বিশালকায় এই কাগজের বিমানটির নাম ‘আর্তুরোস ডেজার্ট ঈগল’। কাগজের বিমানটি ওড়াতে অবশ্য হেলিকপ্টারের সাহায্য নিতে হয়েছে। সিকোরস্কি এস৫৮টি হেলিকপ্টারের সঙ্গে একটি শিকল বেঁধে কাগজের এই বিমানকে দুই হাজার ৭০৩ ফুট ওপরে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর কাগজের বিমানটি ঘণ্টায় ১০০ মাইল গতিতে ছুটতে শুরু করে। কিন্তু ১০ সেকেন্ড পরেই বাতাসের তোড়ে কাগজের এই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
IT IS HOT NEWS. Some information and news unknown to everyone. Which is only possible in F S S T S T L. SO keeps watching and keeps telling others.
শুক্রবার, ৩০ মার্চ, ২০১২
আকাশে উড়ল সুবিশাল কাগজের বিমান
বিশালকায় এই কাগজের বিমানটির নাম ‘আর্তুরোস ডেজার্ট ঈগল’। কাগজের বিমানটি ওড়াতে অবশ্য হেলিকপ্টারের সাহায্য নিতে হয়েছে। সিকোরস্কি এস৫৮টি হেলিকপ্টারের সঙ্গে একটি শিকল বেঁধে কাগজের এই বিমানকে দুই হাজার ৭০৩ ফুট ওপরে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর কাগজের বিমানটি ঘণ্টায় ১০০ মাইল গতিতে ছুটতে শুরু করে। কিন্তু ১০ সেকেন্ড পরেই বাতাসের তোড়ে কাগজের এই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
বিশ্বের প্রথম পুরো হীরার আংটি!
এত দিন হীরার আংটিতে মূল্যবান কোনো ধাতুর কাঠামোর কেন্দ্রে হীরার টুকরো
বসানো হতো। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের বিখ্যাত অলংকার-নির্মাতা প্রতিষ্ঠান
সাউইশ জুয়েলারি আস্ত একটি হীরা ব্যবহার করে একটি আংটি তৈরি করেছে, যাতে
শুধু হীরাই ব্যবহূত হয়েছে। ১৫০ ক্যারেট হীরার তৈরি এ আংটির দাম সাত কোটি
ডলার। এটিই বিশ্বের প্রথম পুরো হীরার আংটি।
ফ্যাশন-বিষয়ক ওয়েবসাইট স্টাইলিট জানিয়েছে, ১৫০ ক্যারেটের এ আংটি বিখ্যাত সব হীরার আংটিকে টেক্কা দিতে সক্ষম হবে। বিখ্যাত হীরার আংটির মধ্যে রয়েছে জে-জির কাছ থেকে বিওন্সি নোলসের পাওয়া ১৮ ক্যারেটের হীরার আংটি বা রিচার্ড বার্টনের কাছ থেকে এলিজাবেথ টেলরের পাওয়া ৩০ ক্যারেটের আংটি।
সাউইশের প্রধান নির্বাহী মোহামেদ সাওয়েশ জানিয়েছেন, আস্ত একটি হীরার টুকরো লেজার দিয়ে কেটে এ আংটিটি তৈরি করা হয়েছে। এটি তৈরিতে লেজার ছাড়াও প্রচলিত পলিশ ও কাটিং পদ্ধতি ব্যবহূত হয়েছে। আর এর আকার তৈরিতে সময় লেগেছে পুরো এক বছর।
জানা গেছে, আংটি তৈরির বিষয়টি কপিরাইট করিয়ে নিয়েছে সাউইশ।
ফ্যাশন-বিষয়ক ওয়েবসাইট স্টাইলিট জানিয়েছে, ১৫০ ক্যারেটের এ আংটি বিখ্যাত সব হীরার আংটিকে টেক্কা দিতে সক্ষম হবে। বিখ্যাত হীরার আংটির মধ্যে রয়েছে জে-জির কাছ থেকে বিওন্সি নোলসের পাওয়া ১৮ ক্যারেটের হীরার আংটি বা রিচার্ড বার্টনের কাছ থেকে এলিজাবেথ টেলরের পাওয়া ৩০ ক্যারেটের আংটি।
সাউইশের প্রধান নির্বাহী মোহামেদ সাওয়েশ জানিয়েছেন, আস্ত একটি হীরার টুকরো লেজার দিয়ে কেটে এ আংটিটি তৈরি করা হয়েছে। এটি তৈরিতে লেজার ছাড়াও প্রচলিত পলিশ ও কাটিং পদ্ধতি ব্যবহূত হয়েছে। আর এর আকার তৈরিতে সময় লেগেছে পুরো এক বছর।
জানা গেছে, আংটি তৈরির বিষয়টি কপিরাইট করিয়ে নিয়েছে সাউইশ।
উচ্চ ঘনত্বের গ্রহের সন্ধান
ফরাসি
জ্যোতির্গবেষকেরা সম্প্রতি উচ্চ ঘনত্বের একটি গ্রহের সন্ধান লাভ করেছেন।
পৃথিবী থেকে চার হাজারের কিছু বেশি আলোক বর্ষ দূরের এই গ্রহের নাম রাখা
হয়েছে কোরোট-২০বি। গবেষকেরা গ্রহের বর্ণালি পরীক্ষার মাধ্যমে গ্রহের
আকার-প্রকৃতি নির্ণয়ের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বৃহস্পতি গ্রহের চার-পঞ্চমাংশ
আকারের এই গ্রহ পুরোটাই গ্যাসীয় প্রকৃতির। বৃহস্পতি থেকে আকারে ক্ষুদ্র
হলেও গ্রহটির ঘনত্ব চার গুণ বেশি বলে ধারণা করছেন জ্যোর্তিবিদেরা। সূর্যের
মতো একটি তারাকে আবর্তিত এই গ্রহকে সন্ধান পাওয়া উচ্চ ঘনত্বের গ্রহগুলোর
একটি বলে মনে করছেন গবেষকেরা। ফ্রান্সের মার্সেই জ্যোতির্পদার্থ
গবেষণাগারের গবেষকেরা ‘ইউরোপীয় কোরোট মিশন’ প্রকল্প পরীক্ষায় এই গ্রহের
সন্ধান লাভ করেন।
সুদীপ্ত দেবনাথ
সুদীপ্ত দেবনাথ
পারমাণবিক দুর্ঘটনার সেকাল-একাল
১১
মার্চ ছিল জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিস্ফোরণের প্রথম
বার্ষিকী। ১৯৮৬ সালের চেরনোবিল দুর্ঘটনার পর ফুকুশিমা পারমাণবিক দুর্ঘটনা
হলো সবচেয়ে ভয়াবহ। তবে সময়ের কারণেই দুটি দুর্ঘটনার মধ্যে ফারাক ছিল
বিস্তর। এ দুটি দুর্ঘটনার পার্থক্য তুলে ধরেছেন পরমাণু বিজ্ঞানী জাকিয়া
বেগম
প্রায় ৬০ বছরের পারমাণবিক চুল্লির ইতিহাসে বিশ্বে যে কয়েকটি পারমাণবিক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ১৯৮৬ সালের ২৬ মার্চ রাশিয়ার চেরনোবিলে এবং অন্যটি ২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের ফুকুশিমায় সংঘটিত দুর্ঘটনা দুটিকে অন্যতম ভয়াবহ বলে চিহ্নিত করা হয়। এ দুটি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু পার্থক্য আছে বলে বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশ করেছেন। পার্থক্যগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়:
১৯৭১ সালে স্থাপিত ফুকুশিমার চুল্লিটি ৪০ বছরের আয়ুষ্কাল শেষ করে বর্ধিত সময়ের জন্য পরিচালনার অনুমোদনপ্রাপ্ত ছিল। কিন্তু ১৯৭৭ সালে স্থাপিত চেরনোবিলের চুল্লিটি দুর্ঘটনার আগে মাত্র নয় বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।
চেরনোবিলের চুল্লিতে প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল। উপরন্তু, নিরাপত্তাসংক্রান্ত সতর্কতা অবলম্বন না করে গবেষণা পরিচালনার সময় ভুলের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু চুল্লির নকশায় উচ্চমাত্রার সুনামির সম্ভাবনা বিবেচনায় না রাখায় রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প-পরবর্তী সুনামি ফুকুশিমা দুর্ঘটনার কারণ।
চেরনোবিলের ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার সময় চুল্লি সক্রিয় থাকায় ফিশনবিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে ওঠে এবং মুহূর্তে হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে বিস্ফোরিত পারমাণবিক বোমার চেয়ে ভয়াবহ ও মারাত্মক বিস্ফোরণ ঘটে। ফুকুশিমায় ভূমিকম্পের সঙ্গে সঙ্গে ফিশনবিক্রিয়া থেমে গিয়ে চুল্লিগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কেন্দ্রে কোনো রকম বিস্ফোরণ ঘটেনি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সুনামির আঘাতে শীতলীকরণ পদ্ধতি অকার্যকর হয়ে পড়ায় চুল্লির কেন্দ্র অতিরিক্ত মাত্রায় উত্তপ্ত হয়ে উঠে কোনোটি আংশিকভাবে এবং কোনোটির অধিকাংশই গলে যায়। ব্যবহূত জ্বালানির আধারগুলোর ঠান্ডাকরণ পদ্ধতিও অকার্যকর হয়ে পড়ে।
১ গিগাওয়াট শক্তিসম্পন্ন চেরনোবিলের চুল্লিটির কেন্দ্র ইদানীংকালের চুল্লিগুলোর চেয়ে প্রায় তিন গুণ বড় ছিল। এত বিরাট চুল্লি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ায় তা প্রচণ্ডভাবে বিস্ফোরিত হয়। ফুকুশিমারটি ৪ দশমিক ৭ গিগাওয়াট শক্তিসম্পন্ন।
‘হাইপ্রেশার ওয়াটার রিঅ্যাকটর টাইপ’ চেরনোবিলের চুল্লিতে রিঅ্যাকটর ভেসেল এবং কনটেইনমেন্ট বিল্ডিং ছিল না। ‘বয়েলিং ওয়াটার টাইপ’ ফুকুশিমার চুল্লিতে বর্তমানে ব্যবহূত অন্যান্য চুল্লির মতো জ্বালানিসংবলিত কেন্দ্র খুব পুরু স্টিলের তৈরি চাপযুক্ত আধারের মধ্যে (রিঅ্যাকটর প্রেসার ভেসেল) আর সম্পূর্ণ চুল্লিটি যেকোনো ধরনের তেজস্ক্রিয় পদার্থ আবদ্ধ রাখতে সক্ষম স্টিল ও কংক্রিটের তৈরি বিশেষ ধরনের কাঠামোর মধ্যে স্থাপিত ছিল।
ফুকুশিমার চুল্লিটি ‘লাইট ওয়াটার’ মডারেটরবিশিষ্ট হওয়ায় এটির কেন্দ্রে দাহ্য গ্রাফাইটের উপস্থিতি ছিল না। চেরনোবিল দুর্ঘটনাটি ভয়াবহ হয়ে ওঠার অন্যতম একটি কারণ, ‘গ্রাফাইট মডারেটেড’ চুল্লিতে গ্রাফাইটের উপস্থিতি, যা এটিকে অত্যন্ত দাহ্য করে তোলে। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ডভাবে আগুন ধরে যায়, যার কারণে তেজস্ক্রিয় মেঘ আকাশে বহু ওপরে বিস্তৃতি লাভ করে, যা প্রায় ১০ দিন পর্যন্ত জ্বলতে থাকে।
ফুকুশিমার ছয়টি চুল্লির মধ্যে চারটি এবং ‘স্পেন্ট ফুয়েলে’র আধার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চেরনোবিলের চারটি চুল্লির মধ্যে মাত্র একটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
ফুকুশিমার চুল্লিতে জ্বালানির পরিমাণ ছিল এক হাজার ৬০০ টন আর চেরনোবিলে ১৮০ টন।
ফুকুশিমায় অত্যন্ত উচ্চ তাপমাত্রায় চুল্লির ভেতরের বাষ্প থেকে হাইড্রোজেন আলাদা হয়ে যায়, যা চুল্লির স্থাপনার ভেতরে জমা হয়ে বিস্ফোরণের সৃষ্টি করে। ফলে স্থাপনার ছাদের একটি অংশ বিধ্বস্ত হয়, তবে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ নির্গমনের ক্ষেত্রে এর কোনো ভূমিকা ছিল না। তা ছাড়া চুল্লির ভেতরে বাষ্পীয় চাপ কমিয়ে বিস্ফোরণ ঠেকানোর লক্ষ্যে অপারেটররাও ইচ্ছাকৃতভাবে বাষ্পীয় মেঘ বাতাসে বিমুক্ত করে দেয়। এই বাষ্পের মধ্যস্থ তেজস্ক্রিয় কণাগুলোর অর্ধায়ু মাত্র কয়েক সেকেন্ড হওয়ায় এগুলো বাতাসে মিশে যাওয়ার আগে বিকিরণমাত্রা মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর পর্যায়ের নিচে নেমে আসে। তা ছাড়া প্রশান্ত মহাসাগরের তীরবর্তী হওয়ায় এবং দুর্ঘটনার সময় বাতাস সাগরের দিকে ধাবিত হওয়ায় এ ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় পদার্থগুলোর অধিকাংশ সাগরে গিয়ে পড়ে, যা সাগরের পানির সঙ্গে মিশে তরলকৃত হয়ে পড়ে।
পরবর্তী সময়ে প্রচণ্ড উত্তাপে চুল্লি গলিত অবস্থায় চলে যাওয়ায় এবং স্থাপনার ভেতরের কিছুটা অংশে ফাটল দেখা দেওয়ায় এ ফাটল এবং সেই সঙ্গে উত্তপ্ত স্পেন্ট ফুয়েল দিয়ে তেজস্ক্রিয়তাযুক্ত পানি ও বাষ্প বের হতে থাকে, যা পরিবেশকে দূষণযুক্ত করে তোলে। তা ছাড়া শীতলীকরণের কাজে ব্যবহূত পানি সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়ায়ও বেশ কিছু তেজস্ক্রিয় পদার্থ বাতাস ও পানিতে মিশে যায়।
যদিও দুটি ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনার মাত্রা পারমাণবিক দুর্ঘটনার স্কেলে ৭, তাই ফুকুশিমা দুর্ঘটনায় পরিবেশে ছড়িয়ে পড়া তেজস্ক্রিয় পদার্থের পরিমাণ চেরনোবিল দুর্ঘটনার মাত্র ১০ শতাংশ।
ফুকুশিমায় তেজস্ক্রিয়ার কারণে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। চেরনোবিলে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ২০০ পিকোবেকারেল তেজস্ক্রিয়ার বিকিরণপাত হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে দুজন, পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে জরুরি উদ্ধারকাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ৫০ জন মারা যায়। প্রায় ছয় লাখ মানুষ অত্যন্ত উচ্চমাত্রার বিকিরণ দ্বারা সম্পাতিত হয়ে পড়ে। কাছের একটি বনাঞ্চল সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়, চারপাশে বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে পাশের ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বিরাট এলাকাজুড়ে তেজস্ক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ায় এসব দেশের উদ্ভিদ ও প্রাণীকুল তেজস্ক্রিয় ঝুঁকির সম্মুখীন হয়।
ফুকুশিমায় দুর্ঘটনাস্থল থেকে উত্তর-পশ্চিমে ৬০ কিলোমিটার এবং দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় বিকিরণমাত্রা বার্ষিক গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে ঊর্ধ্বে এবং সর্বোচ্চ তেজস্ক্রিয়া ৩৭০ পিকোবেকারেল পরিলক্ষিত হয়। এ ক্ষেত্রে বিরাট এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম।
তৎকালীন সোভিয়েত সরকার প্রথম দিকে বাসিন্দাদের দুর্ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করা থেকে বিরত থাকে এবং দ্রুত পাশের এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়। খাদ্য গ্রহণ সম্পর্কে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করায় আয়োডিনযুক্ত তেজস্ক্রিয়যুক্ত দুধ গ্রহণের কারণে আক্রান্ত শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে প্রায় ছয় হাজার জন পরবর্তী সময়ে থাইরয়েড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে কয়েকজন মারা যায়।
ফুকুশিমায় ক্ষতিকর আয়োডিন নিঃসরণের পরিমাণ চেরনোবিলের চেয়ে প্রায় সাত গুণ কম। তা ছাড়া জাপান সরকার খুব দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে জনসাধারণকে সরিয়ে নেওয়ায় এবং সময়োপযোগী কিছু পদক্ষেপ নেওয়ায় তেজস্ক্রিয় সম্পাত থেকে অনেকেই রক্ষা পায়। ২০-৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় জন্মানো খাদ্যশস্য গ্রহণ করার ব্যাপারে সতর্ক এবং বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এলাকার পশুর দুধ ও দুগ্ধজাতদ্রব্য শিশুদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। এমনকি প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত টোকিও নগরের কলের পানি শিশুখাদ্যের জন্য সাময়িকভাবে উপযোগী নয় বলে সাবধানতা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়। তা ছাড়া শিশুদের স্থায়ী আয়োডিন খাইয়ে তেজস্ক্রিয় আয়োডিন থাইরয়েডে জমা হওয়ার আশঙ্কা কমিয়ে আনায় থাইরয়েড ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কাও কমানো হয়েছে।
চেরনোবিলে কৃষি এলাকাজুড়ে ৩০ বছর অর্ধায়ুবিশিষ্ট সিজিয়াম-১৩৭ এবং ২৮ বছর অর্ধায়ুবিশিষ্ট স্ট্রনশিয়াম-৯০ ছড়িয়ে পড়ে। ফুকুশিমায়ও প্রায় ২০০ মাইল এলাকাজুড়ে সিজিয়াম-১৩৭ ছড়িয়ে পড়ে।
চেরনোবিলে দুর্ঘটনাকবলিত এলাকা থেকে প্রাথমিকভাবে প্রায় এক লাখ ১৫ হাজার মানুষ সরিয়ে নিয়ে পুনর্বাসন করা হয় এবং পরবর্তী সময়ে বেলারুশ, রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে প্রায় দুই লাখ ২০ হাজার মানুষ সরিয়ে নেওয়া হয়। ফুকুশিমায় দুর্ঘটনাকবলিত স্থাপনা থেকে প্রায় এক লাখ ১০ হাজার বাসিন্দাকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়।
ফুকুশিমার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমগুলো বহু তথ্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে, যা চেরনোবিলের সময় সম্ভব ছিল না। তা ছাড়া ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ সহজতর হওয়ায় নানাবিধ পরামর্শ ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়েছে।
লেখক: পরমাণু বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ, ইউআইটিএস।a
প্রায় ৬০ বছরের পারমাণবিক চুল্লির ইতিহাসে বিশ্বে যে কয়েকটি পারমাণবিক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ১৯৮৬ সালের ২৬ মার্চ রাশিয়ার চেরনোবিলে এবং অন্যটি ২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের ফুকুশিমায় সংঘটিত দুর্ঘটনা দুটিকে অন্যতম ভয়াবহ বলে চিহ্নিত করা হয়। এ দুটি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু পার্থক্য আছে বলে বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশ করেছেন। পার্থক্যগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়:
১৯৭১ সালে স্থাপিত ফুকুশিমার চুল্লিটি ৪০ বছরের আয়ুষ্কাল শেষ করে বর্ধিত সময়ের জন্য পরিচালনার অনুমোদনপ্রাপ্ত ছিল। কিন্তু ১৯৭৭ সালে স্থাপিত চেরনোবিলের চুল্লিটি দুর্ঘটনার আগে মাত্র নয় বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।
চেরনোবিলের চুল্লিতে প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল। উপরন্তু, নিরাপত্তাসংক্রান্ত সতর্কতা অবলম্বন না করে গবেষণা পরিচালনার সময় ভুলের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু চুল্লির নকশায় উচ্চমাত্রার সুনামির সম্ভাবনা বিবেচনায় না রাখায় রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প-পরবর্তী সুনামি ফুকুশিমা দুর্ঘটনার কারণ।
চেরনোবিলের ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার সময় চুল্লি সক্রিয় থাকায় ফিশনবিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে ওঠে এবং মুহূর্তে হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে বিস্ফোরিত পারমাণবিক বোমার চেয়ে ভয়াবহ ও মারাত্মক বিস্ফোরণ ঘটে। ফুকুশিমায় ভূমিকম্পের সঙ্গে সঙ্গে ফিশনবিক্রিয়া থেমে গিয়ে চুল্লিগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কেন্দ্রে কোনো রকম বিস্ফোরণ ঘটেনি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সুনামির আঘাতে শীতলীকরণ পদ্ধতি অকার্যকর হয়ে পড়ায় চুল্লির কেন্দ্র অতিরিক্ত মাত্রায় উত্তপ্ত হয়ে উঠে কোনোটি আংশিকভাবে এবং কোনোটির অধিকাংশই গলে যায়। ব্যবহূত জ্বালানির আধারগুলোর ঠান্ডাকরণ পদ্ধতিও অকার্যকর হয়ে পড়ে।
১ গিগাওয়াট শক্তিসম্পন্ন চেরনোবিলের চুল্লিটির কেন্দ্র ইদানীংকালের চুল্লিগুলোর চেয়ে প্রায় তিন গুণ বড় ছিল। এত বিরাট চুল্লি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ায় তা প্রচণ্ডভাবে বিস্ফোরিত হয়। ফুকুশিমারটি ৪ দশমিক ৭ গিগাওয়াট শক্তিসম্পন্ন।
‘হাইপ্রেশার ওয়াটার রিঅ্যাকটর টাইপ’ চেরনোবিলের চুল্লিতে রিঅ্যাকটর ভেসেল এবং কনটেইনমেন্ট বিল্ডিং ছিল না। ‘বয়েলিং ওয়াটার টাইপ’ ফুকুশিমার চুল্লিতে বর্তমানে ব্যবহূত অন্যান্য চুল্লির মতো জ্বালানিসংবলিত কেন্দ্র খুব পুরু স্টিলের তৈরি চাপযুক্ত আধারের মধ্যে (রিঅ্যাকটর প্রেসার ভেসেল) আর সম্পূর্ণ চুল্লিটি যেকোনো ধরনের তেজস্ক্রিয় পদার্থ আবদ্ধ রাখতে সক্ষম স্টিল ও কংক্রিটের তৈরি বিশেষ ধরনের কাঠামোর মধ্যে স্থাপিত ছিল।
ফুকুশিমার চুল্লিটি ‘লাইট ওয়াটার’ মডারেটরবিশিষ্ট হওয়ায় এটির কেন্দ্রে দাহ্য গ্রাফাইটের উপস্থিতি ছিল না। চেরনোবিল দুর্ঘটনাটি ভয়াবহ হয়ে ওঠার অন্যতম একটি কারণ, ‘গ্রাফাইট মডারেটেড’ চুল্লিতে গ্রাফাইটের উপস্থিতি, যা এটিকে অত্যন্ত দাহ্য করে তোলে। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ডভাবে আগুন ধরে যায়, যার কারণে তেজস্ক্রিয় মেঘ আকাশে বহু ওপরে বিস্তৃতি লাভ করে, যা প্রায় ১০ দিন পর্যন্ত জ্বলতে থাকে।
ফুকুশিমার ছয়টি চুল্লির মধ্যে চারটি এবং ‘স্পেন্ট ফুয়েলে’র আধার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চেরনোবিলের চারটি চুল্লির মধ্যে মাত্র একটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
ফুকুশিমার চুল্লিতে জ্বালানির পরিমাণ ছিল এক হাজার ৬০০ টন আর চেরনোবিলে ১৮০ টন।
ফুকুশিমায় অত্যন্ত উচ্চ তাপমাত্রায় চুল্লির ভেতরের বাষ্প থেকে হাইড্রোজেন আলাদা হয়ে যায়, যা চুল্লির স্থাপনার ভেতরে জমা হয়ে বিস্ফোরণের সৃষ্টি করে। ফলে স্থাপনার ছাদের একটি অংশ বিধ্বস্ত হয়, তবে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ নির্গমনের ক্ষেত্রে এর কোনো ভূমিকা ছিল না। তা ছাড়া চুল্লির ভেতরে বাষ্পীয় চাপ কমিয়ে বিস্ফোরণ ঠেকানোর লক্ষ্যে অপারেটররাও ইচ্ছাকৃতভাবে বাষ্পীয় মেঘ বাতাসে বিমুক্ত করে দেয়। এই বাষ্পের মধ্যস্থ তেজস্ক্রিয় কণাগুলোর অর্ধায়ু মাত্র কয়েক সেকেন্ড হওয়ায় এগুলো বাতাসে মিশে যাওয়ার আগে বিকিরণমাত্রা মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর পর্যায়ের নিচে নেমে আসে। তা ছাড়া প্রশান্ত মহাসাগরের তীরবর্তী হওয়ায় এবং দুর্ঘটনার সময় বাতাস সাগরের দিকে ধাবিত হওয়ায় এ ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় পদার্থগুলোর অধিকাংশ সাগরে গিয়ে পড়ে, যা সাগরের পানির সঙ্গে মিশে তরলকৃত হয়ে পড়ে।
পরবর্তী সময়ে প্রচণ্ড উত্তাপে চুল্লি গলিত অবস্থায় চলে যাওয়ায় এবং স্থাপনার ভেতরের কিছুটা অংশে ফাটল দেখা দেওয়ায় এ ফাটল এবং সেই সঙ্গে উত্তপ্ত স্পেন্ট ফুয়েল দিয়ে তেজস্ক্রিয়তাযুক্ত পানি ও বাষ্প বের হতে থাকে, যা পরিবেশকে দূষণযুক্ত করে তোলে। তা ছাড়া শীতলীকরণের কাজে ব্যবহূত পানি সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়ায়ও বেশ কিছু তেজস্ক্রিয় পদার্থ বাতাস ও পানিতে মিশে যায়।
যদিও দুটি ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনার মাত্রা পারমাণবিক দুর্ঘটনার স্কেলে ৭, তাই ফুকুশিমা দুর্ঘটনায় পরিবেশে ছড়িয়ে পড়া তেজস্ক্রিয় পদার্থের পরিমাণ চেরনোবিল দুর্ঘটনার মাত্র ১০ শতাংশ।
ফুকুশিমায় তেজস্ক্রিয়ার কারণে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। চেরনোবিলে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ২০০ পিকোবেকারেল তেজস্ক্রিয়ার বিকিরণপাত হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে দুজন, পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে জরুরি উদ্ধারকাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ৫০ জন মারা যায়। প্রায় ছয় লাখ মানুষ অত্যন্ত উচ্চমাত্রার বিকিরণ দ্বারা সম্পাতিত হয়ে পড়ে। কাছের একটি বনাঞ্চল সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়, চারপাশে বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে পাশের ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বিরাট এলাকাজুড়ে তেজস্ক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ায় এসব দেশের উদ্ভিদ ও প্রাণীকুল তেজস্ক্রিয় ঝুঁকির সম্মুখীন হয়।
ফুকুশিমায় দুর্ঘটনাস্থল থেকে উত্তর-পশ্চিমে ৬০ কিলোমিটার এবং দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় বিকিরণমাত্রা বার্ষিক গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে ঊর্ধ্বে এবং সর্বোচ্চ তেজস্ক্রিয়া ৩৭০ পিকোবেকারেল পরিলক্ষিত হয়। এ ক্ষেত্রে বিরাট এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম।
তৎকালীন সোভিয়েত সরকার প্রথম দিকে বাসিন্দাদের দুর্ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করা থেকে বিরত থাকে এবং দ্রুত পাশের এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়। খাদ্য গ্রহণ সম্পর্কে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করায় আয়োডিনযুক্ত তেজস্ক্রিয়যুক্ত দুধ গ্রহণের কারণে আক্রান্ত শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে প্রায় ছয় হাজার জন পরবর্তী সময়ে থাইরয়েড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে কয়েকজন মারা যায়।
ফুকুশিমায় ক্ষতিকর আয়োডিন নিঃসরণের পরিমাণ চেরনোবিলের চেয়ে প্রায় সাত গুণ কম। তা ছাড়া জাপান সরকার খুব দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে জনসাধারণকে সরিয়ে নেওয়ায় এবং সময়োপযোগী কিছু পদক্ষেপ নেওয়ায় তেজস্ক্রিয় সম্পাত থেকে অনেকেই রক্ষা পায়। ২০-৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় জন্মানো খাদ্যশস্য গ্রহণ করার ব্যাপারে সতর্ক এবং বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এলাকার পশুর দুধ ও দুগ্ধজাতদ্রব্য শিশুদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। এমনকি প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত টোকিও নগরের কলের পানি শিশুখাদ্যের জন্য সাময়িকভাবে উপযোগী নয় বলে সাবধানতা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়। তা ছাড়া শিশুদের স্থায়ী আয়োডিন খাইয়ে তেজস্ক্রিয় আয়োডিন থাইরয়েডে জমা হওয়ার আশঙ্কা কমিয়ে আনায় থাইরয়েড ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কাও কমানো হয়েছে।
চেরনোবিলে কৃষি এলাকাজুড়ে ৩০ বছর অর্ধায়ুবিশিষ্ট সিজিয়াম-১৩৭ এবং ২৮ বছর অর্ধায়ুবিশিষ্ট স্ট্রনশিয়াম-৯০ ছড়িয়ে পড়ে। ফুকুশিমায়ও প্রায় ২০০ মাইল এলাকাজুড়ে সিজিয়াম-১৩৭ ছড়িয়ে পড়ে।
চেরনোবিলে দুর্ঘটনাকবলিত এলাকা থেকে প্রাথমিকভাবে প্রায় এক লাখ ১৫ হাজার মানুষ সরিয়ে নিয়ে পুনর্বাসন করা হয় এবং পরবর্তী সময়ে বেলারুশ, রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে প্রায় দুই লাখ ২০ হাজার মানুষ সরিয়ে নেওয়া হয়। ফুকুশিমায় দুর্ঘটনাকবলিত স্থাপনা থেকে প্রায় এক লাখ ১০ হাজার বাসিন্দাকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়।
ফুকুশিমার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমগুলো বহু তথ্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে, যা চেরনোবিলের সময় সম্ভব ছিল না। তা ছাড়া ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ সহজতর হওয়ায় নানাবিধ পরামর্শ ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়েছে।
লেখক: পরমাণু বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ, ইউআইটিএস।a
সোমবার, ২৬ মার্চ, ২০১২
কোথাও কেউ নেই
আমি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে আর বোন আসমা এসএসসি পরীক্ষা শেষ করে
ফলাফলের অপেক্ষায়। এমন সময় ওদের দুজনকে দেখি আমরা। প্রথম দেখায়ই রনি ভাইয়ের
নাজু আপাকে ভালো লেগেছিল। অচিরেই আমরা দুই বোন নাজু আপা আর রনি ভাইয়ের
ছায়াসঙ্গী হয়ে উঠলাম। কিন্তু কোন ফাঁকে তাদের দুজনের মধ্যে ভালোবাসা হয়ে
গেছে আমরা টেরও পাইনি। কয়েক দিনের পরই নাজু আপা আমাদের সব খুলে বললেন। এমএ
পরীক্ষা শেষ করে রনি ভাই চাকরি শুরু করেন। অল্পদিনের মধ্যে মহা ধুমধাম করে
তাঁদের বিয়ে হলো। দুই বছরের মাথায় তাঁদের ঘর আলো করে এল আরিয়ান। এত সুন্দর
ফুটফুটে ছেলে! কিন্তু ছোট্ট একটা ফুটো তার ছোট্ট হূৎপিণ্ডে। নাজু আপা, রনি
ভাই দুজনেই স্বচ্ছল পরিবারের। চিকিৎসায় কোনো ত্রুটি হয়নি। দেশে-বিদেশে
চিকিৎসা আর নাজু আপার অনেক মমতা আর যত্নে আরিয়ান অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছিল।
ছোট্ট বয়সে অপারেশনের ধকল নিতে পারবে না, তাই শেষ অস্ত্রোপচারটা একটু
দেরিতেই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওর বাবা-মা, হ্যাঁ চিকিৎসকের পরামর্শেই।
এর মধ্যে হঠাৎই নাজু আপার আব্বা মারা গেলেন, হার্ট অ্যাটাক। নানা ভাইয়ের জন্য অনেক মন খারাপ করল সাড়ে তিন বছর বয়সী আরিয়ান। বাবার মৃত্যুর শোক সামলে আরিয়ানকে নিয়ে নাজু আপা আর রনি ভাই ভারতে গেলেন। উপমহাদেশের বিখ্যাত শিশু হূদরোগ বিশেষজ্ঞ শেঠী আরিয়ানের অপারেশন করলেন। মা-বাবার সঙ্গে একই বিমানে দেশে ফিরে এসেছিল আরিয়ান কিন্তু হিমশীতল কফিনে করে।
আমরা দুই বোন, একসময় যারা ছিলাম নাজু আপার ছায়াসঙ্গী। দেখতে গেলাম ওঁদের। বিধ্বস্ত দুজনেই। তফাত একটাই, নাজু আপা অনবরত কথা বলছিলেন আর রনি ভাই বাক্রুদ্ধ। এরপর অনেক রাত তাঁরা ঘুমোতে পারেননি। ২৪ ঘণ্টা আলো জ্বালিয়ে রাখতেন। চোখ বন্ধ করতে গেলেই নাজু আপা দেখতেন আরিয়ান বিছানায়...।
সময় চলে যায়। জীবন বহিয়া চলে।
আবারও মা হওয়ার আকুতি রীতিমতো পাগল করে তোলে নাজু আপাকে।
জীবন চলে আপন গতিতে। নাজু আপার সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা আত্মার। রক্তের বন্ধন স্থাপনের জন্য আম্মার অপারেশনের সময় জরুরি রক্ত প্রয়োজন। এগিয়ে এলেন আমাদের নাজু আপা। আম্মার প্রতি তাঁর মমতা-শ্রদ্ধা অন্য রকম! আরিয়ানকে ফিরে পাওয়ার জন্য আম্মার কাছে দোয়া চাইতেন, আম্মার কাছে বসে কাঁদতেন। কিছুদিনের মধ্যেই আবদুল্লাহ এল, আরিয়ানের রূপ ধরে। এখন ওর বয়স ছয় বছর। স্কুলে যায়। কিছুদিন আগে ওর আর্ট একজিবিশন হলো।
অনেক দিন নাজু আপার সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। মোবাইল ফোনসেটের পরিবর্তন আর ফোন নম্বর না লিখে রাখার কারণে কোনোভাবেই তাঁর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হয়ে ওঠেনি। এর মধ্যে নম্বর খুঁজে পেলাম। ২২ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ফোন করলাম। সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে আমার ফোন পেয়ে নাজু আপা কী যে খুশি হয়েছিলেন, তা আমি এই সাত সমুদ্র তেরো নদী দুরে বসেও টের পাচ্ছিলাম। বললেন, আমি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেছি, আমাকে অ্যাড করো। প্রোফাইল ছবি দেখে মনটা ভালো হয়ে গেল। মনে হলো ১৮ বছর আগে প্রথম ওঁদের দেখেছিলাম কিন্তু একটুও যেন বদলাননি ওঁরা দুজন।
১ মার্চ দুপুরে বোন আসমার ফোন—রনি ভাই নেই। হার্ট অ্যাটাক! আরিয়ানের পাশেই শুইয়ে দেওয়া হয়েছে তার বাবাকে।
সালমা শফিক
মেলবোর্ন,
অস্ট্রেলিয়া থেকে
এর মধ্যে হঠাৎই নাজু আপার আব্বা মারা গেলেন, হার্ট অ্যাটাক। নানা ভাইয়ের জন্য অনেক মন খারাপ করল সাড়ে তিন বছর বয়সী আরিয়ান। বাবার মৃত্যুর শোক সামলে আরিয়ানকে নিয়ে নাজু আপা আর রনি ভাই ভারতে গেলেন। উপমহাদেশের বিখ্যাত শিশু হূদরোগ বিশেষজ্ঞ শেঠী আরিয়ানের অপারেশন করলেন। মা-বাবার সঙ্গে একই বিমানে দেশে ফিরে এসেছিল আরিয়ান কিন্তু হিমশীতল কফিনে করে।
আমরা দুই বোন, একসময় যারা ছিলাম নাজু আপার ছায়াসঙ্গী। দেখতে গেলাম ওঁদের। বিধ্বস্ত দুজনেই। তফাত একটাই, নাজু আপা অনবরত কথা বলছিলেন আর রনি ভাই বাক্রুদ্ধ। এরপর অনেক রাত তাঁরা ঘুমোতে পারেননি। ২৪ ঘণ্টা আলো জ্বালিয়ে রাখতেন। চোখ বন্ধ করতে গেলেই নাজু আপা দেখতেন আরিয়ান বিছানায়...।
সময় চলে যায়। জীবন বহিয়া চলে।
আবারও মা হওয়ার আকুতি রীতিমতো পাগল করে তোলে নাজু আপাকে।
জীবন চলে আপন গতিতে। নাজু আপার সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা আত্মার। রক্তের বন্ধন স্থাপনের জন্য আম্মার অপারেশনের সময় জরুরি রক্ত প্রয়োজন। এগিয়ে এলেন আমাদের নাজু আপা। আম্মার প্রতি তাঁর মমতা-শ্রদ্ধা অন্য রকম! আরিয়ানকে ফিরে পাওয়ার জন্য আম্মার কাছে দোয়া চাইতেন, আম্মার কাছে বসে কাঁদতেন। কিছুদিনের মধ্যেই আবদুল্লাহ এল, আরিয়ানের রূপ ধরে। এখন ওর বয়স ছয় বছর। স্কুলে যায়। কিছুদিন আগে ওর আর্ট একজিবিশন হলো।
অনেক দিন নাজু আপার সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। মোবাইল ফোনসেটের পরিবর্তন আর ফোন নম্বর না লিখে রাখার কারণে কোনোভাবেই তাঁর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হয়ে ওঠেনি। এর মধ্যে নম্বর খুঁজে পেলাম। ২২ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ফোন করলাম। সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে আমার ফোন পেয়ে নাজু আপা কী যে খুশি হয়েছিলেন, তা আমি এই সাত সমুদ্র তেরো নদী দুরে বসেও টের পাচ্ছিলাম। বললেন, আমি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেছি, আমাকে অ্যাড করো। প্রোফাইল ছবি দেখে মনটা ভালো হয়ে গেল। মনে হলো ১৮ বছর আগে প্রথম ওঁদের দেখেছিলাম কিন্তু একটুও যেন বদলাননি ওঁরা দুজন।
১ মার্চ দুপুরে বোন আসমার ফোন—রনি ভাই নেই। হার্ট অ্যাটাক! আরিয়ানের পাশেই শুইয়ে দেওয়া হয়েছে তার বাবাকে।
সালমা শফিক
মেলবোর্ন,
অস্ট্রেলিয়া থেকে
আমি সাবিনা
আমি তখন নামকরা একটি স্কুলের হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করি। গ্রীষ্মকালীন ছুটি
উপলক্ষে স্কুল ১৫ দিনের বন্ধ, তাই আমরা সবাই বাড়ি চলে আসি। একদিন সকালবেলা
ঘুম না ভাঙতেই আমার রুমমেট মিঠুনের ফোন।
ফোন ধরা মাত্রই সে বলে উঠল, ‘দোস্ত, আমার একটা উপকার করো।’
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কী?’
সে বলল, ‘আমি আজ সাত দিন ধরে মনির (মিঠুনের প্রেমিকা) সঙ্গে কথা বলতে পারছি না। মনির মোবাইল নম্বরটা বন্ধ।’
আমি বললাম, ‘এখন আমি কী করব?’
সে বলল, ‘মনির বাবার নম্বরটা খোলা আছে, তুমি মনির বান্ধবী সেজে উনার সঙ্গে কথা বলবে আর মনিকে বলবে, আমাকে একটা ফোন করতে।’
যেই কথা, সেই কাজ, সারা দিন মেয়েদের মতো কথা বলা চর্চা করলাম। সবশেষে খেয়াল করলাম, আমি যখন চাপাস্বরে, আস্তে কথা বলি, তখন আমার কণ্ঠ মেয়েদের মতো হয়। আমার বন্ধুটাও কয়েকবার ফোন করে যাচাই করে নিল, আমার কণ্ঠ মেয়েদের মতো হচ্ছে কি না।
সে আমাকে মনির বাবার কাছে মনির এক বান্ধবীর পরিচয় দিতে বলল। আমি অনেকটা ভয়ে ভয়ে রাত আটটায় মনির বাবার কাছে ফোন করলাম আর মেয়েদের মতো কণ্ঠস্বরে সালাম দিয়ে বললাম—
‘আংকেল! আমি মনির বান্ধবী সাবিনা, মনিকে ফোনটা দেওয়া যাবে?’
মনির বাবা বলল, ‘মা! আমি তো এখন বাজারে, তুমি এক ঘণ্টা পরে ফোন করো।’
কথাটা শোনামাত্রই আমি অনেকটা আনন্দিত হয়ে গেলাম। কেননা, মনির বাবা আমাকে ধরতে পারেননি। বসে বসে সময় গুনতে লাগলাম, কখন এক ঘণ্টা পার হবে। তা ছাড়া অপেক্ষার সময় যেন কিছুতেই শেষ হয় না। ঠিক এক ঘণ্টা পর আমি আবার ফোন করলাম। ওপাশ থেকে মনির বাবা বলে উঠল—
‘হ্যালো, কে?’
‘আংকেল আমি মনির বান্ধবী সাবিনা।’ কথাটা বললাম চাপাস্বরে, ঠিক মেয়েদের মতো।
মনির বাবা আমার কথা বুঝতে না পেরে আমাকে জোরে বলতে বললেন। আমি আবারও বললাম কিছুটা জোরে। তিনি এবারও বুঝতে পারলেন না। তাই বিরক্ত হয়ে আমি এবার অনেক জোরে বললাম—
‘আংকেল! আমি মনির বান্ধবী সাবিনা।’
কথাটা বলেই আমি থমকে গেলাম। কেননা আমি যখন জোরে কথা বলতে গেলাম, তখন মেয়েদের মতো করে না বলে আমি আমার মতো করেই বলে ফেললাম নিজের অজান্তে। আর তখনই শুনতে পেলাম ওপাশ থেকে গালাগালের আওয়াজ ভেসে আসছে। আমি তখন লাইনটা কেটে মোবাইল ফোনটা বন্ধ করে দিলাম। আর নিজের বোকামির জন্য নিজেকে অভিসম্পাত দিলাম।
সাদ্দাম হোসেন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী।
ফোন ধরা মাত্রই সে বলে উঠল, ‘দোস্ত, আমার একটা উপকার করো।’
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কী?’
সে বলল, ‘আমি আজ সাত দিন ধরে মনির (মিঠুনের প্রেমিকা) সঙ্গে কথা বলতে পারছি না। মনির মোবাইল নম্বরটা বন্ধ।’
আমি বললাম, ‘এখন আমি কী করব?’
সে বলল, ‘মনির বাবার নম্বরটা খোলা আছে, তুমি মনির বান্ধবী সেজে উনার সঙ্গে কথা বলবে আর মনিকে বলবে, আমাকে একটা ফোন করতে।’
যেই কথা, সেই কাজ, সারা দিন মেয়েদের মতো কথা বলা চর্চা করলাম। সবশেষে খেয়াল করলাম, আমি যখন চাপাস্বরে, আস্তে কথা বলি, তখন আমার কণ্ঠ মেয়েদের মতো হয়। আমার বন্ধুটাও কয়েকবার ফোন করে যাচাই করে নিল, আমার কণ্ঠ মেয়েদের মতো হচ্ছে কি না।
সে আমাকে মনির বাবার কাছে মনির এক বান্ধবীর পরিচয় দিতে বলল। আমি অনেকটা ভয়ে ভয়ে রাত আটটায় মনির বাবার কাছে ফোন করলাম আর মেয়েদের মতো কণ্ঠস্বরে সালাম দিয়ে বললাম—
‘আংকেল! আমি মনির বান্ধবী সাবিনা, মনিকে ফোনটা দেওয়া যাবে?’
মনির বাবা বলল, ‘মা! আমি তো এখন বাজারে, তুমি এক ঘণ্টা পরে ফোন করো।’
কথাটা শোনামাত্রই আমি অনেকটা আনন্দিত হয়ে গেলাম। কেননা, মনির বাবা আমাকে ধরতে পারেননি। বসে বসে সময় গুনতে লাগলাম, কখন এক ঘণ্টা পার হবে। তা ছাড়া অপেক্ষার সময় যেন কিছুতেই শেষ হয় না। ঠিক এক ঘণ্টা পর আমি আবার ফোন করলাম। ওপাশ থেকে মনির বাবা বলে উঠল—
‘হ্যালো, কে?’
‘আংকেল আমি মনির বান্ধবী সাবিনা।’ কথাটা বললাম চাপাস্বরে, ঠিক মেয়েদের মতো।
মনির বাবা আমার কথা বুঝতে না পেরে আমাকে জোরে বলতে বললেন। আমি আবারও বললাম কিছুটা জোরে। তিনি এবারও বুঝতে পারলেন না। তাই বিরক্ত হয়ে আমি এবার অনেক জোরে বললাম—
‘আংকেল! আমি মনির বান্ধবী সাবিনা।’
কথাটা বলেই আমি থমকে গেলাম। কেননা আমি যখন জোরে কথা বলতে গেলাম, তখন মেয়েদের মতো করে না বলে আমি আমার মতো করেই বলে ফেললাম নিজের অজান্তে। আর তখনই শুনতে পেলাম ওপাশ থেকে গালাগালের আওয়াজ ভেসে আসছে। আমি তখন লাইনটা কেটে মোবাইল ফোনটা বন্ধ করে দিলাম। আর নিজের বোকামির জন্য নিজেকে অভিসম্পাত দিলাম।
সাদ্দাম হোসেন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী।
মনের জানালা
সমস্যা: আমার বয়স ৩০। ২০০২ সালে বিয়ে করি। আমাদের দুটি কন্যাসন্তান আছে।
২০০৮ সালে সরকারি নৈশপ্রহরী হিসেবে চাকরিতে যোগদান করি। চাকরির সুবাদে আমি
চট্টগ্রামে থাকি। দুই সন্তান নিয়ে আমার স্ত্রী গ্রামের বাড়ি থাকে।
নৈশপ্রহরী হিসেবে কোনো সাপ্তাহিক ছুটি বা সরকারের অন্যান্য ঘোষিত ছুটি না
থাকায় আমার প্রিয় স্ত্রী ও আদরের সন্তানদের দেখতে যাওয়ার তেমন সময় হয় না।
বিকেল পাঁচটা থেকে পরের দিন সকাল নয়টা পর্যন্ত অফিসের সব নিরাপত্তার
দায়িত্ব পালন করতে হয়। রাতে আমি ছাড়া অফিসে আর কেউ থাকে না। তাই নিঃসঙ্গতায়
আমাকে সারা রাত প্রহর গুনতে হয়। এমন নিঃসঙ্গ জীবন নিয়ে সব সময় হতাশায়
ভুগি। মাঝেমধ্যে মন চায় চাকরি ছেড়ে দিই। কিন্তু অবুঝ সন্তানদের ভবিষ্যৎ
চিন্তা করে নিজের বিবেকের কাছে হেরে যাই। আমি সব সময় হীনমন্যতায় ভুগি এবং
নিজেকে খুব নগণ্য মনে হয়। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, এমনকি
স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে কথা বলতেও বিরক্তি বোধ করি। মন চায়, সব সময় একা
থাকি এবং নীরবতা পালন করি। কেউ ভালো কথা বললেও তা আমার কাছে খারাপ মনে হয়।
পিবিসি
সদরঘাট, চট্টগ্রাম।
পরামর্শ: তুমি লেখাপড়া কতটুকু করেছ জানি না, তবে তুমি কিন্তু সুন্দরভাবে গুছিয়ে নিজের কথাগুলো লিখেছ। শুধু মায়ের পক্ষে সন্তানদের সুন্দরভাবে বড় করা সম্ভব নয়। সন্তানের অধিকার রয়েছে মা-বাবার আদর স্নেহ ও নির্দেশনা নিয়ে পথ চলার। পুরুষদের একটি ভালো অবস্থান তৈরি না করে বিয়ে করা ঠিক নয়। সন্তানকে পৃথিবীতে আনার আগে ভাবা উচিত, মা-বাবা মিলে তাকে একটি সুন্দর পরিবেশ উপহার দিতে পারবেন কি না। তোমার চাকরির শর্তগুলো লিখিতভাবে তোমাকে দেওয়া হয়েছে কি না, তা জানি না; তবে কোনো ছুটি ছাড়া একটি মানুষকে দিয়ে ১৬ ঘণ্টা নৈশপ্রহরীর কাজ করানো অত্যন্ত অমানবিক এবং যেকোনো দেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থী। এ ছাড়া তুমি পাহারা দেওয়ার সময় সম্পূর্ণ একা থাকছ বলে তোমার পক্ষে মানসিকভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব হচ্ছে না। স্পষ্টতই তুমি বিষণ্নতায় ভুগছ। সে কারণে কারও সঙ্গে কথা বলতে গেলে অত্যন্ত বিরক্ত বোধ করছ। আমার মনে হচ্ছে, তোমার সঙ্গে খুব বড় ধরনের অন্যায় করা হচ্ছে। তুমি চট্টগ্রামে লেবার ডাইরেক্টরেটের অফিসে গিয়ে খোঁজ নিতে পারো, কোনো চাকরির শর্ত এ ধরনের হতে পারে কি না। যারা রাতে ডিউটি করে, তাদের কিন্তু সাধারণত সপ্তাহান্তে আবার দিনের বেলা ডিউটি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছুটির ক্ষেত্রেও পালা করে তারা ছুটি ভোগ করে। কারও মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর কাজের চাপ যেন নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে, সে ব্যবস্থা করা সব সংস্থারই অবশ্য কর্তব্য। তুমি ঠিকই ধারণা করেছ, এ শর্তগুলো মেনে দীর্ঘদিন কাজ করলে ভবিষ্যতে পথ চলতে অসুবিধা হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। তোমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে সুন্দরভাবে অসুবিধার কথাগুলো আলোচনা করতে পারো। আর যদি সেটা সম্ভব না হয়, তাহলে এ চাকরিতে থাকা অবস্থাতেই অন্য কোনো চাকরির খোঁজ করতে পারো।
সমস্যা: আমার বয়স ২৮ বছর। স্বামীর বয়স ৩২ বছর। বিয়ের বয়স পাঁচ বছর। আমরা একই অফিসে কর্মরত। আমার স্বামীর সমস্যার কারণে আমরা কোনো দিন মা-বাবা হতে পারব না। ও আমাকে খুব ভালোবাসে। আমিও ভালোবাসি। তবে মাঝেমধ্যে আমি কেমন যেন হয়ে যাই। তখন কাউকে আমার সহ্য হয় না। নিজেকে অসুখী মনে হয়। কোথাও শান্তি পাই না। তখন আমার সংসারে অশান্তি শুরু হয়। ওকে একদম সহ্য হয় না। মরে যেতে ইচ্ছে করে। অনেকবার মনের দিক থেকে প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম। কিন্তু মা-বাবা কষ্ট পাবে, এ কারণে তা পারিনি। আমার অন্য কোনো কষ্ট নেই। স্বামী খুব ভালো। এখন আমি কী করলে সুন্দরভাবে স্বামীকে নিয়ে সংসার করতে পারব।
নাবা ইসলাম
মানিকগঞ্জ
পরামর্শ: আমি বুঝতে পারছি, তুমি মা হতে পারবে না মনে করে প্রায়ই অসহায় ও হতাশা বোধ করছ। তুমি অবশ্য জানাওনি, বিয়ের আগেও তোমার মধ্যে বিষণ্নতা ছিল কি না। তোমার শৈশব আনন্দময় ছিল কি না, সেটি জানা খুব প্রয়োজন ছিল। তোমার যদি মনে হয়, মায়ের ভূমিকা তোমার মনের শান্তি নিশ্চিত করবে এবং তোমাকে সুখী করবে, তাহলে কোনো একটি অসহায়-এতিম শিশুর অভিভাবকত্ব নিতে পারো। আমার জানামতে অনেকেই এ ধরনের শিশুকে বুকে তুলে নিয়েছেন এবং তাঁদের জীবনের চিত্র অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। তবে একটি শিশুকে সুন্দরভাবে তার শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আবেগীয় বিকাশ নিশ্চিত করে বড় করা কিন্তু অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। এটি সুষ্ঠুভাবে করার জন্য সুন্দর দাম্পত্য সম্পর্ক ও মা-বাবার সুস্থ মানসিকতা অত্যন্ত প্রয়োজন। তুমি প্রায়ই নিজের ক্ষতি করার কথা ভাবছ বলে আমার মনে হচ্ছে। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা বা কাউন্সেলিং গ্রহণ করলে তুমি এভাবে আবেগের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাবে না। নিজেকে অনেক ভালোবাসবে এবং জীবনকে একটি উপহার হিসেবে গণ্য করে একে অর্থবহ করে তুলবে। আমাদের ভেতরে যে রাগ, ক্ষোভ, কষ্ট ও ভয় তৈরি হয়, সেগুলো কমিয়ে রেখে সুস্থ ও স্বাভাবিক আচরণ করার দায়িত্ব কিন্তু আমাদের ওপর বর্তায়।
এতে আশপাশের প্রিয় মানুষেরা ভালো থাকতে পারে। আশা করি, তুমি ঢাকায় এসে কোনো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মনোবিজ্ঞানীর কাছ থেকে কাউন্সেলিংসেবা নিয়ে সুস্থভাবে জীবন যাপনের পথ খুঁজে নেবে। শুভ কামনা রইল।
পিবিসি
সদরঘাট, চট্টগ্রাম।
পরামর্শ: তুমি লেখাপড়া কতটুকু করেছ জানি না, তবে তুমি কিন্তু সুন্দরভাবে গুছিয়ে নিজের কথাগুলো লিখেছ। শুধু মায়ের পক্ষে সন্তানদের সুন্দরভাবে বড় করা সম্ভব নয়। সন্তানের অধিকার রয়েছে মা-বাবার আদর স্নেহ ও নির্দেশনা নিয়ে পথ চলার। পুরুষদের একটি ভালো অবস্থান তৈরি না করে বিয়ে করা ঠিক নয়। সন্তানকে পৃথিবীতে আনার আগে ভাবা উচিত, মা-বাবা মিলে তাকে একটি সুন্দর পরিবেশ উপহার দিতে পারবেন কি না। তোমার চাকরির শর্তগুলো লিখিতভাবে তোমাকে দেওয়া হয়েছে কি না, তা জানি না; তবে কোনো ছুটি ছাড়া একটি মানুষকে দিয়ে ১৬ ঘণ্টা নৈশপ্রহরীর কাজ করানো অত্যন্ত অমানবিক এবং যেকোনো দেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থী। এ ছাড়া তুমি পাহারা দেওয়ার সময় সম্পূর্ণ একা থাকছ বলে তোমার পক্ষে মানসিকভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব হচ্ছে না। স্পষ্টতই তুমি বিষণ্নতায় ভুগছ। সে কারণে কারও সঙ্গে কথা বলতে গেলে অত্যন্ত বিরক্ত বোধ করছ। আমার মনে হচ্ছে, তোমার সঙ্গে খুব বড় ধরনের অন্যায় করা হচ্ছে। তুমি চট্টগ্রামে লেবার ডাইরেক্টরেটের অফিসে গিয়ে খোঁজ নিতে পারো, কোনো চাকরির শর্ত এ ধরনের হতে পারে কি না। যারা রাতে ডিউটি করে, তাদের কিন্তু সাধারণত সপ্তাহান্তে আবার দিনের বেলা ডিউটি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছুটির ক্ষেত্রেও পালা করে তারা ছুটি ভোগ করে। কারও মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর কাজের চাপ যেন নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে, সে ব্যবস্থা করা সব সংস্থারই অবশ্য কর্তব্য। তুমি ঠিকই ধারণা করেছ, এ শর্তগুলো মেনে দীর্ঘদিন কাজ করলে ভবিষ্যতে পথ চলতে অসুবিধা হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। তোমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে সুন্দরভাবে অসুবিধার কথাগুলো আলোচনা করতে পারো। আর যদি সেটা সম্ভব না হয়, তাহলে এ চাকরিতে থাকা অবস্থাতেই অন্য কোনো চাকরির খোঁজ করতে পারো।
সমস্যা: আমার বয়স ২৮ বছর। স্বামীর বয়স ৩২ বছর। বিয়ের বয়স পাঁচ বছর। আমরা একই অফিসে কর্মরত। আমার স্বামীর সমস্যার কারণে আমরা কোনো দিন মা-বাবা হতে পারব না। ও আমাকে খুব ভালোবাসে। আমিও ভালোবাসি। তবে মাঝেমধ্যে আমি কেমন যেন হয়ে যাই। তখন কাউকে আমার সহ্য হয় না। নিজেকে অসুখী মনে হয়। কোথাও শান্তি পাই না। তখন আমার সংসারে অশান্তি শুরু হয়। ওকে একদম সহ্য হয় না। মরে যেতে ইচ্ছে করে। অনেকবার মনের দিক থেকে প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম। কিন্তু মা-বাবা কষ্ট পাবে, এ কারণে তা পারিনি। আমার অন্য কোনো কষ্ট নেই। স্বামী খুব ভালো। এখন আমি কী করলে সুন্দরভাবে স্বামীকে নিয়ে সংসার করতে পারব।
নাবা ইসলাম
মানিকগঞ্জ
পরামর্শ: আমি বুঝতে পারছি, তুমি মা হতে পারবে না মনে করে প্রায়ই অসহায় ও হতাশা বোধ করছ। তুমি অবশ্য জানাওনি, বিয়ের আগেও তোমার মধ্যে বিষণ্নতা ছিল কি না। তোমার শৈশব আনন্দময় ছিল কি না, সেটি জানা খুব প্রয়োজন ছিল। তোমার যদি মনে হয়, মায়ের ভূমিকা তোমার মনের শান্তি নিশ্চিত করবে এবং তোমাকে সুখী করবে, তাহলে কোনো একটি অসহায়-এতিম শিশুর অভিভাবকত্ব নিতে পারো। আমার জানামতে অনেকেই এ ধরনের শিশুকে বুকে তুলে নিয়েছেন এবং তাঁদের জীবনের চিত্র অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। তবে একটি শিশুকে সুন্দরভাবে তার শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আবেগীয় বিকাশ নিশ্চিত করে বড় করা কিন্তু অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। এটি সুষ্ঠুভাবে করার জন্য সুন্দর দাম্পত্য সম্পর্ক ও মা-বাবার সুস্থ মানসিকতা অত্যন্ত প্রয়োজন। তুমি প্রায়ই নিজের ক্ষতি করার কথা ভাবছ বলে আমার মনে হচ্ছে। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা বা কাউন্সেলিং গ্রহণ করলে তুমি এভাবে আবেগের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাবে না। নিজেকে অনেক ভালোবাসবে এবং জীবনকে একটি উপহার হিসেবে গণ্য করে একে অর্থবহ করে তুলবে। আমাদের ভেতরে যে রাগ, ক্ষোভ, কষ্ট ও ভয় তৈরি হয়, সেগুলো কমিয়ে রেখে সুস্থ ও স্বাভাবিক আচরণ করার দায়িত্ব কিন্তু আমাদের ওপর বর্তায়।
এতে আশপাশের প্রিয় মানুষেরা ভালো থাকতে পারে। আশা করি, তুমি ঢাকায় এসে কোনো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মনোবিজ্ঞানীর কাছ থেকে কাউন্সেলিংসেবা নিয়ে সুস্থভাবে জীবন যাপনের পথ খুঁজে নেবে। শুভ কামনা রইল।
সোমবার, ১৯ মার্চ, ২০১২
গাড়ি ছিনতাই, আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে উদ্ধার
বাগেরহাট, মার্চ ১৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)-আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার
করে ছিনতাই হওয়া একটি গাড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া ছিনতাইয়ে জড়িত
সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।
গাড়িটির মালিকপক্ষ জানিয়েছে, জিপিএস’র (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) সাহায্যে দূর নিয়ন্ত্রিত ভেহিকল ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহার করে ছিনতাই হওয়া গাড়িটির অবস্থান শনাক্ত এবং এটির ইঞ্জিন বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়।
শনিবার রাত রাত আড়াইটায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী-গোপালগঞ্জ লিংক রোড থেকে গাড়িটি ছিনতাই করে দুর্বৃত্তরা। ভোর ৪টার দিকে তা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন নড়াইলের সিংদিয়া বসুপাড়া গ্রামের মো. সাগর মোল্লা ওরফে লাড্ডু (২৬), শিংগা গ্রামের রমজান আলী মোল্লা (২০), নড়াগাতি উপজেলার বাওইসোনা গ্রামের সিফাত ফকির (২২), লোহাগড়ার ইতনা গ্রামের মিন্টু গাজী (৩০) এবং গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর সরাইকান্দি গ্রামের মো. মনির শরীফ (২৪)।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার সবাই পেশাদার অপরাধী এবং মহাসড়কে সংঘবদ্ধ গাড়ি ছিনতাই চক্রের সদস্য।
ছিনতাই হওয়া গাড়িটি (পিকআপ) এনার্জি প্যাক নামে একটি প্রতিষ্ঠানের।
পিকআপ চালক সাগর মোল্লা (২৫) সাংবাদিকদের বলেন, গাড়ি নিয়ে গোপালগঞ্জ-কাশিয়ানী সড়কের গোপালপুর পৌঁছলে রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে পাঁচ ছিনতাইকারী তাদের থামায় এবং পিকআপ নিয়ে চলে যায়।
ছিনতাইকারীরা তাদের দুজনের কাছে থাকা সাড়ে ১১ হাজার টাকা এবং তিনটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
বিষয়টি তারা এনার্জি প্যাক কর্মকর্তাদের ফোনে জানান।
এনার্জি প্যাকের সিনিয়র অ্যাসিসটেন্ট সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার মো. সালাহ উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের কোম্পানি গাড়িটিতে করে স্থানীয় গ্রামীণফোন টাওয়ারে জ্বালানি তেল সরবরাহ করে।
“খবর পেয়ে আমরা গ্রামীণফোনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা জিপিএস ব্যবহার করে পিকআপের ইঞ্জিন অচল করে দেয় এবং পিকআপটি বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা এলাকায় আছে বলে শনাক্ত করে।
“সেই অনুযায়ী বাগেরহাট পুলিশকে বিষয়টি জানালে তারা তা উদ্ধার এবং ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করে,” বলেন এই প্রকৌশলী।
বাগেরহাট হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. আজিজুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ছিতাইকারীরা বুঝতে পারেনি যে দূর থেকে গাড়িটির ইঞ্জিন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারা যান্ত্রিক ক্রুটি হয়েছে মনে করে সারানোর জন্য পাঁচজনে ঠেলে গাড়িটে খুলনার দিকে নিয়ে যাচ্ছিল।
গাড়িটির মালিকপক্ষ জানিয়েছে, জিপিএস’র (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) সাহায্যে দূর নিয়ন্ত্রিত ভেহিকল ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহার করে ছিনতাই হওয়া গাড়িটির অবস্থান শনাক্ত এবং এটির ইঞ্জিন বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়।
শনিবার রাত রাত আড়াইটায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী-গোপালগঞ্জ লিংক রোড থেকে গাড়িটি ছিনতাই করে দুর্বৃত্তরা। ভোর ৪টার দিকে তা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন নড়াইলের সিংদিয়া বসুপাড়া গ্রামের মো. সাগর মোল্লা ওরফে লাড্ডু (২৬), শিংগা গ্রামের রমজান আলী মোল্লা (২০), নড়াগাতি উপজেলার বাওইসোনা গ্রামের সিফাত ফকির (২২), লোহাগড়ার ইতনা গ্রামের মিন্টু গাজী (৩০) এবং গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর সরাইকান্দি গ্রামের মো. মনির শরীফ (২৪)।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার সবাই পেশাদার অপরাধী এবং মহাসড়কে সংঘবদ্ধ গাড়ি ছিনতাই চক্রের সদস্য।
ছিনতাই হওয়া গাড়িটি (পিকআপ) এনার্জি প্যাক নামে একটি প্রতিষ্ঠানের।
পিকআপ চালক সাগর মোল্লা (২৫) সাংবাদিকদের বলেন, গাড়ি নিয়ে গোপালগঞ্জ-কাশিয়ানী সড়কের গোপালপুর পৌঁছলে রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে পাঁচ ছিনতাইকারী তাদের থামায় এবং পিকআপ নিয়ে চলে যায়।
ছিনতাইকারীরা তাদের দুজনের কাছে থাকা সাড়ে ১১ হাজার টাকা এবং তিনটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
বিষয়টি তারা এনার্জি প্যাক কর্মকর্তাদের ফোনে জানান।
এনার্জি প্যাকের সিনিয়র অ্যাসিসটেন্ট সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার মো. সালাহ উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের কোম্পানি গাড়িটিতে করে স্থানীয় গ্রামীণফোন টাওয়ারে জ্বালানি তেল সরবরাহ করে।
“খবর পেয়ে আমরা গ্রামীণফোনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা জিপিএস ব্যবহার করে পিকআপের ইঞ্জিন অচল করে দেয় এবং পিকআপটি বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা এলাকায় আছে বলে শনাক্ত করে।
“সেই অনুযায়ী বাগেরহাট পুলিশকে বিষয়টি জানালে তারা তা উদ্ধার এবং ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করে,” বলেন এই প্রকৌশলী।
বাগেরহাট হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. আজিজুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ছিতাইকারীরা বুঝতে পারেনি যে দূর থেকে গাড়িটির ইঞ্জিন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারা যান্ত্রিক ক্রুটি হয়েছে মনে করে সারানোর জন্য পাঁচজনে ঠেলে গাড়িটে খুলনার দিকে নিয়ে যাচ্ছিল।
কেট উইন্সলেটের মঞ্চ অভিষেক অনলাইন ডেস্ক
প্রথমবারের
মতো মঞ্চে অভিনয়ের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ‘টাইটানিক’খ্যাত ব্রিটিশ
অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। ব্রিটিশ নাট্যকার ও চিত্রনির্মাতা ডেভিড হেয়ারের
পরিচালনায় ‘স্কাইলাইট’ নাটকে অভিনয় করবেন তিনি। নাটকটিতে তাঁর সঙ্গে আরও
অভিনয় করবেন বর্ষীয়ান ব্রিটিশ অভিনেতা বিল নাইটি।
এ প্রসঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ডেইলি মেইল জানিয়েছে, ‘মঞ্চে অভিনয়ের জন্য মুখিয়ে আছেন কেট। স্কাইলাইট নাটকটির চিত্রনাট্য খুবই পছন্দ করেছেন তিনি। কেট আন্তরিকভাবেই চাইছেন নাটকটিতে অভিনয় করতে। বিষয়টি নিয়ে পরিচালক ডেভিড হেয়ারের সঙ্গে বেশ কয়েকবার আলোচনার টেবিলেও বসেছেন তিনি।’
অবশ্য নাটকটি লন্ডনের ওয়েস্ট এন্ডে, নাকি নিউইয়র্কের ব্রডওয়েতে মঞ্চস্থ হবে, তা এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি।
এ প্রসঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ডেইলি মেইল জানিয়েছে, ‘মঞ্চে অভিনয়ের জন্য মুখিয়ে আছেন কেট। স্কাইলাইট নাটকটির চিত্রনাট্য খুবই পছন্দ করেছেন তিনি। কেট আন্তরিকভাবেই চাইছেন নাটকটিতে অভিনয় করতে। বিষয়টি নিয়ে পরিচালক ডেভিড হেয়ারের সঙ্গে বেশ কয়েকবার আলোচনার টেবিলেও বসেছেন তিনি।’
অবশ্য নাটকটি লন্ডনের ওয়েস্ট এন্ডে, নাকি নিউইয়র্কের ব্রডওয়েতে মঞ্চস্থ হবে, তা এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি।
গুগলে তথ্য খোঁজার ক্ষেত্রে আসছে পরিবর্তন
জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের তথ্য খোঁজার (সার্চ) ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসছে।
খুব শিগগির অ্যালগরিদম অনুযায়ী কাজ করবে গুগল, যেখানে অতিরিক্ত সার্চ
ইঞ্জিন অপটিমাইজ (এসইও) করা পাতাগুলোর ক্রমন্বতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমে যাবে
এবং সেগুলো সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পৃষ্ঠা থেকে সরে যাবে।
ভালো তথ্য আছে, এমন সাইটগুলো যাতে শীর্ষে থাকে, সে জন্যই গুগলের এ উদ্যোগ বলে জানা গেছে। বর্তমানে ভালো তথ্যের অনেক ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনের শীর্ষে থাকছে না। আবার দেখা যাচ্ছে, তুলনামূলক কম তথ্যের ওয়েবসাইটগুলো এসইওর মাধ্যমে শীর্ষ স্থান দখল করে আছে। এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্যই গুগলের এমন উদ্যোগ।
এ বিষয়ে গুগলের ফেলো অমিত সিংগাল সম্প্রতি জানান, ‘আমরা ব্যবহারকারীদের দারুণ কিছু নতুন সেবা দিতেই এ ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছি।’ এর আগে ‘ডিয়ার গুগল অ্যান্ড বিং: হেল্প মি র্যাঙ্ক বেটার’ শীর্ষক এক সেমিনারেও গুগলের সার্চ ইঞ্জিন বিভাগের ম্যাট কাটস এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থানের কথা জানান। তিনি জানান, গুগলবটকে আরও উন্নত করার কাজ চলছে, যাতে করে তথ্য খোঁজার সুবিধাটি আরও সঠিক হবে। এর পাশাপাশি এসইও করার ক্ষেত্রে যাঁরা অযাচিত কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি। অতি মাত্রায় অযাচিত কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করা সাইটগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সঠিক ও ভালো তথ্যের ওয়েবসাইটকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এ বিষয়ে গুগলের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তাঁরা।—টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং সার্চ র্যাকিং অবলম্বনে কাজী আশফাক আলম
ভালো তথ্য আছে, এমন সাইটগুলো যাতে শীর্ষে থাকে, সে জন্যই গুগলের এ উদ্যোগ বলে জানা গেছে। বর্তমানে ভালো তথ্যের অনেক ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনের শীর্ষে থাকছে না। আবার দেখা যাচ্ছে, তুলনামূলক কম তথ্যের ওয়েবসাইটগুলো এসইওর মাধ্যমে শীর্ষ স্থান দখল করে আছে। এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্যই গুগলের এমন উদ্যোগ।
এ বিষয়ে গুগলের ফেলো অমিত সিংগাল সম্প্রতি জানান, ‘আমরা ব্যবহারকারীদের দারুণ কিছু নতুন সেবা দিতেই এ ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছি।’ এর আগে ‘ডিয়ার গুগল অ্যান্ড বিং: হেল্প মি র্যাঙ্ক বেটার’ শীর্ষক এক সেমিনারেও গুগলের সার্চ ইঞ্জিন বিভাগের ম্যাট কাটস এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থানের কথা জানান। তিনি জানান, গুগলবটকে আরও উন্নত করার কাজ চলছে, যাতে করে তথ্য খোঁজার সুবিধাটি আরও সঠিক হবে। এর পাশাপাশি এসইও করার ক্ষেত্রে যাঁরা অযাচিত কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি। অতি মাত্রায় অযাচিত কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করা সাইটগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সঠিক ও ভালো তথ্যের ওয়েবসাইটকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এ বিষয়ে গুগলের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তাঁরা।—টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং সার্চ র্যাকিং অবলম্বনে কাজী আশফাক আলম
1pinless.com রসকারণ লাজে রাঙা হই কেন? আব্দুল কাইয়ুম
মনে
করুন সেই দিনটির কথা, যখন সব জড়তা কাটিয়ে আপনি প্রেম নিবেদন করলেন।
ভালোবাসার মানুষটির লজ্জাবনত মুখ লাল হয়ে উঠল, আর আপনি ঘামতে শুরু করলেন।
আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লে চোখ-মুখ লাল হয়ে যায়। কারণ, বিব্রতকর অবস্থা সামাল
দিতে রক্ত সরবরাহ বেড়ে যায়। তখন মুখ ও শরীরের অন্যান্য অংশের রক্তবাহী ধমনি
প্রসারিত হয়। মুখমণ্ডলে তার ছাপ পড়ে। এ জন্য লাল দেখায়। একে ইংরেজিতে বলে
‘ব্লাশিং’, যাকে সাদা বাংলায় বলা হয় ‘লাজে রাঙা’ হওয়া। বাড়তি রক্তপ্রবাহের
কারণে শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ে। এই খবর চামড়ার স্নায়ুর মাধ্যমে
মস্তিষ্কে পৌঁছায়। এর প্রতিক্রিয়ায় যেমন চোখ-মুখ গরম হয়ে ওঠে, তেমনি ঘাম
দিয়ে জ্বর ছাড়ার মতো অবস্থা হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ আবেগ-অনুভূতি
নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল আয়ত্ত করে নেয়। তাই লাজে রাঙার ব্যাপারটা সাধারণত
তরুণ-তরুণীদের বেলায়ই দেখা যায়।
1pinless.com ফেসবুক সংস্করণ মীনা কার্টুন আসিফ ইয়ামিন
একদিন মীনা আর মিঠু রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ মীনা দেখল, কিছু ছেলেমেয়ে
একসঙ্গে সুর করে কী যেন বলছে! মীনা আর মিঠু চুপি চুপি ছেলেমেয়েগুলোর পেছনে
গিয়ে উঁকি দিল! মীনা দেখতে পেল, তাদের সামনে ল্যাপটপে ফেসবুকের হোমপেজ
খোলা। সেখান থেকে তারা সফদার আলী নামের এক ব্যক্তির স্ট্যাটাস সুর করে
পড়ছে! সফদার আলী সাহেব লিখেছেন—
আতা গাছে তোতা পাখি
নারকেল গাছে ডাব!
এত ডাকি তবু কথা
কও না কেন Love?
বেশ কয়েকবার তারা সুর করে এই স্ট্যাটাসটা পড়ল। তারপর তাদের মধ্যকার একটি ছেলে বলতে শুরু করল, ‘বন্ধুরা, এবার একটা গল্প শোনাই! অনেক দিন আগে ফেসবুকে কিছু পেজ ছিল। পেজগুলোতে অনেক লাইকার ছিল। লাইকার থাকলে কী হবে, তাদের পোস্টে কোনো লাইক ছিল না। একদিন হলো কি, পেজগুলোর অ্যাডমিনরা সবার হোমপেজে এসে ভিক্ষা করা শুরু করল—‘আমাকে লাইক দাও। আমাকে লাইক দাও। ভালো লাগলে লাইক মাস্ট।’
গল্পকথক ছেলেটা গল্প থামিয়ে তার বন্ধুদের প্রশ্ন করল, ‘বলো তো, অ্যাডমিনরা কী বলে ভিক্ষা করছিল?’
পেছন থেকে মিঠু চেঁচিয়ে উত্তর দিয়ে দিল, ‘আমাকে লাইক দাও। ভালো লাগলে লাইক মাস্ট।’
মিঠুর কথা শুনে সবাই হো হো করে হেসে ফেলল। আর তখনই মীনা দৌড়ে পালাল। মিঠুও উড়াল দিল!
মীনা বাড়িতে এসে দেখল, গ্রামের মাতবর চাচা মীনার বাবাকে বলছেন, ‘কাল রাইতে চোরডা আমার পোলার কাছ থেকে ফ্লেক্সিলোড নিয়া নিছে। ফেসবুকে মাইয়া সাইজা আমার পোলারে পটাইছে। আচ্ছা, আমি এহন যাই। তুমি ফেসবুকে চোখকান খোলা রাখবা। চোরডারে ধরতে হইব!’
এ কথা বলে চাচা চলে গেলেন।
তখনই রাজু ফেসবুকিং শেষ করে ঘর থেকে বের হলো! বাবা রাজুকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘রাজু, ফেসবুকে কী শিখলা, বাবা?’
রাজু উচ্ছ্বসিত হয়ে বলল, ‘অনেক কিছু! আমি এহন ফেসবুকে স্ট্যাটাস লেখতে পারি।’
ছেলের সাফল্যে গর্বিত বাবা বললেন, ‘খুব ভালা কথা। তুমি কিন্তু মন দিয়ে ফেসবুকিং করবা।’
এদিকে মীনা মন খারাপ করে বলল, ‘বাবা, আমিও ফেসবুকে যাইতে চাই।’
রাজুও সমর্থন জানাল, ‘আমার লগে যাইতে পারে। আমি যামু ক্রোম দিয়া, আর মীনা যাইব ফায়ারফক্স দিয়া।’
কিন্তু বাবা শোনালেন নিরাশার বাণী, ‘না, মীনা, তুমি থাকবা তোমার মায়ের লগে।’
মীনার কণ্ঠে আকুতি, ‘কিন্তু, বাবা, আমি ফেসবুকিং শিখতে চাই!’
বাবা বললেন, ‘মাইয়াগো ফেসবুকে যাওনের দরকার নাই।’
মীনার মা বললেন, ‘তুমি শিখবা ঘরবাড়ির কাম।’
মীনা আবারও বলল, ‘কিন্তু, মা, আমারও ফেসবুকে স্ট্যাটাস থাকা উচিত।’
মা বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘ক্যান, মীনা? কী দরকার এসবের? অহন একটু টিভিতে স্টার প্লাস ছাইড়া দাও তো। সিরিয়াল শুরু হইয়া গেল!’
পরদিন সকালে রাজু ফেসবুকিং করতে বসল। হঠাৎ মীনার মাথায় একটা বুদ্ধি এল। মীনা মিঠুকে বলল, ‘আচ্ছা, মিঠু, তুমি গতকাইলের ওই জায়গায় যাও! ওই পোলা-মাইয়ারা ফেসবুক নিয়া কী কী কথা কয়, জাইনা আহো। তহন তুমি আমারে শিখাইতে পারবা! লক্ষ্মী মিঠু, যাও।’
মিঠু উড়তে উড়তে সেই ছেলেমেয়েগুলোর কাছে গেল। ছেলেটি সবাইকে বলছিল, আজ আমরা শিখব কীভাবে ফেসবুকের ফেক আইডি শনাক্ত করা যায়।
১. ফেক আইডিগুলো মেয়েরূপী হয়।
২. এদের প্রোফাইল পিকচারগুলোর একটার সঙ্গে অন্যটার কোনো মিল থাকে না!
৩. এদের ফ্রেন্ডলিস্ট পরিপূর্ণ!
৪. এরা স্ট্যাটাস দেয়—আমার খুবই মন খারাপ। কেউ আমার মন ভালো করতে পারবে?
তখনই গাধারা সেই ফেক আইডির ইনবক্সে তেলের বন্যা বানায় ফেলে!
৫. এদের প্রোফাইলে লেখা থাকে, আই অ্যাম সো সুইট, নাইস, কিউট, সিম্পল, ফ্রেন্ডলি garl। (girl বানানটা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভুল থাকে!)
৬. ...
৭. ...
৮. ...
মিঠু খুব মনোযোগ দিয়ে শুনল! তারপর মীনার কাছে গিয়ে এগুলো বলল! মীনা পয়েন্টগুলো মুখস্থ করে নিল।
দুপুরবেলায় রাজু হঠাৎ ফেসবুকিং ছেড়ে বাইরে দৌড় দিল। এই সুযোগে ঘরে গিয়ে মীনা তখন পিসির স্ক্রিনে চোখ রাখল। হ্যাঁ, লগইন করাই আছে! প্রথমেই সে রাজুর প্রোফাইলে গেল! রাজুর আইডি নেম দেখে তো মীনা অবাক! স্ক্রিনে বড় বড় অক্ষরে লেখা, ‘রোমিও রাজু!’ রাজু আবার স্ট্যাটাস দিয়েছে, ‘who wanna be my ছাম্মাক ছাল্লো??!!’
চ্যাট হিস্টরি দেখে মীনার চক্ষু চড়কগাছ! অ্যাঞ্জেলিনা জোলি—‘hey handsome, ki koro?’
রোমিও রাজু—‘wow!! thanku!! tomar msg peye khub valo asi! tumi kmon aso?’
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি—‘jano, ami valo nai.. amar mobile e balance nai.’
রোমিও রাজু—‘ami thakte how is this possible on planet earth? tomar mob num daOOO!!’
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি—‘eto sweetly bolla! okay, 017********’
রোমিও রাজু—‘plz wait!’
এরপর আর কিছু নেই। তার মানে, রাজু এই মেয়েকেই ফ্লেক্সিলোড দিতে বাইরে গেছে! মীনার মনে একটা সন্দেহ জাগল। এটা ফেক আইডি না তো? মীনা অ্যাঞ্জেলিনা জোলির প্রোফাইলে গেল। অনুসন্ধান শুরু করল মীনা! হ্যাঁ, যা ভেবেছিল!
এর প্রোফাইল পিকচারগুলো একটার সঙ্গে অন্যটার মিল নেই! এর ফ্রেন্ডলিস্ট পরিপূর্ণ! এ স্ট্যাটাস দিয়েছে—‘I am so lonely broken angel...’সেখানে আবার রাজুর তৈলাক্ত কমেন্ট! এর প্রোফাইলে লেখা—‘আই অ্যাম সো সুইট, নাইস, কিউট, সিম্পল, ফ্রেন্ডলি garl!’
মীনার আর বুঝতে বাকি রইল না যে এটা ফেক আইডি! মীনা তার উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির ই-মেইল ঠিকানা লিখে রাখল এবং তখনই ফেক আইডি প্রতিরোধক পুলিশের কাছে ফোন করল।
‘হ্যালো, পুলিশ আংকেল?’
‘পুলিশ ইন্সপেক্টর ওমুক তমুক বলছি! কী করতে পারি?’
‘আমি একটা ফেক ফেসবুক আইডি ধরেছি। অ্যাঞ্জেলিনা জোলির ই-মেইল ঠিকানা : flexi_seeker@yahoo.com’
‘সত্যি! আমরা একেই এত দিন ধরে খুঁজছিলাম! বারবার আইডি ডিঅ্যাকটিভেট আর পরিবর্তন করে শয়তানটা পার পেয়ে যাচ্ছিল। এবার আর কেউ কালপ্রিটটাকে আমার হাত থেকে বাঁচাতে পারবে না। প্রমোশন আমার হবেই!’
........
‘অ্যাঞ্জেলিনা জোলি’ নামধারী দুষ্টু ছেলে দিপুকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। সব শুনে মাদবর চাচা বললেন, ‘আরেহহহ! এইডাই তো সেই চোর! “অ্যাঞ্জেলিনা জোলি” নামেই আমার পোলাকে মেসেজ পাঠাইছিল! মীনা, তোমার লাইগা চোরডারে ধরতে পারলাম! তুমি এই চোরডারে চিনলা কেমনে?’
মীনা হেসে বলল, ‘আমি একটু ফেসবুকিং করছিলাম।’
মীনার বাবা বললেন, ‘তুমি কি করছিলা কইলা?’ মীনার হাসি হাসি উত্তর, ‘আমি ফেক আইডি শনাক্তকরণের লাইগা অনুসন্ধান করছিলাম।’
চাচা তখন মীনার বাবাকে বললেন, ‘বাহ! তুমি মিয়া তোমার মাইয়ারে ফেসবুকে দিয়া খুবই বুদ্ধিমানের কাজ করছ।’
মীনার বাবা আমতা আমতা শুরু করলেন, ‘ইয়ে মানে, ইয়ে ইয়ে...।’
বুড়ি মহিলা বললেন, ‘হ, মাইয়াগো ফেসবুকিং করানো খুবই ভালা! আমার মাইয়া রত্নার একটা পেজ আছে! কত্তো লাইক পায়!’
অন্য একজন বলল, ‘আমার মাইয়াডা ফেসবুকিং করছে। হে এহন নোট লিখবার পারে।’
চাচা আবার বললেন, ‘হুম, সব মাইয়াগো ফেসবুকে যাওন উচিত।’
মীনার বাবা তাঁর ভুল বুঝতে পেরে মীনাকে বললেন, ‘মীনা, কাল থেইকা তুমি ফেসবুকে যাইবা।’
মীনা আনন্দে ফেটে পড়ল, ‘হাচা কইছ, বাবা?’
বাবা ভরসা দিয়ে বললেন, ‘হাচা কইছি, মা!’
পরদিন থেকে মীনা মনের সুখে ফেসবুকিং শুরু করল।
আতা গাছে তোতা পাখি
নারকেল গাছে ডাব!
এত ডাকি তবু কথা
কও না কেন Love?
বেশ কয়েকবার তারা সুর করে এই স্ট্যাটাসটা পড়ল। তারপর তাদের মধ্যকার একটি ছেলে বলতে শুরু করল, ‘বন্ধুরা, এবার একটা গল্প শোনাই! অনেক দিন আগে ফেসবুকে কিছু পেজ ছিল। পেজগুলোতে অনেক লাইকার ছিল। লাইকার থাকলে কী হবে, তাদের পোস্টে কোনো লাইক ছিল না। একদিন হলো কি, পেজগুলোর অ্যাডমিনরা সবার হোমপেজে এসে ভিক্ষা করা শুরু করল—‘আমাকে লাইক দাও। আমাকে লাইক দাও। ভালো লাগলে লাইক মাস্ট।’
গল্পকথক ছেলেটা গল্প থামিয়ে তার বন্ধুদের প্রশ্ন করল, ‘বলো তো, অ্যাডমিনরা কী বলে ভিক্ষা করছিল?’
পেছন থেকে মিঠু চেঁচিয়ে উত্তর দিয়ে দিল, ‘আমাকে লাইক দাও। ভালো লাগলে লাইক মাস্ট।’
মিঠুর কথা শুনে সবাই হো হো করে হেসে ফেলল। আর তখনই মীনা দৌড়ে পালাল। মিঠুও উড়াল দিল!
মীনা বাড়িতে এসে দেখল, গ্রামের মাতবর চাচা মীনার বাবাকে বলছেন, ‘কাল রাইতে চোরডা আমার পোলার কাছ থেকে ফ্লেক্সিলোড নিয়া নিছে। ফেসবুকে মাইয়া সাইজা আমার পোলারে পটাইছে। আচ্ছা, আমি এহন যাই। তুমি ফেসবুকে চোখকান খোলা রাখবা। চোরডারে ধরতে হইব!’
এ কথা বলে চাচা চলে গেলেন।
তখনই রাজু ফেসবুকিং শেষ করে ঘর থেকে বের হলো! বাবা রাজুকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘রাজু, ফেসবুকে কী শিখলা, বাবা?’
রাজু উচ্ছ্বসিত হয়ে বলল, ‘অনেক কিছু! আমি এহন ফেসবুকে স্ট্যাটাস লেখতে পারি।’
ছেলের সাফল্যে গর্বিত বাবা বললেন, ‘খুব ভালা কথা। তুমি কিন্তু মন দিয়ে ফেসবুকিং করবা।’
এদিকে মীনা মন খারাপ করে বলল, ‘বাবা, আমিও ফেসবুকে যাইতে চাই।’
রাজুও সমর্থন জানাল, ‘আমার লগে যাইতে পারে। আমি যামু ক্রোম দিয়া, আর মীনা যাইব ফায়ারফক্স দিয়া।’
কিন্তু বাবা শোনালেন নিরাশার বাণী, ‘না, মীনা, তুমি থাকবা তোমার মায়ের লগে।’
মীনার কণ্ঠে আকুতি, ‘কিন্তু, বাবা, আমি ফেসবুকিং শিখতে চাই!’
বাবা বললেন, ‘মাইয়াগো ফেসবুকে যাওনের দরকার নাই।’
মীনার মা বললেন, ‘তুমি শিখবা ঘরবাড়ির কাম।’
মীনা আবারও বলল, ‘কিন্তু, মা, আমারও ফেসবুকে স্ট্যাটাস থাকা উচিত।’
মা বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘ক্যান, মীনা? কী দরকার এসবের? অহন একটু টিভিতে স্টার প্লাস ছাইড়া দাও তো। সিরিয়াল শুরু হইয়া গেল!’
পরদিন সকালে রাজু ফেসবুকিং করতে বসল। হঠাৎ মীনার মাথায় একটা বুদ্ধি এল। মীনা মিঠুকে বলল, ‘আচ্ছা, মিঠু, তুমি গতকাইলের ওই জায়গায় যাও! ওই পোলা-মাইয়ারা ফেসবুক নিয়া কী কী কথা কয়, জাইনা আহো। তহন তুমি আমারে শিখাইতে পারবা! লক্ষ্মী মিঠু, যাও।’
মিঠু উড়তে উড়তে সেই ছেলেমেয়েগুলোর কাছে গেল। ছেলেটি সবাইকে বলছিল, আজ আমরা শিখব কীভাবে ফেসবুকের ফেক আইডি শনাক্ত করা যায়।
১. ফেক আইডিগুলো মেয়েরূপী হয়।
২. এদের প্রোফাইল পিকচারগুলোর একটার সঙ্গে অন্যটার কোনো মিল থাকে না!
৩. এদের ফ্রেন্ডলিস্ট পরিপূর্ণ!
৪. এরা স্ট্যাটাস দেয়—আমার খুবই মন খারাপ। কেউ আমার মন ভালো করতে পারবে?
তখনই গাধারা সেই ফেক আইডির ইনবক্সে তেলের বন্যা বানায় ফেলে!
৫. এদের প্রোফাইলে লেখা থাকে, আই অ্যাম সো সুইট, নাইস, কিউট, সিম্পল, ফ্রেন্ডলি garl। (girl বানানটা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভুল থাকে!)
৬. ...
৭. ...
৮. ...
মিঠু খুব মনোযোগ দিয়ে শুনল! তারপর মীনার কাছে গিয়ে এগুলো বলল! মীনা পয়েন্টগুলো মুখস্থ করে নিল।
দুপুরবেলায় রাজু হঠাৎ ফেসবুকিং ছেড়ে বাইরে দৌড় দিল। এই সুযোগে ঘরে গিয়ে মীনা তখন পিসির স্ক্রিনে চোখ রাখল। হ্যাঁ, লগইন করাই আছে! প্রথমেই সে রাজুর প্রোফাইলে গেল! রাজুর আইডি নেম দেখে তো মীনা অবাক! স্ক্রিনে বড় বড় অক্ষরে লেখা, ‘রোমিও রাজু!’ রাজু আবার স্ট্যাটাস দিয়েছে, ‘who wanna be my ছাম্মাক ছাল্লো??!!’
চ্যাট হিস্টরি দেখে মীনার চক্ষু চড়কগাছ! অ্যাঞ্জেলিনা জোলি—‘hey handsome, ki koro?’
রোমিও রাজু—‘wow!! thanku!! tomar msg peye khub valo asi! tumi kmon aso?’
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি—‘jano, ami valo nai.. amar mobile e balance nai.’
রোমিও রাজু—‘ami thakte how is this possible on planet earth? tomar mob num daOOO!!’
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি—‘eto sweetly bolla! okay, 017********’
রোমিও রাজু—‘plz wait!’
এরপর আর কিছু নেই। তার মানে, রাজু এই মেয়েকেই ফ্লেক্সিলোড দিতে বাইরে গেছে! মীনার মনে একটা সন্দেহ জাগল। এটা ফেক আইডি না তো? মীনা অ্যাঞ্জেলিনা জোলির প্রোফাইলে গেল। অনুসন্ধান শুরু করল মীনা! হ্যাঁ, যা ভেবেছিল!
এর প্রোফাইল পিকচারগুলো একটার সঙ্গে অন্যটার মিল নেই! এর ফ্রেন্ডলিস্ট পরিপূর্ণ! এ স্ট্যাটাস দিয়েছে—‘I am so lonely broken angel...’সেখানে আবার রাজুর তৈলাক্ত কমেন্ট! এর প্রোফাইলে লেখা—‘আই অ্যাম সো সুইট, নাইস, কিউট, সিম্পল, ফ্রেন্ডলি garl!’
মীনার আর বুঝতে বাকি রইল না যে এটা ফেক আইডি! মীনা তার উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির ই-মেইল ঠিকানা লিখে রাখল এবং তখনই ফেক আইডি প্রতিরোধক পুলিশের কাছে ফোন করল।
‘হ্যালো, পুলিশ আংকেল?’
‘পুলিশ ইন্সপেক্টর ওমুক তমুক বলছি! কী করতে পারি?’
‘আমি একটা ফেক ফেসবুক আইডি ধরেছি। অ্যাঞ্জেলিনা জোলির ই-মেইল ঠিকানা : flexi_seeker@yahoo.com’
‘সত্যি! আমরা একেই এত দিন ধরে খুঁজছিলাম! বারবার আইডি ডিঅ্যাকটিভেট আর পরিবর্তন করে শয়তানটা পার পেয়ে যাচ্ছিল। এবার আর কেউ কালপ্রিটটাকে আমার হাত থেকে বাঁচাতে পারবে না। প্রমোশন আমার হবেই!’
........
‘অ্যাঞ্জেলিনা জোলি’ নামধারী দুষ্টু ছেলে দিপুকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। সব শুনে মাদবর চাচা বললেন, ‘আরেহহহ! এইডাই তো সেই চোর! “অ্যাঞ্জেলিনা জোলি” নামেই আমার পোলাকে মেসেজ পাঠাইছিল! মীনা, তোমার লাইগা চোরডারে ধরতে পারলাম! তুমি এই চোরডারে চিনলা কেমনে?’
মীনা হেসে বলল, ‘আমি একটু ফেসবুকিং করছিলাম।’
মীনার বাবা বললেন, ‘তুমি কি করছিলা কইলা?’ মীনার হাসি হাসি উত্তর, ‘আমি ফেক আইডি শনাক্তকরণের লাইগা অনুসন্ধান করছিলাম।’
চাচা তখন মীনার বাবাকে বললেন, ‘বাহ! তুমি মিয়া তোমার মাইয়ারে ফেসবুকে দিয়া খুবই বুদ্ধিমানের কাজ করছ।’
মীনার বাবা আমতা আমতা শুরু করলেন, ‘ইয়ে মানে, ইয়ে ইয়ে...।’
বুড়ি মহিলা বললেন, ‘হ, মাইয়াগো ফেসবুকিং করানো খুবই ভালা! আমার মাইয়া রত্নার একটা পেজ আছে! কত্তো লাইক পায়!’
অন্য একজন বলল, ‘আমার মাইয়াডা ফেসবুকিং করছে। হে এহন নোট লিখবার পারে।’
চাচা আবার বললেন, ‘হুম, সব মাইয়াগো ফেসবুকে যাওন উচিত।’
মীনার বাবা তাঁর ভুল বুঝতে পেরে মীনাকে বললেন, ‘মীনা, কাল থেইকা তুমি ফেসবুকে যাইবা।’
মীনা আনন্দে ফেটে পড়ল, ‘হাচা কইছ, বাবা?’
বাবা ভরসা দিয়ে বললেন, ‘হাচা কইছি, মা!’
পরদিন থেকে মীনা মনের সুখে ফেসবুকিং শুরু করল।
1pinless.com মাঝারি ভূমিকম্পও ঢাকায় বিপর্যয় ঘটাতে পারে মেহেদী আহম্মদ আনসারী
রাজধানীর আশপাশের এলাকায় গত চার মাসের মধ্যে দুই দফা মাঝারি মাত্রার
ভূমিকম্প হয়ে গেল। এতে করে মনে হচ্ছে, এ এলাকার ভূ-অভ্যন্তরে ফাটল থাকতে
পারে। তবে এই ফাটল থেকে তীব্র মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কা কম। হালকা থেকে
মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টি হতে পারে।
অবশ্য মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পও ঢাকায় বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। কারণ, রাজধানীর ৪৭ শতাংশ আবাসন এলাকা জলাভূমি ভরাট করে ও নরম মাটির ওপর গড়ে উঠেছে।
ঢাকার আশপাশে এর আগে মাঝারি থেকে বড় মাত্রার ভূমিকম্প সংঘটিত হয়নি। এত দিন আমাদের ধারণা ছিল, ঢাকার আশপাশে ভূমিকম্পের কোনো উৎসস্থল নেই। গতকাল ও সাম্প্রতিক ভূমিকম্পগুলোর ধরন ও উৎসস্থল দেখে মনে হচ্ছে, ঢাকার অদূরেও ভূমিকম্পের আরও উৎসস্থল থাকতে পারে। ফলে সে অনুযায়ী আমাদের ভবন ও অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে আরও সাবধানী হতে হবে।
রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সাভার ও গাজীপুরের অপরিকল্পিত নগরায়ন আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। কিন্তু মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প প্রতিরোধের মতো ব্যবস্থা ভবনগুলোতে নেই। অন্যদিকে এই নগরগুলোর প্রায় অর্ধেক ভূমি বেশ নরম। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে জলাভূমি ভরাট করে আবাসন প্রকল্প নির্মাণ। এই এলাকাগুলো ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।
সরকার একটি ইমারত নির্মাণ বিধিমালা করেছে। তার বেশ কিছু দিক রাজউকের মাধ্যমে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। কিন্তু ভূমিকম্প প্রতিরোধের বিষয়টি এখনো উপেক্ষিত। আমাদের বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ভবনগুলোকে ভূমিকম্প প্রতিরোধক হিসেবে নির্মাণ করতে যে ধরনের ব্যবস্থা থাকা দরকার। বেশির ভাগ ভবনেই তা নেই। ফলে মাঝারি মাত্রার একটি ভূমিকম্পে ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। প্রায় দুই কোটি নগরবাসীর কেউই ভূমিকম্পের ঝুঁকির বাইরে নয়। ফলে সামগ্রিকভাবে নগরগুলোতে ভূমিকম্প প্রতিরোধক ভবন নির্মাণ বাধ্যতামূলক করা উচিত। নয়তো যেকোনো সময় মহা বিপর্যয় নেমে আসবে।
যেসব ভবন ইতিমধ্যে ভূমিকম্প প্রতিরোধব্যবস্থা ছাড়াই গড়ে উঠেছে, তাদের জন্য পুনরায় ভূমিকম্প সহনীয় (কেট্রোফিটিং) হিসেবে গড়ে তোলার প্রযুক্তিও রয়েছে। তবে এটি বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। নতুন ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ভূমিকম্প প্রতিরোধক ব্যবস্থা নেওয়ার খরচ খুব বেশি নয়। এ ক্ষেত্রে ভবন নির্মাণকারীর সদিচ্ছা ও সচেতনতাই যথেষ্ট। রাজউকেরও এ ব্যাপারে দায়িত্ব রয়েছে।
রাজউকের উচিত, নিরাপদ নগর নিশ্চিত করতে প্রতিটি ভবন নির্মাণের সময় ও নির্মাণের পরে ভূমিকম্প সহনশীলতার বিষয়টি নিশ্চিত করা। সরকারি এই সংস্থাটি চাইলে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে ভবন নির্মাণ নজরদারির বিষয়টি দেখভাল করতে পারে।
আমরা আমাদের বিভিন্ন গবেষণায় আরও দেখেছি, ভবন নির্মাতারা নিম্নমানের রড, সিমেন্ট দিয়ে থাকে। এতে সঠিক কাঠামো অনুসরণ করে ভবন ঠিকই নির্মিত হয়। কিন্তু ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েই যায়। অন্যদিকে ভবনের ভিত্তি নির্মাণ সঠিকভাবে হচ্ছে কি না এবং ভিত্তির নিচের মাটি ভূমিকম্প-সহনীয় হয়েছে কি না, তা-ও নিশ্চিত করতে হবে।
রাজধানীর সাম্প্রতিক ভবন নির্মাণের ধরন পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ভবনের নিচতলায় গাড়ি রাখার স্থান হিসেবে ফাঁকা রাখা হয়েছে। এটি একটি ইতিবাচক দিক হলেও এ ক্ষেত্রে গলদ দেখা গেছে। ওপরের তলার তুলনায় নিচতলার অংশের ভবনের স্তম্ভ (কলাম) আরও শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ নির্মাতা এটি অনুসরণ করেন না। অনেক ক্ষেত্রে বিম ছাড়া (ফ্ল্যাট প্লেট) ভবন নির্মিত হচ্ছে। এ ধরনের ভবনও ঝুঁকিপূর্ণ।
বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নগরেই ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে। কিন্তু কোন নগরে ভূমিকম্পের কারণে কী পরিমাণ ক্ষতি হবে, তা নির্ভর করে প্রস্তুতির ওপর। যেমন ২০১০ সালে চিলিতে ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এতে মাত্র ৫০০ জন মারা যায়। খুব কম ভবনই ভেঙে পড়ে। এটা সম্ভব হয়েছিল চিলি সরকারের ভূমিকম্প প্রতিরোধে নেওয়া পূর্বপ্রস্তুতি ও আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে। অন্যদিকে একই সময়ে সংঘটিত হাইতিতে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে দুই লাখ ২০ হাজার মানুষ মারা যায়। সে দেশের রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সের ৬০ শতাংশ ভবন ভেঙে পড়ে। এমনকি হাইতির প্রেসিডেন্টের বাসভবনও ভেঙে পড়ে।
মেহেদী আহম্মদ আনসারী: অধ্যাপক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বাংলাদেশ ভূমিকম্প সমিতি
অবশ্য মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পও ঢাকায় বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। কারণ, রাজধানীর ৪৭ শতাংশ আবাসন এলাকা জলাভূমি ভরাট করে ও নরম মাটির ওপর গড়ে উঠেছে।
ঢাকার আশপাশে এর আগে মাঝারি থেকে বড় মাত্রার ভূমিকম্প সংঘটিত হয়নি। এত দিন আমাদের ধারণা ছিল, ঢাকার আশপাশে ভূমিকম্পের কোনো উৎসস্থল নেই। গতকাল ও সাম্প্রতিক ভূমিকম্পগুলোর ধরন ও উৎসস্থল দেখে মনে হচ্ছে, ঢাকার অদূরেও ভূমিকম্পের আরও উৎসস্থল থাকতে পারে। ফলে সে অনুযায়ী আমাদের ভবন ও অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে আরও সাবধানী হতে হবে।
রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সাভার ও গাজীপুরের অপরিকল্পিত নগরায়ন আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। কিন্তু মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প প্রতিরোধের মতো ব্যবস্থা ভবনগুলোতে নেই। অন্যদিকে এই নগরগুলোর প্রায় অর্ধেক ভূমি বেশ নরম। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে জলাভূমি ভরাট করে আবাসন প্রকল্প নির্মাণ। এই এলাকাগুলো ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।
সরকার একটি ইমারত নির্মাণ বিধিমালা করেছে। তার বেশ কিছু দিক রাজউকের মাধ্যমে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। কিন্তু ভূমিকম্প প্রতিরোধের বিষয়টি এখনো উপেক্ষিত। আমাদের বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ভবনগুলোকে ভূমিকম্প প্রতিরোধক হিসেবে নির্মাণ করতে যে ধরনের ব্যবস্থা থাকা দরকার। বেশির ভাগ ভবনেই তা নেই। ফলে মাঝারি মাত্রার একটি ভূমিকম্পে ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। প্রায় দুই কোটি নগরবাসীর কেউই ভূমিকম্পের ঝুঁকির বাইরে নয়। ফলে সামগ্রিকভাবে নগরগুলোতে ভূমিকম্প প্রতিরোধক ভবন নির্মাণ বাধ্যতামূলক করা উচিত। নয়তো যেকোনো সময় মহা বিপর্যয় নেমে আসবে।
যেসব ভবন ইতিমধ্যে ভূমিকম্প প্রতিরোধব্যবস্থা ছাড়াই গড়ে উঠেছে, তাদের জন্য পুনরায় ভূমিকম্প সহনীয় (কেট্রোফিটিং) হিসেবে গড়ে তোলার প্রযুক্তিও রয়েছে। তবে এটি বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। নতুন ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ভূমিকম্প প্রতিরোধক ব্যবস্থা নেওয়ার খরচ খুব বেশি নয়। এ ক্ষেত্রে ভবন নির্মাণকারীর সদিচ্ছা ও সচেতনতাই যথেষ্ট। রাজউকেরও এ ব্যাপারে দায়িত্ব রয়েছে।
রাজউকের উচিত, নিরাপদ নগর নিশ্চিত করতে প্রতিটি ভবন নির্মাণের সময় ও নির্মাণের পরে ভূমিকম্প সহনশীলতার বিষয়টি নিশ্চিত করা। সরকারি এই সংস্থাটি চাইলে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে ভবন নির্মাণ নজরদারির বিষয়টি দেখভাল করতে পারে।
আমরা আমাদের বিভিন্ন গবেষণায় আরও দেখেছি, ভবন নির্মাতারা নিম্নমানের রড, সিমেন্ট দিয়ে থাকে। এতে সঠিক কাঠামো অনুসরণ করে ভবন ঠিকই নির্মিত হয়। কিন্তু ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েই যায়। অন্যদিকে ভবনের ভিত্তি নির্মাণ সঠিকভাবে হচ্ছে কি না এবং ভিত্তির নিচের মাটি ভূমিকম্প-সহনীয় হয়েছে কি না, তা-ও নিশ্চিত করতে হবে।
রাজধানীর সাম্প্রতিক ভবন নির্মাণের ধরন পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ভবনের নিচতলায় গাড়ি রাখার স্থান হিসেবে ফাঁকা রাখা হয়েছে। এটি একটি ইতিবাচক দিক হলেও এ ক্ষেত্রে গলদ দেখা গেছে। ওপরের তলার তুলনায় নিচতলার অংশের ভবনের স্তম্ভ (কলাম) আরও শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ নির্মাতা এটি অনুসরণ করেন না। অনেক ক্ষেত্রে বিম ছাড়া (ফ্ল্যাট প্লেট) ভবন নির্মিত হচ্ছে। এ ধরনের ভবনও ঝুঁকিপূর্ণ।
বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নগরেই ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে। কিন্তু কোন নগরে ভূমিকম্পের কারণে কী পরিমাণ ক্ষতি হবে, তা নির্ভর করে প্রস্তুতির ওপর। যেমন ২০১০ সালে চিলিতে ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এতে মাত্র ৫০০ জন মারা যায়। খুব কম ভবনই ভেঙে পড়ে। এটা সম্ভব হয়েছিল চিলি সরকারের ভূমিকম্প প্রতিরোধে নেওয়া পূর্বপ্রস্তুতি ও আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে। অন্যদিকে একই সময়ে সংঘটিত হাইতিতে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে দুই লাখ ২০ হাজার মানুষ মারা যায়। সে দেশের রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সের ৬০ শতাংশ ভবন ভেঙে পড়ে। এমনকি হাইতির প্রেসিডেন্টের বাসভবনও ভেঙে পড়ে।
মেহেদী আহম্মদ আনসারী: অধ্যাপক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বাংলাদেশ ভূমিকম্প সমিতি
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ঢাকায়
গতকাল রোববার সকালে সৃষ্ট ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার দোহার উপজেলায়।
সকাল আটটা ৫৬ মিনিট ১০ সেকেন্ডে সৃষ্ট এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার
স্কেলে ৪ দশমিক ৬।
আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ১৬২ বছরের মধ্যে এই প্রথম ঢাকার এত কাছের একটি উৎপত্তিস্থল (এপিসেন্টার) থেকে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পের সৃষ্টি হলো। ১৮৫০ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলে সংঘটিত ভূমিকম্পের যে তথ্যাদি রয়েছে, তাতে ঢাকার এত কাছে আর কোনো ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল না। গত বছরের ২ নভেম্বর রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল চাঁদপুরের মতলবে।
গতকাল সকালে সৃষ্ট মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প রাজধানীসহ দেশের অনেক এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। অনেক এলাকায় মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। অনেকে আজান দিতে শুরু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও লাইব্রেরি চত্বরে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন। সাভার এলাকায় একটি ভবন হেলে পড়ে। রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, বাসাবো, বারিধারা ও পুরান ঢাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুরেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের (ইউএসজিএস) পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ভূগর্ভের ১৫ দশমিক ৭ কিলোমিটার গভীরে গতকালের ভূকম্পনটির উৎপত্তি হয়। ঢাকা থেকে ২৪ কিলোমিটার, টঙ্গী থেকে ৩৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ও কুমিল্লা থেকে ১০৬ কিলোমিটার পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমে উৎপত্তিস্থল হওয়ায় দেশের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের অনেক জেলাতেই কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভূতত্ত্ববিদদের মতে, দেশের চারটি এলাকার ভূ-অভ্যন্তরে বড় ধরনের ফাটল বা চ্যুতি রয়েছে। এগুলো হচ্ছে: টাঙ্গাইলের মধুপুর, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, সিলেটের শ্রীমঙ্গল এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত। এই ফাটলগুলো থেকে অতীতে বিভিন্ন সময় ৬ থেকে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পও সৃষ্টি হয়েছে। তবে দীর্ঘকাল ধরে ওই ফাটলগুলো নিষ্ক্রিয়। এগুলো থেকে এখন আর বড় ধরনের ভূমিকম্প সৃষ্টির আশঙ্কা নেই বললেই চলে।
আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ১৬২ বছরের মধ্যে এই প্রথম ঢাকার এত কাছের একটি উৎপত্তিস্থল (এপিসেন্টার) থেকে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পের সৃষ্টি হলো। ১৮৫০ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলে সংঘটিত ভূমিকম্পের যে তথ্যাদি রয়েছে, তাতে ঢাকার এত কাছে আর কোনো ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল না। গত বছরের ২ নভেম্বর রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল চাঁদপুরের মতলবে।
গতকাল সকালে সৃষ্ট মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প রাজধানীসহ দেশের অনেক এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। অনেক এলাকায় মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। অনেকে আজান দিতে শুরু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও লাইব্রেরি চত্বরে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন। সাভার এলাকায় একটি ভবন হেলে পড়ে। রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, বাসাবো, বারিধারা ও পুরান ঢাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুরেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের (ইউএসজিএস) পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ভূগর্ভের ১৫ দশমিক ৭ কিলোমিটার গভীরে গতকালের ভূকম্পনটির উৎপত্তি হয়। ঢাকা থেকে ২৪ কিলোমিটার, টঙ্গী থেকে ৩৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ও কুমিল্লা থেকে ১০৬ কিলোমিটার পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমে উৎপত্তিস্থল হওয়ায় দেশের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের অনেক জেলাতেই কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভূতত্ত্ববিদদের মতে, দেশের চারটি এলাকার ভূ-অভ্যন্তরে বড় ধরনের ফাটল বা চ্যুতি রয়েছে। এগুলো হচ্ছে: টাঙ্গাইলের মধুপুর, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, সিলেটের শ্রীমঙ্গল এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত। এই ফাটলগুলো থেকে অতীতে বিভিন্ন সময় ৬ থেকে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পও সৃষ্টি হয়েছে। তবে দীর্ঘকাল ধরে ওই ফাটলগুলো নিষ্ক্রিয়। এগুলো থেকে এখন আর বড় ধরনের ভূমিকম্প সৃষ্টির আশঙ্কা নেই বললেই চলে।
রবিবার, ১৮ মার্চ, ২০১২
কম্পিউটারের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবে অ্যানোনিমাস!
সাইবার জগতের অতি পরিচিত অ্যানোনিমাস নামে হ্যাকারদের গ্রুপটি সম্প্রতি
‘অ্যানোনিমাস’ নামে একটি অপারেটিং সিস্টেম ডাউনলোডের জন্য উন্মুক্ত করেছে।
সিস্টেমটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর এ নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ওপেন
সোর্সভিত্তিক এ সিস্টেম চালু হলে কম্পিউটারের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে বলে
আশঙ্কা করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা। বিবিসি এক খবরে এ কথা জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, অ্যানোনিমাস অপারেটিং সিস্টেমে হ্যাকিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওয়েবটুল ও সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে যা হ্যাকিংয়ের কাজে ব্যবহূত হয়। এ অপারেটিং সিস্টেমটি ২৬ হাজার বার ডাউনলোড করা হয়েছে।
তবে এই সিস্টেমটি তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেছে অ্যানোনিমাসের একটি পক্ষ। টুইটারে এই সিস্টেম সম্পর্কে সতর্ক করে বলা হয়েছে, এটি ভাইরাসযুক্ত। এদিকে, অপারেটিং সিস্টেম নির্মাতাদের দাবি, শিক্ষামূলক কাজে ও ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা দিতেই এ সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে।
কম্পিউটার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সফোসের বিশ্লেষক গ্রাহাম ক্লুলেই এই অপারেটিং সিস্টেমকে নিরাপদ বললেও তা সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।
খবরে বলা হয়, অ্যানোনিমাস অপারেটিং সিস্টেমে হ্যাকিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওয়েবটুল ও সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে যা হ্যাকিংয়ের কাজে ব্যবহূত হয়। এ অপারেটিং সিস্টেমটি ২৬ হাজার বার ডাউনলোড করা হয়েছে।
তবে এই সিস্টেমটি তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেছে অ্যানোনিমাসের একটি পক্ষ। টুইটারে এই সিস্টেম সম্পর্কে সতর্ক করে বলা হয়েছে, এটি ভাইরাসযুক্ত। এদিকে, অপারেটিং সিস্টেম নির্মাতাদের দাবি, শিক্ষামূলক কাজে ও ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা দিতেই এ সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে।
কম্পিউটার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সফোসের বিশ্লেষক গ্রাহাম ক্লুলেই এই অপারেটিং সিস্টেমকে নিরাপদ বললেও তা সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।
1pinless.com এ মাসেই বাংলাদেশে আসছে নতুন আইপ্যাড অনলাইন ডেস্ক
আন্তর্জাতিক বাজারে আজ শুক্রবার থেকে আইপ্যাড বিক্রি শুরু হয়েছে। বার্তা
সংস্থা রয়টার্স এক খবরে জানিয়েছে, এশিয়ার বাজারে শুরু থেকেই আইপ্যাড
উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। বাজারে সাড়া ফেলায় অ্যাপলের বাজার মূলধনও ৬০০ বিলিয়ন
ছাড়িয়ে গেছে। নতুন আইপ্যাডের জন্য বাংলাদেশেও অনেকেই উত্সাহী। বাংলাদেশে
ম্যাক ও আইপডের রিসেলার থাকলেও আইপ্যাডের জন্য অনুমোদিত রিসেলার নেই। তবে
অ্যাপল পণ্যের কয়েকটি রিসেলার প্রতিষ্ঠান আইপ্যাডের নতুন সংস্করণ আনার কথা
জানিয়েছে। সেই হিসেবে বলা যায় অ্যাপলের ‘নিউ আইপ্যাড’-এর থ্রিজি মডেল এ
মাসের শেষ নাগাদ বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাবে। এর দাম হতে পারে ৬৫ থেকে ৭৫
হাজার টাকার মধ্যে।
আইপ্যাড ২ সংস্করণটি বর্তমানে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। নতুন সংস্করণ বাজারে আসায় আন্তর্জাতিক বাজারে এর দাম কমে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের বাজারেও। দেশে এই আইপ্যাডের ৩২ গিগাবাইট মডেলের দাম ছিল ৭৩ হাজার টাকা। এখন এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাসহ এর দাম পড়বে ৬৫ হাজার টাকা।
অ্যাপলের নতুন আইপ্যাড যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, হংকং, জাপান, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শিগগিরই পাওয়া যাবে। সিঙ্গাপুরের বাজারে আসার পরপরই এটি বাংলাদেশের বাজারে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে অ্যাপলের রিসেলার প্রতিষ্ঠান অ্যালোহারের সিইও মোহাম্মদ আবু নাসের।
উল্লেখ্য, চলতি বছর সারা বিশ্বে অ্যাপল সাড়ে ছয় কোটি ইউনিট আইপ্যাড বিক্রি করতে পারে বলে ধারণা করছে বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ক্যানাকর্ড জেনুইনিটি।
আইপ্যাড ২ সংস্করণটি বর্তমানে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। নতুন সংস্করণ বাজারে আসায় আন্তর্জাতিক বাজারে এর দাম কমে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের বাজারেও। দেশে এই আইপ্যাডের ৩২ গিগাবাইট মডেলের দাম ছিল ৭৩ হাজার টাকা। এখন এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাসহ এর দাম পড়বে ৬৫ হাজার টাকা।
অ্যাপলের নতুন আইপ্যাড যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, হংকং, জাপান, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শিগগিরই পাওয়া যাবে। সিঙ্গাপুরের বাজারে আসার পরপরই এটি বাংলাদেশের বাজারে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে অ্যাপলের রিসেলার প্রতিষ্ঠান অ্যালোহারের সিইও মোহাম্মদ আবু নাসের।
উল্লেখ্য, চলতি বছর সারা বিশ্বে অ্যাপল সাড়ে ছয় কোটি ইউনিট আইপ্যাড বিক্রি করতে পারে বলে ধারণা করছে বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ক্যানাকর্ড জেনুইনিটি।
মেয়েদের অবাঞ্ছিত লোম একটি বিব্রতকর সমস্যা তানজিনা হোসেন |
হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, বারডেম হাসপাতাল।
মেয়েটির আপাদমস্তক বোরকায় ঢাকা। কালো হিজাবের মধ্যে সুন্দর টানা টানা চোখ কেবল দেখা যায়। বয়স ১৫ কি ১৬। মুখের কাপড় সরাতে এই কঠিন পর্দার কারণটা বোঝা গেল। মেয়েটির ঠোঁটের ওপর, চিবুক, কপাল ও জুলপির কাছে ঘন লোমের রেখা; উঠতি বয়সের ছেলেদের যেমনটা দেখা যায়। এর জন্য বন্ধুবান্ধব, সহপাঠী, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর কাছে নিশ্চয় অনেক হেনস্তা হতে হয়েছে তাকে। বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতেই তার এই মুখ ঢেকে চলা; স্বীকার করল মেয়েটি ছলছল চোখে। সঙ্গে রয়েছে আরেক উপদ্রব—অনিয়মিত মাসিক। এক মাস হয় তো দুই মাস হয় না। বাড়িতে মা দুশ্চিন্তায় অস্থির। শেষ পর্যন্ত দূর-সম্পর্কের এক চিকিৎসক-আত্মীয়ার সঙ্গে কথা বলে মা বুঝেছেন যে হরমোনের সমস্যার কারণে মেয়েদের এসব সমস্যা দেখা দেয়। আর এর সুনির্দিষ্ট সহজ চিকিৎসাও আছে।
অবাঞ্ছিত লোম: কী ও কেন
আর সব স্তন্যপায়ী প্রাণীর মতো মানুষের শরীর সূক্ষ্ম লোম বা চুলে ঢাকা। এর মধ্যে বিশেষ বিশেষ স্থানে চুলের বৃদ্ধি ও গড়ন হরমোনের ওপর নির্ভরশীল। কৈশোরে পুরুষালি হরমোন এন্ড্রোজেনের প্রভাবে কিশোর ছেলেদের দাড়ি-গোঁফ গজায়; বুক, তলপেট ও ঊরুতে চুল বাড়ে, জুলপি বড় হয়। মেয়েদের শরীরে এন্ড্রোজেন খুবই কম মাত্রায় থাকে বলে এসব স্থানে ছেলেদের মতো চুল গজায় না। তবে মেয়েদের দেহে কখনো পুরুষালি হরমোন এন্ড্রোজেনের আধিক্য দেখা দিলে এমনটা হতে পারে। ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মেয়ের এমনিতেই কোনো কারণ ছাড়াই শরীরে বেশি চুল থাকে। এ জন্য পরিবারে মা-বোনদের এ রকম ছিল কি না, তা জানা দরকার। ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে অবাঞ্ছিত লোমের অধিকারী মেয়েরা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে আক্রান্ত। এরা সাধারণত ওজনাধিক্য বা স্থূলতায় ভোগে, কৈশোরে অবাঞ্ছিত লোম, অনিয়মিত মাসিক ইত্যাদি সমস্যায় আক্রান্ত হয়, এদের মুখে ব্রণও বেশি হয়। হরমোন পরীক্ষা করলে দেখা যায়, এদের শরীরে পুরুষালি হরমোন এন্ড্রোজেনের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশি, মেয়েলি হরমোনগুলোতেও কিছু তারতম্য আছে। এই মেয়েদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা রক্তে চর্বির আধিক্য হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। পরবর্তী সময় এদের একটি বড় অংশ বন্ধ্যতা সমস্যায় ভোগে।
যদি অবাঞ্ছিত লোমের সমস্যা খুব দ্রুত সময়ে অনেক মারাত্মক আকারে দেখা দেয়, তবে দেখতে হবে শরীরে এন্ড্রোজেন নিঃসরণকারী কোনো টিউমার বা ক্যানসার হয়েছে কি না। স্টেরয়েড ট্যাবলেট খেলে বা দেহে স্টেরয়েড হরমোনের আধিক্য থাকলেও অবাঞ্ছিত লোম বেশি হয়।
বিব্রত হওয়ার কিছু নেই
সত্যিই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। প্রথমেই দেখতে হবে, অতিরিক্ত পুরুষালি হরমোন এন্ড্রোজেন কোথা থেকে নিঃসৃত হচ্ছে; যদি নিশ্চিত হওয়া যায় যে বাইরে থেকে ইনজেকশন বা দেহের অভ্যন্তরে কোনো টিউমার নেই, তবে অন্যান্য প্রমাণের নিরিখে পলিসিস্টিক ওভারি আছে বলে ধরে নেওয়া যায়। মজার ব্যাপার, এই কিশোরীরা ওজন কমাতে সমর্থ হলেই নানা সমস্যা আপনাআপনিই সেরে যায়। যথাযথ খাদ্যনিয়ন্ত্রণ ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন অনেকখানি কমাতে পারলে মাসিক নিয়মিত হয়, লোম কমে আসে এবং ব্রণও কমে যায়। ওজন ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমাতে অনেক সময় ওষুধ ব্যবহার করা হয়। মাসিক নিয়মিত করার জন্য কখনো জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বা অন্যান্য হরমোনজাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে কৈশোরেই এদের ভবিষ্যৎ ডায়াবেটিস ও রক্তে চর্বির ঝুঁকি সম্পর্কে সাবধান হতে হবে, পরীক্ষা করতে হবে এবং পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী ব্যবস্থাও নিতে হবে। এই মেয়েরা পরবর্তী সময়ে গর্ভবতী হলে অবশ্যই গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
দরকার ধৈর্য ও সঠিক জীবনাচরণ
আমাদের শরীরে একটি চুলের আয়ু প্রায় ছয় মাস। তাই চিকিৎসায় ফল পেতে ছয় মাসের বেশি সময় লেগে যেতে পারে। তাই এই রোগের চিকিৎসায় প্রথমেই দরকার ধৈর্য। অবাঞ্ছিত লোম ওঠানোর অনেক পদ্ধতি আছে, যেমন—থ্রেডিং, ব্লিচিং, শেভ করা, ইলেকট্রলাইসিস বা ডায়াথারমির মাধ্যমে হেয়ার রিমুভ করা। চিকিৎসার পাশাপাশি এসব পদ্ধতিও প্রয়োগ করা যেতে পারে। পাশাপাশি ওজন কমানো, সঠিক জীবনাচরণ মেনে চলা ও একজন হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করা তো চলবেই। কিশোরীর এই ব্রিবতকর সমস্যায় তাই অযথা মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা না করে সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করা ও চিকিৎসা নেওয়াটা জরুরি।
মেয়েটির আপাদমস্তক বোরকায় ঢাকা। কালো হিজাবের মধ্যে সুন্দর টানা টানা চোখ কেবল দেখা যায়। বয়স ১৫ কি ১৬। মুখের কাপড় সরাতে এই কঠিন পর্দার কারণটা বোঝা গেল। মেয়েটির ঠোঁটের ওপর, চিবুক, কপাল ও জুলপির কাছে ঘন লোমের রেখা; উঠতি বয়সের ছেলেদের যেমনটা দেখা যায়। এর জন্য বন্ধুবান্ধব, সহপাঠী, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর কাছে নিশ্চয় অনেক হেনস্তা হতে হয়েছে তাকে। বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতেই তার এই মুখ ঢেকে চলা; স্বীকার করল মেয়েটি ছলছল চোখে। সঙ্গে রয়েছে আরেক উপদ্রব—অনিয়মিত মাসিক। এক মাস হয় তো দুই মাস হয় না। বাড়িতে মা দুশ্চিন্তায় অস্থির। শেষ পর্যন্ত দূর-সম্পর্কের এক চিকিৎসক-আত্মীয়ার সঙ্গে কথা বলে মা বুঝেছেন যে হরমোনের সমস্যার কারণে মেয়েদের এসব সমস্যা দেখা দেয়। আর এর সুনির্দিষ্ট সহজ চিকিৎসাও আছে।
অবাঞ্ছিত লোম: কী ও কেন
আর সব স্তন্যপায়ী প্রাণীর মতো মানুষের শরীর সূক্ষ্ম লোম বা চুলে ঢাকা। এর মধ্যে বিশেষ বিশেষ স্থানে চুলের বৃদ্ধি ও গড়ন হরমোনের ওপর নির্ভরশীল। কৈশোরে পুরুষালি হরমোন এন্ড্রোজেনের প্রভাবে কিশোর ছেলেদের দাড়ি-গোঁফ গজায়; বুক, তলপেট ও ঊরুতে চুল বাড়ে, জুলপি বড় হয়। মেয়েদের শরীরে এন্ড্রোজেন খুবই কম মাত্রায় থাকে বলে এসব স্থানে ছেলেদের মতো চুল গজায় না। তবে মেয়েদের দেহে কখনো পুরুষালি হরমোন এন্ড্রোজেনের আধিক্য দেখা দিলে এমনটা হতে পারে। ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মেয়ের এমনিতেই কোনো কারণ ছাড়াই শরীরে বেশি চুল থাকে। এ জন্য পরিবারে মা-বোনদের এ রকম ছিল কি না, তা জানা দরকার। ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে অবাঞ্ছিত লোমের অধিকারী মেয়েরা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে আক্রান্ত। এরা সাধারণত ওজনাধিক্য বা স্থূলতায় ভোগে, কৈশোরে অবাঞ্ছিত লোম, অনিয়মিত মাসিক ইত্যাদি সমস্যায় আক্রান্ত হয়, এদের মুখে ব্রণও বেশি হয়। হরমোন পরীক্ষা করলে দেখা যায়, এদের শরীরে পুরুষালি হরমোন এন্ড্রোজেনের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশি, মেয়েলি হরমোনগুলোতেও কিছু তারতম্য আছে। এই মেয়েদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা রক্তে চর্বির আধিক্য হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। পরবর্তী সময় এদের একটি বড় অংশ বন্ধ্যতা সমস্যায় ভোগে।
যদি অবাঞ্ছিত লোমের সমস্যা খুব দ্রুত সময়ে অনেক মারাত্মক আকারে দেখা দেয়, তবে দেখতে হবে শরীরে এন্ড্রোজেন নিঃসরণকারী কোনো টিউমার বা ক্যানসার হয়েছে কি না। স্টেরয়েড ট্যাবলেট খেলে বা দেহে স্টেরয়েড হরমোনের আধিক্য থাকলেও অবাঞ্ছিত লোম বেশি হয়।
বিব্রত হওয়ার কিছু নেই
সত্যিই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। প্রথমেই দেখতে হবে, অতিরিক্ত পুরুষালি হরমোন এন্ড্রোজেন কোথা থেকে নিঃসৃত হচ্ছে; যদি নিশ্চিত হওয়া যায় যে বাইরে থেকে ইনজেকশন বা দেহের অভ্যন্তরে কোনো টিউমার নেই, তবে অন্যান্য প্রমাণের নিরিখে পলিসিস্টিক ওভারি আছে বলে ধরে নেওয়া যায়। মজার ব্যাপার, এই কিশোরীরা ওজন কমাতে সমর্থ হলেই নানা সমস্যা আপনাআপনিই সেরে যায়। যথাযথ খাদ্যনিয়ন্ত্রণ ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন অনেকখানি কমাতে পারলে মাসিক নিয়মিত হয়, লোম কমে আসে এবং ব্রণও কমে যায়। ওজন ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমাতে অনেক সময় ওষুধ ব্যবহার করা হয়। মাসিক নিয়মিত করার জন্য কখনো জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বা অন্যান্য হরমোনজাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে কৈশোরেই এদের ভবিষ্যৎ ডায়াবেটিস ও রক্তে চর্বির ঝুঁকি সম্পর্কে সাবধান হতে হবে, পরীক্ষা করতে হবে এবং পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী ব্যবস্থাও নিতে হবে। এই মেয়েরা পরবর্তী সময়ে গর্ভবতী হলে অবশ্যই গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
দরকার ধৈর্য ও সঠিক জীবনাচরণ
আমাদের শরীরে একটি চুলের আয়ু প্রায় ছয় মাস। তাই চিকিৎসায় ফল পেতে ছয় মাসের বেশি সময় লেগে যেতে পারে। তাই এই রোগের চিকিৎসায় প্রথমেই দরকার ধৈর্য। অবাঞ্ছিত লোম ওঠানোর অনেক পদ্ধতি আছে, যেমন—থ্রেডিং, ব্লিচিং, শেভ করা, ইলেকট্রলাইসিস বা ডায়াথারমির মাধ্যমে হেয়ার রিমুভ করা। চিকিৎসার পাশাপাশি এসব পদ্ধতিও প্রয়োগ করা যেতে পারে। পাশাপাশি ওজন কমানো, সঠিক জীবনাচরণ মেনে চলা ও একজন হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করা তো চলবেই। কিশোরীর এই ব্রিবতকর সমস্যায় তাই অযথা মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা না করে সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করা ও চিকিৎসা নেওয়াটা জরুরি।
মনের জানালা
সমস্যা: আমার খালার বয়স ৪১ বছর। মানুষের ছোটখাট জিনিস, যেমন—সাবান, চিনি,
জামাকাপড়, মোবাইল ফোন, এমনকি টাকা-পয়সার প্রতি তাঁর প্রচণ্ড লোভ। কয়েক বছর
আগে তাঁদের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল এবং এ কারণেই তাঁর এই
প্রবৃত্তিটা বদভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যদিও তিনি বর্তমানে সচ্ছল, তার পরও কারও
কোনো জিনিস দেখলে তিনি লোভ সামলাতে পারেন না। এ জন্য সবাই তাঁকে চোর বলে।
তাঁর স্বামী, ছেলেমেয়ে এমনকি আত্মীয়স্বজন—সবাই তাঁকে এ কাজ থেকে বিরত থাকতে
বলে। কিন্তু তেমন লাভ হয় না। কয়েক মাস পরে আবার চুরি করেন। এ জন্য তাঁকে
অনেক বোঝানো হয়েছে এমনকি শারীরিক নির্যাতনও করা হয়েছে। তাতেও কোনো কাজ
হচ্ছে না। খালা প্রতি মাসে কিছু না কিছু চুরি করেন। তিনি কি চোর, নাকি
মানসিক রোগী, বোঝা যাচ্ছে না। এমনিতে তাঁর কাজকর্ম স্বাভাবিক। এখন কী
ব্যবস্থা নিলে তিনি ভালো হনে? তিনি একজন গৃহিণী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
পরামর্শ
তোমার খালার বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ। এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, আর্থিক সচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও তিনি নিজেকে সংযত রাখতে পারছেন না। তাঁর এই বদভ্যাসের কারণে তোমাদের পরিবারের লোকেরা যে তাঁকে লজ্জা দিয়েছে এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে তা মোটেও ঠিক হয়নি। প্রত্যেকের ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠার সময় তাঁর শৈশবের অভিজ্ঞতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। শৈশবের অভিজ্ঞতা নেতিবাচক হলে আমাদের ব্যক্তিত্বও ত্রুটিপূর্ণ হতে পারে। তোমার খালা কি পরে স্বীকার করেন যে তিনি জিনিসগুলো নিয়েছেন; নাকি তোমরা তাঁর কাছে জিনিসগুলো পাওয়ার পর নিশ্চিতভাবে ধরে নিচ্ছ যে তিনি সেগুলো চুরি করেছেন? ক্লেপেটাম্যানিয়া (Kleptomania) নামে মানসিক যে অসুস্থতা আছে, তাতে দেখা যায়, অপ্রতিরোধ্য আবেগের বশে মানুষটি যে জিনিস ভালো লাগে সেটি যেকোনো জায়গা থেকে তুলে নিয়ে আসে। অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় জিনিসও নিয়ে এসে পরে ভুলে যায়। কখনো কখনো পরে সেটি নিজের কাছে দেখতে পেয়ে ফেরত দেয়, আবার কখনো লজ্জায় পড়ে না-ও দিতে পারে। তোমার খালার বিষয়টি এ ধরনের কি না তা বোঝা যাচ্ছে না। তিনি জিনিসগুলো নিজে ব্যবহার করার জন্য আনেন কি না তা তুমি জানাওনি। এমনও হতে পারে, তিনি নিজেকে বঞ্চিত মনে করেন এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। তোমরা তাঁর সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ না করে তাঁকে সবাই মিলে বলতে পারো যে, এই কাজ তিনি না করলে তাঁকে সবাই অনেক ভালোবাসবে এবং শ্রদ্ধা করবে। সবচেয়ে ভালো হয়, তোমরা যদি তাঁকে কাউন্সেলিং বা সাইকোথেরাপির জন্য নিয়ে যাও। ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টারে (ফোন: ৮৩২১৮২৫ ও ০১৭১৩১৭৭১৭৫) বিনা খরচে নারী ও শিশুদের এই সেবা দেওয়া হয়। এ ছাড়া ক্রিয়া বা ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালেও তাঁকে নিয়ে যেতে পারো। আশা করি, তোমরা তাঁকে এই চিকির্যাসাসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। তাঁকে এ কারণে দোষারোপ করতে থাকলে তাঁর এই প্রবণতা আরও বেড়ে যেতে পারে।
সমস্যা: আমি একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী। আমি পরিবারের বড় ছেলে। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই মায়ের স্নেহের বদলে পেয়েছি শুধু অমানুষিক কষ্ট আর নির্যাতন। যেকোনো বিষয় নিয়ে মা আমাকে আমার দুই ভাইয়ের চেয়ে ছোট করে দেখেন। মায়ের কথার ব্যতিক্রম হলে আমার ওপর চরম মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চলে। বাবা বেকার ও মাদকাসক্ত হওয়ায় সংসারে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকে। আর সব ঝাল মেটানো হয় আমার ওপর দিয়ে। প্রতিবাদ করতে গেলে জুটে মারধর, বের করে দেওয়া হয় ঘর থেকে। এই রকম অনেক কষ্ট সহ্য করে এসএসসি পরীক্ষায় আমি জিপিএ-৫ লাভ করি। কিন্তু এখন যেন পৃথিবী আমার কাছে হয়ে উঠেছে বিষময়। মাঝেমধ্যে মনে হয় পৃথিবী ছেড়ে চলে যাই চিরদিনের মতো।
আদনান
চট্টগ্রাম কলেজ।
পরামর্শ
আমাকে এ পর্যন্ত অনেক মায়ের কান্নাজড়িত বক্তব্য শুনতে হয়েছে যার বিষয়বস্তু ছিল, স্বামীর আচরণে হতাশ হয়ে তাঁরা কীভাবে তাঁদের নিরীহ ও দুর্বল সন্তানকে অত্যাচার করেছেন। আমার মনে হয় কাজটি যে তিনি খুব সচেতনভাবে করেছেন, তা নয়। এর জন্য পরে তাঁর মনে অপরাধবোধেরও সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তুু তার পরও তিনি বারবার একই কাজ করেছেন। এর ফলে তাঁর সন্তানের মধ্যে যখন আচরণগত সমস্যা দেখা দিয়েছে তখন তিনি বুঝতে পেরেছেন তাঁর রাগের বহিঃপ্রকাশের জন্যই এমনটি ঘটেছে। কিন্তু তত দিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। তুমি মায়ের প্রথম সন্তান বলে তোমার ওপরই এর বেশি প্রয়োগ ঘটেছে। তোমার বাবা বেকার ও মাদকাসক্ত হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা তিনটি সন্তান পৃথিবীতে এনে খুব বড় একটা ভুল করেছেন। এটি শিশু-অধিকার লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে। এ ছাড়া তোমাকে ছোট দুই ভাইয়ের চেয়ে কম মূল্য দেওয়ার কারণে তুমি কষ্ট পাচ্ছ, যদিও আমাদের অভিভাবকেরা এতে ভালো হবে মনে করে ভুল এই পদ্ধতি অনুসরণ করছেন। আমি তোমাকে অনেক প্রশংসা করছি যে, এ ধরনের প্রতিকূল পরিবেশে থেকেও তুমি এসএসসিতে ভালো ফল করেছ। পৃথিবী ছেড়ে তুমি কেন যাওয়ার কথা ভাবছ? আমরা যারা বড়রা তোমাদের ঠিকমতো পথ দেখাতে পারছি না, শাস্তি তো আমাদের হওয়া উচিত। তুমি নিশ্চয়ই এইচএসসিতেও ভালো ফল করবে এবং একসময় তুমি তোমার বাবা-মাকে সুন্দরভাবে বোঝাতে সক্ষম হবে যে তাঁরা কী কী ভুল করেছেন। আশা করি, তুমি ভালো থাকবে। তোমার জীবন সুন্দর ও সাফল্যমণ্ডিত হোক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
পরামর্শ
তোমার খালার বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ। এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, আর্থিক সচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও তিনি নিজেকে সংযত রাখতে পারছেন না। তাঁর এই বদভ্যাসের কারণে তোমাদের পরিবারের লোকেরা যে তাঁকে লজ্জা দিয়েছে এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে তা মোটেও ঠিক হয়নি। প্রত্যেকের ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠার সময় তাঁর শৈশবের অভিজ্ঞতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। শৈশবের অভিজ্ঞতা নেতিবাচক হলে আমাদের ব্যক্তিত্বও ত্রুটিপূর্ণ হতে পারে। তোমার খালা কি পরে স্বীকার করেন যে তিনি জিনিসগুলো নিয়েছেন; নাকি তোমরা তাঁর কাছে জিনিসগুলো পাওয়ার পর নিশ্চিতভাবে ধরে নিচ্ছ যে তিনি সেগুলো চুরি করেছেন? ক্লেপেটাম্যানিয়া (Kleptomania) নামে মানসিক যে অসুস্থতা আছে, তাতে দেখা যায়, অপ্রতিরোধ্য আবেগের বশে মানুষটি যে জিনিস ভালো লাগে সেটি যেকোনো জায়গা থেকে তুলে নিয়ে আসে। অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় জিনিসও নিয়ে এসে পরে ভুলে যায়। কখনো কখনো পরে সেটি নিজের কাছে দেখতে পেয়ে ফেরত দেয়, আবার কখনো লজ্জায় পড়ে না-ও দিতে পারে। তোমার খালার বিষয়টি এ ধরনের কি না তা বোঝা যাচ্ছে না। তিনি জিনিসগুলো নিজে ব্যবহার করার জন্য আনেন কি না তা তুমি জানাওনি। এমনও হতে পারে, তিনি নিজেকে বঞ্চিত মনে করেন এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। তোমরা তাঁর সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ না করে তাঁকে সবাই মিলে বলতে পারো যে, এই কাজ তিনি না করলে তাঁকে সবাই অনেক ভালোবাসবে এবং শ্রদ্ধা করবে। সবচেয়ে ভালো হয়, তোমরা যদি তাঁকে কাউন্সেলিং বা সাইকোথেরাপির জন্য নিয়ে যাও। ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টারে (ফোন: ৮৩২১৮২৫ ও ০১৭১৩১৭৭১৭৫) বিনা খরচে নারী ও শিশুদের এই সেবা দেওয়া হয়। এ ছাড়া ক্রিয়া বা ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালেও তাঁকে নিয়ে যেতে পারো। আশা করি, তোমরা তাঁকে এই চিকির্যাসাসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। তাঁকে এ কারণে দোষারোপ করতে থাকলে তাঁর এই প্রবণতা আরও বেড়ে যেতে পারে।
সমস্যা: আমি একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী। আমি পরিবারের বড় ছেলে। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই মায়ের স্নেহের বদলে পেয়েছি শুধু অমানুষিক কষ্ট আর নির্যাতন। যেকোনো বিষয় নিয়ে মা আমাকে আমার দুই ভাইয়ের চেয়ে ছোট করে দেখেন। মায়ের কথার ব্যতিক্রম হলে আমার ওপর চরম মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চলে। বাবা বেকার ও মাদকাসক্ত হওয়ায় সংসারে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকে। আর সব ঝাল মেটানো হয় আমার ওপর দিয়ে। প্রতিবাদ করতে গেলে জুটে মারধর, বের করে দেওয়া হয় ঘর থেকে। এই রকম অনেক কষ্ট সহ্য করে এসএসসি পরীক্ষায় আমি জিপিএ-৫ লাভ করি। কিন্তু এখন যেন পৃথিবী আমার কাছে হয়ে উঠেছে বিষময়। মাঝেমধ্যে মনে হয় পৃথিবী ছেড়ে চলে যাই চিরদিনের মতো।
আদনান
চট্টগ্রাম কলেজ।
পরামর্শ
আমাকে এ পর্যন্ত অনেক মায়ের কান্নাজড়িত বক্তব্য শুনতে হয়েছে যার বিষয়বস্তু ছিল, স্বামীর আচরণে হতাশ হয়ে তাঁরা কীভাবে তাঁদের নিরীহ ও দুর্বল সন্তানকে অত্যাচার করেছেন। আমার মনে হয় কাজটি যে তিনি খুব সচেতনভাবে করেছেন, তা নয়। এর জন্য পরে তাঁর মনে অপরাধবোধেরও সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তুু তার পরও তিনি বারবার একই কাজ করেছেন। এর ফলে তাঁর সন্তানের মধ্যে যখন আচরণগত সমস্যা দেখা দিয়েছে তখন তিনি বুঝতে পেরেছেন তাঁর রাগের বহিঃপ্রকাশের জন্যই এমনটি ঘটেছে। কিন্তু তত দিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। তুমি মায়ের প্রথম সন্তান বলে তোমার ওপরই এর বেশি প্রয়োগ ঘটেছে। তোমার বাবা বেকার ও মাদকাসক্ত হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা তিনটি সন্তান পৃথিবীতে এনে খুব বড় একটা ভুল করেছেন। এটি শিশু-অধিকার লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে। এ ছাড়া তোমাকে ছোট দুই ভাইয়ের চেয়ে কম মূল্য দেওয়ার কারণে তুমি কষ্ট পাচ্ছ, যদিও আমাদের অভিভাবকেরা এতে ভালো হবে মনে করে ভুল এই পদ্ধতি অনুসরণ করছেন। আমি তোমাকে অনেক প্রশংসা করছি যে, এ ধরনের প্রতিকূল পরিবেশে থেকেও তুমি এসএসসিতে ভালো ফল করেছ। পৃথিবী ছেড়ে তুমি কেন যাওয়ার কথা ভাবছ? আমরা যারা বড়রা তোমাদের ঠিকমতো পথ দেখাতে পারছি না, শাস্তি তো আমাদের হওয়া উচিত। তুমি নিশ্চয়ই এইচএসসিতেও ভালো ফল করবে এবং একসময় তুমি তোমার বাবা-মাকে সুন্দরভাবে বোঝাতে সক্ষম হবে যে তাঁরা কী কী ভুল করেছেন। আশা করি, তুমি ভালো থাকবে। তোমার জীবন সুন্দর ও সাফল্যমণ্ডিত হোক।
নতুন আইপ্যাড নিয়ে সারা বিশ্বে উন্মাদনা
বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের ট্যাবলেট
কম্পিউটারের সর্বশেষ সংস্করণ ‘নিউ আইপ্যাড’ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুরু
হয়েছে উন্মাদনা। আইপ্যাডের নতুন সংস্করণ আসবে বলে নানা ধরনের আলোচনা অনেক
দিন ধরেই চলছে বিশ্ব প্রযুক্তি অঙ্গনে। আর একাধিকবার বাজারে আসার তারিখ
পরিবর্তন হওয়ায় আইপ্যাডের নতুন সংস্করণটি পাওয়ার জন্য ক্রেতারাও ছিলেন
মুখিয়ে। এসবের প্রমাণ মিলল অ্যাপলের ভক্তদের লাইনে দাঁড়িয়েছেন নতুন
ট্যাবলেটটি পাওয়ার জন্য অপেক্ষা দেখে। আগ্রহীদের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের
মধ্যেও এটি পাওয়ার আগ্রহও দেখা গেছে বেশ।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও নয়টি দেশে আইপ্যাড বিক্রি শুরু হওয়ার পর পুরো রাত ধরেই লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন অসংখ্য অ্যাপলপ্রেমী। আগেই অর্ডার দিয়েও হাতে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে আগ্রহী নন অনেকেই। আর তাই ভিড় জমিয়েছেন অ্যাপল স্টোরের সামনে!
প্রথম নিউ আইপ্যাড হাতে পাওয়া ব্যক্তি ছিলেন নিউইয়র্কের এরিক লেড। ব্রাজিল থেকে উড়ে এসে ৩০ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে হাতে পেয়েছেন প্রিয় নিউ আইপ্যাড! জানালেন, ব্রাজিলের মানুষের নতুন এ ট্যাবলেটটি পেতে সময় লাগবে আরও তিন-চার মাস। আর তাই সে অপেক্ষায় না থেকে নিজে চলে এসেছেন নতুন আইপ্যাড কিনতে।
এমন উন্মাদনায় থাকা আগ্রহীদের নতুন আইপ্যাড দেওয়ার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন অ্যাপল কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, কানাডা, জার্মানি, জাপান, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, হংকংয়ে বিক্রি শুরু হয়েছে।
চলতি মাসের ২৩ তারিখের মধ্যে আরও ২৪টির বেশি দেশে নিউ আইপ্যাড বিক্রি শুরু হবে বলে জানা গেছে। —এএফপি
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও নয়টি দেশে আইপ্যাড বিক্রি শুরু হওয়ার পর পুরো রাত ধরেই লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন অসংখ্য অ্যাপলপ্রেমী। আগেই অর্ডার দিয়েও হাতে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে আগ্রহী নন অনেকেই। আর তাই ভিড় জমিয়েছেন অ্যাপল স্টোরের সামনে!
প্রথম নিউ আইপ্যাড হাতে পাওয়া ব্যক্তি ছিলেন নিউইয়র্কের এরিক লেড। ব্রাজিল থেকে উড়ে এসে ৩০ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে হাতে পেয়েছেন প্রিয় নিউ আইপ্যাড! জানালেন, ব্রাজিলের মানুষের নতুন এ ট্যাবলেটটি পেতে সময় লাগবে আরও তিন-চার মাস। আর তাই সে অপেক্ষায় না থেকে নিজে চলে এসেছেন নতুন আইপ্যাড কিনতে।
এমন উন্মাদনায় থাকা আগ্রহীদের নতুন আইপ্যাড দেওয়ার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন অ্যাপল কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, কানাডা, জার্মানি, জাপান, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, হংকংয়ে বিক্রি শুরু হয়েছে।
চলতি মাসের ২৩ তারিখের মধ্যে আরও ২৪টির বেশি দেশে নিউ আইপ্যাড বিক্রি শুরু হবে বলে জানা গেছে। —এএফপি
শনিবার, ১৭ মার্চ, ২০১২
'অন্যনারীকে মুগ্ধ করতেই নারীর সাজগোজ'
পুরুষসঙ্গীকে খুশী করতে নারীরা আয়নার সামনে বেশি সময় কাটায় বলে প্রচলিত ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষসঙ্গী নয় অন্যনারীর কাছ থেকে বাহবা পাওয়ার উদ্দেশ্যেই নারীরা সাজগোজ করে থাকে।
২ হাজার নারীর ওপর পরিচালিত সিম্পল স্কিন কেয়ারের গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এনডিটিভি এ তথ্য জানায়।
এতে দেখা যায়, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই অন্য নারীর কাছ থেকে প্রশংসাসূচক মন্তব্য পাওয়ার জন্য পোশাক নির্বাচন করে। অপরদিকে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৬ জন পোশাক নির্বাচন করে তাদের বান্ধবীদের কথা মাথায় রেখে।
এক চতুর্থাংশেরও বেশি অংশগ্রহণকারী জানিয়েছে, তারা পুরুষ নয় বরং অপরিচিত নারীদের কাছ থেকেই বেশি মন্তব্য পেয়ে থাকে।
সিম্পল স্কিন কেয়ারের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে দ্য ডেইলি মেইল বলেছে, "প্রচলিত একটি ধারণা রয়েছে যে, বিপরীতলিঙ্গের সঙ্গীকে খুশী করতেই নারীরা সব কিছু করে থাকে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে এটা সবসময় ঠিক নয়।"
গবেষণায় অংশগ্রহণকারী নারীদের ২২ শতাংশ দাবি করেন, পুরুষরা কেমন মন্তব্য করল তা তারা মোটেও পরোয়া করেন না। আর ৪৮ শতাংশ নারী জানান, তারা মূলত অপরিচিত নারীদের কাছ থেকে প্রশংসা পেতেই বেশি পছন্দ করেন।
প্রথম দেখায় প্রেমে বিশ্বাসী পুরুষ, নারী নয়
নারীদের তুলনায় পুরুষরাই বেশি প্রথম দেখায় প্রেমে বিশ্বাসী। এ সংখ্যা প্রতি ৫ জনে একজন। নতুন এক জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
'দ্য হিন্দুস্তান টাইমস' এ প্রকাশিত এ জরিপের ফলে দেখা গেছে, প্রতি পাঁচ জনে একজন পুরুষ বলেছেন, তারা প্রথম দেখায় প্রেমে পড়েছেন।
অর্ধেকেরও বেশি পুরুষ বলেছেন, প্রথম দেখার পরই তারা মেয়েটির প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন। আর তিনদিন ডেটিং এর পর মন হারিয়েছেন এমন পুরুষের সংখ্যা প্রায় তিন-চতুর্থাংশ।
অন্যদিকে, প্রতি দশ জনে মাত্র একজন নারী বলেছেন, তারা প্রথম দেখায় প্রেমে পড়েছেন। বেশির ভাগ নারীই ভালোলাগার মানুষের কাছে 'প্রকৃত চাওয়া' পেয়েছেন কিনা তা
জানতে ষষ্ঠবারের মতো দেখা করা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন মনোবিজ্ঞানী ও 'ব্রিটিশ সাইকোলজিক্যাল
সোসাইটি'র সদস্য অধ্যাপক অ্যালেকজান্ডার গর্ডন। গবেষণার এ ফলে লিঙ্গভেদে যে বৈপরীত্য ধরা পড়েছে তাতে অবাক হয়েছেন তিনি।
গর্ডন বলেন, "পুরুষের চেয়ে নারীরা সামাজিক পরিস্থিতি বেশি বুঝতে
পারে এবং কোনো পুরুষের সঙ্গে প্রথম দেখার পর তাদের মনে নানা প্রশ্ন উদয় হয়।
এর মধ্য দিয়ে তারা বোঝার চেষ্টা করে ওই পুরুষকে ভালোবাসা কতটা নিরাপদ? সে তার সন্তানের জন্য কেমন বাবা হবেন?- এরকম আরো অনেক কিছু।"
"সারা জীবনের জন্য কাউকে পছন্দের ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়ে
নারীরা অনেক বেশি বিচক্ষণ," বলেন গর্ডন।
জরিপের ফলে আরো দেখা গেছে, ব্রিটেনে পুরুষরা গড়ে জীবনে তিন বারের
বেশি প্রেমে পড়ে। অন্যদিকে, নারীরা গড়ে প্রেমে পড়ে একবারই।
এ গবেষণার জন্য ১৬ থেকে ৮৬ বছর বয়স্ক ১ হাজার ৫০০ নারী ও ১ হাজার ৫০০
পুরুষের ওপর জরিপ চালানো হয়েছে।
'দ্য হিন্দুস্তান টাইমস' এ প্রকাশিত এ জরিপের ফলে দেখা গেছে, প্রতি পাঁচ জনে একজন পুরুষ বলেছেন, তারা প্রথম দেখায় প্রেমে পড়েছেন।
অর্ধেকেরও বেশি পুরুষ বলেছেন, প্রথম দেখার পরই তারা মেয়েটির প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন। আর তিনদিন ডেটিং এর পর মন হারিয়েছেন এমন পুরুষের সংখ্যা প্রায় তিন-চতুর্থাংশ।
অন্যদিকে, প্রতি দশ জনে মাত্র একজন নারী বলেছেন, তারা প্রথম দেখায় প্রেমে পড়েছেন। বেশির ভাগ নারীই ভালোলাগার মানুষের কাছে 'প্রকৃত চাওয়া' পেয়েছেন কিনা তা
জানতে ষষ্ঠবারের মতো দেখা করা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন মনোবিজ্ঞানী ও 'ব্রিটিশ সাইকোলজিক্যাল
সোসাইটি'র সদস্য অধ্যাপক অ্যালেকজান্ডার গর্ডন। গবেষণার এ ফলে লিঙ্গভেদে যে বৈপরীত্য ধরা পড়েছে তাতে অবাক হয়েছেন তিনি।
গর্ডন বলেন, "পুরুষের চেয়ে নারীরা সামাজিক পরিস্থিতি বেশি বুঝতে
পারে এবং কোনো পুরুষের সঙ্গে প্রথম দেখার পর তাদের মনে নানা প্রশ্ন উদয় হয়।
এর মধ্য দিয়ে তারা বোঝার চেষ্টা করে ওই পুরুষকে ভালোবাসা কতটা নিরাপদ? সে তার সন্তানের জন্য কেমন বাবা হবেন?- এরকম আরো অনেক কিছু।"
"সারা জীবনের জন্য কাউকে পছন্দের ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়ে
নারীরা অনেক বেশি বিচক্ষণ," বলেন গর্ডন।
জরিপের ফলে আরো দেখা গেছে, ব্রিটেনে পুরুষরা গড়ে জীবনে তিন বারের
বেশি প্রেমে পড়ে। অন্যদিকে, নারীরা গড়ে প্রেমে পড়ে একবারই।
এ গবেষণার জন্য ১৬ থেকে ৮৬ বছর বয়স্ক ১ হাজার ৫০০ নারী ও ১ হাজার ৫০০
পুরুষের ওপর জরিপ চালানো হয়েছে।
নারীরা সৌন্দর্য আর পুরুষেরা যৌনজীবন হারানোর শঙ্কায় ভোগে
বয়সের সাথে সাথে সৌন্দর্য হারানোর ব্যাপারে উদ্বিগ্ন থাকে নারীরা আর পুরুষের ভয় যৌন জীবন ও সম্পর্ক হারানোয়।
নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে দ্য হিন্দুস্তান টাইমস জানায়।
এ গবেষণার জন্য চল্লিশোর্ধ ১ হাজার ১০০ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের ওপর জরিপ চালানো হয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, এক-তৃতীয়াংশ নারীর কাছে বৃদ্ধ বয়সে তাদের কেমন দেখাবে তা গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে মাত্র ২১ শতাংশ পুরুষ এ নিয়ে ভাবে।
আর শতকরা ৩২ ভাগ পুরুষ ও ১২ ভাগ নারী বৃদ্ধ বয়সে তাদের যৌন জীবন কেমন হবে তা নিয়ে চিন্তা করে।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন, সমাজবিজ্ঞানী ড. ক্যাটে ওডথ্রপ। তিনি যুক্তরাজ্যের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের 'সেন্টার ফর ডেথ অ্যান্ড সোসাইটি'র একজন গবেষক।
নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে দ্য হিন্দুস্তান টাইমস জানায়।
এ গবেষণার জন্য চল্লিশোর্ধ ১ হাজার ১০০ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের ওপর জরিপ চালানো হয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, এক-তৃতীয়াংশ নারীর কাছে বৃদ্ধ বয়সে তাদের কেমন দেখাবে তা গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে মাত্র ২১ শতাংশ পুরুষ এ নিয়ে ভাবে।
আর শতকরা ৩২ ভাগ পুরুষ ও ১২ ভাগ নারী বৃদ্ধ বয়সে তাদের যৌন জীবন কেমন হবে তা নিয়ে চিন্তা করে।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন, সমাজবিজ্ঞানী ড. ক্যাটে ওডথ্রপ। তিনি যুক্তরাজ্যের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের 'সেন্টার ফর ডেথ অ্যান্ড সোসাইটি'র একজন গবেষক।
‘গাড়ি চালালে কুমারীত্ব শেষ’
সৌদি আরবের নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দিলে ‘দেশের পবিত্রতা’ নষ্ট হবে
বলে একটি প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি জানানো হয়েছে। বিষয়টিকে নারীর ‘কুমারীত্ব’
বিনাশের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
দেশটির আইন পরিষদ শুরা কাউন্সিলের জন্য একটি রক্ষণশীল সংস্থা এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
শিক্ষাবিদ হিসেবে পরিচিত কমল সুবিহ এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এর উদ্দেশ্য হলো নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পুনর্বিবেচনার পরিকল্পনা যেন বাদ দেওয়া হয়।
নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দিলে পতিতাবৃত্তি, পর্ণোগ্রাফি, সমকামিতা ও তালাক বেড়ে যাবে বলে প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে।
সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর আনুষ্ঠানিক কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে তাদেরকে গাড়ি চালাতে দেখলে আটক করা যেতে পারে- এ ধরনের নিয়ম রয়েছে।
এটি প্রত্যাহারের জন্য সেদেশের নারীরা চেষ্টা চালাচ্ছে।
তাদের অভিযোগ, এর কারণে বাস্তবজীবনে তাদের কিছু জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। যেমন, পরিবারের নিয়ন্ত্রণে থেকে এবং পুরুষের কাছ থেকে তাদের দূরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে অথচ প্রতিদিন পুরুষ ড্রাইভারের ওপরই তাদের নির্ভর করতে হচ্ছে। এটি পরস্পরবিরোধী ও অযৌক্তিক।
বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
এদিকে সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সৌদির বাদশা আব্দুল্লাহ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পর্যালোচনার অনুমতি দিয়েছেন।
নারীদের গাড়িচালনার পক্ষে আন্দোলনকারী এক নারী বিবিসিকে জানান, এ প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ উল্টো।
তিনি বলেন, শুরার প্রধান নারী আন্দোলনকারীদের এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ওপর এখনও শুনানি অব্যাহত রাখা হয়েছে।
দেশটির আইন পরিষদ শুরা কাউন্সিলের জন্য একটি রক্ষণশীল সংস্থা এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
শিক্ষাবিদ হিসেবে পরিচিত কমল সুবিহ এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এর উদ্দেশ্য হলো নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পুনর্বিবেচনার পরিকল্পনা যেন বাদ দেওয়া হয়।
নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দিলে পতিতাবৃত্তি, পর্ণোগ্রাফি, সমকামিতা ও তালাক বেড়ে যাবে বলে প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে।
সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর আনুষ্ঠানিক কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে তাদেরকে গাড়ি চালাতে দেখলে আটক করা যেতে পারে- এ ধরনের নিয়ম রয়েছে।
এটি প্রত্যাহারের জন্য সেদেশের নারীরা চেষ্টা চালাচ্ছে।
তাদের অভিযোগ, এর কারণে বাস্তবজীবনে তাদের কিছু জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। যেমন, পরিবারের নিয়ন্ত্রণে থেকে এবং পুরুষের কাছ থেকে তাদের দূরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে অথচ প্রতিদিন পুরুষ ড্রাইভারের ওপরই তাদের নির্ভর করতে হচ্ছে। এটি পরস্পরবিরোধী ও অযৌক্তিক।
বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
এদিকে সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সৌদির বাদশা আব্দুল্লাহ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পর্যালোচনার অনুমতি দিয়েছেন।
নারীদের গাড়িচালনার পক্ষে আন্দোলনকারী এক নারী বিবিসিকে জানান, এ প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ উল্টো।
তিনি বলেন, শুরার প্রধান নারী আন্দোলনকারীদের এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ওপর এখনও শুনানি অব্যাহত রাখা হয়েছে।
মেয়েরা দিনে ৫ ঘণ্টা গালগল্প করে কাটায়
লন্ডন, ০৩ ডিসেম্বর (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- যে কোন পুরুষের পক্ষেই এ
কথা বলা কঠিন যে তার স্ত্রী বা প্রেমিকা কতক্ষণ কথা বলেন। এ প্রশ্নেরই
সুরাহা করেছেন ব্রিটেনের একদল গবেষক। তাদের মতে, মেয়েরা প্রতিদিন গড়ে ৫
ঘন্টা গল্পগুজব করে বা বকবক করে কাটায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, মেয়েরা বাসায় বা অফিসে যেখানেই থাকুক দিনে তারা প্রায় ২৯৮ মিনিট খোশগল্প করে- যা তাদের কর্মঘন্টার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি।
গবেষণার ফল নিয়ে ‘দ্য ডেইলি মেইল’ এর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খোশগল্পে মেয়েরা সাধারণত পরচর্চা, পরনিন্দাই বেশি করে।
একজনের সঙ্গে আরেকজনের ডেটিং এবং অন্যের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে তারা কথা বলে। এছাড়াও মেয়েরা গল্প করে যৌনতা, কেনাকাটা ও টিভি সিরিয়ালগুলো নিয়ে।
ওজন, খাদ্যাভ্যাস ও পোশাক সংক্রান্ত আলোচনায় মেয়েরা দিনে সময় ব্যয় করে ২৪ মিনিট।
জরিপে এক-তৃতীয়াংশ নারী বলেছেন, দিনের একটা সময় দুপুরে তারা কী খাবেন এ নিয়ে কথা বলে সময় কাটান।
অন্যান্য আরো বিষয়ের মধ্যে আছে কসমেটিক সার্জারি, শ্বশুরবাড়ি এবং তারকা জগৎ।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছে যুক্তরাজ্যের সুরা কোম্পানি ফার্স্টকেপ ক্যাফে কালেকশন। ব্রিটেনের ‘কুইন অব চ্যাট’ বা ‘কথার রানি’কে খুঁজে বের করতেই তাদের এ প্রয়াস।
কোম্পানির মুখপাত্র স্টিভ বার্টন বলেছেন, “বকবক করায় মেয়েদের জুড়ি নেই। আর কয়েকজন মেয়ে এক জায়গায় হলে তারা কী নিয়ে কথা বলে তা জানতে ছেলেদেরও আগ্রহের অন্ত নেই।”
এ কৌতুহলের অনেকটাই নিবৃত্তি ঘটিয়েছে এ গবেষণা।
এতে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মেয়েই অন্য যে কারো চেয়ে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করে। জীবনসঙ্গী, মা ছাড়াও সবচেয়ে ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে পুরোপুরি ভিন্ন ব্যাপার নিয়ে তারা কথা বলে।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, মেয়েরা জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বেশির ভাগ সময় কাজের কথাই বলে । অন্যদিকে, সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে গালগল্প করে সবচেয়ে বেশি।
এছাড়া ৩৬ শতাংশ নারী গোপন কথা চাপা রাখে না। বিশ্বাস করে যারা তাদেরকে গোপন কথা কলে তা তারা প্রায়ই তাদের জীবনসঙ্গীকে বলে দেয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, মেয়েরা বাসায় বা অফিসে যেখানেই থাকুক দিনে তারা প্রায় ২৯৮ মিনিট খোশগল্প করে- যা তাদের কর্মঘন্টার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি।
গবেষণার ফল নিয়ে ‘দ্য ডেইলি মেইল’ এর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খোশগল্পে মেয়েরা সাধারণত পরচর্চা, পরনিন্দাই বেশি করে।
একজনের সঙ্গে আরেকজনের ডেটিং এবং অন্যের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে তারা কথা বলে। এছাড়াও মেয়েরা গল্প করে যৌনতা, কেনাকাটা ও টিভি সিরিয়ালগুলো নিয়ে।
ওজন, খাদ্যাভ্যাস ও পোশাক সংক্রান্ত আলোচনায় মেয়েরা দিনে সময় ব্যয় করে ২৪ মিনিট।
জরিপে এক-তৃতীয়াংশ নারী বলেছেন, দিনের একটা সময় দুপুরে তারা কী খাবেন এ নিয়ে কথা বলে সময় কাটান।
অন্যান্য আরো বিষয়ের মধ্যে আছে কসমেটিক সার্জারি, শ্বশুরবাড়ি এবং তারকা জগৎ।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছে যুক্তরাজ্যের সুরা কোম্পানি ফার্স্টকেপ ক্যাফে কালেকশন। ব্রিটেনের ‘কুইন অব চ্যাট’ বা ‘কথার রানি’কে খুঁজে বের করতেই তাদের এ প্রয়াস।
কোম্পানির মুখপাত্র স্টিভ বার্টন বলেছেন, “বকবক করায় মেয়েদের জুড়ি নেই। আর কয়েকজন মেয়ে এক জায়গায় হলে তারা কী নিয়ে কথা বলে তা জানতে ছেলেদেরও আগ্রহের অন্ত নেই।”
এ কৌতুহলের অনেকটাই নিবৃত্তি ঘটিয়েছে এ গবেষণা।
এতে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মেয়েই অন্য যে কারো চেয়ে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করে। জীবনসঙ্গী, মা ছাড়াও সবচেয়ে ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে পুরোপুরি ভিন্ন ব্যাপার নিয়ে তারা কথা বলে।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, মেয়েরা জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বেশির ভাগ সময় কাজের কথাই বলে । অন্যদিকে, সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে গালগল্প করে সবচেয়ে বেশি।
এছাড়া ৩৬ শতাংশ নারী গোপন কথা চাপা রাখে না। বিশ্বাস করে যারা তাদেরকে গোপন কথা কলে তা তারা প্রায়ই তাদের জীবনসঙ্গীকে বলে দেয়।
ফার্স্ট ইমপ্রেশন: মাত্র ১১৯ সেকেন্ডেই
লন্ডন, ডিসেম্বর ২৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- কারো সম্পর্কে ‘ফার্স্ট
ইমপ্রেশন’ তৈরি হয় মাত্র ১১৯ সেকেন্ডে। যুক্তরাজ্যের নতুন এক গবেষণায় এ
তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে দেখা গেছে, প্রতি ১০ জনে ৮ জনের বেশি (৮৪ শতাংশ) ব্রিটিশ ফার্স্ট ইমপ্রেশনের মাধ্যমেই কোন ব্যক্তিকে বিচার করে।
এছাড়া, প্রতি ১০ জনে ১ জন (৯ শতাংশ) ফার্স্ট ইমপ্রেশনে কোন ব্যক্তি সম্পর্কে যা ধারণা তৈরি হয়েছে তা বদলাতে চায় না।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছে, ‘এক্সপেরিয়ান ক্রেডিট এক্সপার্ট’ নামক যুক্তরাজ্যের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান । আর গবেষণাটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের ‘দ্য ডেইলি স্টার’ পত্রিকা।
এতে আরো দেখা গেছে, সুন্দর হাসি ও পরিচ্ছন্ন চুল ভালো ফার্স্ট ইমপ্রেশন তৈরিতে সবচেয়ে বেশি সহায়ক।
অন্যদিকে, কারো মুখের দুর্গন্ধ তার সম্পর্কে বাজে ধারণা তৈরি করে।
এক্সপেরিয়ানের ইন্টারএ্যকটিভ কর্মকর্তা পিটার টার্নার বলেছেন, “ডেটিং, চাকরির সাক্ষাৎকার, ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করা অথবা শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের সামনেই মূলত ফার্স্ট ইমপ্রেশনের ব্যাপরটি আসে।”
এতে দেখা গেছে, প্রতি ১০ জনে ৮ জনের বেশি (৮৪ শতাংশ) ব্রিটিশ ফার্স্ট ইমপ্রেশনের মাধ্যমেই কোন ব্যক্তিকে বিচার করে।
এছাড়া, প্রতি ১০ জনে ১ জন (৯ শতাংশ) ফার্স্ট ইমপ্রেশনে কোন ব্যক্তি সম্পর্কে যা ধারণা তৈরি হয়েছে তা বদলাতে চায় না।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছে, ‘এক্সপেরিয়ান ক্রেডিট এক্সপার্ট’ নামক যুক্তরাজ্যের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান । আর গবেষণাটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের ‘দ্য ডেইলি স্টার’ পত্রিকা।
এতে আরো দেখা গেছে, সুন্দর হাসি ও পরিচ্ছন্ন চুল ভালো ফার্স্ট ইমপ্রেশন তৈরিতে সবচেয়ে বেশি সহায়ক।
অন্যদিকে, কারো মুখের দুর্গন্ধ তার সম্পর্কে বাজে ধারণা তৈরি করে।
এক্সপেরিয়ানের ইন্টারএ্যকটিভ কর্মকর্তা পিটার টার্নার বলেছেন, “ডেটিং, চাকরির সাক্ষাৎকার, ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করা অথবা শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের সামনেই মূলত ফার্স্ট ইমপ্রেশনের ব্যাপরটি আসে।”
কেউই ‘মি.পারফেক্ট’ নয়
ঢাকা, ২০ ডিসেম্বর (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- কোনো পুরুষই নির্খুঁত নয়।
বিশেষ করে নারীর দৃষ্টিতে ‘মি.পারফেক্ট’ না কেউই। বেশিরভাগ নারীই তার
সঙ্গীকে মাত্র ৬৯ শতাংশ নিখুঁত মনে করে। এমন তথ্যই পাওয়া গেছে নতুন এক
জরিপে।
প্রথমেই একজন নারীকে আকৃষ্ট করে পুরুষের আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব। এরপর তার রসবোধ এবং চেহারায় কোনো নারী আকৃষ্ট হয়।
অন্যদিকে, জীবনসঙ্গীনির বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সহজভাবে মিশতে না পারা, তাদের গাড়ি চালনা নিয়ে উপহাস করা এবং একসঙ্গে বহুমুখী কাজ করতে না পারাকেই নারীরা পুুরুষের সবচেয়ে বড় দোষ হিসেবে দেখে।
কোন বিষয়গুলো নারীর চোখে একজন পুরুষকে নিঁখুত করে তোলে- এ প্রশ্নের জবাবে বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য।
পুরুষের দোষ-ত্র“টিগুলো কী জানতে চাওয়া হলে জরিপে অংশ নেওয়া নারীরা এমনই জবাব দিয়েছেন।
পুরুষের অন্যান্য দোষ-ত্র“টির মধ্যে উঠে এসেছে টয়লেটের দরজা খোলা রাখা, অতিরিক্ত খেলা দেখা এবং নিজেকে পরিপাটি করে রাখার প্রবণতা কম থাকার মতো বিষয়গুলো।
তাছাড়া, নখ না কাটা, উশকো-খুশকো দাড়ি রাখা এবং অতিরিক্ত মা-পাগল পুরুষকে নারীরা মোটেই ভাল চোখে দেখে না।
২০০০ নারীর ওপর জরিপটি চালিয়েছে যুক্তরাজ্যের রূপচর্চাকারী প্রতিষ্ঠান ‘রেমিংটন’। এর ফল প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে ‘দ্য ডেইলি মেইল’।
রেমিংটনের বিপণন পরিচালক নিক্কি ম্যাকরেনল্ডস বলেছেন, “দেখা যাচ্ছে নারীরা তার জীবনসঙ্গীর মাঝে যে বিষয়গুলো খুঁজে পেতে চায় সেক্ষেত্রে তারা খুবই বাস্তববাদী
প্রথমেই একজন নারীকে আকৃষ্ট করে পুরুষের আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব। এরপর তার রসবোধ এবং চেহারায় কোনো নারী আকৃষ্ট হয়।
অন্যদিকে, জীবনসঙ্গীনির বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সহজভাবে মিশতে না পারা, তাদের গাড়ি চালনা নিয়ে উপহাস করা এবং একসঙ্গে বহুমুখী কাজ করতে না পারাকেই নারীরা পুুরুষের সবচেয়ে বড় দোষ হিসেবে দেখে।
কোন বিষয়গুলো নারীর চোখে একজন পুরুষকে নিঁখুত করে তোলে- এ প্রশ্নের জবাবে বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য।
পুরুষের দোষ-ত্র“টিগুলো কী জানতে চাওয়া হলে জরিপে অংশ নেওয়া নারীরা এমনই জবাব দিয়েছেন।
পুরুষের অন্যান্য দোষ-ত্র“টির মধ্যে উঠে এসেছে টয়লেটের দরজা খোলা রাখা, অতিরিক্ত খেলা দেখা এবং নিজেকে পরিপাটি করে রাখার প্রবণতা কম থাকার মতো বিষয়গুলো।
তাছাড়া, নখ না কাটা, উশকো-খুশকো দাড়ি রাখা এবং অতিরিক্ত মা-পাগল পুরুষকে নারীরা মোটেই ভাল চোখে দেখে না।
২০০০ নারীর ওপর জরিপটি চালিয়েছে যুক্তরাজ্যের রূপচর্চাকারী প্রতিষ্ঠান ‘রেমিংটন’। এর ফল প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে ‘দ্য ডেইলি মেইল’।
রেমিংটনের বিপণন পরিচালক নিক্কি ম্যাকরেনল্ডস বলেছেন, “দেখা যাচ্ছে নারীরা তার জীবনসঙ্গীর মাঝে যে বিষয়গুলো খুঁজে পেতে চায় সেক্ষেত্রে তারা খুবই বাস্তববাদী
বীনা মালিক গোপনে পাকিস্তানে
ঢাকা, ডিসেম্বর ১৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- নগ্ন ছবি ছাপিয়ে বলিউডে ঝড়
তোলা পাকিস্তানি অভিনেত্রী বীনা মালিক গোপনে স্বদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
রোববার মুম্বাই থেকে তার নিখোঁজ হওয়ার খবর প্রকাশ করেছিলো টাইমস অফ ইন্ডিয়া। পরে পাকিস্তানে দি নিউজ জানায়, গোপনে নিজের দেশে ফিরেছেন এই অভিনেত্রী।
বাড়ি পাকিস্তানে হলেও বীনা মালিক সা¤প্রতিক সময়ে ভারতে একটি আলোচিত নাম। একটি সাময়িকীতে তার নগ্ন ছবি প্রকাশ হলে তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
বীনা মালিককে পাকিস্তানে মৃত্যুর হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগও এসেছে। আর এর মধ্যেই এই অভিনেত্রীর ‘নিখোঁজ’ সংবাদ জানায় টাইমস অফ ইন্ডিয়া।
‘মুম্বাই ১৩৫ কিলোমিটার’ নামে বলিউডের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন বীনা, কিছুদিন ধরে এর শুটিংও চলছে। শুক্রবার থেকে বীনা শুটিংয়ে যাচ্ছিলেন না বলে জানান চলচ্চিত্রটির নির্মাতা হেমন্ত মধুকর।
তিনি টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেন, “১৫ দিন ধরে নিয়মিত শুটিংয়ে আসছিলো বীনা। প্রতিদিনই একটি গাড়ি তাকে আনতে যায় এবং দিয়ে আসে। কিন্তু শুক্রবার থেকে সে আর আসছে না।”
বৃহস্পতিবার শুটিং শেষে যাওয়ার সময় বীনাকে বেশ বিমর্ষ লাগছিলো বলে জানান হেমন্ত। তিনি বলেন, “শুক্রবার সকালে সে একটি এসএমএস পাঠায় যে তার শরীর ভালো নেই এবং ব্যক্তিগত কিছু বিষয় নিয়ে সে খুবই আপসেট।”
“এরপর থেকে যতবারই ফোন করি, তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাচ্ছি,” বলেন হেমন্ত।
বীনার হঠাৎ এই অন্তর্ধান নিয়ে তার ম্যানেজার প্রতীক মেহতা টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেছেন, “আমি খুব শিগগিরই থানায় অভিযোগ করবো। শুধু অপেক্ষা করছি, আমাদের আইনজীবীর জন্য।”
তবে এরই মধ্যে দ্য নিউজ জানায়, শুক্রবার ওয়াগা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে ঢুকেছেন বীনা।
বিভিন্ন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, বীনার পাসপোর্ট তার প্রকৃত নামে। আর তিনি সীমান্ত পেরিয়েছেন বোরকা পরে। ফলে জাহিদা নামে বোরকা পরা নারীর আড়ালে যে বীনা ছিলেন, তা কারো নজরে পড়েনি।
পত্রিকাটির খবর, বীনানে সীমান্তে দিয়ে গেছেন তার বন্ধু অস্মিত প্যাটেল। বীনা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে উঠেছেন লাহোরে।
রোববার মুম্বাই থেকে তার নিখোঁজ হওয়ার খবর প্রকাশ করেছিলো টাইমস অফ ইন্ডিয়া। পরে পাকিস্তানে দি নিউজ জানায়, গোপনে নিজের দেশে ফিরেছেন এই অভিনেত্রী।
বাড়ি পাকিস্তানে হলেও বীনা মালিক সা¤প্রতিক সময়ে ভারতে একটি আলোচিত নাম। একটি সাময়িকীতে তার নগ্ন ছবি প্রকাশ হলে তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
বীনা মালিককে পাকিস্তানে মৃত্যুর হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগও এসেছে। আর এর মধ্যেই এই অভিনেত্রীর ‘নিখোঁজ’ সংবাদ জানায় টাইমস অফ ইন্ডিয়া।
‘মুম্বাই ১৩৫ কিলোমিটার’ নামে বলিউডের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন বীনা, কিছুদিন ধরে এর শুটিংও চলছে। শুক্রবার থেকে বীনা শুটিংয়ে যাচ্ছিলেন না বলে জানান চলচ্চিত্রটির নির্মাতা হেমন্ত মধুকর।
তিনি টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেন, “১৫ দিন ধরে নিয়মিত শুটিংয়ে আসছিলো বীনা। প্রতিদিনই একটি গাড়ি তাকে আনতে যায় এবং দিয়ে আসে। কিন্তু শুক্রবার থেকে সে আর আসছে না।”
বৃহস্পতিবার শুটিং শেষে যাওয়ার সময় বীনাকে বেশ বিমর্ষ লাগছিলো বলে জানান হেমন্ত। তিনি বলেন, “শুক্রবার সকালে সে একটি এসএমএস পাঠায় যে তার শরীর ভালো নেই এবং ব্যক্তিগত কিছু বিষয় নিয়ে সে খুবই আপসেট।”
“এরপর থেকে যতবারই ফোন করি, তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাচ্ছি,” বলেন হেমন্ত।
বীনার হঠাৎ এই অন্তর্ধান নিয়ে তার ম্যানেজার প্রতীক মেহতা টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেছেন, “আমি খুব শিগগিরই থানায় অভিযোগ করবো। শুধু অপেক্ষা করছি, আমাদের আইনজীবীর জন্য।”
তবে এরই মধ্যে দ্য নিউজ জানায়, শুক্রবার ওয়াগা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে ঢুকেছেন বীনা।
বিভিন্ন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, বীনার পাসপোর্ট তার প্রকৃত নামে। আর তিনি সীমান্ত পেরিয়েছেন বোরকা পরে। ফলে জাহিদা নামে বোরকা পরা নারীর আড়ালে যে বীনা ছিলেন, তা কারো নজরে পড়েনি।
পত্রিকাটির খবর, বীনানে সীমান্তে দিয়ে গেছেন তার বন্ধু অস্মিত প্যাটেল। বীনা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে উঠেছেন লাহোরে।
'নারী ছলনাময়ী'
লন্ডন, জানুয়ারি ০৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- সাধারণত ধারণা করা হয়
মেয়েরা তাদের জীবনসঙ্গীর প্রতি বেশি বিশ্বাসী ও অনুগত। কিন্তু এ ধারণাকে
ভুল প্রমাণ করেছেন ব্রিটেনের একদল গবেষক। তাদের মতে, ছেলেদের চেয়ে মেয়েরাই
বেশি প্রতারণা করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি পাঁচ জনে একজন বা ২০ শতাংশ নারী জানিয়েছেন, তারা যদি অন্য কোন পুরুষের প্রতি অনুরক্ত হন তবে ‘অবশ্যই’ তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়াবেন।
অন্যদিকে, এক্ষত্রে মাত্র ৯ শতাংশ পুরুষ তার সঙ্গীনির সঙ্গে প্রতারণা করবে বলে জানিয়েছেন।
৩ হাজার নারী-পুরুষের ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করেছে যুক্তরাজ্যের ঘটকালি প্রতিষ্ঠান ‘কফি এন্ড কোম্পানি’। গবেষণাটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের ‘দ্য সান’।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, ৩৫ থেকে ৪০ বছর বয়স্ক নারীরাই বেশি প্রতারণা করে। তাদের মধ্যে অনেকেই সন্তানহীনা যারা মাতৃত্বের স্বাদ পেতে অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়।
‘কফি এন্ড কোম্পানি’র প্রধান লরেইন এ্যাডামস বলেছেন, “কখনো কখনো বিবাহিত নারীর মাতৃত্বের বাসনা নৈতিক মূল্যবোধ ছাপিয়ে যায়।”
এছাড়া, গবেষণা অনুযায়ী, ১৫ শতাংশ পুরুষ প্রতারণা করেছে এমন স্ত্রী বা প্রেমিকাকে ক্ষমা করবে। অন্যদিকে, ১২ শতাংশ নারী তার সঙ্গীকে ক্ষমা করবে বলে জানিয়েছেন।
জরিপ অনুযায়ী, প্রায় এক-চতুর্থাংশ বা ২৫ শতাংশ অবিবাহিত নারী কোন বিবাহিত পুরুষের সাথে শারিরীক সম্পর্কে জড়াতে রাজি আছে বা এমন কারো সাথে দীর্ঘকালীন সম্পর্ক রাখতেও আপত্তি নেই।
অন্যদিকে, মাত্র ১২ শতাংশ অবিবাহিত পুরুষ কোন বিবাহিত নারীর সাথে শারিরীক সম্পর্কে জড়ানোর চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছে বা এমন একজনের সাথে দীর্ঘকালীন সম্পর্ক রাখতে রাজি আছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি পাঁচ জনে একজন বা ২০ শতাংশ নারী জানিয়েছেন, তারা যদি অন্য কোন পুরুষের প্রতি অনুরক্ত হন তবে ‘অবশ্যই’ তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়াবেন।
অন্যদিকে, এক্ষত্রে মাত্র ৯ শতাংশ পুরুষ তার সঙ্গীনির সঙ্গে প্রতারণা করবে বলে জানিয়েছেন।
৩ হাজার নারী-পুরুষের ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করেছে যুক্তরাজ্যের ঘটকালি প্রতিষ্ঠান ‘কফি এন্ড কোম্পানি’। গবেষণাটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের ‘দ্য সান’।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, ৩৫ থেকে ৪০ বছর বয়স্ক নারীরাই বেশি প্রতারণা করে। তাদের মধ্যে অনেকেই সন্তানহীনা যারা মাতৃত্বের স্বাদ পেতে অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়।
‘কফি এন্ড কোম্পানি’র প্রধান লরেইন এ্যাডামস বলেছেন, “কখনো কখনো বিবাহিত নারীর মাতৃত্বের বাসনা নৈতিক মূল্যবোধ ছাপিয়ে যায়।”
এছাড়া, গবেষণা অনুযায়ী, ১৫ শতাংশ পুরুষ প্রতারণা করেছে এমন স্ত্রী বা প্রেমিকাকে ক্ষমা করবে। অন্যদিকে, ১২ শতাংশ নারী তার সঙ্গীকে ক্ষমা করবে বলে জানিয়েছেন।
জরিপ অনুযায়ী, প্রায় এক-চতুর্থাংশ বা ২৫ শতাংশ অবিবাহিত নারী কোন বিবাহিত পুরুষের সাথে শারিরীক সম্পর্কে জড়াতে রাজি আছে বা এমন কারো সাথে দীর্ঘকালীন সম্পর্ক রাখতেও আপত্তি নেই।
অন্যদিকে, মাত্র ১২ শতাংশ অবিবাহিত পুরুষ কোন বিবাহিত নারীর সাথে শারিরীক সম্পর্কে জড়ানোর চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছে বা এমন একজনের সাথে দীর্ঘকালীন সম্পর্ক রাখতে রাজি আছে।
যৌন নিপীড়কের মাথা কেটে নিলেন রাজকুমারী
ঢাকা, জানুয়ারি ২০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- যৌন নিপীড়ণে অতিষ্ঠ হয়ে
নিপীড়কের শিরোচ্ছেদ করেছেন ভারতের মধ্য প্রদেশের এক নারী, যার নাম
রাজকুমারী।
শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বিবাহিত রাজকুমারী যার মাথা কেটেছেন, সেই শ্যামল যাদব একই গ্রাম আমোদার বাসিন্দা। রাজকুমারী এই হত্যাকাণ্ডেরও স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
হত্যার পর খণ্ডিত মস্তক নিয়ে সরাসরি মাজোলি থানায় যান রাজকুমারী। ঘটনা শুনে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রাজকুমারী থানায় সাংবাদিকদের বলেন, “এই ব্যক্তি আমাকে প্রায়ই যৌন নিপীড়ন করতো। আজ আমি তাকে একটি মাঠে ডেকে নিই এবং কুড়াল দিয়ে তার মাথায় চার বার আঘাত করি। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।”
শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বিবাহিত রাজকুমারী যার মাথা কেটেছেন, সেই শ্যামল যাদব একই গ্রাম আমোদার বাসিন্দা। রাজকুমারী এই হত্যাকাণ্ডেরও স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
হত্যার পর খণ্ডিত মস্তক নিয়ে সরাসরি মাজোলি থানায় যান রাজকুমারী। ঘটনা শুনে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রাজকুমারী থানায় সাংবাদিকদের বলেন, “এই ব্যক্তি আমাকে প্রায়ই যৌন নিপীড়ন করতো। আজ আমি তাকে একটি মাঠে ডেকে নিই এবং কুড়াল দিয়ে তার মাথায় চার বার আঘাত করি। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।”
মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা বেশি সামাজিক
লন্ডন, জানুয়ারি ২১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বন্ধুত্ব তৈরির ক্ষেত্রে
মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা বেশি সামাজিক। নতুন এক জরিপে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
দেখা গেছে, একজন ছেলের গড়ে ২৬ জন বন্ধু থাকে। অন্যদিকে, একজন মেয়ের গড়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু থাকে ১২ জন।
এতে আরো দেখা গেছে, মানুষের জীবনে সবচেয়ে বেশি বন্ধু থাকে ২১ বছর বয়সে। এ বয়সেই মানুষের বন্ধুত্ব তৈরির প্রবণতা থাকে সবচেয়ে বেশি।
এ ব্যাপারে ম্যাচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওফ বেত্তি বলেছেন, “২১ বছর বয়স খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। আর সেকারণেই ওই সময় বন্ধুও হয় অনেক।”
জরিপটি পরিচালনা করেছে প্রসাধন কোম্পানী ‘নিভিয়া’ এবং এর ফল প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের ‘দ্য ডেইলি স্টার’।
দেখা গেছে, একজন ছেলের গড়ে ২৬ জন বন্ধু থাকে। অন্যদিকে, একজন মেয়ের গড়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু থাকে ১২ জন।
এতে আরো দেখা গেছে, মানুষের জীবনে সবচেয়ে বেশি বন্ধু থাকে ২১ বছর বয়সে। এ বয়সেই মানুষের বন্ধুত্ব তৈরির প্রবণতা থাকে সবচেয়ে বেশি।
এ ব্যাপারে ম্যাচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওফ বেত্তি বলেছেন, “২১ বছর বয়স খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। আর সেকারণেই ওই সময় বন্ধুও হয় অনেক।”
জরিপটি পরিচালনা করেছে প্রসাধন কোম্পানী ‘নিভিয়া’ এবং এর ফল প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের ‘দ্য ডেইলি স্টার’।
গম্ভীর ছেলেদের পছন্দ করে মেয়েরা
লন্ডন, জানুয়ারি ৩১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)- হাশিখুশি নয়, বরং
গম্ভীর ছেলেদের পছন্দ করে মেয়েরা। অন্যদিকে, ছেলেদের ভাললাগার ব্যাপারটি
পুরোপুরি বিপরীত, তারা হাশিখুশি মেয়েই পছন্দ করে। নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য
বেরিয়ে এসেছে।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, যেসব ছেলের চেহারায় গর্ব ও লজ্জার অনুভূতি ফুটে উঠে তারা সহজেই নারী হৃদয় জয় করতে পারে।
গবেষকরা বলেছেন, হাশিখুশি মেয়েদের অনুগত ও অবলা হিসেবে দেখা হয় বলে সম্ভবত ছেলেরা তাদের পছন্দ করে।
অন্যদিকে, গবেষক জেসিকা ট্রেসি বলেছেন, “গর্ব হতে পারে পুরুষের আত্মবিশ্বাস এবং জীবনসঙ্গিনী ও সন্তান ভরণ পোষণ করার মত সামর্থ্যরে ইঙ্গিতবাহী সূচক।”
আর তাই চেহারায় গর্বের ছাপ থাকলে তাকে পছন্দ করে মেয়েরা।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানীরা।
আমেরিকান সাইকোলোজিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশিত ‘ইমোশন’ নামক সাময়িকী গবেষণার ফল প্রকাশ করেছে। আর গবেষণাটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে ‘দ্য হিন্দুস্তান টাইমস’।
গবেষণায় ১ হাজারের বেশি নারী-পুরুষকে এমন কিছু ছবি দেখানো হয় যেগুলোতে বিভিন্ন অভিব্যক্তির চেহারা ফুটে উঠেছে।
এরপর ভাললাগার ভিত্তিতে ছবিগুলোকে নাম্বার দিতে বলা হয়। ছবিগুলোতে কিছু ভাবলেশহীন চেহারাও ছিল।
এরপর দেখা যায়, মেয়েরা সবচেয়ে কম আকৃষ্ট হয়েছে হাশিখুশি পুরুষদের প্রতি। অন্যদিকে, গর্বে যাদের মাথা উঁচু তাদের প্রতি সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে তারা।
এছাড়া লাজুক চেহারার ছেলেদের প্রতিও তাদের আকর্ষণ দেখা গেছে।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, যেসব ছেলের চেহারায় গর্ব ও লজ্জার অনুভূতি ফুটে উঠে তারা সহজেই নারী হৃদয় জয় করতে পারে।
গবেষকরা বলেছেন, হাশিখুশি মেয়েদের অনুগত ও অবলা হিসেবে দেখা হয় বলে সম্ভবত ছেলেরা তাদের পছন্দ করে।
অন্যদিকে, গবেষক জেসিকা ট্রেসি বলেছেন, “গর্ব হতে পারে পুরুষের আত্মবিশ্বাস এবং জীবনসঙ্গিনী ও সন্তান ভরণ পোষণ করার মত সামর্থ্যরে ইঙ্গিতবাহী সূচক।”
আর তাই চেহারায় গর্বের ছাপ থাকলে তাকে পছন্দ করে মেয়েরা।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানীরা।
আমেরিকান সাইকোলোজিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশিত ‘ইমোশন’ নামক সাময়িকী গবেষণার ফল প্রকাশ করেছে। আর গবেষণাটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে ‘দ্য হিন্দুস্তান টাইমস’।
গবেষণায় ১ হাজারের বেশি নারী-পুরুষকে এমন কিছু ছবি দেখানো হয় যেগুলোতে বিভিন্ন অভিব্যক্তির চেহারা ফুটে উঠেছে।
এরপর ভাললাগার ভিত্তিতে ছবিগুলোকে নাম্বার দিতে বলা হয়। ছবিগুলোতে কিছু ভাবলেশহীন চেহারাও ছিল।
এরপর দেখা যায়, মেয়েরা সবচেয়ে কম আকৃষ্ট হয়েছে হাশিখুশি পুরুষদের প্রতি। অন্যদিকে, গর্বে যাদের মাথা উঁচু তাদের প্রতি সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে তারা।
এছাড়া লাজুক চেহারার ছেলেদের প্রতিও তাদের আকর্ষণ দেখা গেছে।
শুরু হচ্ছে গুগল কোড জ্যাম: অংশ নিন আপনিও
শুরু হচ্ছে গুগল কোড জ্যাম: অংশ নিন আপনিও
প্রতি বছরের মতো গুগল কোড জ্যাম-এর নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করলো গুগল। এটি মূলত সৃজনশীল ও প্রতিভাবান প্রোগ্রামারদের জন্য একটি গেম শো। তবে এটি বেশ কঠিন। খবর দি নেক্সট ওয়েবের।গুগল গত বছরও প্রোগ্রামার ও ডেভেলপারদের জন্য কোড জ্যামের আয়োজন করে। আর কিছুদিন আগেই গুগল তাদের ব্রাউজার গুগল ক্রোমে যে কোনো ত্রæটি বের করার একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করে বিজয়ীদের পুরস্কৃতও করেছে।
গত বছরের আয়োজনের চ‚ড়ান্ত পর্বে চ্যাম্পিয়ন মাকোটো সোজিমাকে বিড়ালদের জন্য একটি বাড়ি তৈরি করতে এবং তাদের খাবার পরিবেশন করতে বলা হয়েছিল। এর আগে বাড়িটি কী ধরনের হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেয়া হয়। এমনই অদ্ভূত সব সমস্যার সমাধান করতে দেয়া হয় গুগল কোড জ্যামে। সম্ভবত এ বছরও তেমনই কোনো সমস্যা নিয়ে অপেক্ষা করে আছে গুগল, এমনটাই মতামত দি নেক্সট ওয়েবের।
উল্লেখ্য, কোয়ালিফিকেশন রাউন্ড থেকে শুরু করে প্রায় সব রাউন্ডই ঘরে বসেই দেয়া যাবে। সাধারণত কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে প্রয়োজন ২৪ ঘণ্টা এবং এর পরের রাউন্ডগুলোতে ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট করে সময় বরাদ্দ থাকে। এভাবে বিভিন্ন রাউন্ড শেষে সর্বশেষ ২৫ জন প্রতিযোগী যাবেন গুগলের নিউ ইয়র্ক অফিসে ১০ হাজার ডলার এবং গুগল কোড জ্যাম চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার লক্ষ্যে।
এপ্রিলের ১৩ তারিখ থেকে শুরু হয়ে কোড জ্যামের সর্বশেষ প্রতিযোগিতা গুগলের নিউ ইয়র্ক অফিসে অনুষ্ঠিত হবে জুলাইয়ের ২৭ তারিখে।
গত বছরের কোডজ্যামের চূড়ান্ত সমস্যাটি পড়তে পারবেন এই লিংকে: http://pastebin.com/wZmTNzbd অথবা এর আগের বছরের কোড জ্যাম প্রবলেমগুলোও প্র্যাকটিস করতে পারবেন এই লিংক থেকে- http://code.google.com/codejam/contests.html
এছাড়াও আগ্রহীরা গুগল কোড জ্যামের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন এই ঠিকানা থেকে- http://code.google.com/codejam/contest/registration
'জুম'-এর পর মটোরোলা আনছে 'জিবোর্ড'
'জুম'-এর পর মটোরোলা আনছে 'জিবোর্ড'
মার্কিন ওয়্যারলেস জায়ান্ট মটোরোলা নতুন ব্র্যান্ডের দুটি ট্যাবলেট কম্পিউটার তৈরি করছে বলেই তথ্য ফাঁস হয়েছে। খবর সিনেট-এর।বর্তমানে বাজারে মটোরোলার তৈরি ‘জুম’ ট্যাবলেট রয়েছে। এবার মটোরোলার তৈরি রেজর ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন থেকে উৎসাহ নিয়ে ‘জিবোর্ড’ নামে দুটি ট্যাবলেট তৈরি করছে বলেই তথ্য ফাঁস হয়েছে।
গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমচালিত এ দুটি ট্যাবলেটের স্ক্রিন সাইজ হবে ৮ ইঞ্চি এবং ১০ ইঞ্চি। ডুয়াল কোর প্রসেসর এবং এনভিডিয়ার তৈরি টেগ্রা প্রসেসর থাকবে ডিভাইসদুটিতে। গরিলা গ্লাস, ক্যামেরা এবং ১ গিগাবাইট র্যামযুক্ত ডিভাইসদুটি দেখতে হবে রেজর স্মার্টফোনের মতো।
ডিভাইসদুটির দাম হতে পারে ৬০০ ডলার এবং ৮০০ ডলার। আগামী বছরই এ ডিভাইসদুটি বাজারে চলে আসতে পারে।
৫ ইঞ্চি পর্দার স্মার্টফোন আনছে লেনোভো
এবার
স্মার্টফোন বাজারে পা রাখছে ল্যাপটপ নির্মাতা লেনোভো। লেনেভো কর্তৃপক্ষ ৫
ইঞ্চি স্ক্রিনের একটি স্মার্টফোন তৈরি করছে বলেই খবর রটেছে। খবর
ম্যাশএবল-এর।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমানে স্মার্টফোনের বাজারে স্ক্রিনের মাপে বৈচিত্র্য এসেছে। সবাই এখন বড়ো মাপের স্ক্রিনের দিকেই ঝুঁকছে। এদিকে, ট্যাবলেট কম্পিউটারের আকার আবার ছোটো হচ্ছে। এ দুইয়ের মাঝামাঝি আকারের ডিভাইসগুলোই এখন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। তাই লেনোভো ৫ ইঞ্চি মাপের স্মার্টফোন তৈরির পথ বেছে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বাজারে বড়ো আকারের স্মার্টফোন হিসেবে ৪.৭ ইঞ্চি মাপের এইচটিসি টাইটান এবং ৫.৩ ইঞ্চি মাপের স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট স্মার্টফোন দুটি রয়েছে।
লেনোভোর আইডিয়া ট্যাবলেটের ছোটো সংস্করণই হতে পারে ৫ ইঞ্চি মাপের এ ডিভাইসটি। এতে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে গুগল অ্যান্ড্রয়েডের সাম্প্রতিক সংস্করণটিই থাকতে পারে।
২০১২ সালের সিইএস মেলায় এ স্মার্টফোনটির ঘোষণা দিতে পারে লেনোভো কর্তৃপক্ষ।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমানে স্মার্টফোনের বাজারে স্ক্রিনের মাপে বৈচিত্র্য এসেছে। সবাই এখন বড়ো মাপের স্ক্রিনের দিকেই ঝুঁকছে। এদিকে, ট্যাবলেট কম্পিউটারের আকার আবার ছোটো হচ্ছে। এ দুইয়ের মাঝামাঝি আকারের ডিভাইসগুলোই এখন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। তাই লেনোভো ৫ ইঞ্চি মাপের স্মার্টফোন তৈরির পথ বেছে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বাজারে বড়ো আকারের স্মার্টফোন হিসেবে ৪.৭ ইঞ্চি মাপের এইচটিসি টাইটান এবং ৫.৩ ইঞ্চি মাপের স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট স্মার্টফোন দুটি রয়েছে।
লেনোভোর আইডিয়া ট্যাবলেটের ছোটো সংস্করণই হতে পারে ৫ ইঞ্চি মাপের এ ডিভাইসটি। এতে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে গুগল অ্যান্ড্রয়েডের সাম্প্রতিক সংস্করণটিই থাকতে পারে।
২০১২ সালের সিইএস মেলায় এ স্মার্টফোনটির ঘোষণা দিতে পারে লেনোভো কর্তৃপক্ষ।
আসছে ৮.৯ ইঞ্চির কিন্ডল ফায়ার
অনলাইন
রিটেইল জায়ান্ট অ্যামাজন কিন্ডল ফায়ার ট্যাবলেটের নতুন সংস্করণের আনছে
বলেই খবর রটেছে। নতুন সংস্করণের এ ডিভাইসটির পর্দাম মাপ হবে ৮.৯ ইঞ্চি।
বাজারে ৮.৯ ইঞ্চির ট্যাবলেট হিসেবে এটিই হবে প্রথম। খবর সিনেট-এর।
৭ ইঞ্চি মাপের কিন্ডল ফায়ারের পরবর্তী সংস্করণ হিসেবে অ্যামাজন ১০.১ ইঞ্চি মাপের নতুন ট্যাবলেট আনতে পারে বলেই খবর রটেছিলো। কিন্তু ট্যাবলেট বিপননকারীরা নাকি বাজারে থাকা ৯.৭ এবং ১০.১ ইঞ্চি মাপের ট্যাবলেটের আধিক্য থাকায় নতুন সংস্করণের মাপে ভিন্নতা চেয়েছে। তাই, অ্যামাজন কিন্ডল ফায়ারের পরবর্তী সংস্করণ হিসেবে ৮.৯ ইঞ্চি মাপের ট্যাবলেটই তৈরি করবে।
২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে এ ডিভাইসটি বাজারে আসবে।
খবর রটেছে, অ্যামাজন ট্যাবলেট তৈরি করতে তাউওয়ানিজ যন্ত্রাংশ নির্মাতা ফক্সকনকে পাচ্ছে না। কারণ, অ্যাপল-এর পণ্য তৈরি করতে ফক্সকন ইতোমধ্যে বুক হয়ে রয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বাজারে এসেছে অ্যামাজনের ৭ ইঞ্চি মাপের কিন্ডল ফায়ার ট্যাবলেট। মাত্র ১৯৯ ডলারের এ ট্যাবলেটি বিক্রিতে অ্যামজন লসও গুনছে। কিন্তু জনপ্রিয়তার কারণে এবার স্মার্টফোন বাজারেও অ্যামাজনের পা পড়ছে বলেই খবর রটেছে।
৭ ইঞ্চি মাপের কিন্ডল ফায়ারের পরবর্তী সংস্করণ হিসেবে অ্যামাজন ১০.১ ইঞ্চি মাপের নতুন ট্যাবলেট আনতে পারে বলেই খবর রটেছিলো। কিন্তু ট্যাবলেট বিপননকারীরা নাকি বাজারে থাকা ৯.৭ এবং ১০.১ ইঞ্চি মাপের ট্যাবলেটের আধিক্য থাকায় নতুন সংস্করণের মাপে ভিন্নতা চেয়েছে। তাই, অ্যামাজন কিন্ডল ফায়ারের পরবর্তী সংস্করণ হিসেবে ৮.৯ ইঞ্চি মাপের ট্যাবলেটই তৈরি করবে।
২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে এ ডিভাইসটি বাজারে আসবে।
খবর রটেছে, অ্যামাজন ট্যাবলেট তৈরি করতে তাউওয়ানিজ যন্ত্রাংশ নির্মাতা ফক্সকনকে পাচ্ছে না। কারণ, অ্যাপল-এর পণ্য তৈরি করতে ফক্সকন ইতোমধ্যে বুক হয়ে রয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বাজারে এসেছে অ্যামাজনের ৭ ইঞ্চি মাপের কিন্ডল ফায়ার ট্যাবলেট। মাত্র ১৯৯ ডলারের এ ট্যাবলেটি বিক্রিতে অ্যামজন লসও গুনছে। কিন্তু জনপ্রিয়তার কারণে এবার স্মার্টফোন বাজারেও অ্যামাজনের পা পড়ছে বলেই খবর রটেছে।
এবারে এলো ভিউসনিকের ৭ ইঞ্চি ট্যাবলেট
বাজারে
ক্রমশ ৭ ইঞ্চি ট্যাবলেটের প্রচলন তৈরি হচ্ছে। সে ধারাবাহিকতায় এবার
যুক্তরাষ্ট্রের ভোগ্যপণ্য নির্মাতা ভিউসনিক কর্পোরেশন একটি ৭ ইঞ্চি
ট্যাবলেট বাজারে আনলো। নতুন এ ট্যাবলেটটির নাম ‘ভিউপ্যাড ৭ই।’ খবর
সিনেট-এর।
চলতি মাসেই এ ডিভাইসটি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পাওয়া যাবে। দাম পড়বে প্রায় ২০০ ডলার।
৭ ইঞ্চি ডিসপ্লের এ ডিভাইসটিতে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ২.৩ বা জিঞ্জারব্রেড অপারেটিং সিস্টেম। এতে ফিচার হিসেবে রয়েছে থ্রিডি যাকে বলা হচ্ছে হলোগ্রাফিক ভিজুয়াল ইফেক্ট। ১ গিগাহার্টজ প্রসেসর, ৪ গিগাবাইট স্টোরেজ, মাইক্রো-এইচডিএমআই পোর্ট, পেছনে ৩ মেগাপিক্সেল এবং সামনে ০.৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ভিডিও চ্যাট, মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট এবং ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত মেমোরি ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে।
ডিভাইসটিতে রয়েছে বিল্ট ইন টুইটারসহ বেশকিছু অ্যাপ্লিকেশন। এ ছাড়াও আছে হাইডেফিনেশন টিভি দেখার সুবিধাও।
ভিউসনিকের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল হলস্টেন জানিয়েছেন, মোবাইল মাল্টিমিডিয়া‘র ক্ষেত্রে দারুণ অভিজ্ঞতা দেবে ভিউসনিকের ভিউপ্যাড ৭ই।
উল্লেখ্য, সম্প্রতিই ৭ ইঞ্চি মাপের ‘কিন্ডল ফায়ার’ নামের একটি ট্যাবলেট বাজারে এনেছে অ্যামাজন। এ ডিভাইসটির দামও প্রায় ২০০ ডলার।
চলতি মাসেই এ ডিভাইসটি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পাওয়া যাবে। দাম পড়বে প্রায় ২০০ ডলার।
৭ ইঞ্চি ডিসপ্লের এ ডিভাইসটিতে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ২.৩ বা জিঞ্জারব্রেড অপারেটিং সিস্টেম। এতে ফিচার হিসেবে রয়েছে থ্রিডি যাকে বলা হচ্ছে হলোগ্রাফিক ভিজুয়াল ইফেক্ট। ১ গিগাহার্টজ প্রসেসর, ৪ গিগাবাইট স্টোরেজ, মাইক্রো-এইচডিএমআই পোর্ট, পেছনে ৩ মেগাপিক্সেল এবং সামনে ০.৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ভিডিও চ্যাট, মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট এবং ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত মেমোরি ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে।
ডিভাইসটিতে রয়েছে বিল্ট ইন টুইটারসহ বেশকিছু অ্যাপ্লিকেশন। এ ছাড়াও আছে হাইডেফিনেশন টিভি দেখার সুবিধাও।
ভিউসনিকের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল হলস্টেন জানিয়েছেন, মোবাইল মাল্টিমিডিয়া‘র ক্ষেত্রে দারুণ অভিজ্ঞতা দেবে ভিউসনিকের ভিউপ্যাড ৭ই।
উল্লেখ্য, সম্প্রতিই ৭ ইঞ্চি মাপের ‘কিন্ডল ফায়ার’ নামের একটি ট্যাবলেট বাজারে এনেছে অ্যামাজন। এ ডিভাইসটির দামও প্রায় ২০০ ডলার।
গ্যালাক্সি ট্যাব ৭.০ প্লাস আসছে নভেম্বরে
কোরিয়ান ইলেকট্রনিক জায়ান্ট স্যামসাং তাদের পোর্টফোলিওতে নতুন একটি ট্যাবলেট যোগ করার ঘোষণা দিয়েছে। নতুন এ ট্যাবলেটটি যোগ হচ্ছে জনপ্রিয় গ্যালাক্সি সিরিজে। ‘গ্যালাক্সি ৭.০ প্লাস’ নামের ডিভাইসটি বাজারে আনার তারিখ এবং ডিভাইসের দামও ঘোষণা করেছে স্যামসাং। খবর সিনেট-এর।গ্যালাক্সি ট্যাবের নতুন এ সংস্করণটি হবে অ্যান্ড্রয়েড ৩.২ বা হানিকম্বচালিত। ৭ ইঞ্চি ডিসপ্লের এ ডিভাইসটিতে ১.২ গিগাহার্টজ ডুয়াল কোর প্রসেসর, ওয়াইফাই, থ্রিজি, ১৬/৩২ গিগাবাইট স্টোরেজ, ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত মাইক্রোএসডি কার্ড ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। ৩৪৫ গ্রাম ওজনের এ ট্যাবলেটটিতে পেছনের দিকে ৩ মেগাপিক্সেল এবং সামনের দিকে ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরাও থাকছে। এতে আরো রয়েছে ইনফ্রারেড ট্রান্সমিটার যা ইউনিভার্সাল রিমোট কন্ট্রোলার হিসেবেও এ ডিভাইসটি ব্যবহারের সুবিধা দেবে।
১৬ গিগাবাইট স্ট্রোরেজ ক্ষমতার ডিভাইসটি ১৩ নভেম্বর বাজারে আসবে। ডিভাইসটির দাম পড়বে প্রায় ৪০০ ডলার। অ্যামাজন, বেস্ট বাই, ফ্রাই, টাইগার ডিরেক্ট নামের অনলাইন রিটেইলারদের কাছে এ ডিভাইসটি পাওয়া যাবে।
৩২ গিগাবাইট মডেলের ডিভাইসটি কবে নাগাদ বাজারে আসবে সে বিষয়ে এখনও জানায়নি স্যামসাং।
তেড়ে আসছে সৌরঝড়
তেড়ে আসছে সৌরঝড়
কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরঝড় শিগগিরই তেড়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। এর ফলে পৃথিবীর বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা, স্যাটেলাইট নেভিগেশন এবং অন্যান্য প্রযুক্তি সাময়িক সমস্যায় পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর ম্যাশএবল-এর।সূত্র মতে, সূর্য মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘করোনাল মাস ইজেকশন’ রিলিজ করেছে যা এক প্রকার শক্তিশালী প্লাসমার বিস্ফোরণ। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার পর্যন্ত এর প্রভাব পৃথিবীতে এসে পড়তে পারে।
এ প্রসঙ্গে মার্কিন স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টারের প্রধান বব রুটলেজ জানিয়েছেন, ঝড়টি খুব ভীতিকর না হলেও সাম্প্রতিক সময়ে খুব একটা সৌরঝড়ের মুখোমুখি হয়নি পৃথিবী। তাই এ নিয়ে সরকারের স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার কিছুটা চিন্তিত।
বাজারে আসার আগেই নতুন আইপ্যাড শেষ
ঘোষণা
দেয়ার মাত্র ২৪ ঘণ্টা হতে না হতেই কমে আসছে অ্যাপলের ‘নতুন’ আইপ্যাডের
স্টক। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ১৬ মার্চ বাজারে আসার কথা থাকলেও
সেদিনের জন্য সাদা রঙের আইপ্যাড আর স্টকে নেই। খবর দি নেক্সট ওয়েবের।
সূত্র জানিয়েছে, এটিঅ্যান্ডটি ক্যারিয়ারের সাদা রঙের ফোর জি আইপ্যাড প্রিঅর্ডার করতে গেলে ডেলিভারির তারিখ দেখানো হচ্ছে ১৯ মার্চ। এর কারণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে, ১৬ মার্চে ডেলিভারি দেয়ার মতো সব আইপ্যাড বিক্রি শেষ করে ফেলেছে অ্যাপল। তবে ৩২ গিগাবাইটের কিছু কিছু আইপ্যাড এখনো ১৬ মার্চেই পাওয়া যাচ্ছে।
দি নেক্সট ওয়েব জানিয়েছে, সাদা ডিভাইসের প্রতিই ক্রেতারা বেশি আকৃষ্ট। কেননা, সাদা প্রায় সব আইপ্যাড বিক্রি হয়ে গেলেও যেকোনো স্টোরেজ ক্যাপাসিটির কালো আইপ্যাড এখনো পাওয়া যাচ্ছে পূর্ব নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই।
সূত্র জানিয়েছে, এটিঅ্যান্ডটি ক্যারিয়ারের সাদা রঙের ফোর জি আইপ্যাড প্রিঅর্ডার করতে গেলে ডেলিভারির তারিখ দেখানো হচ্ছে ১৯ মার্চ। এর কারণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে, ১৬ মার্চে ডেলিভারি দেয়ার মতো সব আইপ্যাড বিক্রি শেষ করে ফেলেছে অ্যাপল। তবে ৩২ গিগাবাইটের কিছু কিছু আইপ্যাড এখনো ১৬ মার্চেই পাওয়া যাচ্ছে।
দি নেক্সট ওয়েব জানিয়েছে, সাদা ডিভাইসের প্রতিই ক্রেতারা বেশি আকৃষ্ট। কেননা, সাদা প্রায় সব আইপ্যাড বিক্রি হয়ে গেলেও যেকোনো স্টোরেজ ক্যাপাসিটির কালো আইপ্যাড এখনো পাওয়া যাচ্ছে পূর্ব নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই।
নতুন আইপ্যাড: কেন কিনবেন অথবা কিনবেন না
প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অ্যাপল বাজারে আনলো ‘নতুন আইপ্যাড।’ সবাই আইপ্যাড ৩ আশা করলেও অ্যাপল নতুন কোনো ‘যুগান্তকারী ফিচার’ না এনে বরং আগের ফিচারগুলেরই যথেষ্ট উন্নত সংস্করণের আইপ্যাড বাজারে আনার ঘোষণা দিলো। আর এর ফলে প্রযুক্তি বিশ্বে শুরু হয়েছে নতুন এক বিতর্ক। নতুন আইপ্যাড কেনা ঠিক হবে কি-না।
যেসব বৈশিষ্ট্য নিয়ে নতুন আইপ্যাডের ঘোষণা দেয়া হয়েছে, সেসব বৈশিষ্ট্য এখনই নতুন একটি আইপ্যাড কেনার জন্য যথেষ্ট কি না এ নিয়েই মূলত শুরু হয়েছে এই বিতর্ক।
নতুন আইপ্যাডের অন্যতম বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে এর রেটিনা ডিসপ্লে যার রেজুলিউশন ২০৪৮ বাই ১৫৩৬ পিক্সেল, এ৫এক্স প্রসেসর, কোয়াড কোর গ্রাফিক্স সিস্টেম, ৫ মেগাপিক্সেল আইসাইট ক্যামেরা এবং ফুল এইচডি ভিডিও রেকর্ড করার সুবিধা। কিন্তু এতোকিছুর পরও বিশেষজ্ঞরা বলছেন নতুন আইপ্যাড কেনার আগে কিছু বিষয় যাচাই করে নেয়া উচিত। এমবি ডটকম অবলম্বনে সেসব বিবেচ্য বিষয়গুলোই নিচে তুলে ধরা হলো।
যে কারণে নতুন আইপ্যাড কিনতে পারেন
১. আপনি যদি মুভি বা সিনেমার ভক্ত হন এবং প্রচুর মুভি দেখে থাকেন, তাহলে আইপ্যাডের ৯.৭ ইঞ্চি আকারের রেটিনা ডিসপ্লে এইচডি মুভি দেখার জন্য অতুলনীয় হতে পারে। এইচডি সিনেমা দেখার জন্য এবং অন্য হাই রেজুলিউশনের গ্রাফিক্স প্রয়োজন এমন কাজের জন্য চলতি পথে নতুন আইপ্যাড হতে পারে আদর্শ। এর গ্রাফিক্স প্রসেসর আগের মডেলের তুলনায় চারগুন ক্ষমতাসম্পন্ন।
২. আপনি যদি ট্যাবলেট ডিভাইস ব্যবহার করে ছবি তুলতে পছন্দ করেন এবং তা কম্পিউটারে না পাঠিয়েই ছোটখাটো এডিটিং বা সম্পাদনার কাজ করতে চান, তাহলে নতুন আইপ্যাড আপনার জন্য আদর্শ সঙ্গী হিসেবে কাজে আসবে। এর নতুন শক্তিশালী প্রসেসরের সাহায্যে অনেক কাজ একসঙ্গে খুব সহজেই করা যায়। শখের ফটোগ্রাফাররা খেয়াল রাখুন, নতুন আইপ্যাডে আপনি পাবেন ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন সুবিধা। এর ফলে ছবি তোলা বা ভিডিও করার সময় হাত কেঁপে গেলেও আপনার তোলা ছবিতে বা ভিডিওতে সেই ঝাঁকুনি টের পাওয়া যাবে না।
৩. আপনি যদি অনেক ভ্রমণ করে থাকেন এবং ৪জি প্রযুক্তির ইন্টারনেট সুবিধা পেতে চান, তাহলে নতুন আইপ্যাড আপনার কাজে আসবে। আজ যদি আপনি নতুন আইপ্যাড কেনেন, তবে বাংলাদেশে যখন ফোর জি নেটওয়ার্ক চালু হবে, তখন আপনাকে আর ডেটা স্পিড নিয়ে ভাবতে হবে না। তবে ফোর জি নেটওয়ার্ক না পেলে এটি সহজেই থ্রিজি সংযোগে পরিবর্তিত হয়ে যাবে। অন্য ট্যাবলেটগুলো যেখানে সর্ব্বোচ্চ ৭.৩ মেগাবিট পার সেকেন্ড ডাউনলোড করতে পারে, সেখানে নতুন আইপ্যাড-এর ডাউনলোড ক্ষমতা ৭৩ মেগাবিট/সেকেন্ড।
৪. আপনি যদি ‘লেটেস্ট ডিভাইস’-এর মালিক হতে পছন্দ করেন, তাহলে নতুন আইপ্যাড কিনতে পারেন। স্বাভাবিকভাবেই নতুন আইপ্যাড কেনার মতো সামর্থ্য থাকলে এবং বন্ধুমহলে তা দেখানোর ইচ্ছে থাকলে নতুন আইপ্যাড কেনা যেতে পারে। কেননা, অনেকেই আরো অনেক কিছু প্রত্যাশা করলেও একেবারেই খারাপ নয় অ্যাপলের নতুন আইপ্যাড।
যেসব কারণে আইপ্যাড কিনবেন না
১. আপনি যদি ইতোমধ্যেই কোনো ট্যাবলেট ডিভাইস ব্যবহার না করে থাকেন এবং যদি মনে হয় যে, ট্যাবলেটের চেয়ে নোটবুক কম্পিউটারেই আপনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তাহলে নতুন আইপ্যাড আপনার জন্য নয়। ট্যাবলেট ডিভাইসে যদি আপনি সহজে কাজ করতে না পারেন, তাহলে নতুন আইপ্যাডও কোনো চমক নয়। কেননা, এতে অন্যান্য ডিভাইস থেকে বৈশিষ্ট্য বেশি থাকলেও কাজ করে বাজারের প্রায় অন্যান্য সব ট্যাবলেট ডিভাইসের মতোই।
২. আপনি যদি অনেক মিডিয়া ফাইল ব্যবহার না করেন, অর্থাৎ খুব একটা মুভি না দেখেন, ছবি না দেখেন, ভিডিও, ক্যাটালগ এবং বিভিন্ন ম্যাগাজিন না পড়েন, তাহলে নতুন আইপ্যাড আপনার খুব একটা কাজে নাও আসতে পারে। অধিকাংশ মানুষই আইপ্যাডে সাধারণ ব্রাউজিং-এর পাশাপাশি মিডিয়া ফাইল এবং ই-বুক বা ম্যাগাজিন পড়ে থাকেন। বলা যায়, এটি হতে পারে আইপ্যাড কেনার অন্যতম কারণ।
৩. আপনি যদি আগেই কোনো ট্যাবলেটের মালিক হয়ে থাকেন এবং এর ক্যামেরা যদি আপনি খুব একটা ব্যবহার না করেন, তাহলে নতুন আইপ্যাড এখনই কিনলেও খুব একটা কাজে নাও আসতে পারে। কেননা, নতুন আইপ্যাডের অল্প কিছু বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি হচ্ছে পেছনের ৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা যা সাপোর্ট করে অ্যাপলের আইসাইট।
৪. আপনার যদি ইতোমধ্যেই আইপ্যাড ২ থাকে এবং নতুন আইপ্যাড কেনার মতো টাকা না থাকে, তাহলে এখনই এটি বিক্রি করে নতুন আইপ্যাড কেনার চেষ্টা করা যুক্তিসঙ্গত হবে না। কেননা, আইপ্যাডের অন্যতম সুবিধা এর ৪জি ইন্টারনেট ক্যাপাবিলিটি থাকলেও ৩জি ইন্টারনেটই কাজ করার জন্য যথেষ্ট। কাজেই, এখনই নতুন আইপ্যাডের জন্য চেষ্টা না করে অপেক্ষা করতে পারেন পরবর্তী আইপ্যাডের জন্য।
অ্যাপলের নতুন আইপ্যাডের সঙ্গে আরো কিছু ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল। তারা জানিয়েছে, অ্যাপলের আইফটোতে মাল্টি-টাচের মাধ্যমে ছবি সম্পাদনার কাজ করা যাবে। পাশাপাশি আপডেট করা হয়েছে আইওয়ার্ক এবং আইলাইফ।
সবশেষে যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন যে নতুন আইপ্যাড কিনবেনই, তাহলে মাত্র ৪৯৯ ডলারে কেবল ওয়াই-ফাই সুবিধা সম্বলিত ১৬ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার ‘নতুন’ আইপ্যাড এখনই প্রিঅর্ডার করতে পারেন। পাশাপাশি একই ধারণক্ষমতার ৪জি সুবিধা সম্বলিত আইপ্যাড কিনতে পারেন ৬২৯ ডলারে।
অবশেষে গ্যালাক্সি এস ২-তে আইসক্রিম স্যান্ডউইচ
সম্প্রতি স্যামসাং জানিয়েছে, প্রতীক্ষা শেষ করিয়ে এবার অ্যান্ড্রয়েডের
সর্বশেষ সংস্করণ ৪.০ তাদের গ্যালাক্সি এস ২ স্মার্টফোনে আপডেট করা হচ্ছে।
আইসক্রিম স্যান্ডউইচ নামে পরিচিত এই সংস্করণের জন্য দীর্ঘদিন এস ২
ব্যবহারকারীরা অপেক্ষা করে আসছিলেন। খবর বিবিসির।
সূত্র জানিয়েছে, মার্চের ১৩ তারিখ থেকেই কোরিয়া, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি এবং সুইডেনের গ্যালাক্সি এস ২ ব্যবহারকারীদের আইসক্রিম স্যান্ডউইচ আপডেট দেয়া শুরু হয়ে গেছে। এটি পরে অন্যান্য দেশেও দেয়া হবে যা যুক্তরাজ্যে মার্চের ১৯ তারিখ চালু হতে পারে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মোবাইলের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম গুগলের অ্যান্ড্রয়েডের নতুন এই সংস্করণে টাচস্ক্রিনে নতুন সুবিধা ছাড়াও রয়েছে ব্যবহারকারীর ফেইস (মুখ) দিয়ে ফোন আনলক করার প্রযুক্তি।
সূত্র জানিয়েছে, মার্চের ১৩ তারিখ থেকেই কোরিয়া, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি এবং সুইডেনের গ্যালাক্সি এস ২ ব্যবহারকারীদের আইসক্রিম স্যান্ডউইচ আপডেট দেয়া শুরু হয়ে গেছে। এটি পরে অন্যান্য দেশেও দেয়া হবে যা যুক্তরাজ্যে মার্চের ১৯ তারিখ চালু হতে পারে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মোবাইলের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম গুগলের অ্যান্ড্রয়েডের নতুন এই সংস্করণে টাচস্ক্রিনে নতুন সুবিধা ছাড়াও রয়েছে ব্যবহারকারীর ফেইস (মুখ) দিয়ে ফোন আনলক করার প্রযুক্তি।
বিবিসির নেটওয়ার্কে সাইবার আক্রমণ
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, পারসিয়ান সার্ভিসে তাদের নেটওয়ার্ক
দুর্বল করে দিতে ইরান থেকে সাইবার আক্রমণ করা হয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে,
ইরানে থাকা বিবিসির দু’টি স্যাটেলাইট ফিড জ্যাম করে দেয়ার উদ্দেশ্যেই বিফল
এই চেষ্টা করা হয়েছিল। খবর বিবিসি অনলাইন।
বিবিসি জানিয়েছে, ডিরেক্টর জেনারেল মার্ক থম্পসন গত মাসে বিবিসির পারস্যের কর্মীদের ভয়-ভীতি দেখানোর অভিযোগ আনেন ইরানের ওপর।
বিবিসির ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’ অনুষ্ঠানেও ইরানের সাইবার-আর্মি নিয়ে তথ্য প্রকাশিত হয়। এরপর সবশেষে বিবিসি অনলাইনে থম্পসনের একটি ব্লগ পোস্ট প্রকাশিত হয়, যেখানে তিনি বিবিসির পারসিয়ান টিভিসহ আন্তর্জাতিক টিভি স্টেশন জ্যাম করে ইরানের সাধারণ মানুষকে তথ্য প্রাপ্তি থেকে বিরত রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
বিবিসি জানিয়েছে, ডিরেক্টর জেনারেল মার্ক থম্পসন গত মাসে বিবিসির পারস্যের কর্মীদের ভয়-ভীতি দেখানোর অভিযোগ আনেন ইরানের ওপর।
বিবিসির ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’ অনুষ্ঠানেও ইরানের সাইবার-আর্মি নিয়ে তথ্য প্রকাশিত হয়। এরপর সবশেষে বিবিসি অনলাইনে থম্পসনের একটি ব্লগ পোস্ট প্রকাশিত হয়, যেখানে তিনি বিবিসির পারসিয়ান টিভিসহ আন্তর্জাতিক টিভি স্টেশন জ্যাম করে ইরানের সাধারণ মানুষকে তথ্য প্রাপ্তি থেকে বিরত রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
সনির নতুন টাচস্ক্রিনে স্পর্শও লাগবে না!
টাচস্ক্রিন হ্যান্ডসেটের জনপ্রিয়তা এখনো বেড়েই চলেছে। এমনই এক সময়ে জাপানের
ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট সনি নিয়ে এলো নতুন এক প্রযুক্তি, যাতে স্পর্শ না
করেই টাচস্ক্রিনের মতো কাজ করা যায়, খবর বিবিসির।
সূত্র জানিয়েছে, মোবাইলের স্ক্রিনে স্পর্শ না করে এর উপর আঙুল দোলালেই স্মার্টফোনটি কাজ করবে। সনি এই প্রযুক্তিকে ‘ফ্লোর্টি টাচ’ বা ভাসমান স্পর্শের ইউজার ইন্টারফেস বলছে। জানা গেছে, নতুন এই স্ক্রিনসহ এক্সপেরিয়া সোলা নামের একটি স্মার্টফোন চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বাজারে আসতে পারে।
মোবাইল বিশেষজ্ঞরা অবশ্য সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, নতুন প্রযুক্তির এই টাচস্ক্রিন আদৌ জনপ্রিয়তা পাবে কিনা।
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/এআইএস/ওএস/মার্চ ১৫/১২
সূত্র জানিয়েছে, মোবাইলের স্ক্রিনে স্পর্শ না করে এর উপর আঙুল দোলালেই স্মার্টফোনটি কাজ করবে। সনি এই প্রযুক্তিকে ‘ফ্লোর্টি টাচ’ বা ভাসমান স্পর্শের ইউজার ইন্টারফেস বলছে। জানা গেছে, নতুন এই স্ক্রিনসহ এক্সপেরিয়া সোলা নামের একটি স্মার্টফোন চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বাজারে আসতে পারে।
মোবাইল বিশেষজ্ঞরা অবশ্য সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, নতুন প্রযুক্তির এই টাচস্ক্রিন আদৌ জনপ্রিয়তা পাবে কিনা।
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম/এআইএস/ওএস/মার্চ ১৫/১২
‘বোঝা নেমে গেল’
ঢাকা, মার্চ ১৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)
প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে শততম শতরান করার পর শচীন টেন্ডলকার বললেন, ৫০ কেজি ওজনের এক বোঝা নেমে গেছে তার মাথা থেকে। যদিও ১০০ সেঞ্চুরির এই লক্ষ্য তার নিজের নয়, মিডিয়াই বেঁধে দিয়েছিল বলে উল্লেখ করেছেন ‘লিটল মাস্টার’।
বৃহস্পতিবার এশিয়া কাপের চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১১৪ রান করেন টেন্ডুলকার। দীর্ঘ ৩৬৯ দিনের প্রতীক্ষা শেষে এই অনন্য রেকর্ড গড়লেন তিনি।
মাশরাফি বিন মর্তুজার বলে মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ হয়ে ফেরার আগে তার ১৪৭ বলের ইনিংসটি ছিল ১২টি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো।
এই অর্জনের প্রতিক্রিয়ায় টেন্ডুলকার বলেন, “একটা কঠিন সময় গেছে। মৌসুমের শুরুটা ভালোভাবেই হয়েছিল। কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিলো না।”
তবে শততম শতরানের লক্ষ্যটি তার নিজের ছিল না উল্লেখ করে ইতিহাস গড়া এই ক্রিকেটার বলেন, “আমি এই মাইলফলক নিয়ে ভাবিনি। মিডিয়াই এটা শুরু করেছে। যেখানেই আমি গেছি, রেস্তোরাঁয়, হোটেলে- সবাই শুধু একশতম সেঞ্চুরি নিয়ে কথা বলেছে। অথচ কেউই আমার ৯৯টি শতক নিয়ে কথা বলেনি।”
গত বছর ১২ মার্চ দেশের মাটিতে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শতক হাঁকিয়ে ৯৯তম শতকে পৌঁছান শচীন। এরপর ১০০ তে পৌঁছাতে এই যে দীর্ঘ এক বছর অপেক্ষা, তার কষ্টটা কেমন ছিল?
শততম সেঞ্চুরির পর বড় একটা বোঝা নেমে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও টেন্ডুলকার মনে করিয়ে দিয়েছেন যে আরো একটি বিষয়ের জন্য তাকে দীর্ঘ ২২ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল; সেটা ছিল বিশ্বকাপ জয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএনএল/জেকে/১৯১৪ ঘ.
টেন্ডুলকারের ইতিহাস গড়ার ম্যাচে বাংলাদেশের জয়
শচীন টেন্ডুলকারের ইতিহাস গড়ার ম্যাচে ভারতকে ৫
উইকেটে হারিয়ে শেষ হাসি বাংলাদেশের। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে এই জয়ের
ফলে এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠার আশাও বাঁচিয়ে রাখলো স্বাগতিকরা।
২ ম্যাচ থেকে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট। সমান ম্যাচ থেকে ভারতের পয়েন্টও ৪। ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পাকিস্তান। দুই ম্যাচেই হেরে যাওয়া শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট ০।
ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় জয়। এর আগে ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে দেশের মাটিতে ১৫ রানে ও ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ৫ উইকেটে ভারতকে হারিয়েছিলো তারা।
শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে টেন্ডুলকারের ৪৯তম ওয়ানডে এবং শততম আন্তর্জাতিক শতকের সুবাদে ৫ উইকেটে ২৮৯ রান করে টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত।
জবাবে তামিম ইকবাল, জহুরুল ইসলাম ও নাসির হোসেনের অর্ধশতকের সুবাদে ৪৯ ওভার ২ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। তবে অর্ধশতক না পেলেও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এবং টেস্ট ও ওয়ানডের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের দুটো অসাধারণ ইনিংসে স্বাগতিকদের জয়ের সোপান রচিত।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ১৫ রানে বিদায় নেন নাজিমউদ্দিন। তবে দ্বিতীয় উইকেটে জহুরুলের সঙ্গে তামিমের ১১৩ রানের জুটির সুবাদে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। নিজের প্রথম ওয়ানডে অর্ধশতকে পৌঁছে জহুরুল (৫৩) আউট হয়ে গেলেও দেখেশুনে খেলতে থাকেন তামিম। জহুরুলের ৬৮ বলের ইনিংসে ৪টি চার ও একটি ছক্কা।
মুশফিকের বদলে চার নম্বরে খেলতে নামেন নাসির হোসেন। তৃতীয় উইকেটে তার সঙ্গে ২৮ রানের ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন তামিম। দলীয় ১৫৮ রানে প্রাভিন কুমারের বলে রবীন্দ্র জাদেজার দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে ৭০ রানের এক ঝকঝকে ইনিংস আসে তামিমের ব্যাট থেকে। ৯৯ বলের ইনিংসটিতে ৬টি চার।
তামিমের বিদায়ের পর নাসিরের সঙ্গে মাত্র ৮ ওভারে ৬৮ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন উজ্জ্বল করে তোলেন সাকিব আল হাসান। ৩১ বলে ৫টি চার ও দুটি ছক্কায় সাকিবের ৪৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটি শেষ হয়েছে বিতর্কিত সিদ্ধান্তে।
অশ্বিনের বলে তৃতীয় আম্পায়ার রুচিরা পালিয়াগুরুগে সাকিবকে স্টাম্পড হওয়ার ঘোষণা করলেও টিভি রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা গেছে ধোনি স্টাম্প ভেঙ্গে দেয়ার সময় তার পা লাইনের ওপরে ছিলো।
সাকিবের বিদায়ও অবশ্য দমাতে পারেনি বাংলাদেশকে। এরপর নাসির হোসেনের সঙ্গে মাত্র ৭ ওভারে ৬৪ রানের আরেকটি দুর্দান্ত জুটি গড়ে স্বাগতিকদের জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান মুশফিক। জয় থেকে মাত্র ২ রান দূরে থাকতে বিদায় নেন নাসির (৫৪)। সহ-অধিনায়ক মাহমুদুল্ল¬াহ রিয়াদকে নিয়ে বাকি কাজ সহজেই সারেন অধিনায়ক মুশফিক।
জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে ৩৩ রান প্রয়োজন ছিলো বাংলাদেশের। ইরফান পাঠানের করা ৪৮তম ওভারে দুটি ছক্কাসহ ১৭ রান নিয়ে মুশফিক বাংলাদেশকে নিয়ে যান লক্ষ্যের কাছাকাছি। প্রাভিন কুমারের পরের ওভারে ১৪ রান এলে জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। কারণ শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিলো মাত্র ২ রান।
মুশফিকের ব্যাট থেকে ৩টি করে চার ও ছক্কাসহ ২৫ বলে অপরাজিত ৪৬ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস এলেও জয়সূচক রান আসে মাহমুদুল্ল¬ার ব্যাট থেকে। অশোক দিন্দাকে কাভার দিয়ে চার মেরে মাহমুদুল্লাহই মধুর এক জয় এনে দেন বাংলাদেশকে।
৫৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে প্রাভিন কুমার ভারতের সেরা বোলার।
এর আগে ভারতের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। দলীয় ২৫ রানে বিদায় নেন আগের ম্যাচে শতক করা গৌতম গম্ভীর (১১)। শফিউল ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ঠিক পরের বলেই ফিরতে পারতেন বিরাট কোহলিও। কিন্তু আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে এলবিডবি¬উর ফাঁদে পড়া থেকে রক্ষা পান তিনি।
দ্বিতীয় উইকেটে কোহলির সঙ্গে টেন্ডুলকারের ১৪৮ রানের জুটি ভারতের বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেয়। দলীয় ১৭৩ রানে আব্দুর রাজ্জাকের বলে বোল্ড হয়ে যান কোহলি।
টেন্ডুলকারের ইতিহাস জন্ম দেয়া ম্যাচে ইতিহাসের অংশ হতে পারতেন কোহলিও। প্রথম ভারতীয় ও পঞ্চম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে টানা তিনটি ওয়ানডেতে শতক করার সুযোগ ছিল তার সামনে। কিন্তু আগের দুই ম্যাচে শতক করা কোহলি আউট হয়ে যান ৬৬ রান করে। ৮২ বলের ইনিংসটিতে ৫টি চার।
সম্ভবত øায়ুর চাপের জন্যই শততম শতকের কাছাকাছি গিয়ে ভীষণ সতর্ক হয়ে পড়েন টেন্ডুলকার। তবে অন্য প্রান্তে রানের চাকা সচল রাখার কাজ ভালো ভাবেই করছিলেন সুরেশ রায়না। তৃতীয় উইকেটে টেন্ডুলকারের সঙ্গে ৮৬ রানের চমৎকার জুটি গড়েন তিনি।
মাশরাফি বিন মর্তুজার করা ৪৭তম ওভারের চতুর্থ বলে তামিম ইকবালের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে রায়না করেন ৫১ রান। ৩৮ বলের আক্রমণাত্মক ইনিংসটি ৫টি চার ও দুটি ছক্কায় সাজানো। পরের বলেই মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়ে রায়নাকে অনুসরণ করেন ১১৪ রান করা টেন্ডুলকার। তার ১৪৭ বলের ইনিংসে ১২টি চার ও একটি ছক্কা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেন্ডুলকারের এটাই প্রথম ওয়ানডে শতক। এত দিন ২০০৪ সালের জুলাইয়ে কলম্বোতে করা অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংসটিই বাংলাদেশের বিপক্ষে সেরা ইনিংস ছিলো তার।
টেন্ডুলকারের বিদায়ের পর অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির ১১ বলে অপরাজিত ২১ রানের সুবাদে তিন শ রানের কাছাকাছি স্কোর গড়ে ভারত।
৪৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে মাশরাফি বাংলাদেশের সেরা বোলার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ৫০ ওভারে ২৮৯/৫ (গম্ভীর ১১, টেন্ডুলকার ১১৪, কোহলি ৬৬, রায়না ৫১, ধোনি ২১*, রোহিত ৪, জাদেজা ৪*; মাশরাফি ২/৪৪, শফিউল ১/২৪, রাজ্জাক ১/৪১)
বাংলাদেশ: ৪৯.২ ওভারে ২৯৩/৫ (তামিম ৭০, নাজিম ৫, জহুরুল ৫৩, নাসির ৫৪, সাকিব ৪৯, মুশফিক ৪৬*, মাহমুদুল্ল¬াহ ৪*; প্রাভিন ৩/৫৬, জাদেজা ১/৩২, অশ্বিন ১/৫৬)
ফল: বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরা: সাকিব আল হাসান।
২ ম্যাচ থেকে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট। সমান ম্যাচ থেকে ভারতের পয়েন্টও ৪। ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পাকিস্তান। দুই ম্যাচেই হেরে যাওয়া শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট ০।
ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় জয়। এর আগে ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে দেশের মাটিতে ১৫ রানে ও ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ৫ উইকেটে ভারতকে হারিয়েছিলো তারা।
শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে টেন্ডুলকারের ৪৯তম ওয়ানডে এবং শততম আন্তর্জাতিক শতকের সুবাদে ৫ উইকেটে ২৮৯ রান করে টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত।
জবাবে তামিম ইকবাল, জহুরুল ইসলাম ও নাসির হোসেনের অর্ধশতকের সুবাদে ৪৯ ওভার ২ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। তবে অর্ধশতক না পেলেও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এবং টেস্ট ও ওয়ানডের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের দুটো অসাধারণ ইনিংসে স্বাগতিকদের জয়ের সোপান রচিত।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ১৫ রানে বিদায় নেন নাজিমউদ্দিন। তবে দ্বিতীয় উইকেটে জহুরুলের সঙ্গে তামিমের ১১৩ রানের জুটির সুবাদে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। নিজের প্রথম ওয়ানডে অর্ধশতকে পৌঁছে জহুরুল (৫৩) আউট হয়ে গেলেও দেখেশুনে খেলতে থাকেন তামিম। জহুরুলের ৬৮ বলের ইনিংসে ৪টি চার ও একটি ছক্কা।
মুশফিকের বদলে চার নম্বরে খেলতে নামেন নাসির হোসেন। তৃতীয় উইকেটে তার সঙ্গে ২৮ রানের ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন তামিম। দলীয় ১৫৮ রানে প্রাভিন কুমারের বলে রবীন্দ্র জাদেজার দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে ৭০ রানের এক ঝকঝকে ইনিংস আসে তামিমের ব্যাট থেকে। ৯৯ বলের ইনিংসটিতে ৬টি চার।
তামিমের বিদায়ের পর নাসিরের সঙ্গে মাত্র ৮ ওভারে ৬৮ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন উজ্জ্বল করে তোলেন সাকিব আল হাসান। ৩১ বলে ৫টি চার ও দুটি ছক্কায় সাকিবের ৪৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটি শেষ হয়েছে বিতর্কিত সিদ্ধান্তে।
অশ্বিনের বলে তৃতীয় আম্পায়ার রুচিরা পালিয়াগুরুগে সাকিবকে স্টাম্পড হওয়ার ঘোষণা করলেও টিভি রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা গেছে ধোনি স্টাম্প ভেঙ্গে দেয়ার সময় তার পা লাইনের ওপরে ছিলো।
সাকিবের বিদায়ও অবশ্য দমাতে পারেনি বাংলাদেশকে। এরপর নাসির হোসেনের সঙ্গে মাত্র ৭ ওভারে ৬৪ রানের আরেকটি দুর্দান্ত জুটি গড়ে স্বাগতিকদের জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান মুশফিক। জয় থেকে মাত্র ২ রান দূরে থাকতে বিদায় নেন নাসির (৫৪)। সহ-অধিনায়ক মাহমুদুল্ল¬াহ রিয়াদকে নিয়ে বাকি কাজ সহজেই সারেন অধিনায়ক মুশফিক।
জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে ৩৩ রান প্রয়োজন ছিলো বাংলাদেশের। ইরফান পাঠানের করা ৪৮তম ওভারে দুটি ছক্কাসহ ১৭ রান নিয়ে মুশফিক বাংলাদেশকে নিয়ে যান লক্ষ্যের কাছাকাছি। প্রাভিন কুমারের পরের ওভারে ১৪ রান এলে জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। কারণ শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিলো মাত্র ২ রান।
মুশফিকের ব্যাট থেকে ৩টি করে চার ও ছক্কাসহ ২৫ বলে অপরাজিত ৪৬ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস এলেও জয়সূচক রান আসে মাহমুদুল্ল¬ার ব্যাট থেকে। অশোক দিন্দাকে কাভার দিয়ে চার মেরে মাহমুদুল্লাহই মধুর এক জয় এনে দেন বাংলাদেশকে।
৫৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে প্রাভিন কুমার ভারতের সেরা বোলার।
এর আগে ভারতের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। দলীয় ২৫ রানে বিদায় নেন আগের ম্যাচে শতক করা গৌতম গম্ভীর (১১)। শফিউল ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ঠিক পরের বলেই ফিরতে পারতেন বিরাট কোহলিও। কিন্তু আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে এলবিডবি¬উর ফাঁদে পড়া থেকে রক্ষা পান তিনি।
দ্বিতীয় উইকেটে কোহলির সঙ্গে টেন্ডুলকারের ১৪৮ রানের জুটি ভারতের বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেয়। দলীয় ১৭৩ রানে আব্দুর রাজ্জাকের বলে বোল্ড হয়ে যান কোহলি।
টেন্ডুলকারের ইতিহাস জন্ম দেয়া ম্যাচে ইতিহাসের অংশ হতে পারতেন কোহলিও। প্রথম ভারতীয় ও পঞ্চম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে টানা তিনটি ওয়ানডেতে শতক করার সুযোগ ছিল তার সামনে। কিন্তু আগের দুই ম্যাচে শতক করা কোহলি আউট হয়ে যান ৬৬ রান করে। ৮২ বলের ইনিংসটিতে ৫টি চার।
সম্ভবত øায়ুর চাপের জন্যই শততম শতকের কাছাকাছি গিয়ে ভীষণ সতর্ক হয়ে পড়েন টেন্ডুলকার। তবে অন্য প্রান্তে রানের চাকা সচল রাখার কাজ ভালো ভাবেই করছিলেন সুরেশ রায়না। তৃতীয় উইকেটে টেন্ডুলকারের সঙ্গে ৮৬ রানের চমৎকার জুটি গড়েন তিনি।
মাশরাফি বিন মর্তুজার করা ৪৭তম ওভারের চতুর্থ বলে তামিম ইকবালের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে রায়না করেন ৫১ রান। ৩৮ বলের আক্রমণাত্মক ইনিংসটি ৫টি চার ও দুটি ছক্কায় সাজানো। পরের বলেই মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়ে রায়নাকে অনুসরণ করেন ১১৪ রান করা টেন্ডুলকার। তার ১৪৭ বলের ইনিংসে ১২টি চার ও একটি ছক্কা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেন্ডুলকারের এটাই প্রথম ওয়ানডে শতক। এত দিন ২০০৪ সালের জুলাইয়ে কলম্বোতে করা অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংসটিই বাংলাদেশের বিপক্ষে সেরা ইনিংস ছিলো তার।
টেন্ডুলকারের বিদায়ের পর অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির ১১ বলে অপরাজিত ২১ রানের সুবাদে তিন শ রানের কাছাকাছি স্কোর গড়ে ভারত।
৪৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে মাশরাফি বাংলাদেশের সেরা বোলার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ৫০ ওভারে ২৮৯/৫ (গম্ভীর ১১, টেন্ডুলকার ১১৪, কোহলি ৬৬, রায়না ৫১, ধোনি ২১*, রোহিত ৪, জাদেজা ৪*; মাশরাফি ২/৪৪, শফিউল ১/২৪, রাজ্জাক ১/৪১)
বাংলাদেশ: ৪৯.২ ওভারে ২৯৩/৫ (তামিম ৭০, নাজিম ৫, জহুরুল ৫৩, নাসির ৫৪, সাকিব ৪৯, মুশফিক ৪৬*, মাহমুদুল্ল¬াহ ৪*; প্রাভিন ৩/৫৬, জাদেজা ১/৩২, অশ্বিন ১/৫৬)
ফল: বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরা: সাকিব আল হাসান।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)