বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১২

যে খবর নাড়া দেয় মায়ের এক ধার দুধের দাম!

মায়ের মতো আপন কে আছে ভুবনে? মা-ই তো আমাদের সর্বদুঃখের দুঃখী, সর্বখুশির খুশি।
ভাবছেন ধারেকাছে ‘মা দিবস’-জাতীয় কিছু নেই। হুট করে এমন মায়ের গুণকীর্তন কেন? হ্যাঁ, খুব স্বার্থপরের মতো কেবল মা দিবসেই মাকে স্মরণ করি আমরা কেউ কেউ। বাকি দিনগুলোতে মাকে ভুলে থাকি অবলীলায়। মাকে আমাদের মনে পড়ে না। মা থাকেন দূরে। মুঠোফোনের এই রমরমার যুগেও তাঁকে ফোন করার ফুরসত পাই না। অথবা মা খুব কাছে থাকলেও দূরের মানুষ। রয়ে-সয়ে তাঁর সঙ্গে দুটো কথা বলার সময় নেই। নাগরিক ব্যস্ততা আমাদের মায়ের কথা ভুলিয়ে রাখে। এমন সন্তান তো আমাদের মধ্যেই আছে। তবুও আমাদের মায়েরা অপেক্ষায় থাকেন। দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী কাটে সন্তানের অপেক্ষায়। তারপর একদিন মায়ের অপেক্ষার পালা ফুরোয় চিরতরে। মা হন অন্য ভুবনবাসী। ঘাড়-মাথা নিচু করে আমরা মায়ের খাটিয়া কাঁধে তুলি। চিতায় আগুন দিই। তারপর? মা হয়ে যান বসার ঘরে বাঁধাই করা ছবি।
মাকে ভুলেই ছিলাম। হুট করে আরও একবার মাকে মনে করিয়ে দিলেন ডেভিড ওয়ারনার। ভদ্রলোক একজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। তাঁর লেখা বই, হয়ার দেয়ার ইজ নো ডক্টর অনূদিত হয়েছে ৮৯টি ভাষায়। ওয়ারনার বলছেন, সন্তানদের সবচেয়ে বেশি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারেন মা। (সূত্র: প্রথম আলো, ২৯-০২-২০১২)
নাহ্, ডাক্তার, বদ্যি কেউ নন। এমনকি নয় বিলাসবহুল বহুতল হাসপাতালও। ছোট্টবেলায় আমাদের ছোট্ট শরীরটি অসম্ভব মমতায় আগলে রেখেছিলেন আমাদের মা-ই। ডেভিড ওয়ারনার আরও একটি অভিনব কথা বলেছেন। সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতালই আসল কথা নয়। চিকিৎসক না হয়েও একজন মানুষ কীভাবে সহজে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসাসেবা দিতে পারেন, সে উপায়ই বাতলে দিয়েছে ওয়ারনারের বই।
ওয়ারনারের জন্য শ্রদ্ধা। নতুন একটা ধারণার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন বলে।
ওয়ারনারকে ধন্যবাদ। মায়ের কথা আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন বলে। —ইকবাল হোসাইন চৌধুরী

কোন মন্তব্য নেই: