প্রশ্নটা হাস্যকর মনে হতে পারে। চাঁদের আবার গন্ধ কী, তাই না? কিন্তু
চাঁদের গন্ধ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। অনেক আগে ধারণা
করা হতো, চাঁদের গন্ধ টাটকা পনিরের মতো। কারণ, সদ্য তৈরি পনিরে বিভিন্ন
রঙের মিশ্রণ দেখা যায়, মনে হয় যেন চাঁদ। এ রকম তুলনা কাব্যে চলে, বিজ্ঞানে
চলে না। নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, চাঁদের গন্ধ এক অর্থে বারুদের মতো। নাসা
কীভাবে জানল? জানল নভোচারীদের অভিজ্ঞতা থেকে। এ পর্যন্ত মাত্র ১২ জন
নভোচারী চাঁদের মাটিতে পা রেখেছেন। অবশ্য তাঁরা বায়ু অভেদ্য মহাশূন্য-পোশাক
পরেছিলেন। তাই তাঁদের পক্ষে চাঁদের গন্ধ নেওয়া সম্ভব ছিল না। কিন্তু
চাঁদের ধুলোবালি সহজেই তাঁদের পোশাকে লেগে যায় এবং প্রচুর ধূলিকণা নিয়ে
তাঁরা চাঁদ থেকে মহাশূন্যযানে ফিরে আসেন। তাঁরা বলেছেন, চাঁদের ধূলিকণা
ধরলে তুষারের মতো লাগে, গন্ধ শুঁকলে মনে হয় বারুদ, আর স্বাদ মন্দ নয়! নাসার
একটি ছোট দল আছে, যারা মহাশূন্য থেকে ফিরে আসা প্রতিটি যানের যন্ত্রপাতি
শুঁকে দেখে। আন্তর্জাতিক মহাশূন্য স্টেশনের আবহাওয়া-পরিবেশের সূক্ষ্ম
ভারসাম্য নষ্ট করার মতো কোনো কিছু যেন নভোযানে ঢুকে না পড়তে পারে, সে জন্য
এটা করা হয়। সুতরাং চাঁদের গন্ধ মিষ্টি-মধুর তো নয়ই বরং কিছুটা ঝাঁজালো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন