহীন নামে খ্যাতি পাওয়া লেডিবাগটি কেন গলার ভেতরে নিজের মাথাটি লুকিয়ে রাখে সে ব্যাপারটি এখনও রহস্যাবৃতই রয়ে গেছে বিজ্ঞানীদের কাছে।

বিপজ্জনক ২৫ পাসওয়ার্ড

বিপজ্জনক ২৫ পাসওয়ার্ড

পাসওয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট ফার্ম স্প্ল্যাশডেটা প্রকাশ করেছে ঝুঁকিপুর্ণ ২৫টি পাসওয়ার্ডের তালিকা। এ পাসওয়ার্ডগুলো খুব বেশি ব্যবহৃত হওয়ায় হ্যাকিংয়ের সম্ভাবনাও বেশি। খবর টাইম ম্যাগাজিন-এর।

স্প্ল্যাশডেটার পরিসংখ্যান অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড তিনটি হচ্ছে password, ১২৩৪৫৬ এবং ১২৩৪৫৬৭৮. এগুলোকে খুবই ঝুঁকিপুর্ণ পাসওয়ার্ড হিসেবে উল্লেখ করেছে স্প্ল্যাশডেটা। হ্যাকাররা সহজেই এ পাসওয়ার্ড ভেঙে ফেলতে পারে। সম্প্রতি সাইবার আক্রমণের শিকার মেইল, সোশাল নেটওয়ার্ক ও বিভিন্ন সাইটের ইউজারদের সচেতন করে তুলতে এ ধরনের পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।

ঝুঁকিপূর্ণ পাসওয়ার্ডের এ তালিকায় উঠে এসেছে jesus, ninja, mustang, password1 এবং welcome. নতুন পাসওয়ার্ড তৈরি করা কঠিন না হলেও, অনেক ইউজার সহজ শব্দকে পাসওয়ার্ড হিসাবে ব্যবহার করে।

অনলাইনে তথ্যের নিরাপত্তায় এধরনের পাসওয়ার্ড ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করেছে পাসওয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট ফার্মটি। নতুন পাসওয়ার্ড কেমন হতে পারে, তার সংক্ষিপ্ত দিকনির্দেশনাও দিয়েছেন স্প্ল্যাশডেটার সিইও মরগান স্লেইন।

তিনি বলেন, এক্ষেত্রে একটি সংক্ষিপ্ত বাক্য ব্যবহার করা যেতে পারে পাসওয়ার্ড হিসেবে। যেমন ফড়ম dog eats bone-এর সঙ্গেunderscores, dashes, hyphens যোগ করা যেতে পারে যেমন dog_eats_bone!

তালিকার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পাসওয়ার্ডগুলো হচ্ছে-
১. password
২. 123456
৩. 12345678
৪. abc123
৫. qwerty
৬. monkey
৭. letmein
৮. dragon
৯. 111111
১০. baseball
১১. iloveyou
১২. trustno1
১৩. 1234567
১৪. sunshine
১৫. master
১৬. 123123
১৭. welcome
১৮. shadow
১৯. ashley
২০. football
২১. jesus
২২. michael
২৩. ninja
২৪. mustang
২৫. password1

গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের দৃশ্য আনছে গুগল ট্র্যাকার

গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের দৃশ্য আনছে গুগল ট্র্যাকার

গুগল এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুর্গম গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের ট্র্যাকিং ও হাইকিংয়ের রাস্তার দৃশ্য ইউজারদের জন্য আনছে। এজন্য গুগল ব্যবহার করছে ব্যাকপ্যাকের পেছনে সংযুক্ত বিশেষ ক্যামেরা। এর আগে ‘স্ট্রিট ভিউ’ সেবার জন্য স্পেনের অত্যন্ত সরু গলির তিন চাকার সাইকেল, স্মিথসনিয়ানের জন্য ঠেলাগাড়ি ও কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার তুষার ঘেরা এলাকার জন্য স্নোমোবাইল ব্যবহার করে ক্যামেরায় ধারণ করে গুগল। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

গুগলের প্রোডাক্ট ম্যানেজার রায়ান ফ্যালর বলেন, ‘রাস্তা ব্যবহার করে যেসব জায়গায় পৌঁছানো যায়না, এমন ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও দর্শনীয় স্থানগুলোও আমরা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য আনতে চাই।’

এবছরের শুরুর দিকে গুগল ‘ট্র্যাকার’ ঘোষণা দেয়, গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন এই সেবার প্রথম ধাপ। প্রতিষ্ঠানটি খুব শীঘ্রই এভারেস্ট পর্বত, ভেনিসের সংকীর্ণ গলি ও পুরোনো ধংসাবশেষও যুক্ত করবে।

গুগলের এই খবরটি প্রকাশ পেল এমন সময় যখন অ্যাপল নিজেদের ম্যাপিং সার্ভিস নিয়ে যথেষ্ট ভোগান্তিতে পড়েছে।

২০০৭ সালে আমেরিকার মাত্র পাঁচটি শহরের ‘৩৬০ ডিগ্রি ভিউ’ দিয়ে ‘স্ট্রিট ভিউ’ সেবা চালু করেছিলো গুগল। এখন ৪৩টি দেশের ৩ হাজার শহর আছে এই সেবাতে।



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

সোনার উৎস হবে দূষিত পানি

সোনার উৎস হবে দূষিত পানি

অল্প খরচে রিসাইক্লিং প্ল্যান্টের দূষিত পানি থেকে সোনার মতো মূল্যবান ধাতব পদার্থ আহরণের নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন ফরাসী প্রতিষ্ঠান ম্যাগপাই পলিমারস-এর গবেষকরা। ফলে রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট থেকেই পাওয়া যাবে বিভিন্ন মূল্যবান ধাতু; যা ব্যবহার করা যাবে ইলেকট্রনিক গ্যাজেট এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে। খবর আইটেকপ্রেস-এর।

রিসাইক্লিং প্ল্যান্টে অ্যাসিড এবং পানি ব্যবহার করে গলিয়ে ফেলা হয় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পদার্থ। এতে পানিতে মিশে যায় সোনার মতো মূল্যবান অনেক ধাতব পদার্থ। দূষিত পানি থেকে ওই ধাতুগুলো আহরণের কয়েকটি প্রযুক্তি থাকলেও, তার সবগুলোই অনেক ব্যয়বহুল। এজন্য এতোদিন যেন হাতের কাছে খনি থেকেও আহরণ করা যেতো না সোনা।

এ সমস্যা সমাধানে ম্যাগপাই পলিমারসের বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন বিশেষ এক ধরনের রজন পদার্থ। ওই রজন পদার্থের ওপর দিয়ে ধাতুমিশ্রিত পানি প্রবাহিত হলে ধাতুগুলো আটকে যায় রজনের সঙ্গে, আর বেরিয়ে আসে বিশুদ্ধ পানি।

ম্যাগপাই পলিমারসের পরিচালক এটেইন আলমোরিকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পদ্ধতিতে এক লিটার পানিতে মাত্র ১ মাইক্রোগ্রাম ধাতু থাকলেও তা আটকে যাবে রজনে। এভাবে ৫ থেকে ১০ ঘনগজ পানি থেকে পাওয়া যেতে পারে কয়েক আউন্স সোনা। বর্তমান বাজারে এক আউন্স সোনার দাম ১ হাজার ৭০০ ডলার।

এ পদ্ধতি ব্যবহার করে একদিকে যেমন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট থেকে পাওয়া যাবে মূল্যবান ধাতব পদার্থ, তেমনি বিশুদ্ধ করা যাবে দূষিত পানি। রজন পদার্থটি ব্যবহার করে ধাতব খনির পানি শোধন করে পরিবেশগত সমস্যাও দূর করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।


চুরির সাক্ষী হলো চোরের আইফোন

চুরির সাক্ষী হলো চোরের আইফোন!

ঘরের আলো জ্বালিয়ে চুরি করা যে কোনো বুদ্ধিমান চোরের কৌশলের তালিকায় পড়ে না, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ঘুটঘুটে অন্ধকারে কাজ সারতে কিছুটা হলেও তো আলো প্রয়োজন। সে জন্যেই চুরি করতে ঢুকে ফ্ল্যাশলাইট হিসেবে নিজের আইফোনটি ব্যবহার করছিলেন এমানুয়েল জেরোমি। চুরির সময় সেই আইফোনের ভিডিও রেকর্ডিং বাটনটিতে ভুলে চাপ পড়ে যাওয়ায় এখন শ্রীঘরে যেতে হচ্ছে ২৩ বছর বয়সি এই চোরকে। খবর সিনেটডটকম-এর।

চুরির সন্দেহেই জেরোমিকে গ্রেপ্তার করেছিলো যুক্তরাজ্যের পুলিশ। আর যে কোনো চোরের মতোই নিজেকে নিরপরাধ বলে দাবি করেন তিনি। কিন্তু তার আইফোনটি ঘাঁটতে যেয়ে পুলিশ পেয়ে যায় চুরির প্রমাণ। চুরির পুরো ঘটনাটি ভিডিও রেকর্ড হয়েছিলো জেরোমের আইফোনে।

তদন্তকারীরা বলছেন, চুরির সময় ফ্ল্যাশলাইট হিসেবে নিজের আইফোন ব্যবহার করতেন জেরোমি। সেসময় নার্ভাস হয়ে পড়ায় হয়তো চাপ পড়ে গিয়েছিলো আইফোনের রেকর্ড বাটনে। আর তাতেই এখন শ্রীঘরে দিন কাটাতে হবে তাকে।

জেরোমি নিজেকে নিরপরাধ দাবি করলেও, সে দাবি কানে তোলেননি বিচারক জন পটার। আইফোন ভিডিওটি দেখে তাকে ৪৪ সপ্তাহের কারাবাসের সাজা দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১২

গোপন তথ্য ফাঁস করে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

গোপন তথ্য ফাঁস করে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দিতে পারে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস। প্রায় সাড়ে ১৩শ’ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসের ওপর গবেষণার পর জানা যায়, আট শতাংশ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং সোশাল মিডিয়া লগইনের তথ্য গোপন রাখতে ব্যর্থ। খবর বিবিসির।

ইউনিভার্সিটি অফ লেইবনিজ-এর সিকিউরিটি গ্রুপ গবেষক এবং ফিলিপস ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স বিজ্ঞানীরা গুগলের প্লে স্টোরের বেশকিছু জনপ্রিয় অ্যাপসের ওপর গবেষণা করেন। নকল ওয়াই-ফাই তৈরির মধ্য দিয়ে বেশ কিছু বিষয় গবেষকদের নজরে আসে।

অ্যান্ড্রয়েডের নিরাপত্তা ত্রুটির মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ই-মেইল সার্ভিস এবং সোসাল মিডিয়া সাইটসের গোপন তথ্য বের করা সম্ভব, প্রোগ্রামের সিকিউরিটি সিস্টেম অকেজো করা সম্ভব এবং কম্পিউটার কোড ইনজেক্ট করা সম্ভব।

অ্যান্ড্রয়েডের বেশকিছু অ্যাপ হাজারেরও বেশি মানুষ ব্যবহার করছেন। তবে ৭৫৪ জন ব্যবহারকারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের বেশিরভাগই এর নিরাপত্তা ত্রুটি সম্পর্কে অজ্ঞাত। একজন গবেষক লেখেন, ‘অর্ধেকেরও বেশি মানুষ ব্রাউজারের নিরাপত্তা কিভাবে বজায় রাখতে হয়, সে সম্পর্কে কিছুই জানে না।’

এসপিওনাজ জগতে আমন্ত্রিত 'জেনারেশন এক্সবক্স'

এসপিওনাজ জগতে আমন্ত্রিত 'জেনারেশন এক্সবক্স'

সাইবার ক্রিমিনালদের ঠেকাতে সিক্রেট সার্ভিস ও এমআইসিক্সটিনের মতো গোয়েন্দা সংস্থাগুলোয় ‘জেনারেশন এক্সবক্স’ তথা তরুণ গেইমার এবং হ্যাকারদের নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ। খবর বিবিসির।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কোড ব্রেকারদের হেডকোয়ার্টার হিসেবে ব্যবহার করা ব্লিচলি পার্কে এই ঘোষণা দেন হেগ। ১৮ বছর বয়সের আবেদনকারীদের মধ্যে নির্বাচিত ১০০ জনকে আইটি ক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। নির্বচিতরা প্রথমে লেইসেস্টারের ডি মনফ্রন্ট ইউনিভার্সিটি কমিউনিকেশন-এ সিকিউরিটি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের ওপর পড়াশোনা করবেন। এর পাশাপাশি আইটি, সফটওয়্যার, ওয়েব ও টেলিকমিউনিকেশন চতুর্থ স্তরের ডিপ্লোমাও করবেন তারা।

প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষাজীবন শেষে ‘জেনারেশন এক্সবক্স’ সদস্যদের অনেকেই কাজ করবেন সিক্রেট সার্ভিস, এমআই ফিফটিন এবং এমআই সিক্সটিনের মতো গোয়েন্দা সংস্থাগুলোতে। বাকিরা কাজ করবেন ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশন এজেন্সিতে।

এ ব্যাপারে ব্লিচলি পার্কে হেগ বলেন, ‘আমরা কোনো যুদ্ধে নিয়োজিত নই। তারপরও প্রতিদিন বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ এবং সরকারি নেটওয়ার্কগুলোর ওপর প্রতিদিনই পূর্বপরিকল্পিত আক্রমণ দেখতে পাচ্ছি।  ভবিষ্যতে দেশের সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে জেনারেশন এক্সবক্সের তরুণরা।’

এলএইচসি ব্ল্যাক হোল তৈরি করবে না

এলএইচসি ব্ল্যাক হোল তৈরি করবে না

 
নিউক্লিয়ার গবেষণার জন্য নির্মিত লার্জ হার্ডন কোলাইডার (এলএইচসি) ব্ল্যাক হোল সৃষ্টি করে পৃথিবীকে ধ্বংস করে দিতে পারে, একজন নারীর এমন অভিযোগকে নাকচ করে দিয়েছে জার্মান আদালত। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

জার্মানির মুয়েনস্টার কোর্ট জার্মান ওই অধিবাসীর এ অভিযোগকে অযৌক্তিক বলেই জানিয়েছে। তাছাড়া সুইজারল্যান্ডেও তার অভিযোগ ধোপে টিকেনি।

সূত্র জানিয়েছে, সেন্টার ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ (সিইআরএন)-এর ২০০৩ এবং ২০০৮ এ এলএইচসির নিরাপত্তাবিষয়ক যে প্রতিবেদনগুলো ছাপানো হয়েছে, সেদিক থেকে এর দ্বারা পৃথিবী ধ্বংস হবার কোনো ঝুঁকি নেই।

এলএইচসি সাইটটি ফ্রান্স এবং সুইজারল্যান্ডের সীমানায় অবস্থিত। ১৭ মাইল বিস্তৃত এ প্ল্যান্টটির নিচে রয়েছে নয় হাজার চুম্বক বিশিষ্ট একটি চৌম্বকক্ষেত্র, যা পরমাণুর মাঝে উচ্চগতিতে সংঘর্ষ ঘটানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। সাধারণ পদার্থবিদ্যার বিভিন্ন সমস্যা, ভরের উৎস এবং বিগ ব্যাং থিওরি উদঘাটনের কাজে এ প্ল্যান্টটি ব্যবহৃত হয়।



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/অদ্বিতী/ওএস/এইচবি/অক্টোবর ২২/১২


২১০০ সালে প্রাগৈতিহাসিক যুগে ফিরবে সমুদ্র!

২১০০ সালে প্রাগৈতিহাসিক যুগে ফিরবে সমুদ্র!

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে পানিতে অ্যাসিডের পরিমাণ যে হারে বাড়ছে, তাতে ১১ কোটি বছর আগের ক্রিটেসিয়াস যুগে ফিরে যেতে পারে সমুদ্রের শাব্দিক পরিবেশ। এখনকার তুলনায় দ্বিগুণ দূরত্ব অতিক্রম করবে তিমির গানের মতো নিচু কম্পাঙ্কের আওয়াজ। জলে নেমে আশপাশে ডাইনোসর যুগের কোনো দানবের সঙ্গে সাঁতার কাটার মতো অনুভ‚তিও হতে পারে ডাইভারদের। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

বাতাসের গ্রিনহাউস গ্যাস সমুদ্রের জলের সঙ্গে মিশে বাড়িয়ে দেয় অ্যাসিডের পরিমাণ। সমুদ্রের তল থেকে পাওয়া নমুনা বিশ্লেষণ করে ৩০ কোটি বছর আগে সমুদ্রের জলের অ্যাসিডের পরিমাণও নির্ধারণ করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের মতে, যেভাবে জলে অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়ছে, তাতে ২১০০ সালে ডাইনোসরদের রাজত্বকাল ক্রিটেসিয়াস যুগের মতোই হবে সমুদ্রে অ্যাসিডের পরিমাণ।

ইউনিভার্সিটি অফ রোড আইল্যান্ডের বিজ্ঞানী ডেভিড জি. ব্রাউনিং এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমরা একে বলছি ক্রিটেসিয়াস সাউন্ড ইফেক্ট। কারণ, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রের শাব্দিক পরিবেশ যেভাবে পরিবর্তন হচ্ছে, তার সঙ্গে মিল রয়েছে ১১ কোটি বছর আগের ক্রিটেসিয়াস যুগের; যখন পৃথিবীতে রাজত্ব ছিলো ডাইনোসরদের।’

নিচু কম্পাঙ্কের আওয়াজ পানিতে কতোটা দূরত্ব অতিক্রম করবে তা অনেকটাই নির্ভর করে পানির পিএইচ পরিমাণের ওপর। পানিতে পিএইচের পরিমাণ বেশি থাকলে তা কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়। পিএইচ পরিমাণ কমতে থাকার কারণেই বাড়ছে পানিতে অ্যাসিডের পরিমাণ।


বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/জায়েদ

শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১২

আসুসের হাই-এন্ড গ্রাফিক্স কার্ড বাজারে

আসুসের হাই-এন্ড গ্রাফিক্স কার্ড বাজারে

আসুসের এইচডি৭৯৫০-ডিসি২ মডেলের হাই-এন্ড গ্রাফিক্স কার্ড বাংলাদেশের মার্কেটে নিয়ে এলো গ্লোবাল ব্র্যান্ড।

নতুন গ্রাফিক্স কার্ডটিতে রয়েছে এএমডি আইফিনিটি টেকনোলজি, যা দিয়ে একসঙ্গে ছয়টি মনিটর ব্যবহার করে গেইম এবং বিনোদনে উপভোগ করা যায়। এতে রয়েছে ৩ জিবি জিডিডিআর৫ মেমোরির এএমডি রেডিয়ন এইচডি৭৯৫০ জিপিইউ, পিসিআই এক্সপ্রেস ৩.০ বাস স্ট্যান্ডার্ড, মাইক্রোসফট ডিরেক্টএক্স১১ সমর্থন, এইচডিসিপি সমর্থন, ডিভিআই আউটপুট, এইচডিএমআই আউটপুট, ডিসপ্লে পোর্ট প্রভৃতি।

গ্রাফিক্স কার্ডটিতে হাই-এন্ড গেইম এবং মুভি উপভোগে ভালো পারফরমেন্স পাওয়া যায়। এছাড়া এটি ক্রসফায়ারএক্স সমর্থন করে, তাই প্রয়োজনে একাধিক জিপিইউ ব্যবহার করা যায়। গ্রাফিক্স কার্ডটির মূল্য রাখা হয়েছে ৪২ হাজার টাকা।


বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/ওএস/এইচবি

বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১২

Colombians have seen this movie script before

Americas

Colombians have seen this movie script before


Asad Hashim: Ask Me Anything on Malala

Central & South Asia
Asad Hashim: Ask Me Anything on Malala
Journalist Asad Hashim will be on Reddit answering questions on Malala Yousafzai and his trip to Pakistan's Swat Valley.
Last Modified: 17 Oct 2012 20:30
Malala Yousafzai was shot by Taliban fighters for opposing the group and advocating education for girls [EPA]

Do you have questions about Malala Yousafzai?
Then log onto reddit.com to join the chat with Al Jazeera's Asad Hashim.
He has been reporting from the Swat Valley on how the police are handling the case and how the attempt on Yousafzai's life has affected the community.
Hashim is currently in Islamabad, having spent the last few days in Swat.
Hashim will be online from 18:00 GMT, October 18, on Reddit's "IAmA" page - Ask Me Anything. After the thread goes up, check back here for the link.
You can view the question-and-answer without being logged in, but to ask a question, you'll need to have a Reddit account. You can create one for free on top of the site.
Features:
Elders in the crosshairs of Swat's Taliban
Swat Valley on edge after Malala shooting
The fight for education in Pakistan's Swat
Interactive: Killings sweep Karachi
168
Source:
Al Jazeera

হিমবাহ ধ্বংস দ্রুত করে কার্বন ডাই-অক্সাইড

হিমবাহ ধ্বংস দ্রুত করে কার্বন ডাই-অক্সাইড

মেরু অঞ্চলের হিমবাহের ভাঙনের হার আরো দ্রুত করছে কার্বন ডাই-অক্সাইড। সম্প্রতি হিমবাহের ওপর গ্রিনহাউজ গ্যাসটির প্রভাব নিয়ে গবেষণার জন্য তৈরি কম্পিউটার মডেল থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ খবর জানিয়েছেন দুই এমআইটি গবেষক। খবর লাইভসায়েন্স-এর।

মেরু অঞ্চলের হিমবাহের ওপর কার্বন ডাই-অক্সাইডের প্রভাব নিয়ে গবেষণার জন্য কম্পিউটার মডেলটি বানিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির গবেষক প্রফেসর মার্কাস বিউহলার এবং ঝাও কুইন।

প্রথমে বিশুদ্ধ জলের হিমবাহের একটি কম্পিউটার মডেল বানান তারা। তারপর সেখানে ছোট একটি ফাটল তৈরি করে সেখানে কার্বন ডাই-অক্সাইডের প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়। বিউহলার ও কুইন আবিষ্কার করেন, হিমবাহের জলের কণার হাইড্রোজেন বন্ধনীগুলো ভেঙে দিচ্ছে কার্বন ডাই-অক্সাইড। ফলে ক্রমশ বড় হচ্ছে ফাটলটি।

বিজ্ঞানীদের গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, হিমবাহে ২ শতাংশ কার্বন ডাই-অক্সাইড থাকলে তা শতকরা ৩৮ ভাগ দুর্বল হয়ে পড়ে।

তবে এমআইটি গবেষকদের আবিষ্কার থেকে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত টানছেন না বিজ্ঞানীরা। এমআইটি গবেষকরা তাদের কম্পিউটার মডেলটি তৈরি করেছিলেন বিশুদ্ধ বরফের হিমবাহের ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু আদতে হিমবাহ কখনোই বিশুদ্ধ বরফ দিয়ে হয় না। হিমবাহ জমাট বাধার সময় এতে আটকা পড়ে ধুলো-বালি, আগ্নেয়গিরির ছাই ও পাথর, এমনকি উল্কাপিণ্ডও পাওয়া যায় হিমবাহে।

এ ছাড়াও হিমবাহে বরফের গঠন কতোটা শক্তিশালী হয়, সে তথ্যও গবেষকরা কম্পিউটার মডেলে যোগ করেননি। এ কারণে গবেষকদের কম্পিউটার মডেল থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এখনই কোনো উপসংহার টানতে নারাজ অনেক বিজ্ঞানী।

ঘরে ফিরলো স্পেস শাটল এনডেভার

ঘরে ফিরলো স্পেস শাটল এনডেভার

অসংখ্য মানুষের উল্লসিত চিৎকার আর ক্যামেরার ফ্ল্যাশের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে স্পেস শাটল এনডেভার ক্যালিফোর্নিয়া সায়েন্স সেন্টারে পৌঁছায় রোববার রাতে। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

মহাকাশে লাখ লাখ মাইল পাড়ি দিয়ে আসার পর, পৃথিবীর মাটিতে হয়তো এনডেভারের মতো স্পেস শাটলের যাত্রা আরও নির্ঝঞ্ঝাট হতে পারতো। কিন্তু নানা বাধায় এনডেভার তার শেষ গন্তব্যে পৌঁছাতে প্রায় ১৭ ঘণ্টা দেরি করে।

সায়েন্স সেন্টারের এক কর্মীর ভাষায়, ‘এ যেন স্বপ্ন সত্যি হবার মতো। আমরা অনেকদিন ধরে এর আসার প্রতীক্ষায় ছিলাম’। পথে মানুষের ভীড়, গাছপালা আর ল্যাম্পপোস্টের ঝামেলা সামলে আসার পর সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দেয়, যখন এর ক্যারিয়ারের ইঞ্জিন থেকে তেল লিক করতে শুরু করে। এনডেভারের স্থানান্তরে বাজেট ছিলো প্রায় এক কোটি ডলার, যা সায়েন্স সেন্টার আর বিভিন্ন দাতারা বহন করেছে। এজন্য রাস্তা থেকে কেটে ফেলতে হয়েছে প্রায় ৪শ’ গাছ।

ইঙ্গেল উড আর লস এঞ্জেলসবাসীদের আবেগটা ছিলো অন্যরকম। তাদের ঘরের সামনে দিয়েই গিয়েছে এনডেভার।

অবসরের আগ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার ৭শ’ বার পৃথিবী আবর্তনকারী এ কিংবদন্তী শাটলটি অক্টোবরের ৩০ তারিখ থেকে দর্শকদের জন্য প্রদর্শিত হবে সায়েন্স সেন্টারের যাদুঘরে।


সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে প্রস্তুত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে প্রস্তুত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

সাইবার আক্রমণ প্রতিহত করতে পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১১ সেপ্টেম্বরের চেয়েও ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে সাইবার আক্রমণে, জানালেন য্ক্তুরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লিওন পেনেট্টা। খবর বিবিসির।

কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আক্রমণকারীদের শনাক্ত করতে ও হুমকি দ্রুত মোকাবেলার জন্য উন্নত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে অপারেশন চালানোর জন্য তৈরি হচ্ছে দেশটির সাইবার স্ট্রাইক ফোর্স। আক্রমণকারীকে দ্রুত চিহ্নিত করতে ও ঠেকাতে ডেভেলপ করা হচ্ছে বিভিন্ন টুলস।

সম্প্রতি পেনেট্টা বলেন, ‘সাইবার আক্রমণের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা করতে আমরা পূর্ব পদক্ষেপ নিচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, বিদেশি কেউ দেশটির যোগাযোগ, শিল্প বাণিজ্য ও পরিবহন ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আনার টার্গেট নিয়ে এগুচ্ছে। একটি জাতি বা আগ্রাসী চরমপন্থী দল অনলাইনে সুইচ নিয়ন্ত্রণ করে যাত্রীবাহী ট্রেন বা রাসায়নিকবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত করতে পারে। যার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ।’

পেনেট্টা এই ধরনের আক্রমণকে সম্ভাব্য ‘সাইবার পার্ল হারবার’ হিসেবে বর্ণনা করেন।

এ ছাড়াও আক্রমণকারীরা বড় শহরগুলোর পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় আঘাত হানতে পারে বা দেশের বড় অংশের পাওয়ার গ্রিড সিস্টেম বন্ধ করে দিতে পারে। এই ধরনের সন্ত্রাসী সাইবার কার্যক্রম পুরো জাতিকে বিকলাঙ্গ করে দিতে পারে। বিভিন্ন জায়গায় ছোট স্কেলে সাইবার আক্রমণ এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার বলেও জানান পেনেট্টা।

গত কয়েক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থাগুলোয় সাইবার আক্রমণের ফলে বিপুল ডেটা বেহাত হয়ে যায়। তারও আগে কাতার এবং সৌদি আরবের তেল কোম্পানিগুলো সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে। এতে প্রায় ৩০,০০০ ডিভাইস আক্রান্ত হয়েছিল।

অ্যান্ড্রয়েড ফোন ম্যালওয়ারের আখড়া: এফবিআই

অ্যান্ড্রয়েড ফোন ম্যালওয়ারের আখড়া: এফবিআই

মোবাইল ফোনের জন্য তৈরি ম্যালওয়্যারের আখড়া অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোনগুলো। স্মার্টফোনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং মোবাইল ম্যালওয়্যারের সংক্রমণ নিয়ে তদন্তের পর এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। খবর ইয়াহু নিউজ-এর।

এফবিআইয়ের ইন্টারনেট ক্রাইম কন্ট্রোল সেন্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফিনফিশার এবং লুজফনের মতো ম্যালওয়্যারগুলোর মূল লক্ষ্যই ছিলো অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন। স্মার্টফোন থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করতে ইন্টারনেটে অপরাধীরা বানিয়েছে বিভিন্ন রকমের ম্যালওয়্যার। কোনোটির কাজ স্মার্টফোন অ্যাড্রেসবুকের তথ্য চুরি করা, আবার কোনোটির কাজ স্মার্টফোনটির নিয়ন্ত্রণ দখল করে নেয়া।

স্মার্টফোনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পাস কোড ব্যবহার এবং বিশ্বস্ত ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে এফবিআই। স্মার্টফোনটিকে সব সময় আপডেট রাখা এবং জেইলব্রেকিং এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাটি।

ডিভাইসটি কেনার আগে রিভিউগুলো পড়ে নেবার কথাও বলেছে এফবিআই। আর কেনার পর ডিভাইস এনক্রিপশন আর অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করাও জরুরি। এ ছাড়াও কোনো অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড বা কেনার সময় সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শও দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাটি।

দি সুপারসনিক ম্যান: ফেলিক্স বমগার্টনার

দি সুপারসনিক ম্যান: ফেলিক্স বমগার্টনার

ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন অস্ট্রিয়ান ‘ডেয়ারডেভিল’ ফেলিক্স বমগার্টনার। ১৪ অক্টোবর মাটি থেকে ১ লাখ ২৮ হাজার ১০০ ফিট উপরের একটি স্পেস ক্যাপসুল থেকে পৃথিবীর উদ্দেশ্যে লাফিয়ে পড়েন বমগার্টনার। পতনের গতি ছাড়িয়ে যায় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮৩৩.৯ মাইল। শব্দের চেয়েও দ্রুতগতিতে পতনের পর প্যারাসুটের সাহায্যে মাটিতে নামেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর রসওয়েলে। সবচেয়ে উচ্চতম স্কাইডাইভিংয়ে আগের রেকর্ডটি ভেঙে গড়েন নতুন রেকর্ড। সাউন্ড ব্যারিয়ার ভেঙে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান বিশ্বের প্রথম সুপারসনিক ম্যান হিসেবে। খবর বিবিসির।

ইতিহাস গড়া স্কাইডাইভিংয়ের জন্য বমগার্টনারকে পেরিয়ে আসতে হয়েছে অনেক বাধা বিপত্তি। প্রশিক্ষণ নিয়েছেন দীর্ঘদিন। প্রথমে স্কাইডাইভিংয়ের দিন স্থির করা হয়েছিলো ৮ অক্টোবর। খারাপ আবহাওয়ার কারণে বারবার পিছিয়ে যায় বহু প্রতীক্ষিত দিনটি। শেষে ১৪ অক্টোবর জীবনের ঝুঁকি ভুলে ঝাঁপিয়ে পড়েন মহাশূন্যে। পৃথিবীর মাটিতে পা দিয়ে গড়েন ইতিহাস।

কিন্তু আরেকটু হলেই শেষ মুহুর্তে বমগার্টনারকে বাতিল করতে হতো স্কাইডাইভ। কাজ করছিলো না তার স্পেস স্যুটটির হিটার। ফলে প্রতিবার নিশ্বাস ফেললেই ঘোলা হয়ে যাচ্ছিলো ভাইজরটি।

স্পেস ক্যাপসুল থেকে লাফ দেবার পর বমগার্টনার মাটিতে নেমে আসেন ৯ মিনিট ৩ সেকেন্ডে। একেবারে মাটির কাছাকাছি এসেই খুলে দেন নিজের প্যারাসুট। অবতরণের পর হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন মাটিতে, হাত দুটো আকাশ পানে ছুঁড়ে করেন বিজয় উল্লাস। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে অভিনন্দন জানাতে সেখানে পৌঁছে যায় রিকভারি হেলিকপ্টার।


এর পরপরই এক প্রেস কনফারেন্সে নিজের অনুভূতি জানিয়ে বমগার্টনার বলেন, ‘আমি যখন পৃথিবীর উপরে স্পেস ক্যাপসুলটিতে দাঁড়িয়ে ছিলাম, নিজেকে অনেক ক্ষুদ্র মনে হচ্ছিলো তখন। ভুলে গিয়েছিলাম বিশ্ব রেকর্ড ভাঙার কথা। কেবল জীবন্ত পৃথিবীর বুকে ফিরে আসার কথাই ভাবছিলাম বারবার।’
শুরুতেই নিজের রেড বুল স্ট্র্যাটোস টিমের সদস্য আর দর্শক, সাংবাদিকদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলেন বমগার্টনার। পতনের শুরুতে মাথা নিচে, দু’ হাত ছড়িয়ে দিয়ে তার থাকার কথা ছিলো ডেল্টা পজিশনে। কিন্তু লাফিয়ে পড়ার পরই বায়ুমণ্ডলে বারবার ঘুরপাক খাচ্ছিলেন বমগার্টনার। শেষপর্যন্ত দীর্ঘদিনের বেইজ জাম্পিং এবং স্কাইডাইভিংয়ের অভিজ্ঞতাই তাকে বাঁচিয়ে দেয় মৃত্যুর হাত থেকে। নিয়ন্ত্রণ ফিরে পান নিজের ওপর। ফিরে আসেন ডেল্টা পজিশনে।

কিন্তু নাটকীয়তার শুরু আরো আগেই। মিশন শুরু হবার আগেই একদম শেষ মুহূর্তের ইকুইপমেন্ট চেকে ধরা পড়ে, নষ্ট হয়ে গেছে বমগার্টনারের স্পেস স্যুটের হিটারটি। ফলে বমগার্টনার শ্বাস ফেললেই ঘোলা হয়ে যাচ্ছিলো তার ভাইজরটি। ছোট ত্রুটি মনে হলেও, ওই নষ্ট হিটারটির জন্য তার মৃত্যু হতে পারতো।


তবুও আর পিছপা হতে রাজি ছিলেন না বমগার্টনার। ঘোলাটে দৃষ্টিসীমার কারণে আছড়ে পড়তে পারতেন পৃথিবীতে। পুরো দলের সঙ্গে আলোচনা করে মিশন চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

ফেলিক্সের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন আরেক কিংবদন্তী মার্কিন এয়ারফোর্স কর্ণেল জো কিটেনগার। বিশ্বের উচ্চতম স্কাইডাইভিংয়ের রেকর্ডটির মালিক এতোদিন ছিলেন কিটেনগার। সেই রেকর্ডের পাঁচ দশক পর নতুন রেকর্ড গড়ে যেন গুরুর নাম রাখলেন শিষ্য ফেলিক্স।

শুরু থেকেই ফেলিক্সের সঙ্গে ছিলেন কিটেনগার। যখনই হতাশ হয়ে পড়েছেন বমগার্টনার, নিজের দক্ষতাকে  প্রশ্ন করেছেন, তখনই উৎসাহ জুগিয়েছেন কিটেনগার। দিয়েছেন সাহস ও অনুপ্রেরণা। ফেলিক্স মাটিতে অবতরণ করার পর জ্যেষ্ঠ এই কিংবদন্তী বলেন, ‘ফেলিক্স খুবই সাহসিকতার সঙ্গে কাজটি করেছে। ওর সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।’


২০০৫ সালে প্রথম এই স্কাইডাইভিংয়ের কথা মাথায় আসে বমগার্টনারের। এরপর অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করেন তিনি। ১৪ অক্টোবর নিউ মেক্সিকোর আকাশে বাতাসের চাপ ছিলো মাত্র ২ শতাংশ। বমগার্টনারকে মহাকাশে পৌঁছে দিতে নভোচারীদের স্পেস ক্যাপসুলের ডিজাইন অনুকরণ করে বানানো হয়েছিলো একটি বিশেষ ক্যাপসুল। হিলিয়াম বেলুন ক্যাপসুলটিকে উড়িয়ে নিয়ে যায় মাটি থেকে প্রায় ২৪ মাইল উপরে। স্পেস স্যুটটিও বানানো হয়  নভোচারীদের স্পেস স্যুটের আদলে।

বমগার্টনারের এই ইতিহাস গড়া স্কাইডাইভিংয়ের বৈজ্ঞানিক গুরুত্বও কিন্তু কম নয়। দ্রুতগতিতে মহাকাশ থেকে পতন সম্পর্কে নানা তথ্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা, যা কাজে আসবে ভবিষ্যৎ স্পেস মিশনে। মিশনে বমগার্টনারকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছিলো নাসাও।

বমগার্টনারের মিশনটি নিয়ে বিবিসি এবং ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক বানাচ্ছে একটি ডকুমেন্টারি ফিল্ম। নভেম্বর মাসে দেখানো হতে পারে ডকুমেন্টারিটি।

FSS blog

FSS TSTL Photo Gallery

FSS TSTL Photo Gallery
Pictures

I like it

  • Bangla Song
  • Love
  • Move

what is love?

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

লেবেল

লেবেল

ভূমি (1) sex (6)

Wikipedia

সার্চ ফলাফল