বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১২

পকেট রস মারুফ রেহমান

ঘুম!!
ঘুম আসে না। কোনোভাবেই ঘুম আসে না। বাদশা মিয়ার সমস্যা শুনে ডাক্তার ওষুধ দিলেন। বাদশা মিয়া ওষুধ খেল। তাও ঘুম আসে না। ডাক্তার টেস্ট দিলেন। বাদশা টেস্ট করাল। উহু! এবারও ঘুমের দেখা নেই। ডাক্তার বললেন, কিছুতেই যখন কাজ হচ্ছে না, তখন ভেড়া গুনুন। বুদ্ধিটা পুরোনো। তবে মাঝেমধ্যে কাজে লাগে। ১০০টা ভেড়া গুনলেই হবে। দুদিন পরে বাদশা মিয়া এল ডাক্তারের কাছে।
—ডাক্তার সাহেব, আগে রাতে ঘুম আসত না। এখন তো দিনের ঘুমও মাথায় উঠেছে।
—কেন? ভেড়া গুনে কাজ হয়নি?
—রাত দেড়টার মধ্যে ১০০ ভেড়া গোনা শেষ। সারা রাত পড়ে আছে। ভেড়াগুলো নিয়ে কী করা যায়? মহা ঝামেলা! রাত দুইটার দিকে ভেড়াগুলোর গা থেকে পশম সংগ্রহ করলাম। উলের ফ্যাক্টরি দিলাম। রাত পৌনে চারটার দিকে সোয়েটারের অর্ডারও পেলাম। কিন্তু শিপমেন্ট পাঠানোর সময় বন্দরে ঝামেলা লেগে গেল। শ্রমিক আন্দোলন। শিপমেন্ট আটকে আছে, ডাক্তার। এ অবস্থায় ঘুমাই কীভাবে?

চোখ
পিন্টুর এসএসসি পরীক্ষা। একই সময়ে বাংলাদেশ বনাম ভারতের খেলা। পরীক্ষা আগামী বছরও দেওয়া যাবে। খেলা মিস করা কোনো কাজের কথা না। বাসায় ঘোষণা দিল, তার চোখে সমস্যা। কোনো কিছুই
ঠিকমতো দেখতে পাচ্ছে না।
মা নিয়ে গেল ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার চোখের কোনো সমস্যাই খুঁজে পাচ্ছে না।
— ওপর থেকে অক্ষরগুলো পড়ো তো বাবা।
— অক্ষর!!
— ওই যে চার্ট। দেখতে পাচ্ছ না?
— উহু!
— দেয়ালে টানানো।
— দেয়াল? সেটা কোন দিকে?

ডাক্তার পিন্টুকে পরীক্ষার জন্য আনফিট সার্টিফিকেট দিলেন।
সেদিনের ডে-নাইট ম্যাচ দেখার জন্য পিন্টু গ্যালারিতে বসল। ভারত টসে জিতল। আর সেই সময়ে পিন্টু খেয়াল করল, তার পাশের চেয়ারে চোখের ডাক্তার বসে আছেন এবং তিনি ভ্রু কুচকে পিন্টুর দিকে তাকিয়ে আছেন।
পিন্টু দুইবার কাশি দিয়ে বলল, ভাই, অনেকক্ষণ ধরে বসে আছি। বাসটা ছাড়ছে না কেন?
আমি চোখে ঠিকমতো দেখতে পাই না। বাস না স্টেডিয়াম ঠিকমতো বুঝিও না!!

কোন মন্তব্য নেই: