আমি তখন নামকরা একটি স্কুলের হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করি। গ্রীষ্মকালীন ছুটি
উপলক্ষে স্কুল ১৫ দিনের বন্ধ, তাই আমরা সবাই বাড়ি চলে আসি। একদিন সকালবেলা
ঘুম না ভাঙতেই আমার রুমমেট মিঠুনের ফোন।
ফোন ধরা মাত্রই সে বলে উঠল, ‘দোস্ত, আমার একটা উপকার করো।’
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কী?’
সে বলল, ‘আমি আজ সাত দিন ধরে মনির (মিঠুনের প্রেমিকা) সঙ্গে কথা বলতে পারছি না। মনির মোবাইল নম্বরটা বন্ধ।’
আমি বললাম, ‘এখন আমি কী করব?’
সে বলল, ‘মনির বাবার নম্বরটা খোলা আছে, তুমি মনির বান্ধবী সেজে উনার সঙ্গে কথা বলবে আর মনিকে বলবে, আমাকে একটা ফোন করতে।’
যেই কথা, সেই কাজ, সারা দিন মেয়েদের মতো কথা বলা চর্চা করলাম। সবশেষে খেয়াল করলাম, আমি যখন চাপাস্বরে, আস্তে কথা বলি, তখন আমার কণ্ঠ মেয়েদের মতো হয়। আমার বন্ধুটাও কয়েকবার ফোন করে যাচাই করে নিল, আমার কণ্ঠ মেয়েদের মতো হচ্ছে কি না।
সে আমাকে মনির বাবার কাছে মনির এক বান্ধবীর পরিচয় দিতে বলল। আমি অনেকটা ভয়ে ভয়ে রাত আটটায় মনির বাবার কাছে ফোন করলাম আর মেয়েদের মতো কণ্ঠস্বরে সালাম দিয়ে বললাম—
‘আংকেল! আমি মনির বান্ধবী সাবিনা, মনিকে ফোনটা দেওয়া যাবে?’
মনির বাবা বলল, ‘মা! আমি তো এখন বাজারে, তুমি এক ঘণ্টা পরে ফোন করো।’
কথাটা শোনামাত্রই আমি অনেকটা আনন্দিত হয়ে গেলাম। কেননা, মনির বাবা আমাকে ধরতে পারেননি। বসে বসে সময় গুনতে লাগলাম, কখন এক ঘণ্টা পার হবে। তা ছাড়া অপেক্ষার সময় যেন কিছুতেই শেষ হয় না। ঠিক এক ঘণ্টা পর আমি আবার ফোন করলাম। ওপাশ থেকে মনির বাবা বলে উঠল—
‘হ্যালো, কে?’
‘আংকেল আমি মনির বান্ধবী সাবিনা।’ কথাটা বললাম চাপাস্বরে, ঠিক মেয়েদের মতো।
মনির বাবা আমার কথা বুঝতে না পেরে আমাকে জোরে বলতে বললেন। আমি আবারও বললাম কিছুটা জোরে। তিনি এবারও বুঝতে পারলেন না। তাই বিরক্ত হয়ে আমি এবার অনেক জোরে বললাম—
‘আংকেল! আমি মনির বান্ধবী সাবিনা।’
কথাটা বলেই আমি থমকে গেলাম। কেননা আমি যখন জোরে কথা বলতে গেলাম, তখন মেয়েদের মতো করে না বলে আমি আমার মতো করেই বলে ফেললাম নিজের অজান্তে। আর তখনই শুনতে পেলাম ওপাশ থেকে গালাগালের আওয়াজ ভেসে আসছে। আমি তখন লাইনটা কেটে মোবাইল ফোনটা বন্ধ করে দিলাম। আর নিজের বোকামির জন্য নিজেকে অভিসম্পাত দিলাম।
সাদ্দাম হোসেন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী।
ফোন ধরা মাত্রই সে বলে উঠল, ‘দোস্ত, আমার একটা উপকার করো।’
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কী?’
সে বলল, ‘আমি আজ সাত দিন ধরে মনির (মিঠুনের প্রেমিকা) সঙ্গে কথা বলতে পারছি না। মনির মোবাইল নম্বরটা বন্ধ।’
আমি বললাম, ‘এখন আমি কী করব?’
সে বলল, ‘মনির বাবার নম্বরটা খোলা আছে, তুমি মনির বান্ধবী সেজে উনার সঙ্গে কথা বলবে আর মনিকে বলবে, আমাকে একটা ফোন করতে।’
যেই কথা, সেই কাজ, সারা দিন মেয়েদের মতো কথা বলা চর্চা করলাম। সবশেষে খেয়াল করলাম, আমি যখন চাপাস্বরে, আস্তে কথা বলি, তখন আমার কণ্ঠ মেয়েদের মতো হয়। আমার বন্ধুটাও কয়েকবার ফোন করে যাচাই করে নিল, আমার কণ্ঠ মেয়েদের মতো হচ্ছে কি না।
সে আমাকে মনির বাবার কাছে মনির এক বান্ধবীর পরিচয় দিতে বলল। আমি অনেকটা ভয়ে ভয়ে রাত আটটায় মনির বাবার কাছে ফোন করলাম আর মেয়েদের মতো কণ্ঠস্বরে সালাম দিয়ে বললাম—
‘আংকেল! আমি মনির বান্ধবী সাবিনা, মনিকে ফোনটা দেওয়া যাবে?’
মনির বাবা বলল, ‘মা! আমি তো এখন বাজারে, তুমি এক ঘণ্টা পরে ফোন করো।’
কথাটা শোনামাত্রই আমি অনেকটা আনন্দিত হয়ে গেলাম। কেননা, মনির বাবা আমাকে ধরতে পারেননি। বসে বসে সময় গুনতে লাগলাম, কখন এক ঘণ্টা পার হবে। তা ছাড়া অপেক্ষার সময় যেন কিছুতেই শেষ হয় না। ঠিক এক ঘণ্টা পর আমি আবার ফোন করলাম। ওপাশ থেকে মনির বাবা বলে উঠল—
‘হ্যালো, কে?’
‘আংকেল আমি মনির বান্ধবী সাবিনা।’ কথাটা বললাম চাপাস্বরে, ঠিক মেয়েদের মতো।
মনির বাবা আমার কথা বুঝতে না পেরে আমাকে জোরে বলতে বললেন। আমি আবারও বললাম কিছুটা জোরে। তিনি এবারও বুঝতে পারলেন না। তাই বিরক্ত হয়ে আমি এবার অনেক জোরে বললাম—
‘আংকেল! আমি মনির বান্ধবী সাবিনা।’
কথাটা বলেই আমি থমকে গেলাম। কেননা আমি যখন জোরে কথা বলতে গেলাম, তখন মেয়েদের মতো করে না বলে আমি আমার মতো করেই বলে ফেললাম নিজের অজান্তে। আর তখনই শুনতে পেলাম ওপাশ থেকে গালাগালের আওয়াজ ভেসে আসছে। আমি তখন লাইনটা কেটে মোবাইল ফোনটা বন্ধ করে দিলাম। আর নিজের বোকামির জন্য নিজেকে অভিসম্পাত দিলাম।
সাদ্দাম হোসেন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন