Translate

শুক্রবার, ১৬ মার্চ, ২০১২

আজ বাংলাদেশের সামনে ভারত

মধুর স্মৃতিটাই মনে রাখে মানুষ। তিক্ত স্মৃতি ভুলে যেতে চায়। বাংলাদেশের মানুষের যেমন মনে আছে, ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতকে হারানোর সুখস্মৃতি। দুই দলের মধ্যে এরপর আটটি ওয়ানডে হয়েছে এবং আটটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ, এটি যেন ক্রিকেট ইতিহাসের মুছে যাওয়া কোনো অংশ! এশিয়া কাপে আজ আরেকটি বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের আগে সবাই ২০০৭ বিশ্বকাপকেই টেনে আনছে বারবার। বাংলাদেশ তো ভারতের বিপক্ষে ভালো খেলে...।
দুই দল ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে ২৩ বার, যার মাত্র দুটিতে বাংলাদেশের জয়। ২০০৪ সালের ডিসেম্বর আর ২০০৭ সালের মার্চে পাওয়া সেই দুটি জয় তিন ম্যাচের মধ্যে। ‘ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ ভালো খেলে’ ধারণাটা ছড়িয়ে পড়ার কারণ সেটাই। অথচ এরপর সময় যত এগিয়েছে, দুই দলের লড়াইয়ে বাংলাদেশের জয় দূরে সরে গেছে ক্রমেই। এখন বরং প্রশ্ন করা ভালো, ভারতকে আর কেন হারাতে পারছে না বাংলাদেশ?
সেই প্রশ্ন কেউ করে না। কাল মুশফিকুর রহিমের সংবাদ সম্মেলনেও ‘বাংলাদেশ তো ভারতের বিপক্ষে ভালো খেলে’ জাতীয় প্রশ্ন হলো। বাংলাদেশ অধিনায়কও প্রশ্নের মূলভাবটা মেনে নিলেন, ‘অবশ্যই। ভারতের সঙ্গে আমরা অনেক ম্যাচ খেলেছি। আমার মনে হয়, তাদের বোলিং পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো অতটা ভালো না। আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে, আমরা কালকের (আজ) ম্যাচটা ভালো খেলব। আর ভারতের সাথে তো আমরা বরাবরই ভালো খেলি।’
সহ-অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও একই দাবি করে গেছেন আগের দিন। এক দিক দিয়ে ভালোই। এই দলটার বিপক্ষে আমরা ভালো খেলি, এমন বিশ্বাস তো কিছুটা হলেও এগিয়ে দিতে পারে মানসিকভাবে। কাগজে-কলমে যোজন যোজন এগিয়ে থাকা ভারতের বিপক্ষে এই একটা জিনিসই আজ আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারে বাংলাদেশের। অবশ্য মুশফিকের সমীকরণে বড় দলের বিপক্ষে জয়টা সব সময়ই গৌণ। আগে আসে সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারা, ‘আমার মনে হয় হারজিতটা আমাদের মতো দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ না। আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, বড় দলের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলা। তাহলেই দেখা যাবে একটা সময় জেতার আত্মবিশ্বাস আসবে।’ উদাহরণ হিসেবে সামনে আনলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচটাকে, যে ম্যাচ হতে পারে ভারতের বিপক্ষে ভালো খেলার আত্মবিশ্বাসে আরেকটু জ্বালানি।
মিরপুরের রহস্যময় উইকেট এশিয়া কাপে অবিশ্বাস্য রকমের ব্যাটিং-সহায়ক। টুর্নামেন্টের চার দল থেকেই বলা হচ্ছে, এই উইকেটে ব্যাটিং করে অনেক আনন্দ। শ্রীলঙ্কার কালকের ইনিংসটা বাদ দিলে স্কোরকার্ডগুলোও তা-ই বলছে। মিরপুরের উইকেট রহস্যময়তার খোলস থেকে বেরিয়ে আসায় খুশি মুশফিকও, ‘এখানকার উইকেট এমনিতে যে রকম ছিল, বিপিএল থেকে ও রকম হচ্ছে না। ব্যাটিং-সহায়ক উইকেট হচ্ছে। এটা ব্যাটসম্যানের জন্য ভালো, ওয়ানডে ক্রিকেট তো সব সময় ব্যাটসম্যানের জন্যই।’
কিন্তু উইকেটের বন্ধুতা যতই থাকুক, আসল কাজটা তো ব্যাটসম্যানদেরই করতে হবে। গৌতম গম্ভীর বা বিরাট কোহলির মতো কে আছে বাংলাদেশের, যাঁর ব্যাট আজ দেখাবে মিরপুরের উইকেট এখন ব্যাটিং স্বর্গ? কেউই নেই। কিংবা কে জানে, আজ হয়তো জ্বলে উঠবেন কেউ। তবে ভারত থেকে এসে কোহলি এখন পর্যন্ত মিরপুরে যা করেছেন, বাংলাদেশের কেউ এর ধারেকাছেও নেই। এ মাঠে সাত ম্যাচ খেলে ৪৮৩ রান কোহলির, গড় ১২০.৭৫। সেঞ্চুরি তিনটি, যার শেষ দুটি পরপর দুই ম্যাচে।
মিরপুরে আজ সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক করতে চান কি না, সেটি কাল জানা সম্ভব হয়নি কোহলির কাছে। সকালের অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে পেসার বিনয় কুমারকে পাঠানো হয়েছিল। কোহলি কী করতে পারেন, সেটা তো আর বিনয়ের কাছে জানতে চাওয়া যায় না। তবে মিরপুরের উইকেটে জেতার জন্য অন্তত ২৮০-৯০ রান দরকার মনে করছেন বিনয়। মুশফিকের ধারণাও তা-ই। সঙ্গে বিশেষ দ্রষ্টব্যের মতো যোগ করলেন, ‘টেন্ডুলকার দাঁড়িয়ে গেলে ওদের বড় ইনিংস আটকানো কঠিন।’
এশিয়া কাপ ঘুরেফিরে সেই টেন্ডুলকারে এসেই ঠেকছে। টেন্ডুলকারের শততম সেঞ্চুরি হবে কি না, সেটা আজকের ম্যাচেও বড় আলোচনা। বাংলাদেশ দল অবশ্যই চায় না, সেঞ্চুরিটা তাদের বিপক্ষে হয়ে যাক। তবে এশিয়া কাপেই রচিত হোক শততম সেঞ্চুরির ইতিহাস, এটা যেন সবারই চাওয়া।
শচীন টেন্ডুলকার বোধ হয় এখানেই ব্যতিক্রম। প্রতিপক্ষ হিসেবে সবারই ‘অপছন্দে’র হলেও প্রতিপক্ষ দলে তাঁর ভক্তও কম নয়।

কোন মন্তব্য নেই:

FSS blog

FSS TSTL Photo Gallery

FSS TSTL Photo Gallery
Pictures

I like it

  • Bangla Song
  • Love
  • Move

what is love?

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

লেবেল

লেবেল

ভূমি (1) sex (6)

Wikipedia

সার্চ ফলাফল